• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আগুন নেভাতে টোল ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস
অগ্নিকাণ্ড কিংবা যেকোনো দুর্ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে দ্রুত পৌঁছাতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে।  ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসতে আসতে মাত্র ২৫ মিনিটেই পুড়ে যায় গাড়িটি। আগুন নেভাতে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগার কথা পাঁচ মিনিট। কিন্তু রাস্তায় সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিট। এর মধ্যে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, টোল ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেয়নি সংশ্লিষ্টরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা এনে টোল দিতেই সময় লেগেছে ১০ মিনিট। ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক মেজর (অব.) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, দ্রুততম সময়ে ফায়ার ফাইটারদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি টোলমুক্ত রাখা উচিত। টোল কোনোভাবেই নেয়া উচিত নয়। ইমার্জেন্সি মানে ইমার্জেন্সি। কেউ বাধা দিলে ন্যূনতম এক বছরের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। উড়ালসড়কের শেষ অংশে বা মাঝামাঝি ফায়ার স্টেশনের জন্য ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। বিভিন্ন দেশে এ ব্যবস্থা রয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সরকারি গাড়ির বিনামূল্যে পাস থাকলেও নেই জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিসের পাস। তাই উড়ালসড়ক কিংবা সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে টোলমুক্ত রাখার দাবি উঠেছে।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৫

ডেমরায় ভলভো বাসে আগুনের ঘটনা রহস্যজনক : ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
রাজধানীর ডেমরায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা লন্ডন এক্সপ্রেসের ১৪টি ভলভো বাস আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে রহস্যজনক মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, তদন্ত করে আগুনের সূত্রপাত জানার চেষ্টা চলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ইকবাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা, সেটা তদন্তের পর বলা যাবে। পুলিশ বলছে, গ্যারেজে বাসগুলো পাশাপাশি রাখা ছিল। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। আলামত সংগ্রহ করবেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট। প্রসঙ্গত, সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিক পাড়া এলাকায় গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোতে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৪

হাতিরপুলে ছয়তলা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে : ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার এলাকার ছয়তলা ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আড়াই ঘণ্টা ধরে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক আগুন লাগা ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমরা ৬টা চার মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পাই। রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন এখনও পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণের পর আমরা এ নিয়ে কাজ করব। এর আগে, ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটের দিকে ছয়তলা ‘রাজ কমপ্লেক্স’ ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুনের খবর পান। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ায় আরও তিন ইউনিট বাড়ানো হয়।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০১:২১

‘ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ভবন মালিকদেরও দায় রয়েছে’
ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৪৪ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান দুই পক্ষেরই অবহেলা আছে বলে মনে করেন৷ তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ভবন মালিকদেরও দায় রয়েছে৷ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ও নগরায়নের কারণেও অনেক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন আলী আহমেদ খান৷ তিনি বলেন, যেভাবে দ্রুত নগরায়ন ও শিল্পায়ন হয়েছে, তাতে অনেক ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে৷ ঢাকা শহর যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এর দায় আসলে কার, কোনো ঘটনা ঘটার পর একপক্ষ অন্যপক্ষকে দায়ী করার সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া, দুর্নীতির কারণেই কি সারাদেশে বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যাচ্ছে। ডয়েচে ভেলের টকশো-তে অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান বলেন, ইন্ডিভিজুয়াল করাপশন থাকতে পারে, কিন্তু পুরো বাহিনীকে ঢালাওভাবে দোষ দেয়া যাবে না৷ অপরদিকে নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, রাজউক এর তদন্ত করা উচিত যে এক সিঁড়ি দিয়ে কীভাবে বেইলি রোডের বাড়িটি মিশ্র (বাণিজ্যিক ও আবাসিক) ব্যবহারের অনুমোদন পায়৷ বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অন্তত দুইটি সিঁড়ি থাকার কথা৷ আমি তিনটা সংস্থাকে দায়ী করবো প্রথমে রাজউক, তারপর ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশন৷ সবকিছুর ব্যবস্থা কেন প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে এর সমালোচনা করে আলী আহমেদ খান বলেন, সবকিছুই চলে যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে৷ কোন একটা মন্ত্রণালয়কে তো দায় নিতে হবে৷ জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে৷ রাজউক চলে আসলে সিবিএ দ্বারা৷ এই বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, শেয়ারের ভাগগুলো অবশ্যই ওপরের টিয়ারে যায়৷ ওপরের স্তরের কেউ আগ্রহী থাকলেও দুর্নীতি থামাতে পারে না, থামাতে গেলে তাকেই সরে যেতে হয়৷ কারণ আমাদের বাস্তবতা এমন অবস্থায় চলে এসেছে৷ তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে শুধু রেস্তোরাঁর কর্মীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আহমেদ বলেন, মালিককে দায় নিতে হবে আসলে৷ বাংলাদেশ একটা ছোট দেশ৷ সবাইকে সবাই চিনে৷ তাই আমরা আসলে অনেক সময় নেপটিজম থেকে বের হতে পারি না৷ তিনি আরও বলেন, এটাতো জঙ্গলে না, রাজধানীর বুকেই অনুমোদনহীন স্কুল চলছে৷ ডিমান্ড কিন্তু তৈরি হচ্ছে তাহলে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা হচ্ছে না কেন? ২০ ফিট রাস্তার পাশে ১৩-১৪ তলা বিল্ডিং হচ্ছে, তো সে জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছালেও ক্রেন তো ঘুরাতে পারবে না৷ অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানই একটা অবৈধ ব্যবস্থার অংশ হয়ে গেছে৷ আর এই সুযোগটাই ভবন মালিকরা নিচ্ছে৷
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৪

চিনির গলিত লাভায় দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি, মরছে মাছ
চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে লাগা আগুন ৪৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো নেভেনি। আর ইন্ডাস্ট্রি থেকে নির্গিত  গলিত লাভায় দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি নদী, ফলে মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আগুন নেভাতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। যেখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে পোড়া চিনি তরল আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে মিশছে কর্ণফুলি নদীতে। এতে নদীর মাছ ও জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠছে।  এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও নদী বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘চিনিমিশ্রিত এসব পানির কারণে নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব সরাসরি মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর পড়ছে। যে জন্য তাদের মৃত্যু হচ্ছে।’ এ দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। যেখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ আগুন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে। পবিত্র রমজান মাস ঘিরে এসব চিনির আমদানি করা হয়েছিল। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নির্বাপণে যোগ দেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক সদস্য আগুন নির্বাপণে কাজ করছেন।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৩

অধিক আগুনের ঝুঁকিতে ঢাকার ৭৬ শতাংশ মার্কেট-শপিংমল
ঢাকায় অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। প্রতিটি ঘটনার পরই বেরিয়ে আসছে গাফিলতি ও তদারকির অভাবের চিত্র। ঝুঁকি সম্পর্কে না জেনে মানুষ খেতে যাচ্ছে, কেনাকাটা করছেন, সেই সঙ্গে বসবাসসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ছে, মারাও যাচ্ছে। একটি ঘটনা ঘটলে কয়েক দিন নড়েচড়ে বসে ফায়ার সার্ভিসসহ প্রশাসন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে সবাই, আর কার্যক্রম চলতে থাকে এসব ঝুকিপূর্ণ মার্কেট, শপিংমল ও ভবনে। সারা দেশে ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৩৩৭টি মার্কেট ও শপিংমল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুযায়ী, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে আছে ২ হাজার ৮১টি ভবন। আর এর মধ্যে ৪২৪টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে রাজধানীর ২ হাজার ৬০৩টি ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১০৬টি মার্কেট-শপিংমল। তালিকায় রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ভবন। ফায়ার সার্ভিসের ২০২৩ সালে পরিদর্শন প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, রাজধানীর ৫৮টি মার্কেট, সুপার মার্কেট ও শপিংমল অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকার ১ হাজার ২০৯টি ভবনের মধ্যে ১২৭টি ছিল অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। আর সাধারণ ঝুঁকিতে ছিল ৬০২টি। পরিদর্শন করা মার্কেট ও শপিংমলের মধ্যে প্রায় ৭৫ দশমিক ৯০ ভাগই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থাপনায় যে কোনো সময় আগুন লাগতে পারে।  অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হলো : রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, বরিশাল প্লাজা মার্কেট, আলাউদ্দিন মার্কেট, শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, শহিদুল্লাহ মার্কেট, শরীফ মার্কেট, মায়া কাটরা (২২ মার্কেট) ও সিদ্দিকবাজারের রোজনীল ভিস্তা।  মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা ভবনগুলো হলো : আলম সুপার মার্কেট, উত্তরা মার্কেট (খিলগাঁও), সালেহা শপিং কমপ্লেক্স, মনু মোল্লা শপিং কমপ্লেক্স, লন্ডন প্লাজা শপিংমল, এ কে ফেমাস টাওয়ার, রোজভ্যালি শপিংমল, মেহের প্লাজা, প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, চিশতিয়া মার্কেট, নেহার ভবন, ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স, ইসমাইল ম্যানশন সুপার মার্কেট এবং সুবাস্তু অ্যারোমা শপিংমল। সাধারণ ঝুঁকির মধ্যে থাকা ভবনগুলো হলো : বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেট, তিলপাপাড়া মিনার মসজিদ মার্কেট, হাজী হোসেন প্লাজা, ইসলাম প্লাজা, নিউমার্কেট (কোনাপাড়া, ডেমরা), আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, এ হাকিম কমপ্লেক্স, বাচ্চু মিয়া কমপ্লেক্স, ড্রিমওয়্যার, এশিয়ান শপিং কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, ফেয়ার প্লাজা, শেপাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড, নাসা মেইনল্যান্ড, জাকারিয়া ম্যানশন, হাজী আব্দুল মালেক ম্যানশন, ইপিলিয়ন হোল্ডিং লিমিটেড, গ্লোব শপিং সেন্টার, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট (উত্তর ডি ব্লক), নুরজাহান সুপার মার্কেট, হযরত বাকু শাহ হকার্স মার্কেট, ইসলামিয়া বই মার্কেট, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১, সিটি প্লাজা ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, হান্নান ম্যানশন, নগর প্লাজা, রোজ মেরিনাস মার্কেট এবং দুকু টাওয়ার। জানা গেছে, কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মালিককে বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আইনগতভাবে কিছুই করার থাকছে না। তবে ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার ফায়ার সার্ভিসের আছে। তবুও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। আগামী সপ্তাহ থেকেই মামলার কার্যক্রম শুরু হতে পারে। নারীদের কাছে জনপ্রিয় মার্কেট ঢাকার গাউছিয়া ও উল্টো দিকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ)। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে যান। অথচ তারা জানেন না মার্কেট দুটি আগুনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। গাউছিয়া ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটকে ২০১৯ সালে অগ্নিনিরাপত্তার দিক দিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে একাধিকবার নোটিশ দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে গত বছরের এপ্রিলে আগুন লাগে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে। গাউছিয়া মার্কেটের দোকানমালিক সমিতির বর্তমান সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, কমিটি বিষয়টি বলতে পারবে। তিনি কিছু জানেন না। সাধারণ ঝুঁকিতে থাকা খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজার মার্কেট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জুয়েল বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আমাদের এখনো কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। কেন আমাদের ঝুঁকির তালিকায় রেখেছে জানি না। তবে যতটুকু জানি, আমাদের পানির রিজার্ভ ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার লিটার। এটা খুবই অপ্রতুল। কম করে হলেও এখনে এক লাখ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন রিজার্ভ ট্যাংক প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয়ের কাছে আবেদন জানানো হলেও লাভ হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজের অংশ হিসাবেই ভবনের অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করি। যেসব ভবনে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকে, সেসব ভবন কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য নোটিশ দিই। আইনে পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় আমরা এসব ভবনের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে এসব ভবনে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে পর্যায়ক্রমে মামলা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’ এদিকে ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে।  গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি। এইসব আগুনের ঘটনায় সারা দেশে মোট ২৮১ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছেন। এইসব ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা মূল্যের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া প্রতিবেদনগুলোতে ওই সব অনিয়ম এবং ঝুঁকির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। বাস্তবে তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়না। যেমন বেইলি রোডের ‘গ্রিন কোজি কটেজের’ ব্যাপারে তারা তিন বার নোটিশ দিলেও আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নোটিশের পর মামলা ও মেবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারি। তবে মামলা করে তেমন ফল হয়না। ২০১৪ সালের ফায়ার বিধিমালা স্থগিত থাকার ফলে মামলা কাজে আসে না। আর আমাদের নিজস্ব ম্যাজিষ্ট্রেট না থাকায় মেবাইল কোর্ট পারিচালনাও কঠিন।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সিল গালা করতে পারিনা। আইনে আমাদের সেই ক্ষমতা নাই। বার বার নোটিশ দেয়ার পরও যখন ভবন  মালিক আমলে না নেয় তখন আমরা ভবনটি অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ বলে নোটিশ টানিয়ে দিই। কিন্তু আমরা চলে আসার পর তা তারা ছিড়ে ফেলেন।’
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৬

আগুনের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে লাগা আগুনে রাত ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিস।  ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি : পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন, সদস্য করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার এবং ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৪

শ্বাস বন্ধ হয়ে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হয়েছে : ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক
বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাপড়ের দোকান ছিল। ভবনের অন্যান্য ফ্লোরে রেস্টুরেন্ট ছিল। যেগুলোতে আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেখেছি। যে কারণে আগুনটা দ্রুত ছড়িয়েছে এবং দাউদাউ করে জ্বলেছে। এছাড়া এই আগুনে দগ্ধ হওয়ার চেয়ে বেশিরভাগ মানুষ শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। রাজধানীর বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। ভবনের কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ছিল না, এমন অভিযোগ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, দ্বিতীয় তলা ছাড়া, এই ভবনের প্রতিটি ফ্লোরের সিঁড়িতে ছিল সিলিন্ডার। যেটা খুবই বিপজ্জনক ব্যাপার। কারণ আগুন লাগলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়, যা ভয়ংকর, বিপজ্জনক। ভবনটা মনে হয়েছে অনেকটা আগুনের চুল্লির মতো। তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখছি ভবনটি কতো বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই ভবনে মাত্র একটি সিঁড়ি। আমরা এখনো উদ্ধার অভিযান ও তল্লাশি করছি। তিনি বলেন, আগুনে দগ্ধ না হয়ে মানুষ ছাপোকেশনে (শ্বাস বন্ধ) বা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন বা অবচেতন হয়ে গেছেন। প্রত্যেকটি অগ্নি দুর্ঘটনার পর তদন্ত হয়। এক্ষেত্রেও তদন্ত হবে। চুলা থেকে অথবা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানী বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট’ ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের আসার পর ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ ও অবচেতন অবস্থায় ৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার ৪২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন জানান, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো ৪২ জনের মধ্যে ৪ শিশু ও ২১ নারী ছিলেন। বাকিরা পুরুষ। পাশাপাশি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। আবারো ভবনটি উপর থেকে নিচে, নিচে থেকে উপরে তল্লাশি করছি, কোনায় বা সিঁড়িতে কেউ পড়ে থাকতে পারেন বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। তিনি আরও বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১৩ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাব, বিজিবি আনসারসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
০১ মার্চ ২০২৪, ০২:৫১

অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢামেক পাঠানো হয়েছে : ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনের ঘটনায় অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। এদিকে আগুনের ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুন ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরমধ্যে অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে আনসার পুলিশ ও র‌্যাব। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।
০১ মার্চ ২০২৪, ০২:৩০

রাঙ্গামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত
রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবাগান এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২ জন।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন এবং সদর জেনারেল হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মারুফ আহমেদ।  নিহতরা হলেন নবীর হোসেন ও মো. হানিফ। নিহত অপর একজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। আহত ২ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানান, রাঙ্গামাটি থেকে ছেড়ে যাওয়া রাস্তা সংস্কার কাজে নিয়োজিত লরি চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে শালবাগান এলাকায় যাত্রীবাহী সিএনজিকে ধাক্কা দিলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি ও সিএনজি দুটোই গভীর খাদে পড়ে যায়। এ সময় সিএনজিতে থাকা ৫ যাত্রীর মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়।  মো. মারুফ আহমেদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস একটি লাশ উদ্ধার করেছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়