• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
এশা না পড়ে তারাবির নামাজ পড়া যাবে কী
তারাবির নামাজ রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নামাজ হলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। অপারগতা ছাড়া তা পরিত্যাগকারী গুনাহগার হবে। রাসুল (সা.) নিজে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন এবং সাহাবাদেরকেও তা আদায় করতে বলেছেন। রমজানে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে ২০ রাকাত তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। এশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের আগ পর্যন্ত তারাবির নামাজ পড়া যায়। তারাবির নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি  ঈমানের সঙ্গে পুণ্য অর্জনের আশায় রমজানে তারাবির নামাজ শেষ করে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। বুখারি, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস, ১৮৭৯ এশার নামাজ না পড়ে তারাবি পড়া প্রসঙ্গে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদরা বলেন, তারাবি নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য আগে এশার ফরজ আদায় করা জরুরি। এশার ফরজ পড়ার আগে তারাবি পড়লে তা আদায় হয় না। তাই কেউ মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ শুরু হয়ে গেছে দেখলে তার করণীয় হলো— আগে এশার ফরজ আদায় করা, এরপর তারাবির জামাত পেলে এতে শরীক হওয়া। -(আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়েখ, পৃ. ৮৫; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৩৫; আল কাউসার অনলাইন, আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৫২; রদ্দুল মুহতার ২/৪৪) তাই কেউ যদি রমজান মাসে এশার নামাজে মসজিদে যেতে দেরি করে। এবং মসজিদে গিয়ে দেখে এশার জামাত শেষে তারাবি শুরু হয়ে গেছে। তখন খতম ছুটে যাবে ভেবে এশার নামাজ না পড়েই তারাবিতে শরীক হয়ে যায় এবং পরে মসজিদ বা বাসায় এসে এশা ও বিতির আদায় করে তাহলে তার তারাবি নামাজ আদায় হবে না।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩

লিটনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন মিরাজ
বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজেও ব্যর্থ লিটন কুমার দাস। তাই শ্রীলঙ্কা সিরিজের মাঝ পথে দল থেকে বাদ পড়েছেন এই টাইগার ওপেনার। লিটনের বাদ পড়ার জন্য ফর্মহীনতাকে দায়ী করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। এবার লিটনকে নিয়ে মুখ খুলেছেন সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ।  রোববার (১৭ মার্চ) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন মিরাজ। এ সময় লিটনের বাদ পড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিরাজ বলেন, প্রত্যেকেটা নির্বাচক প্যানেলের আলাদা আলাদা চিন্তা ভাবনা থাকে। একেক জনের চিন্তা ভাবনা একেক রকম। এ ‘টা যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে বলতে পারবো না। তাদের চিন্তা কী ছিল, তাদের সাথে আমার ওরকম কথা হয়নি। এটা টিম ম্যানেজমেন্ট কোচ কিংবা ক্যাপ্টেন ভালো বলতে পারবেন। তবে এতটুকু বলতে পারি প্রত্যেক প্লেয়ারকে পারফর্ম করতে হবে।’ পারফর্ম না করে জাতীয় দলে খেলে যাওয়ার কোনও বিকল্প নাই এমন মন্তব্য করেন মিরাজ। তিনি বলেন, পারফর্ম করেই ক্রিকেটারদের খেলতে হবে, সেটা প্রত্যেক জায়গায়। আমার কাছে মনে হয় যে প্রত্যেকেটা খেলোয়াড়ের আরও বেশি সিরিয়াস হওয়া উচিত এ ক্ষেত্রে। কোন জায়গায় উন্নতি করলে ভালো হবে, সেটা নিয়ে কাজ করা উচিত।’ দলের অটোচয়েজ নিয়ে এই টাইগার অলরাউন্ডার বলেন, জাতীয় দল এমন একটা জায়গা আপনাকে পারফর্ম করে স্টাবলিস্ট হতে হবে। এটা একদিনের না। দেখেন মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাইরা অনেক বছর সার্ভিস দিয়েছে। তাদেরও কিন্তু আপস ডাউনস ছিল।  ‘আমার কাছে মনে হয় পারফর্ম করে জাতীয় দলে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ খেললে কিন্তু আপনিও চান্স পাবেন না, এটা প্রত্যেকেটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ক্যারিয়ারে সে অনেক ভালো ইনিংস খেলেছে। তার অনেক ইনিংস আছে যেটা স্মরণীয়। তবে সে বাদ পড়েছে ওইরকম কিছু না। আমরা জানি সে কেমন প্লেয়ার। একটু হয়তো অফফর্মে আছে। আবার খুব দ্রুত সে বাংলাদেশ দলে ফিরে আসবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩২

রমজানে আল-আকসায় নামাজ পড়া নিয়ে ইসরায়েলের বিবৃতি
প্রতি বছর রমজানে আল-আকসায় নামাজ আদায় করেন মুসলিমরা। কিন্তু গত বছর অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। ফলে আল-আকসায় নামাজ পড়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি আল-আকসা আসতেন, এ বছরও তাতে কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও আল-আকসা এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে, ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক ইতামার বেন গিভির বলেছিলেন, ‘আসন্ন রমজানে আল-আকসায় পশ্চিম তীরের মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত হবে না।’ তবে তার এমন প্রস্তাবে সায় না দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, অতীতের মতো এবারও রমজান মাসে মুসল্লিদের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশাধিকার দিতে আমরা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পশ্চিম তীরে উত্তেজনা ছড়ালে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ৩০ হাজার ৬০০ এর বেশি ফিলিস্তিনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতদের মধ্যে একটি বড় অংশই নারী-শিশু ও কিশোর-কিশোরী। সূত্র : এএফপি
০৬ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৮

আজান হওয়ার আগে নামাজ পড়া যাবে?
নামাজ ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক নিয়মিত ইবাদত। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরেই নামাজকে স্থান দেওয়া হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করতে হয় যা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে। এটি মুসলমানদের জন্য প্রতিদিন অবশ্যকরণীয় একটি ধর্মীয় কাজ। দিনের নির্ধারিত ৫ সময়ে নামাজ পড়া ফরজ। এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সময়ও নির্ধারিত। তবে মসজিদে আজান হওয়া বা আজান শোনার পর নামাজ পড়তে হবে এ রকম বাধা নেই। নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া জরুরি। ওয়াক্ত হয়ে গেলেই ওই ওয়াক্তের নামাজ পড়া যায়।  ফজরের সময় সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত  ফজর নামাজ পড়া যায়। জোহরের সময় দুপুরের সূর্য মাথার ওপর থেকে পশ্চিম আকাশে একটু হেলে পড়ার পর থেকে কোনো বস্তুর নিজস্ব ছায়ার দ্বিগুণ হওয়া পর্যন্ত জোহরের নামাজ পড়া যায়। জুমার দিন জোহরের নির্ধারিত সময়েই জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। (ইমাম আবু হানিফার রহ. মাজহাব)  আসরের সময় জোহরের সময় শেষ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আসরের নামাজ পড়া যায়। তবে সূর্য হলুদ হয়ে যাওয়ার পর আসর পড়া মাকরুহ। তাই এর আগেই আসর আদায় করা উচিত। মাগরিবের সময় সূর্য ডোবার পর থেকে আকাশে বিগত সূর্যের সাদা আভা বাকি থাকা পর্যন্ত মাগরিবের নামাজ পড়া যায়। ইশার সময় মাগরিবের সময় শেষ সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত ইশার নামাজ আদায় করা যায়। তবে ইশার নামাজ বিলম্ব করে রাতের তৃতীয়াংশ হওয়ার আগে আদায় করা মুসতাহাব। তবে বর্তমানে এভাবে ওয়াক্তের হিসাব করা খুব কঠিন। শহরের যান্ত্রিক জীবনে তা অসম্ভব। আর প্রযুক্তির ফলে এভাবে আর ওয়াক্তের হিসাব করা হয়না।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪১

‘ঘুষ দিয়ে অনুমোদন নেওয়া মসজিদে নামাজ পড়া নাজায়েজ’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেছেন, ঘুষ দিয়ে মসজিদের অনুমোদন নিলে সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকে ঘুষ দিয়ে যে মসজিদের অনুমোদন নিতে হয়েছে, সেখানে নামাজ পড়া নাজায়েজ হবে। সেই মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত। তবে রাজউকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। আমরাও চাই দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধ ও সরকারি ভবন নির্মাণে অপচয় কমানোর চেষ্টা করা হবে। এ জন্য দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিগ্রহণ করা হবে।  আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দায়িত্ব পালনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমি আশা করি, আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। দায়িত্বপালনের সময় যদি আমি কোনো অপরাধমূলক কাজ করি তাহলে অবশ্যই সেটা আপনারা হিসাবে নেবেন। কিন্তু আমি যেন বারবার অপতথ্যের শিকার না হই।  তিনি বলেন, যেখানে যেটা হাত দেওয়া দরকার সেখানেই আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী কাজ করব। এটা আমার নিজের জ্ঞান ও আপনাদের পরিবেশিত সংবাদ থেকে সাহায্য নিয়ে করব। আমার জীবনে আমি আইন ভেঙে আন্দোলন করেছি। আইন ভেঙে সংগ্রাম করেছি। কারণ সংগ্রাম করতে গেলে, আন্দোলন করতে গেলে সবসময় আইন মেনে করা যায় না। আইয়ুব খানের সময়ে যদি আমি মনে করতাম আইন ভঙ্গ করব না তাহলে আমার পক্ষে আন্দোলন করা সম্ভব হতো না, আজকের বাংলাদেশও হতো না। আমরা আইন ভেঙ্গেই আন্দোলন করেছিলাম। তিনি আরও বলেন, সরকারি কাজ আইন মেনে চলবে এটাই নিয়ম। আমি আইনগতভাবে বিধি-বিধান মেনে যতটুকু কাজ করা সম্ভব করব। সচিব ও গৃহায়নের চেয়ারম্যানের প্লট নেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনের বাইরে কিছু করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩০

মেট্রোরেলে উপচে পড়া ভিড়, যাত্রী গুনলেন জরিমানা
অফিসগামীদের প্রিয় বাহন হয়ে উঠেছে মেট্রোরেল। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ অফিসে যাওয়া-আসা করছেন মেট্রোতে করে। ১০ মিনিট পরপর উত্তরার তিনটি স্টেশন থেকে মেট্রোরেল ছাড়লেও প্রতিটিতে যাত্রী বোঝাই। এসব স্টেশন থেকে যাত্রীবোঝাই করেই পল্লবী স্টেশনে আসছে। পল্লবীতে কিছু যাত্রী নামলেও উঠছে তার চেয়ে কয়েক গুণ। বেশির ভাগ যাত্রীর গন্তব্য মতিঝিল, সচিবালয়, ফার্মগেট ও আগারগাঁও। তবে যেসব যাত্রীর মেট্রোপাস নেই, তাদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে হচ্ছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন যাত্রী ভিডিও আপলোড করে জানিয়েছেন তার ভোগান্তির কথা। আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, প্রচুর ভিড়ের জন্য অনেকে একটি রেলে উঠতে না পেরে অপেক্ষা করছেন পরের রেলের জন্য। ১০ মিনিট পরপর ট্রেন আসার কথা থাকলেও ভিড়ের কারণে কখনও কখনও ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বলছিলেন যাত্রীরা।  দেখা যায় ভিডিওতে একজন যাত্রী অভিযোগ করে বলছেন, ২ জানুয়ারি সকাল ৯টায় শেওড়াপাড়া থেকে মতিঝিল যাওয়ার জন্য টিকেট কিনেছেন। কিন্তু পরপর পাঁচটি রেলে মিস করে উঠেছে ছয় নাম্বার রেলে। এতে তার সময় লেগেছে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট। এতে তাকে গুনতে হয়েছে জরিমানা। এর জন্য তিনি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ভোগান্তি দূর করার আশা ব্যক্ত করেছেন। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের আংশিক যাত্রা। তবে এ বছর নভেম্বরের ৪ তারিখে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় পড়া চলছে
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় পড়া চলছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই রায় পড়া শুরু হয়। এর আগে, দুপুরে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে হাজির হন তিনি। আদালতে উপস্থিত রয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, তার স্ত্রী একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদ, রাজনীতি-বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। গত ২৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা। ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন। গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস এবং শীর্ষ কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহানের নামে এই মামলা করা হয়। গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। এর আগে, গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন। এরপর ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। এতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের চারজন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না। তবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, সেসব ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। মামলায় নিয়োগ স্থায়ী না করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রশাসনিক ও দেওয়ানি মামলার বিষয়। আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।  
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়