• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফোডেনের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে জয়ে ফিরলো ম্যানসিটি
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করার পর আর্সেনালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে অ্যাস্টন ভিলাকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের ফিরেছে পেপ গার্দিওলার শীর্ষরা। চমৎকার এক হ্যাটট্রিকে এই জয়ের নায়ক ফিল ফোডেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠে হালান্ড ও ডি ব্রুইনকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল সিটিজেনরা। তবে আক্রমণাত্মক ফুটবলে ভিলাকে স্রেফ উড়িয়ে দিল তারা। ৬৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৫টি শট নেয় সিটি। এর ১১টি ছিল লক্ষ্যে। এর বিপরীতে ভিলার আট গোলের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।  ম্যাচের শুরু থেকেই ভিলাকে প্রবল চাপে রাখে স্বাগতিকরা। এর সুফলও প্রায় দ্রুত। রদ্রির চমৎকার ফিনিশিংয়ে এগিয়ে যায় একাদশ মিনিটে। ডান দিক থেকে জেরেমি ডকুর চমৎকার ক্রসে ছুটে গিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। সমতায় ফেরাতেও খুব বেশি সময় নেয়নি ভিলা। ১৭তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে জালের দেখা পান কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড হুন দুরান। তার গোলে বড় অবদান আছে মর্গ্যান রজার্সেরও। ২৪তম মিনিটে সুযোগ আসে গ্রিলিশের সামনে। ভিলা থেকে সিটিতে আসা ইংলিশ মিডফিল্ডার ভলি রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। ১৩ মিনিট পর আলভারেসের শট রুখে দিয়ে সমতা ধরে রাখেন রবিন ওলসেন। ৪১তম মিনিটে চমৎকার ফ্রি কিকে জাল খুঁজে নেন ফোডেন। ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটিজেনরা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে ভিলা। ধৈর্য নিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল সিটি। ফোডেন ও রিকো লুইস ভীতি ছড়ালেও গোলরক্ষকের খুব একটা পরীক্ষা নিতে পারছিলেন না। এর মাঝেই প্রতি-আক্রমণে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার দগলাস লুইসের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন সিটি গোলরক্ষক স্তেফান ওর্তেগা। স্রেফ ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় কেভিন ডি ব্রুইনে, আর্লিং হলান্ডদের নামানোর কথা ভাবছিলেন গুয়ার্দিওলা। স্বাগতিক সমর্থকদের প্রবল করতালির মধ্যে ওয়ার্ম আপ করছিলেন তারকা ফুটবলাররা। তবে এর মধ্যেই জাদুকরী ফিনিশিংয়ে দলকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান ফোডেন। ডে ব্রুইনে, হলান্ডদের আর মাঠে নামার প্রয়োজন পড়েনি। ৬২তম মিনিটে রদ্রির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ফোডেন। পোস্টে লেগে ভেতরে যাওয়া বল ঠেকানোর কোনো সুযোগই ছিল না ভিলা গোলরক্ষকের। স্কোরলাইন হয়ে যায় ৩-১।  আট মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ইংলিশ তারকা। ফ্রি কিকের আবেদন করেছিলেন তিনি। সেটা নাকচ করে দেন রেফারি। বল ছিল আলভারেসের পায়ে, তিনি খুঁজে নেন ফোডেনকে। ২৫ গজ দূর থেকে আচমকা শটে বল জালে পাঠান তিনি। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির হয়ে এটি ফোডেনের ২১তম গোল। বাকি সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যায় সিটি। কিন্তু আর জালের দেখা পায়নি তারা। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এই জয়ের পর ৩০ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই রয়েছে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল গোল পার্থক্যে এগিয়ে আছে দুই নম্বরে।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫০

আট উইকেটের জয়ে সিরিজ সমতায় ফিরলো বাংলাদেশ
  টাইগারদের আট উইকেটের জয় হৃদয় কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের রূপ বদলায় শান্ত। শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের ২৫ বলে ৩২ রান এবং শান্তর ৩৮ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে আট উইকেট ও ১১ বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।     শান্ত-হৃদয় জুটি লিটনের আউটের পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন নাজমুল হাসান শান্ত। দুজনের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগোতে থাকে টাইগাররা।   সৌম্যর পর লিটনের বিদায় সৌম্যর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেনি লিটনও। ২৪ বলে ৩৬ রান করে পাথিরানার দ্বিতীয় শিকার হন এই টাইগার ওপেনার।   ভালো শুরু পর সৌম্যর বিদায় ভালো শুরু করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ২২ বলে ২৬ রান করে পাথিরানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।     পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে ফিফটি জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান তোলে বাংলাদেশ।   ১৬৬ রানের লক্ষ্য পেল টাইগাররা সপ্তম উইকেটে দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শেষ পর্যন্ত শানাকার ১৮ বলে ২০ রান এবং ম্যাথিউসের ২১ বলে অপরাজিত ৩২ রানে ভর করে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।   আসালাঙ্কাকে ফেরালেন মাহেদী সামারাবিক্রমার বিদায়ের পর ব্যাট চালাতে থাকেন চারিথ আসালাঙ্কা। তবে ১৪ বলে ২৮ রান করে মাহেদীর বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।   মোস্তাফিজের প্রথম শিকার চারিথ আশালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেন তিনি। ১১ বলে ৭ রান করে মোস্তাফিজের প্রথম শিকার হন এই লঙ্কান ব্যাটার।   কুশলের পর কামিন্দুর বিদায় কুশলের বিদায়ের পর পিচের বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি কামিন্দুও। ১০তম ওভারের তৃতীয় বলে রিশাদকে বিশাল ছক্কা হাঁকান কামিন্দু মেন্ডিস। পরের বলেই রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।   কুশল মেন্ডিসকে ফেরালেন সৌম্য কামিন্দু কিছু ধীরে ব্যাটিং করলেও দ্রুত রান তুলতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। তবে এই ডান হাতি ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৩৬ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।   পাওয়া প্লেতেই ৪৯ রান সফরকারীদের ফার্নান্দো শূন্য হাতে ফিরলেও কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে পাওয়া প্লেতে ৪৯ রান তুলতে পারে লঙ্কানরা।   তাসকিনের প্রথম আঘাত  ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত শুরু করেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। টানা ছয় বল ডট দিয়ে মেইডিন ওভার করেন এই বাঁহাতি পেসার। পরের ওভারের তৃতীয় বলে অভিষ্কা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে ভালো শুরু করে তাসকিন।     বাংলাদেশ একাদশ লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।   শ্রীলঙ্কা একাদশ আভিষ্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাক্কা, মাহিশ থিকশানা, দিলশান মাদুশানা, বিনুরা ফার্নান্দো ও মাথিশা পাথিরানা।   টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। ঘুরে দাঁড়ানো ম্যাচে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে টাইগাররা।    
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়