• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মুন্সিগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন, দগ্ধ ৪
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চর মুক্তারপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে চারজন দগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে খোদা হাফেজ সড়ক সংলগ্ন জে কে প্লাস্টিক কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নির্বাপণের কাজ করে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শেষ সীমানা চর মুক্তারপুরের খোদা হাফেজ মুন্সিগঞ্জ সড়কে একতলা টিন শেডের জে কে প্লাস্টিক কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে চারজন আহত হন। আহতদের মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন ইকবাল (৩৫), মতিউর রহমান (৩৩), রাকিব (২৬)। আরেকজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আমিনুল ইসলাম আরও জানান, ঘটনার পরপরই মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে। আশপাশে কোনো আবাসন না থাকায় আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। তবে তাৎক্ষণিকবাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৪

ঐশ্বরিয়াকে প্লাস্টিক বলার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ইমরান
ব্যক্তিগত জীবনে কম বিতর্কের মুখে পড়েননি বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি। তবে সে সব নিয়ে কখনও লুকোছাপা করেননি তিনি। বরং বিতর্কিত বিষয় হলেও বরাবরই খোলাখুলিভাবে কথা বলতে পছন্দ করেন এই অভিনেতা। বেশ কয়েক বছর আগে ঐশ্বরিয়াকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন ইমরান। সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গ টেনে নতুন করে চর্চা শুরু হল নেটদুনিয়া।   করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’-এ অতিথি হয়ে এসে বেকায়দায় পড়েছেন বলিউডের বহু তারকা। অনেকেই বেখেয়ালি হয়ে এমন বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন যে, যেটা নিয়ে পরবর্তীতে ভুগতে হয় তাদের। রীতিমতো সমালোচনা আর ট্রলের মুখে পড়েন তারকারা। আর তাই করণের শোতে অতিথি হয়ে আসার আগে অনেকেই দুবার ভাবেন।       বেশ কয়েক বছর আগে করণের শোতে হাজিরে হয়ে এমনই বিপাকে পড়েছিলেন ইমরান। সেই পর্বে ঐশ্বরিয়াকে রীতিমতো প্লাস্টিকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। এ কারণে ব্যাপক কটাক্ষের মুখে পড়েন এই অভিনেতা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরান। ‘কফি উইথ করণ’-এর র‌্যাপিড ফায়ার প্রশ্নের মুখোমুখি পড়তে হয় অতিথিদের। সেই ধারাবাহিকতায় কয়েক জন বলিউড নায়িকার নাম বলা হয়েছিল ইমরানকে। তাদের নাম শুনে ইমরানের প্রথম কোন জিনিসটি মনে আসে, মূলত সেটাই ছিল খেলার মূল অংশ। খেলার নিয়ম অনুযায়ী যখন ঐশ্বরিয়ার নাম আসে, ঠিক তখনই অভিনেত্রীর নাম শুনে তাকে প্লাস্টিক বলেছিলেন ইমরান। এরপর থেকেই নানা ভাবে বিষয়টি নিয়ে চর্চা আর সমালোচনা যেন থামছেই না।  ভারতীয় গণমাধ্যমে সেই সমালোচনার জবাব দিলেন ইমরান। তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য আমি সচেতন ভাবে তখন করিনি। কোনো কিছু ভেবেও বলিনি। সেই সময় যা মুখে আসে, সেটাই বলেছিলাম।  সূত্র : আনন্দবাজার   
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৩

নারায়ণগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী অবৈধ কারখানার স্থাপন করায় প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় কারখানাটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। সামিয়া প্লাস্টিক নামের একটি কারখানার বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেখানের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আরাফাত মোহাম্মদ নোমানের নেতৃত্বে র‌্যাব-১১, ডিপিডিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সমম্বয়ে গঠিত একটি টিম এ অভিযানে অংশ নেয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯

কুয়াকাটা সৈকতে পরিবেশ দূষণ রোধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
‘প্লাস্টিক বর্জ ফেলবো না, পরিবেশ দূষণ করবো না’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের নাগরিকদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সমুদ্র সৈকতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বেসরকারি সংস্থা নজরুল স্মৃতি সংসদ (এমএসএস)। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শাহাবুদ্দিন পান্না, সমকালের সাংবাদিক জাকির হোসেন, আমতলী বকুল নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসি আক্তার, ওয়ার্ল্ড ভিশন আমতলী অফিসের ম্যানেজর সুরভী বিশ্বাস, তাজমেরী লিখন, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে এনএনএস এর শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনকালে বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জানমাল রক্ষা ও ঝুকিঁ মোকাবিলায় আমরা কাজ করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র উপকূলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে।  তারা আরও বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসছে। এখানে প্লাস্টিক বর্জের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক বর্জ না ফেলতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন বলে এনজিও সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান। 
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩

যে অস্ত্রোপচারে বিফল ভারত, তাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ 
ভুটানের তরুণী কারমা দেমা (২৩)। ক্যানসারে নাকে পচন ধরেছিল তার। ভারতের বিখ্যাত টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে দুবার অস্ত্রোপচার করেও সুফল পাননি। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ নাক ফিরে পেলেন বাংলাদেশে এসে। সম্প্রতি তার নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি সফল হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্ব শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের। বর্তমানে ভালো আছেন কারমা। শিগগিরিই ফিরে যাবেন নিজ দেশে। জানা গেছে, কয়েক বছর আগে নাকের গহ্বরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন কারমা। ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসায় ক্যানসারমুক্ত হলেও রেডিওথেরাপিজনিত জটিলতায় নাক নষ্ট হয়ে যায় তার। পরে সেখানে দুই দফা অপারেশন করেও নাক পুনর্গঠনে ব্যর্থ হন চিকিৎসকেরা। পরবর্তীতে কারমা বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এতে করে মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসা প্রথম বিদেশি রোগীর তালিকায় নাম লেখান তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কারমার নাকের গঠন এখন অনেকটা ভালো হয়েছে। তিন থেকে ৬ মাস পর তার আরেকটি ছোট সার্জারি করা হবে। কামরা দেমার বড় ভাই কারমা ফুঁনথো গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বোন এখন অনেক ভালো। দ্বিতীয় ধাপের একটি ছোট অপারেশন বাকি আছে। ভুটান ও বাংলাদেশ সরকারের কোলাবরেশনে চিকিৎসা হচ্ছে। আমাদের কোনো খরচ দিতে হচ্ছে না। বাংলাদেশের চিকিৎসা ও সার্ভিসে আমরা খুব খুশি। এর আগে ২০২০ সাল থেকে ভারতে দেড় বছরের মত চিকিৎসা হয়েছিলো তার। গত ৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে সার্জনদের তিনটি টিম যৌথভাবে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করে কারমা দেমার। পুরো সার্জারির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বার্ন ইনস্টিটিউটের তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। কারমা দেমা বর্তমানে বার্ন ইনস্টিটিউটের ১৩-তলায় অবস্থিত একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে এসে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। তিনটি অপারেশন টিমের একটির প্রধান শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ডা হাসিব রহমান বলেন, আমরা কারমার নাকের এখন একটা স্ট্রাকচার দাঁড় করিয়েছি। তার নাকে আমরা সফট টিস্যু লাগিয়েছি। এরপর আরেকটা অপারেশন লাগবে। তবে সেটি আগের মত তেমন বড় সার্জারি না। কারমা দেমার বুকের পাঁজরের তরুণাস্থি ও হাতের চামড়ার টিস্যু দিয়ে ফ্রি ফ্ল্যাট করে মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। এটি একটি জটিল অপারেশন।  তিনি আরও বলেন, ভারতে কারমার দুইটা অপারেশন করা হয়েছিলো। তবে যেকোন কারণে সেগুলো সফল হয়নি। যেভাবে বাংলাদেশে কারমা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকার যৌথভাবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে থিম্পুতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মাধ্যমে একটি প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল। সেখানে ডা. সামন্ত লাল সেন ১৪ সদস্যের এই চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি বার্ন ইনস্টিটিউটগুলোর জাতীয় সমন্বয়কের দায়িত্বও পালন করছিলেন। সাত দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে ১৬টি জটিল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। ওই ক্যাম্পে নাকের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন কারমা।  ডা. হাসিব রহমান বলেন, ভুটানে নেই প্লাস্টিক সার্জারি ডিপার্টমেন্ট। তাই সেখানে কারমার সার্জারির ব্যবস্থা ছিল না। পরে চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে বাংলাদেশে আসতে বলি। এরপরে দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় কারমা দেমা ও তার এক ভাই গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য আসেন।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

আইসিসিবিতে ১৬তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ার শুরু
দেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রসার ও রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০ দেশের অংশগ্রহণে ১৬তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ার (আইপিএফ) ২০২৪-এর পর্দা উঠেছে। যা চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য এ মেলা উন্মুক্ত থাকবে। প্লাস্টিক ফেয়ারের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরাতে (আসিসিবি) প্লাস্টিক ফেয়ারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আছেন তিনি বাণিজ্য বিষয়ে খুব পারদর্শী। আমি বিশ্বাস করি, শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিলে এবার যে টিম হয়েছে— তা খুবই ভালো একটি টিম। এর মাধ্যমে আমরা বর্তমান ও আগামীর যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো।   তিনি আরও বলেন, এই প্লাস্টিক ফেয়ার আমাদেরকে অনেক ভালো দিকনির্দেশনা দেয়। আমাদের প্লাস্টিকের অভ্যন্তরীণ বাজারও খুব বড়। প্লাস্টিক সেক্টরে বিশ্বের মধ্যে যে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেখানে আমাদেরকে জায়গা করে নিতে হবে।   শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে প্লাস্টিক শিল্প নগরী হচ্ছে। প্লাস্টিক সেক্টরকে উন্নয়ন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। প্লাস্টিকের জন্য আমরা প্লাস্টিক শিল্পনগরী করছি। পাশাপাশি মুদ্রণ শিল্পনগরীও হচ্ছে। আর এগুলোর কাজ চলমান আছে। এ সরকারের আমলে ব্যবসায়ীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বলেছেন রপ্তানির ক্ষেত্রে শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। অন্য যে সেক্টরগুলো রয়েছে সেখানেও গুরুত্ব দিতে হবে। প্লাস্টিক সেক্টর আমাদের রপ্তানিতে অনেক ভূমিকা রাখে। একক সেক্টর হিসেবে রপ্তানির দিক থেকে প্লাস্টিক সেক্টর ১২ নম্বর অবস্থানে। তিনি বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে নীতিগত সহায়তা দেওয়া। প্লাস্টিক সেক্টরের টেকনোলজি কীভাবে আরও বেশি উন্নয়ন করা যায়, সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক সহায়তা করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানিতে পৌঁছেছি। এটি আরও বাড়ানো সম্ভব। তাই এই রপ্তানি বহুমুখী করণের মাধ্যমে আমাদের বৈদেশিক আয় বাড়াতে হবে। প্লাস্টিক সেক্টরের মতো অন্যান্য সেক্টরগুলো যদি উন্নয়ন করা যায় তাহলে রপ্তানি আয় বাড়ানো যাবে। পাশাপাশি আমরা যদি উৎপাদন বাড়াতে পারি, তাহলে তখনই পৃথিবীর বাকি দেশগুলো আমাদের সঙ্গে নানা ধরনের বাণিজ্য চুক্তি করবে। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, বর্তমানে গার্মেন্টস, খাদ্য শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে প্লাস্টিক শিল্প ব্যাপক অবদান রাখছে এবং রপ্তানি হচ্ছে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দেশের শুধুমাত্র তৈরি পোশাক ও নিট শিল্পই নয়, ফ্রোজেন ফিস, জুট টোইয়ান, ফার্মাসিউটিক্যালস আইটেম রপ্তানিসহ বিভিন্ন রপ্তানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক র‌্যাপিং বা মোড়কের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। অর্থাৎ বর্তমানে প্লাস্টিক মোড়ক এবং গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ ছাড়া কোনো পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা অসম্ভব। দেশি-বিদেশি মিলে মোট ৯৬১টি স্টল দেওয়া হয়েছে এবারের প্লাস্টিক ফেয়ারে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি ৬০০ কোম্পানির ৮০০ স্টল এবং দেশীয় ৫৪টি কোম্পানির ১৬১টি স্টল। বাংলাদেশ ছাড়াও এই ফেয়ারে অংশ নিয়েছেন চীন, তাইওয়ান, ভারত, বেলজিয়াম, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা।   উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হিলালী উপস্থিত ছিলেন।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৭

বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২৬ শতাংশ
প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের ১২৬টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্য। বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা বাংলাদেশি পণ্যগুলোর মধ্যে প্লাস্টিকের অবস্থান ১২তম।  বর্তমানে বছরে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী রপ্তানি করে বাংলাদেশ। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১৬ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। পরের অর্থবছরেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারে। অর্থাৎ এক অর্থবছরের ব্যবধানে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। সেজন্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে ৮৫ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্যসামগ্রী রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিআইডিএ) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৫ হাজার ৩০টি প্লাস্টিক কারখানা আছে। এরমধ্যে ৯৮ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মালিকানায়। স্থানীয় বাজারে বছরে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি হয়। এরমধ্যে পিভিসি পাইপ বিক্রি হয় ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার গৃহস্থালী সামগ্রী বিক্রি হয়। প্লাস্টিক শিল্পখাত নিয়ে যে পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে তার প্রথম ধাপ হলো ধারাবাহিকভাবে ১৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। সরকারের লক্ষ্য, ২০২৮ সালের মধ্যে প্লাস্টিক এবং প্যাকেজিং শিল্পের বাজার ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত প্লাস্টিক শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২৩ তে এসব লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে এই খাতে পাঁচ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক এবং প্যাকেজিং পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে শতভাগ বর্জ্যমুক্ত জাতি (জিরো ওয়েন্ট নেশন) হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ঘোষণাও রয়েছে নীতিমালায়। এই খাতের জন্য নীতিমালার অধীনে কিছু প্রণোদনাও রাখা হয়েছে। সে অনুযায়ী, সরকার প্লাস্টিক পার্ক এবং ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের পাশাপাশি মূলধনী সরঞ্জাম, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং আনুষাঙ্গিক শুল্কমুক্ত আমদানিতে প্রথম ১০ বছরের জন্য আয়কর অব্যাহতি দেবে। এছাড়া বন্দরে পণ্য লোডিং, আনলোডিং, স্টোরেজ বা ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্ট আমদানিতে রপ্তানি শুল্ক, শুল্ক, কর ও ফিতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

ট্রেনে আগুন লাগাতে নবী আসামিদের দায়িত্ব দেন : ডিবি
রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে আগুনের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ট্রেনে আগুন লাগাতে লালবাগ এলাকার কয়েকজন দাগি আসামিকে দেওয়া হয় দায়িত্ব। শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। হারুন অর রশীদ বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় কাজী মনসুর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, যুবদলের কয়েকজন নেতা ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনার পরিকল্পনা করেছিলেন। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে আগুন লাগানোর জন্য লালবাগ এলাকার কয়েকজন দাগি আসামিকে দায়িত্ব দেন। এই ঘটনায় অর্থ সহায়তা এবং পরিকল্পনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী।   ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আলামত হিসেবে নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের ভিডিও কনফারেন্সে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ, মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।   এর আগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমলাপুরে প্রবেশের সময় একটি কামরায় আগুন দেয় নাশকতাকারীরা। এতে যাত্রীরা যে-যেভাবে পারেন কামরা থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় এক যুবক আগুনে আটকা পড়েন। তিনি বেশ কিছুক্ষণ আগুনের ভেতরেই দৌড়ঝাঁপ করে বাঁচার চেষ্টা চালান। তবে শেষ পর্যন্ত আর পারেননি।   আগুনের এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দগ্ধ ৮ জনের শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়