• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে এলাকা রণক্ষেত্র, ২ ভাই নিহত
ফরিদপুরের মধুখালী মন্দিরের কালী প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হামলায় সহোদর দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের বারোয়ারী মন্দিরে আগুনের ঘটনা ঘটে। এরপর এই আগুন দেওয়ার অভিযোগে মন্দিরের পাশের স্কুলে নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। নিহত শ্রমিকরা হলেন- মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল (২১) ও আরশাদুল (১৫)।  জানা গেছে, হিন্দু অধ্যুষিত পঞ্চপল্লী গ্রামের ওই বারোয়ারি মন্দিরের কালী প্রতিমায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা মন্দির থেকে ২০ গজ দূরের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশরুম নির্মাণকাজে নিয়োজিত মুসলিম সাত শ্রমিককে সন্দেহ করে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে। খবর পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখে, এবং হতাহতদের উদ্ধারে বাধা দেয়। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ৪ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যান। আহত আরও দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের জানান, মাগরিবের নামাজ শেষে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার অজিত বাবুর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান হাজার হাজার জনতা। তিনি জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনকে ফোনে অবহিত করেন। পরবর্তীতে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।  জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মধুখালী সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, একটি মন্দিরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে, মারপিট করেছে। এতে দুই ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ সুপার জানান, শত শত মানুষ এই হামলায় অংশ নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক শটগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হলেও ঠিক কতজন সদস্য আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারিনি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার জানান, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছে। তারা শুক্রবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৫
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে পপি বেগম (২৫) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহন ও আলফাডঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরের দিকে আসা পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যায়।  পপি বেগম ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কুমাইল গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল শেখের (২৫) স্ত্রী। জানা যায়, পিকআপে ইকবালের সঙ্গে পপি এবং তাদের দেড় বছর বয়সী ছেলে ইরফানও ছিল। দুর্ঘটনায় এরা তিনজনই আহত হন। ইকবাল গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। আর পপি আক্তার আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শিশু ইরফান বর্তমানে ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন আছে। করিমপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকালেই মৃতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছেন। এ নিয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ১৫ জনের প্রাণহানি হলো।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৪
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন দাঁড়িয়েছে। দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান মো. ইব্রাহীম (৩২)। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহন ও আলফাডঙ্গা থেকে ফরিদপুর শহরের দিকে আসা পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। নিহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী, চালক ও হেলপার। তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ নিতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। আলফাডাঙ্গা হয়ে বোয়ালমারী থেকে আসছিলেন। পিকআপে চালক হেলপারসহ ১৫ জন যাত্রী ছিলেন। নিহতরা হলেন বোয়ালমারী শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রাম রাকিব হোসেন মিলন (৪২), তার স্ত্রী সামিমা ইসলাম সুমি (২৫), তাদের বড় ছেলে আলভী রোহান (৭), ছোট ছেলে আলফাডাঙ্গা মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী আবু সিনান (৪) এবং প্রতিবেশী মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭০), পিকআপ চালক আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের নজরুল মোল্ল্যা (৩৫), আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের জানাহারা বেগম (৫০), ভাতিজি প্রবাসীর স্ত্রী সোনিয়া বেগম ৩০), সোনিয়ার ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান নুরানী, সদর ইউনিয়নের চরবাকাইল গ্রামের তবি খান (৫৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরন বেগম (৯০), তার মেয়ে মনিরা বেগম সূর্য (৫৫), প্রতিবেশী কহিনুর বেগম (৬০) এবং মো. ইব্রাহীম। এ দুর্ঘটনায় মিলনের মা মনোয়ারা বেগম ওরফে হুরি বেগম (৬৫) মুমূর্ষু অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মহিলাসহ ১১ জন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন নিহত হন।  এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়েই আমরা ছুটে এসেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ লাখ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৩ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ফরিদপুরের জেলা পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম বলেন, সড়কে আমাদের চলাচলে আরও সচেতন হতে হবে। তা না হলে থামবে না মৃত্যুর মিছিল। শুধু যাত্রীদেরই নয় মালিক ও শ্রমিকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, মরদেহগুলোর সুরতহালের পরে পরিচয় শনাক্ত করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৩

ফরিদপুরে দুর্ঘটনা : নিহতদের ৫ জন একই পরিবারের
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৩ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন। রফিক মোল্লা নামের এক লিফটম্যান তার মা, স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনায় পরিবারসহ নিহত হন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে এ দুর্ঘটনায় রফিকসহ পরিবারের সকলেই মারা যান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই পরিবারের নিহত পাঁচজন হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬), হাবিব মোল্লা (৩) ও রফিক মোল্লার মা। রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পুলিশ জানায়, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়। রফিক মোল্লার পরিবার ছাড়াও নিহত আরেকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মর্জিনা বেগম। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৪

ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ জনে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩), রফিক মোল্লার মা। নিহত আরও একজন হলেন শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। বাকিদের নামপরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হন। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম। এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘খবর পেয়েই আমরা ছুটে এসেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ লাখ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৩ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।’ ফরিদপুরের জেলা পুলিশ সুপার মোরশেদ আলম বলেন, ‘সড়কে আমাদের চলাচলে আরও সচেতন হতে হবে। তা না হলে থামবে না মৃত্যুর মিছিল। শুধু যাত্রীদেরই নয় মালিক ও শ্রমিকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।’ এই ঘটনার কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহগুলোর সুরতহালের পরে পরিচয় শনাক্ত করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৬

ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১১
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী।  তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, একটি পরিবারের লোকজন পিকআপ ভাড়া করে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৫

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তার নাম শংকর মালো (৪২)। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছেলে অন্তর মালো (২০)। রোববার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাঝকান্দি মাজেদা জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  শংকর মালো ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাটি কানাইপুর গ্রামের মলিন মালোর ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শংকর মালো তার ছেলে অন্তর মালোকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কানাইপুর থেকে মাগুরা যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাত এক গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই শংকর নিহত হন। এতে তার ছেলে অন্তর গুরুতর আহত হন। অন্তরকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী। ওসি সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অন্তর মালোকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত শংকর মালোর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি বাস নাকি ট্রাক তা শনাক্ত করা যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে আগুন 
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের ছয় তলার ছাদে পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ও ময়লার স্তূপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে নয়তলা ভবনের ছয়তলার ছাদের কোনায় ময়লা-আবর্জনা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. রুবেল শেখ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, পুরোনো বেডসিট, ফোম, কাগজ, কৌটা ও ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আগুন ছড়াতে পারেনি। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত করে জানানো যাবে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় কোনো রোগী বা স্বজন হতাহত হননি। বাইরে ফেলে রাখা কিছু আসবাবপত্র ও ময়লা-আবর্জনায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

ফরিদপুরে স্কুলশিক্ষার্থী অন্তর হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি
ফরিদপুরের নগরকান্দার স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন ওরফে অন্তর হত্যায় তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।  ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মাহাবুব আলম, কামাল মাতুব্বর ও খোকন মাতুব্বর। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন আশরাফ শেখ, আজিজুল শেখ ও সুজন মাতুব্বর।  রায় ঘোষণার সময় আজিজুল শেখ ছাড়া বাকি পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। এ রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চর মানিকদী এলাকার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন ওরফে অন্তরকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৫

ফরিদপুরে বাস উল্টে নিহত ৩, আহত ৩০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আরও একজন।  শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে উপজেলার বাবনা তলা নামক স্থানে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এএসআই আবু সাঈদ। খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহতরা হলো- পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পানদুড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার পুত্র শফিকুল ইসলাম সুরুজ (৪৫)। বাকি দুজনার পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আবু জাফর জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ইমরান ট্রাভেলস নামের গাড়িটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত এক যাত্রী জানায়, হঠাৎ বাউলি দিয়ে রাস্তার ওপর উল্টে যায় বাসটি। এতে গাড়ির অধিকাংশ যাত্রী আহত হয় এবং ঘটনাস্থলে দুই জন নিহত হয়। 
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়