• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের আগে নতুন টাকার হাটে বেড়েছে ভিড়, দাম কেমন পড়ছে
ঈদের এক অনন্য অনুষঙ্গ সালামি। আর সালামিতে নতুন নোটের জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবারই পছন্দ নতুন টাকার নোট। পাশাপাশি বখশিশ, ফিতরা বা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন নোট বিতরণ করে থাকেন। তাই এখনও অনেকেই ঈদ উপলক্ষে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন। ফলে চাহিদা বাড়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে নতুন নোট বেচাকেনার অস্থায়ী দোকান। সময় যত গড়াচ্ছে, নতুন নোটের ব্যবসা তত জমে উঠছে। ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবছরই নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এবারও বাংলাদেশ ব্যাংক তা-ই করছে। বাজারে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট ছাড়া হয়েছে। গত ৩১ মার্চ থেকে নতুন নোট বিতরণ শুরু হয়েছে; আগ্রহী সাধারণ মানুষ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। ব্যাংকে বিতরণ করা এসব নোট সংগ্রহ করতে অনেক সময় পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। ঝামেলা এড়াতে অনেকে ছোটেন ফুটপাতের টাকার দোকানে। রাজধানীর গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার এসব দোকানে বেড়েছে ভিড়। তবে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে নতুন নোটের দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাথার ওপর একটি ছাতা আর সামনে টাকার বাক্স নিয়ে ফুটপাতে বসে পড়েন ব্যবসায়ীরা। পুরনো ও ছেঁড়া টাকার নোট বিনিময়ের এ দোকানগুলো ঈদের আগে পরিণত হয় নতুন টাকা কেনাবেচার বাজারে। এ সময় নতুন করে যোগ দেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। অনেকে এ বাজারগুলোকে ‘নতুন টাকার হাটও’ বলেন। রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতের সারি সারি দোকানে দৃষ্টি কাড়ে চকচকে নতুন নোট। হাট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা আকর্ষণে ব্যস্ত বিক্রেতারা। অর্ধশতাধিক দোকানি এখানে দুই টাকা থেকে শুরু করে ১০০ ও ২০০ টাকা পর্যন্ত নোটের নতুন বান্ডিল বিক্রি করছেন। গুলিস্তান টাকার হাটে দরদাম করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আহসানুল হক। তিনি বলেন, ব্যাংকে অনেক ভিড় থাকে। কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে পাওয়াও যায় না। এখানে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে হলেও ভোগান্তি নেই। কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম চাচ্ছেন। প্রতি বান্ডিলে বাড়তি ২০০-৩০০ টাকাও দাবি করছেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই টাকার প্রতি বান্ডিলের (১০০টি নোট) দাম ৩৫০ থেকে ৩৭০ পর্যন্তও হাঁকা হচ্ছে। পাঁচ টাকার বান্ডিলের দাম ৫০০ টাকার বদলে হাঁকা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত। কোথাও কোথাও আরও বেশি। ১০ টাকার বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর ২০ টাকার বান্ডিল ২ হাজার ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার বান্ডিলে বাড়তি খরচ পড়ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ১০০ টাকার বান্ডিলে ২০০ টাকা এবং ২০০ টাকার বান্ডিলে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি রাখা হচ্ছে। এবার বাড়তি দামে নতুন টাকা সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলে জানালেন গুলিস্তানের টাকার ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন। তিনি বলেন, ঝড়-বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করে সারাদিন খোলা জায়গায় বসে আমরা টাকা বিক্রি করি। এতে দিনে কারও ৫০০ টাকা, কারও ৭০০ টাকা লাভ থাকে। এতেই সংসার চলে। আরেক বিক্রেতা মো. আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের প্রধান ব্যবসা ছেঁড়া-ফাটা নোট পরিবর্তন। এতে রোজগার বেশি। নতুন টাকায় সেভাবে লাভ হয় না। ঈদের আগ মুহূর্তে একটু বাড়তি আয় হয়। এবার সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে নতুন টাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৩১ মার্চ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারছেন গ্রাহকরা। এবার ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট পাচ্ছেন গ্রাহকরা। আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ নোট বিনিময়। গুলিস্তানের একজন ক্রেতা মো. হান্নান ফিরোজ অভিযোগ করেন, ব্যাংকে গেলে যা চাওয়া হয় তার অর্ধেক ধরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ হাটে টাকার অভাব নেই। এগুলো তাহলে আসছে কোথায় থেকে। তার ওপর ঈদ সামনে রেখে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। টাকার দাম এত হারে বাড়ে কীভাবে। এটা তো আর পেঁয়াজ-রসুন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, তারা বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করেন। এ টাকার বান্ডিলে লাভ রেখে ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করেন।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে : মান্না
দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। মান্না বলেন, এই সরকার মানুষের রক্ত খেয়ে নিজেদের বাঁচানো ব্যবস্থা করছে। সব ধান্দাবাজ দিয়ে মন্ত্রী, এমপি বানায়। কোনো জিনিসের দাম কমেনি। সবাই সরকারের কাছে টাকা পায়, কিন্তু সরকার কাউকে টাকা দিতে পারে না। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অসহনীয় জীবন কাটাচ্ছেন। গত দেড় মাসের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে নেওয়া হয়েছে। এতো নির্যাতন ও অত্যাচারের মধ্যেও বিএনপি দাঁড়িয়ে আছে। তাদের নেতাকর্মীরা ধানখেতে মশারি টানিয়ে ঘুমাচ্ছেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, গত নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী সংলাপে ডেকেছিলেন। তখন মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, সবার নামে মামলা আমরা কীভাবে নির্বাচন করব? প্রধানমন্ত্রী সংখ্যা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল লিস্ট নিয়ে গেলেন। তখন শেখ হাসিনা বললেন, আমি কালকের মধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত বছর হয়ে গেলে কোনো ব্যবস্থা হয়নি। উল্টো নেতাকর্মীদের নামে নতুন নতুন গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে মান্না বলেন, তিনি শুধু ডানা ঝাঁপটায়, আর কা কা করে। কাদের বলেছেন, আমরা চীনকে অনুরোধ করেছি মিয়ানমারের ব্যাপারে সামাল দিতে। তার মানে, বাংলাদেশ নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা, মাঘের শীতে কাবু মানুষ
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পঞ্চগড়। মাঘ মাসে হাড় কাঁপানো শীতে কাবু এ জনপদ। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম। রাত থেকে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। টিপ টিপ করে পড়া কুয়াশায় রাস্তাঘাট এবং মানুষের শরীর ভিজে যাচ্ছে। সূর্যের দেখা নেই। সেই সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলায়। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। শীতার্ত মানুষের হাহাকার। অন্ধকারচ্ছন্ন একটা বৈরী আবহাওয়া আজ পঞ্চগড়ে। আরও পড়ুন : আজ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বাতাস ঢাকার   শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি। দিনভর সূর্যের দেখা নেই। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েছে।   আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে আগামী দিনগুলোতে। সকালে জেলার তুলারডাঙ্গা এলাকার অটোরিকশাচালক রফিকুল ইসলাম জানান, আজকে সবচেয়ে বেশি কুয়াশা। বাড়ি থেকে বের হয়ে দশহাত দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছেনা। আমার শরীর ভিজে যাচ্ছে কুয়াশায়। জ্যাকেট পড়েছি  তবুও অতিরিক্ত ঠান্ডায় রিকশা চালাতে পারছিনা। কারণ ঠান্ডা কামড় দিচ্ছে শরীরে। আরও পড়ুন : শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম   তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আজ জেলায় অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জানুয়ারি মাসজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকবে। তবে বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।  বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি।  
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়