• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেতন ছাড়াই ছুটিতে গেলেন সাবিনারা, যা বলছে ফিফা
গত বছর জাতীয় নারী দলের ৩১ ফুটবলারকে বেতনের আওতায় এনেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। চার ক্যাটাগরিতে বেতনের অঙ্ক ছিল মাসে ১১ লাখের বেশি। তবে সেই টাকাও দিতে পারছে না ফেডারেশন। এমনকি বেতন ছাড়াই এবার ছুটিতে গিয়েছে ফুটবলাররা। গত ফেব্রুয়ারিতে ছয় মাসের চুক্তি শেষ হলেও তা নবায়ন করা তো দূরের কথা, মেয়েদের প্রাপ্য অর্থই দেয়নি দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বেতন না পাওয়ায় নারী ফুটবলারদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর সঙ্গে বারবার বিদেশি দলের সঙ্গে ম্যাচ বাতিলের কষ্ট তো আছেই। সব মিলিয়ে ২০২২ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতা কৃষ্ণা রানী সরকার, মনিকা চাকমাদের মন ভালো নেই। মেয়েদের হাতে চুক্তি অনুযায়ী অর্থ দিতে না পেরে বাফুফেও পড়ে যায় দুশ্চিন্তায়। উপায় না পেয়ে ফিফার দ্বারস্থ হয় ফুটবল ফেডারেশন।  বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘ আলাপের পর অবশেষে সুখবর পেয়েছে বাফুফে। ফিফার বার্ষিক অনুদান থেকে সামনে নারী ফুটবল দলের বেতন দেবে ফেডারেশন। ফিফা থেকে এটার অনুমতিও পেয়েছে তারা। ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি ছিল বাফুফের। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও আর্থিক সংকটের কারণে তা নবায়নের উদ্যোগ নেয়নি বাফুফে।  এখন ফিফা থেকে অর্থ খরচের নিশ্চয়তা পাওয়ায় শিগগিরই সাবিনাদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করবে ফেডারেশন। তবে নতুন চুক্তিতে বেতন বাড়ানোর যে দাবি করেছেন মেয়েরা, তা আপাতত নাকচ করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগের বারের চেয়ে এবার ফুটবলারের সংখ্যা বাড়তে পারে।  মেয়েদের বেতন নিয়ে বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, মেয়েদের বেতনের জন্য আমরা ফিফার কাছে চিঠি লিখেছিলাম। সেই চিঠির উত্তরটি আমাদের জন্য ইতিবাচক।  ‘ফিফা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা যে বার্ষিক অনুদান দেয়, সেখান থেকে মেয়েদের বেতন দিতে পারবো। ফিফার কাছ থেকে সবুজ সংকেত মেলায় আমাদের জন্য স্বস্তি হয়ে এসেছে এই ব্যাপারটি।’
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৬

ফুটবলে তিন পরিবর্তন, নীল কার্ড নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো
লালকার্ড ও হলুদকার্ডের পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নীল কার্ড ব্যবস্থা ফুটবল অঙ্গনে হইচই ফেলে দেয়। তবে এখনই চালু হচ্ছে না নীল কার্ড ব্যবস্থা। ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শনিবার (২ মার্চ) স্কটল্যান্ডে আইএফএবি’র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে তিনটি বিষয়ে নতুন আইন অনুমোদন করা হয়েছে। জানা গেছে, নীল কার্ড প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত না হলেও হ্যান্ডবল, পেনাল্টি কিক ও গোলকিপার কর্তৃক বল ধরে রাখার বিষয়ে তিনটি নতুন আইন অনুমোদন করা হয়েছে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। শনিবার আইএফএবি’র বার্ষিক সাধারণ সভা পর দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও নীল কার্ড বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে তিনটি আইন পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে- ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল হলেই লাল কার্ড দেখানো হবে। দ্বিতীয়টি- বর্তমানে একজন গোলকিপার ৬ সেকেন্ড পর্যন্ত বল দখলে রাখতে পারেন, এটি ৮ সেকেন্ডে উন্নীত করা হয়েছে। আর তৃতীয়টি হচ্ছে- পেনাল্টি কিকের সময় বল নির্দিষ্ট স্পটের ঠিক মাঝখানেই রাখতে হবে, এত দিন যা আইনে স্পষ্ট ছিল না। বর্তমানে রেফারিরা লঘু অপরাধের ক্ষেত্রে হলুদ কার্ড এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ও গুরু অপরাধের ক্ষেত্রে লাল কার্ড দেখিয়ে থাকেন। ফুটবলে শৃঙ্খলা বাড়ানোর ভাবনা থেকে নীল কার্ড চালুর কথা এসেছে। এ কার্ডের নিয়মানুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় নীল কার্ড দেখলে ১০ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন। ম্যাচের কোনো কর্মকর্তার প্রতি অশোভন আচরণেও এই শাস্তি দেওয়া হবে। তবে ফিফার আপত্তিতে সেটি এখন আটকে গেছে।  ফুটবলে নতুন আইন সংযোজন করতে হলে আইএফএবি এজিএমে অনুমোদন পেতে হয়। আর অনুমোদনের জন্য দরকার হয় ৮ ভোটের মধ্যে কমপক্ষে ৬টি। চারটি ভোটের মালিক ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, বাকি চারটি ফিফার। স্কটল্যান্ডে এজিএম অনুষ্ঠানের আগের দিন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সরাসরিই বলে দেন, ফিফার শীর্ষস্তর ‘নীল কার্ড’ ব্যবহারের বিরোধী।  গত বছরের নভেম্বরে নতুন এই কার্ডের প্রস্তাব এসেছিল। সে সময়ে ফুটবল সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতারা দাবি করেছিলেন, ম্যাচ অফিসিয়ালদের প্রতি খেলোয়াড়দের আচরণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এই নিয়ম দরকার। তারা এ-ও মনে করেন, যদি কোনো ফুটবলার কৌশলগত এমন কোনো ফাউল করেন, যা লালকার্ড দেওয়ার মতো নয়; আবার হলুদকার্ডও কম হয়ে যায়; তখন রেফারি নীলকার্ড ব্যবহার করবেন। নীল কার্ডের ব্যবহার হিসেবে একটি উদাহরণও উঠে এসেছে। ২০২০ ইউরোর ফাইনালে লক্ষ্যভেদ করতে যাওয়ার একপর্যায়ে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও চিয়েললিনি পেছন থেকে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় বুকায়ো সাকাকে জার্সিতে টেনে ধরছিলেন। তখন নীলকার্ডের প্রচলন থাকলে, ইতালিয়ান ডিফেন্ডারকে তা দেখানো যেত।
০৩ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৮

ম্যারাডোনা ও পেলের মধ্যে কে সেরা, জানালেন ফিফা সভাপতি
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ সময়ে ফুটবল বিশ্লেষক, পরিচালক বা খেলোয়াড়দের কাছে প্রশ্ন করা হয় বর্তমান সময়ে কে সেরা ফুটবলার মেসি নাকি রোনালদো। তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে করা হয়েছে ভিন্ন প্রশ্ন। মেসি-রোনালদো নয়, তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে পেলে-ম্যারাডোনার মধ্যে কে সেরা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচের সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হওয়া কিংবদন্তি আজতেকা স্টেডিয়ামে শুরু হবে আসন্ন আসর। গুরুত্বপূর্ণ এই ঘোষণা দিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। এরপরই মায়ামি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তার কাছে দুই কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো ম্যারাডোনার মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়। জবাব দিতে গিয়ে কাউকে আগে বেছে নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইলেন না জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি বলেন, আমি পেলেকে রাখব ডানপাশে এবং দিয়েগো ম্যারাডোনাকে বাঁ-পাশে। এরপর তাদের নিয়ে গড়ব আক্রমণভাগ। এ সময় তার জবাব শুনে সঞ্চালকরা হাসতে থাকেন। এই দুই তারকা ফুটবলারই মেক্সিকোর কিংবদন্তি আজতেকা স্টেডিয়ামে শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন নিজেদের দেশকে। ১৯৭০ বিশ্বকাপে ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল, পেলে জিতেছিলেন তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। একই ভেন্যুতে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বে পূর্ণতা দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাও। কিংবদন্তি পেলের বিশ্বকাপ জয়ের ১৬ বছর পর এই স্টেডিয়ামে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। মেক্সিকোর এই বিখ্যাত স্টেডিয়ামে ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও সবমিলিয়ে আরও ১৭টি ম্যাচ হয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনীসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ হবে আজকেতায়। কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রকে একসঙ্গে নিয়ে বৃহৎ পরিসরে প্রথমবারের মতো বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ আসর। ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে বেশ কিছু নতুনত্ব নিয়ে। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টটিতে দল ও ম্যাচ সংখ্যাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ৪৮ দলের এই আসরে ১০৪টি ম্যাচ হবে। ১১ জুন ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে। ১৯ জুলাই নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৭

অনেক প্রথমের ২০২৬ বিশ্বকাপ : শিডিউল ঘোষণা
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ ; বদলে দিতে যাচ্ছে ফুটবলের ইতিহাস। নতুন ধাঁচের বৈশ্বিক এক টুর্নামেন্টের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে তিনটি দেশে-কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে। ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে ৪৮টি দেশ। আর প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব শুরু হবে ৩২ দল নিয়ে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে বিশ্বকাপের ব্যাপ্তি ও ম্যাচের সংখ্যাও। ৩০-৩২ দিনের বদলে আগামী বিশ্বকাপ হবে ৩৯ দিনের, ম্যাচের সংখ্যা ৬৪ থেকে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১০৪টিতে! সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বকাপের শিডিউল ঘোষণার অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। এ সময় কোন ভেন্যুতে কোন ম্যাচ হবে, জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। আগামী ১১ জুন মেক্সিকোর আজকেতা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২৩তম আসর। আজকেতা স্টেডিয়ামের চেয়ে বেশি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার সৌভাগ্য হয়নি বিশ্বের অন্য কোনো ভেন্যুর। ১৯৭০ সালে সেখানেই ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল, পেলে জিতেছিলেন তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। এর ১৬ বছর পর এই স্টেডিয়ামেই ডিয়েগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে হয়ে উঠেছিলেন ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরাদের একজন। ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও এই দুই বিশ্বকাপ মিলিয়ে আরও ১৭টি ম্যাচ হয়েছে মেক্সিকোর এই বিখ্যাত স্টেডিয়ামে। ২০২৬ এ হবে বিশ্বকাপের ২৩তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ। টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল হবে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস ও আটলান্টা শহরে। তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচ হবে লিওনেল মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামি শহরে। আর ১৯ জুলাই  নিউইয়র্ক শহরের নিউ জার্সি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে আসরের। ৩৯ দিনের এই আসরে ১০৪টি ম্যাচ হবে তিনটি আলাদা দেশে; যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার ১৬টি শহরে। ১২ জুন লস এঞ্জেলসে হবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ম্যাচ, একই দিন টরোন্টোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে হবে ৯টি ম্যাচ। 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়