• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
মন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা : রেলমন্ত্রী
'মন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা।' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার (১৭ মার্চ) রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকবল সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে দক্ষ জনশক্তি রেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু রেল থেকে না সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জনশক্তি বাদ দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে সৈয়দপুরে গিয়েছিলাম। সৈয়দপুরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলের কারখানা। সেখানে কাজ করার জন্য ২৮০০ লোকের দরকার। কিন্তু সেখানে এখন আছে মাত্র ৮৫০ জন লোক। এসব জনশক্তি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই রেলওয়ের শূন্যপদ পূরণ করে রেলওয়েকে সুবিধাজনক অবস্থায় আনা হবে। দেশব্যাপী ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে মো. জিল্লুল হাকিম এরপর বলেন, আমাদের এখন বগি সংকট। পুরোনোগুলো মেরামত করে আমরা ঈদের মধ্যে এগুলো যুক্ত করবো। ইনশাআল্লাহ আগামী ১ বছরের মধ্যে আমাদের ৮০০ বগি হাতে এসে পৌঁছাবে। নতুন ইঞ্জিন আসবে। তখন আমরা বিভিন্ন রুটে ট্রেনও বাড়াবো। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন রুটে বন্ধ থাকা ট্রেন চালু করছি। সম্প্রতি বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়েছে। রাজবাড়ী রুটে আরেকটি লোকাল ট্রেন দেওয়া হবে, যেটা পোড়াদহ থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত যাবে। খুব শিগগিরই এটা দেওয়া হবে। রেলমন্ত্রী এ সময় রেলের খাবারের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রেলের যে বুফে কার রয়েছে সেখানে খাবারের মান খুবই খারাপ ছিল। আমি তাদের সঙ্গে রেল ভবনে বসেছিলাম। তাদের আমি বলেছিলাম খাবারের দাম আপনারা বেশি নেন তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু মান খারাপ হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। রেলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি সব সমস্যা সমাধানের। এছাড়া টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে বলেন, রেলওয়েতে টিকিট কালোবাজারি রয়েছে। এরা একটি বিরাট সিন্ডিকেট। আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে ইতোমধ্যে তিনটি সিন্ডিকেট ও টিকিট কালোবাজারিদের ধরেছি।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৭

লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটে আসন ফাঁকা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, প্রতিবাদ বিমানের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত এক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে। ওই পোস্ট জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস বলে মনে করে সংস্থাটি। ফেসবুক পোস্টে বলা হয় ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ বলছে সংস্থাটি।        শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত একটি পোস্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিমানের যাত্রী এবং সর্বসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই পোস্ট বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস। বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সব টিকিট সবার কাছে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট ছাড়াও বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে বিমানের টিকিট কেনা যাবে। অন্যান্য সব রুটের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা রুটের সব এয়ার টিকিটই এসব মাধ্যমে বুকিং করা যায়। এতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরে অনুমতি ছাড়া ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ডিজিটাল যেকোনো মাধ্যমে প্রচার করে বিমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মানহানীকর ও বেআইনি তথ্য সম্বলিত কোনো পোস্ট ফেসবুক অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার না করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিমান। বিমান বাংলাদেশ জানায়, এয়ারলাইনস ব্যবসায় লিন বা পিক মৌসুম থাকে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুর দিকে এবং মার্চ মাসে সাধারণত যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রী চাহিদা কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীর চাহিদা থাকে। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সবগুলো ফ্লাইট আসন সংখ্যার প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে বর্তমানে লিন মৌসুমের কারণে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। গত সপ্তাহেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গড়ে ৮৬ শতাংশ যাত্রী (কেবিন ফ্যাক্টর) ছিল।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪০

একজনকে নিয়ে চলছে পাঠদান, বাকি কক্ষগুলো ফাঁকা
একজন ছাত্র নিয়ে শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়ের বাকি কক্ষগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। এমন চিত্র নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নন্দীরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। গত কয়েক বছর ধরে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৫-১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এভাবে চলে আসছে বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম। স্থানীয়রা বলছেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অশোভন আচারণ ও অব্যবস্থাপনার কারণে এমন পরিস্থিতি। তবে প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ কমিটি ও চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে লোকজন তাদের বাচ্চাদের এ বিদ্যালয়ে দিচ্ছে না। সরেজমিনে গত রোববার বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১১টা নিয়মানুসারে প্রাথমিকের পাঠদান চলার কথা। কিন্তু সেই সময় প্রধান শিক্ষকসহ ৩ জন শিক্ষক অফিস কক্ষে বসে আছেন। একজন প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন। আর সহকারী শিক্ষক জহিরুল আলম সকালে এসে স্বাক্ষর দিয়ে বের হয়ে গেছেন। ওইসময় বিদ্যালয়েল প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণিকক্ষ শিক্ষার্থী শূন্য। সাংবাদিক দেখে অফিস কক্ষ থেকে দুইজন সহকারী শিক্ষক তড়িঘড়ি করে বের হয়ে আসেন। মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রথম শ্রেণির কক্ষে ঢুকিয়ে বেঞ্চে এনে বসান। তখনও বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে অপর কক্ষগুলো শিক্ষার্থী শূন্য। সোজা কথায় বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষকের বিপরীতে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১ জন। কিছুক্ষণ পর একজন শিক্ষক প্রথমে মোস্তাফিজকে গণিত, পরে আরেকজন ইংরেজি পড়ান। দুপুর ১২টার দিকে চতুর্থ শ্রেণিতে ২জন ও তৃতীয় শ্রেণির আরও ১ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে। রোববার প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট উপস্থিত ছিল ৪ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া বিদ্যালয় চলাকালে বেশ কিছু বখাটে বিদ্যালয়ের বারান্দায় এবং শ্রেণি কক্ষে ঢুকে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে। আবার প্রধান শিক্ষক তাদের দিয়ে বিভিন্ন কাজও করান। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ২০০৬ সালে অবসরে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান সহকারী শিক্ষক রাশেদা আক্তার। কিন্তু এরপর থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কোনো ক্লাস নিতেন না, গত ৪-৫ বছর ধরে তা একবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিদ্যালয়টিতে কমতে থাকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলার কারণে সহকারী শিক্ষক যারা আছেন তারাও নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। যার ফলে এখানে বাচ্চাদের দিলে তাদের লেখাপড়ার কোনো উন্নতি হয় না, তাই বাধ্য হয়ে তাদের অনত্রে নিয়ে যেতে হয়। নতুন বছর আসলে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে নতুন শিক্ষার্থী সংগ্রহে বাড়ি বাড়ি গেলেও এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কখনও কারো বাড়িতে যান না। সহকারী শিক্ষকরা যেতে বললেও তাদের নিষেধ করে দেন। গত দুই বছর ধরে এলাকার লোকজন ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ বিভিন্ন কারণে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কারও সম্পর্ক ভালো না। সকল অনিয়মের অবসানের মাধ্যমে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ও সুন্দর এবং স্বাভাবিক পাঠদানের মধ্য দিয়ে আবারও মুখোরিত হয়ে উঠবে এমন প্রত্যাশা স্থানীয়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে হাসান একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করতো। স্কুলের পাশে তার দোকান হওয়ায় গত এক বছর আগে তাকে এ বিদ্যালয়ে এনে ভর্তি করেন। কিন্তু গত এক বছরে সে এখনও পর্যন্ত বই দেখে রিডিং পড়তে পারে না। যার ফলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল আলমকে আমি হাসানকে প্রাইভেট পড়াতে বলি। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি অসম্মান বোধ করেছেন বলে আমার ছেলে হাসানকে ক্লাসে মারধর করেন। এজন্য এখানে কেউ তাদের বাচ্চাদের ভর্তি করে না। কাগজে-কলমে তারা এখানে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী দেখালেও বিদ্যালয়ে ৪-৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী কখনও হয় না। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলার এবং তদারকি না থাকায় এ শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়েও আসেন না। আসলেও অনেক সময় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। বিদ্যালয়টির তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ বিদ্যালয়ে নতুন করে ৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। যারমধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে একজন, প্রথম শ্রেণিতে দুই ও তৃতীয় শ্রেণিতে একজন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে কাগজে-কলমে মোট শিক্ষার্থী ১৭ জন। কিন্তু উপস্থিতি হয় প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ জন। শিক্ষার্থী কম থাকায় অবসর সময় কাটাতে হয় শিক্ষকদের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, পরিচালনা কমিটির সভাপতি কোনো মিটিং এ আসেন না। তাকে বিভিন্ন তহবিল থেকে কমিশন দিতে বলেন। সেটা না দেওয়ার কারণে তিনি কমিটির অন্য সদস্যদের এবং এলাকাবাসিকে স্কুলে ছেলে-মেয়ে দিতে নিষেধ করে দিয়েছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কমিটির সভাপতির কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম। কমিটির সভাপতি মানিক মিয়া জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে কাজ না করে বিভিন্ন ভুয়া ভাউচারে স্বাক্ষর করার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে। সেখানে স্বাক্ষর না করায় এবং তার কথা মতো ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন না করায় সে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে। সরকারি টাকা লুটপাটে বাধা দেওয়া সে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। স্থানীয় কাদরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার জেরে কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বন্দ্বের কারণে আজ বিদ্যালয়টি প্রায় শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন আমাকে জানিয়েছে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে এখান থেকে অপসারণ না করলে তারা তাদের বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করবেন না। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম, শিক্ষার্থী সংকট, বিদ্যালয়ের বহিরাগতদের আড্ডাসহ অনেকগুলো অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একজন ব্যক্তির জন্য একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা যাবে না।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৮

হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না, ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা ফাঁকা
২০২৪ সালের হজ নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। দ্বিতীয় দফার সময় শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে। তবে, এখনও আছে ফাঁকা ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা।  সর্বশেষ দিনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পবিত্র হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। শেষ সময়ে আরও হাজার তিনেক ব্যক্তি নিবন্ধন করতে পারেন বলে আশা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের প্রধান অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ছে না। সৌদি আরব আমাদের আর কোনো সময় দিচ্ছে না। এরই মধ্যে সৌদির অনুমতি নিয়ে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে আর সময় বাড়ছে না। তিনি আরও বলেন, গত বছর সৌদি সরকার সময় দিয়েছিল, তাই আটবার সময় বাড়ানোর সুযোগ ছিল। এবার সেই সুযোগ দিচ্ছে না। আজকের মধ্যেই সৌদি আরবকে হজযাত্রীদের সংখ্যা এবং বিমানের ফ্লাইটের শিডিউল জানাতে হবে। তাই ইচ্ছে থাকলেও আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। যারা হজে যেতে চায় তারা যেন বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন সেই আহ্বান রইল। এদিকে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবারের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। সময়সীমা ছিল গত ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে হজ নিবন্ধনের সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি এ সময়ে।   চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কোটা রয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন। এখনও ৮০ হাজার ৫২৩ কোটা ফাঁকা। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় তিন হাজার ৭৬৯ জন ও বেসরকারি কোটায় ৪২ হাজার ৯০৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। ফলে দ্বিতীয় দফায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা বৃদ্ধির পরও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কোটা পূরণ হচ্ছে না।  চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৭

স্কুলশিক্ষার্থীকে ফাঁকা কেবিনে নিয়ে গেলেন অ্যাটেনডেন্ট, অতঃপর... 
ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি ট্রেনে ভুলবশত উঠে পড়া ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলশিক্ষার্থী (১৪) কেবিনে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) লালমনিরহাটগামী ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ততে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  আক্কাস আলী বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকার বজলু গাজীর ছেলে। আর ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজীর বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ এলাকায়।  এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় লালমনিরহাটের তিস্তা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। তখন ট্রেনে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ট্রেনের ‘খ’ বগির ৭ নম্বর কেবিনের ভেতর থেকে একটি কন্যাশিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তখন কেবিনের দরজা বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় ডাকাডাকি করলে কেবিনের ভেতরে থাকা অভিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী দরজা খুলে দেন। তখন ওই কিশোরীকে বিবস্ত্র অবস্থায় কান্না করতে দেখা যায়। এজাহারে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর উপস্থিত লোকজন জিজ্ঞাসা করলে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। মেয়েটি জানায়, তার জয়দেবপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কথা ছিল। ভুলবশত সে ‘লালমনি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে উঠে পড়ে। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস গাজী তার টিকিট চেক করতে আসেন। তার কাছে টিকিট না থাকায় আক্কাস গাজী তাকে একটি আসনে বসিয়ে দেন। এরপর আনুমানিক সকাল সাড়ে আটটার দিকে অ্যাটেনডেন্ট আসন থেকে তাকে কেবিনে এনে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। এ বিষয়ে লালমনিরহাট জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী জানান, শিশুটির বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। শিশুটি জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ময়মনসিংহের ট্রেনে না উঠে ভুল করে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পরে। শিশুটি বসার আসন না পেয়ে কখনো দাঁড়িয়ে কখনো ফাঁকা জায়গায় বসে ভ্রমন করছিল। এ বিষয়টি ওই অ্যাটেনডেন্ট লক্ষ্য করে। ট্রেনটি সকালের দিকে গাইবান্ধার কাছাকাছি পৌঁছালে অ্যাটেনডেন্ট আক্কাস আলী মেয়েটিকে সিটে বসানোর কথা বলে একটা ফাঁকা কেবিনে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে ট্রেনে টহলরত জিআরপি পুলিশ এসে কেবিনের দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক আক্কাস আলীকে আটক করে।  তিনি আরও জানান, ট্রেনটি লালমনিরহাট পৌঁছালে শিশুটিকে হাসপাতলে ভর্তি করিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ধর্ষক আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শিশুটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর বলতে না পারায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। 
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৩

ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভিড়, ভেতরে ফাঁকা
ময়মনসিংহ নগরীর ১১৩ নম্বর ভোটকেন্দ্র বিদ্যাময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে সড়কে সাধারণ মানুষের ব্যাপক ভিড় লক্ষণীয়। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা।  রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় সরেজমিনে বিদ্যাময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ অবস্থা দৃশ্যমান ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৭৪৯টি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার মনিকা পারভীন। তিনি জানান, নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রটি নারী ভোটকেন্দ্র। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮৩৩। সকাল থেকে ৯টি বুথে মহল্লাভিত্তিক ভাগ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হয়নি। জানা গেছে, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৫২ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে সিটি এলাকায় ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ জন এবং সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ১৬ হাজার ১৬৯।  এই ভোটের বিপরীতে মোট প্রার্থী ১০ জন। তারা হলেন, নৌকা প্রতীকে মোহিত উর রহমান শান্ত (নৌকা), ট্রাক প্রতীকে আমিনুল হক শামীম (স্বতন্ত্র) দেলোয়ার হোসেন খান দুলু (স্বতন্ত্র-প্রতীক কাঁচি), আবু মো. মুসা সরকার (লাঙ্গল), পরেশ চন্দ্র মোদক (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ-গামছা), সেলিম খান (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-একতারা), হামিদুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), দীপক চন্দ্র গুপ্ত (তৃণমূল বিএনপি-সোনালী আঁশ), বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি (তরিকত ফেডারেশন- ফুলের মালা), আব্দুল মান্নান (বাংলাদেশ কংগ্রেস) ডাব প্রতীক নিয়ে ভোটে লড়ছেন।  এদিকে ভোটের পরিবেশ নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ রাখতে বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের টহল ছিল লক্ষণীয়। ফলে দুপুর ১টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সদর আসনের কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৩

ভোটের দিনে ফাঁকা রাস্তা, চাপ নেই গণপরিবহনের
জাতীয় নির্বাচনী ব্যস্ততার দিনে সকাল থেকেই গণপরিবহনশূন্য রাজধানীর সড়কগুলো। এতে জরুরি প্রয়োজনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, কাকরাইল, মগবাজার, বাংলামোটর ও শান্তিনগরসহ বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে চোখে পড়েনি গণপরিবহন। গণপরিবহন না থাকায় হাঁটা বা রিকশাতেই আস্থা রাখছেন সবার। এদিকে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে ডিএমপি। ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে এই বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে কোন কোন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে, তা-ও জানানো হয়েছিল। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়