• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গুজব প্রতিরোধে প্রয়োজনে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করবে সরকার
সরকারের অভিযোগ আমলে না নিলে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গত ৩১ মার্চ। তবে এর প্রক্রিয়া কী হবে এবং আদৌ সেই পদক্ষেপে সরকার যাবে কী না তা এখনো স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সচিব মো. নূরুল হাফিজ বলেন, মন্ত্রিসভা কমিটির ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমাদের এখনো কিছু জানানো হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা তো বলেছি যদি আমাদের কথা না শোনে তাহলে বন্ধ করে দেব। ৩১ মার্চ মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, তারা (ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল) বিভিন্ন বিষয় আমাদের সুপারিশ শোনে না। কারণ, গুজব প্রতিরোধ ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এখানে কোনো অফিস নেই। আমরা বলব যে তারা আমাদের কথা শুনছে না। প্রয়োজন হলে কিছু সময়ের জন্য এসব বন্ধ থাকবে। এদিকে বাংলাদেশ চাইছে মেটা বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করুক। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মেটার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের অনুরোধ করেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সরকার ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর একটা প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। তারা চাইছে তারা যখন চাইবে তখন যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথ্য দেয়। সরকারের আপত্তির কনটেন্ট সরিয়ে ফেলে বা ব্যক্তির ব্যাপারে তথ্য দেয়। কিন্তু বাস্তবে এটি সম্ভব নয়। কারণ ফেসবুকের নিজস্ব নীতি আছে। তারা তার ভিত্তিতে চলে। তবে তারা মনে করেন, ফেসবুকের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস তত ভালো নয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে ভালো প্রতিকার পাওয়া যায় না। ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি যে ওটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা উচিত নয়। কিন্তু সেটার ব্যাপারে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। তবে সরকারের দিক থেকে যে রিকোয়েস্টগুলো যায় সেগুলো যে সব ভ্যালিড রিকোয়েস্ট তা নয়। সরকারের অনুরোধে ফেসবুক যদি সব সরিয়ে ফেলত তাহলে আমরা হয়তো অনেক তথ্য জানতেই পারতাম না। আবার কোনো ব্যক্তির তথ্য প্রকাশ করলে তার নিরপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারত। ব্যক্তির ক্ষেত্রে তারা অত নজর না দিলেও কোনো সরকারের পক্ষ থেকে যখন কোনো রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় তখন তারা সেটাকে গুরুত্ব দেয়, তারা যা করার বুঝেশুনেই করে, বলেন তিনি। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন বলেন, সরকার যে বলছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তাদের কথা শুনছে না, কী শুনছে না তা আমরা জানতে চাই। সরকার কী চায়, কোন ব্যাপারে ব্যবস্থা চায় তা যদি সরকার প্রকাশ করতো তাহলে আমরাও বুঝতে পারতাম সরকারের চাওয়া কতটা যৌক্তিক। তারা (সরকার) এমন কিছু রিকোয়েস্ট পাঠান যা ব্যক্তিকে টার্গেট করে, কোনো ঘটনাকে টার্গেট করে যার মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। সেগুলো তো ফেসুক ইউটিউবের গ্রহণ করা উচিত না। তারা করেও না, বলেন তিনি। তবে তার মতে, সরকারের অনুরোধ তারা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখলেও ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাদের সার্ভিস ভালো না। তাদের কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস আরো উন্নত করা উচিত। সুমন আহমেদ সাবির বলেন, সরকার চাইলে ফেসবুক ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া সরকার নিতে পারবে কী না সেটাই প্রশ্ন। দেশের টেলিযোগাযোগও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর হয়ে পড়ছে। এর আগে সরকার নানা ঘটনায় দুই-একবার চেষ্টা করেছে সফল হয়নি। অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, দেশের দুই লাখ ৫০ হাজারের মতো মানুষ এখন ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত। এরমধ্যে অর্ধেক এফ কমার্স। তাই সরকার এটা বন্ধ করতে গেলে দেশের অর্থনীতি বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে। আর ফেসবুক বন্ধ করলে অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। একটির সাথে আরেকটি যুক্ত। মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল বলেন, ফেসবুক বা মানুষের কথা বলার, মুক্ত চিন্তার কোনো প্ল্যাটফরম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার যদি মনে করে যে তারা যৌক্তিক কথাও শুনছে না তাহলে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা আরো বাড়তে পারে। এখানে আইন কানুনের সমস্যা থাকতে পারে। এই ধরনের প্ল্যাটফরম যদি কোনো অন্যায় করে তাহলে দেশীয় আইনে ধরা না গেলে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা করতে পারে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামেও নিয়ে যাওয়া যায়। আর তা করতে হলে সরকারের অবস্থান সঠিক হতে হবে, মনে করেন তিনি। বাংলাদেশের কিছু আইন নিয়ে ফেসবুকের ভিন্নমত থাকার কারণেই তারা হয়তো এখানে অফিস করতে চায় না। কারণ তখন ওই আইন তাদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হতে পারে। আর তারা যদি মনে করে অফিস না নিয়েই ব্যবসা করা যায় তাহলে তারা অফিস করবে কেন? সরকারের ভাবনা কী? আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিটিআরসি সচিব সচিব মো. নূরুল হাফিজ বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমরা জানা নাই। আমরা সরকারের দিক থেকে এধরনের কোনো নির্দেশনা পাই নাই। তিনি বলেন, মেটা (ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ, বৈঠক এবং আলোচনা হয়। ফেসবুকের সঙ্গে দুই মাস পর পর বৈঠক হয়। আমরা আমাদের বিষয়গুলো শেয়ার করি, আলোচনা করি। ইউটিউব যে দেড় লাখ কনটেন্ট সরিয়েছে তা আমরা বলেছি বলেই সরিয়েছে। তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা যে বিষয়গুলো পাঠাই তার সবই তারা অ্যাড্রেস করে। তবে প্রতিকার পাই শতকরা ৪০ ভাগের মতো।  আর আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা তো বলিনি এখনই বন্ধ করব। যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তারা আমাদের কথা না শোনে তাহলে বন্ধ করব। বন্ধ করার মত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কী না? প্রশ্নটি দুইবার করার পরও তিনি কোনো জবাব দেননি। বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। ফেসবুকের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ বাড়ানোর সঙ্গে অনুরোধের সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে মেটার কাছে তথ্য চেয়ে ৯৮৮টি আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার। এরমধ্যে সরকারের ৬৭ শতাংশ আবেদনে সাড়া দিয়েছে মেটা। একইসময়ে বাংলাদেশের দুই হাজার ২২৭টি কনটেন্টে রেস্ট্রিকশন দিয়েছে মেটা। ওই সময়ে ৯৮৮টি অনুরোধের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ছিলো ৯৫৬টি এবং জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দেয়ার অনুরোধ ছিলো ৩২টি। আবেদনের অধীনে মোট এক হাজার ৪৫৪ টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চায় সরকার। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার মেটার কাছে ৮৩৬টি অনুরোধ করেছিল। এদিকে ইউটিউব গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিন মাসে বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালে এক বছরে বাংলাদেশের ছয় লাখ ৩৮ হাজার ভিডিও অপসারণ করেছে তারা। আর টিকটক গত বছরের একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে আপ করা ৭৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩৪৯টি ভিডিও মুছে ফেলেছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৫

‘রাজনৈতিক প্রয়োজনে নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন’
সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক প্রয়োজনে যারা সাধারণ নির্বাচনে হেরেছেন, তাদের কয়েকজনকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনীতদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক প্রয়োজনে যারা সাধারণ নির্বাচনে হেরেছেন, তাদের কয়েকজনকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দিয়েছি। সর্বমোট ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এ ৪৮ জনের প্রস্তাবক, সমর্থক আছেন, যারা জাতীয় সংসদ সদস্য। এ  সময় বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা আওয়ামী লীগের নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো চিন্তা করিনি, আর বিএনপিকে নিয়ে অত মাথাব্যথা আমাদের নেই। কারণ তাদের মুখে যে গর্জন, বাস্তবে আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন। তারা মুখে যা বলছে, বাস্তবে কার্যক্ষেত্রে তারা তা দেখাতে পারেনি। দেশের মানুষকে তারা তাদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেনি। মানুষ সম্পৃক্ত হলে আন্দোলন সফল হয়। যুবলীগ থেকে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের আবেদনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগ আমাদের সংগঠন, তাদের স্বতন্ত্র একটা সত্তা আছে। তারা তা করতে পারে। মূল দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা করলে আমরা অবশ্যই বলতাম। আমাদের কোনো নেতা নিশ্চয়ই এ বিষয়টির অবতারণা করেননি। তিনি বলেন, আমাদের উদ্বেগও নেই, এটা নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। ছাত্রলীগ এক নেতা দাঁড়িয়ে বলে দিলো, বিএনপিকে নিষিদ্ধ করুন। তাতে কি আমরা ওর সঙ্গে লাফাব? তারা তাদেরটা বলবে। যুবলীগ তাদের চিন্তা থেকে বলেছে। যুবলীগ চাইলেই তো একটা জাতীয় (রাজনৈতিক) দল নিষিদ্ধ হয়ে যাবে না! আওয়ামী লীগের কোনো নেতা, কোনো কর্মী, এ যাবৎকালে এ বিষয় নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৬

‘টাকার প্রয়োজনে অনেক কিছুই করেছি’
সানি লিওন, অনেকটা লড়াই করেই বলিউডে তৈরি করে নিয়েছেন শক্ত অবস্থান। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। সেই সঙ্গে আইটেম গান তো আছেই।  জীবনে টাকার জন্য অনেক কিছুই করেছেন বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন সানি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মনে হয় একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছোট থেকেই ছিল আমার মধ্যে, এবং এটি আরও একটি এক্সটেনশন। আমি ১৮ বছর বয়স থেকে আইনত ব্যবসা করছি। তার আগে আমি টাকা উপার্জনের জন্য অনেক কিছুই করেছি। এটা সর্বদাই আমার জীবনের বড় অভিজ্ঞতা।   অভিনেত্রী আরও বলেন, কাউকেই ভালো লাগে না। কাজ তো করতেই হবে। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি এবং আমি যা করি সেটাই করতে ভালোবাসি। আমি নতুন কিছু শুরু করতে পছন্দ করি, যা আমি বিশ্বাস করি সেই সম্পর্কে আমি উৎসাহী। তাই যতটুকু সময় প্রয়োজন আমি প্রতিটি কাজে সেটা নিই। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে অনুরাগ ক্যাশপের ‘কেনেডি’ সিনেমার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ডেবিউ করেছেন অভিনেত্রী সানি লিওন। সূত্র : এই সময় 
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৩

প্রয়োজনে আরও হামলা হবে : বাইডেন
ইয়েমেনে সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও হামলার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের। শুক্রবার হামলা পরবর্তী এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, লোহিত সাগরে ইউরোপীয় জাহাজগুলোতে একের পর এক হামলার পর এই প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। প্রয়োজনে আরও হামলার নির্দেশ দিতেও সংকোচ বোধ করব না। এর আগে বাইডেন বলেছেন, ‘আজ আমার নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী যুক্তরাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এসব এলাকা হুতি বিদ্রোহীরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছিল।’  ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্ররাজ্যের যৌথ বিমান হামলাকে হুতিদের ‘অভূতপূর্ব’ আক্রমণের ‘সরাসরি জবাব’ বলে অভিহিত করে বাইডেন বলেন, হুতিদের সাম্প্রতিক আক্রমণ মার্কিন সেনা, বেসামরিক নাবিক এবং আমাদের অংশীদারদের বিপন্ন করছে, বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা আমাদের সেনাদের ওপর আক্রমণ আর সহ্য করবে না এবং সমুদ্রে নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগও শত্রুদেরকে আর দেওয়া হবে না। বাইডেন আরও বলেন, ‘আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহকে রক্ষা করার জন্য আমি আরও ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করব না।’ উল্লেখ্য, দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এসব টানা হামলা চালানোর পর এখন হুতিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালাল ব্রিটিশ ও মার্কিনি সেনারা। এই হামলায় হুতিদের অস্ত্র ভাণ্ডার, কমান্ড সেন্টারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।  
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭

প্রয়োজনে প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী : ইসি সচিব
ভোটের আগে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে এবং প্রয়োজনে তারা প্রশাসনকে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে সশস্ত্র বাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান। আরও পড়ুন : নিক্সন চৌধুরীর গাড়ি বহর দেখে জাফর উল্লাহর সমর্থকদের বৈঠা মিছিল   ইসি সচিব বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সব আয়োজন নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেছে। ভোটের আগে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে আছে। প্রয়োজনে তারা প্রশাসনকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি না। যদি ঘটে তখন সমন্বিতভাবে সবাই তা প্রতিহত করবে। সশস্ত্র বাহিনী মাঠে রয়েছে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। সুতরাং যেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে বেসামরিক প্রশাসন যেখানে মনে করবে সেখানে তারা মোকাবিলা করবে। আরও পড়ুন : ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ   এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের সব আয়োজন নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন যারা আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ, তাদের প্রধানদের সঙ্গে আজকে আমাদের বিশেষ মিটিং হয়েছে। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার মহোদয়সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাহিনীগুলোর প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। সব বাহিনী মাঠ পর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। এটা একটা ফলোআপ মিটিং ছিল, কোন বাহিনীর কত জন, কোথায় কীভাবে কাজ করছেন। সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে কমিশনকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রত্যেকেই বলেছেন, মাঠের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো নাশকতার আশঙ্কা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে এ জন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও সক্রিয় রাখবে। যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়। আরও পড়ুন : জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে সুনামগঞ্জ জেলায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা   ইসি সচিব বলেন, প্রত্যেক বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী মোতায়েন থাকবে। কেন্দ্রগুলোর অতীত ইতিহাস, ভোটারের সংখ্যা এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে দুই জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তিনজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ তিনজন পুলিশ এভাবে তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তো পেট্রল (টহল) ডিউটি করবেন। তারপর বিজিবি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে পেট্রল ডিউটি করবেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে (গুরুত্বপূর্ণ) অবস্থান করবে। যখন স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে কাজ করবেন। এ ছাড়া সমন্বিতভাবে তারা পেট্রল ডিউটি অব্যাহত রাখবে। জনগণের মধ্যে যেন ভীতি না থাকে এই বিষয়টিতে তারা কাজ করবেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়