• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুর্নীতির দায় নিয়ে ভিয়েতনাম প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
মাত্র এক বছর দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুং। নিজ প্রদেশে একটি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।  তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভিয়েতনামের জাতীয় পরিষদের একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি বুধবার (২০ মার্চ) প্রেসিডেন্ট ভো ভ্যান থুংয়ের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বলেছে, থুং ‘লঙ্ঘন ও ত্রুটির’ জন্য দোষী এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার পদত্যাগ গৃহীত হয়েছে। পদত্যাগের বিস্তারিত কারণ প্রকাশ্যে আনা হয়নি।  ভিয়েতনাম বড় রাজনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেলে ৫৩ বছর বয়সী ভো ভ্যান থুংয়ের নাটকীয় পতন ঘটে। তার পূর্বসূরিও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। সে সময় বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা জালিয়াতি দুর্নীতির চেষ্টা করেছিলেন। দলের বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি (ভিএনএ) বলেছে, থুং অনির্দিষ্ট ‘নিয়ম’ লঙ্ঘন করেছেন এবং রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে একটি সঠিক উদাহরণ স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ‘কমরেড ভো ভ্যান থুংয়ের লঙ্ঘন এবং ত্রুটিগুলো খারাপ জনমত সৃষ্টি করেছে, যা পার্টি, রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগতভাবে নিজের সুনামকে প্রভাবিত করেছে। পার্টি, রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতি (তিনি) তার দায়িত্ব সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন, তিনি তার অর্পিত পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’ ভিয়েতনামের জন্য বিরল পদক্ষেপে প্রেসিডেন্ট নগুয়েন জুয়ান ফুক পদত্যাগ করার পর গত বছরের ২ মার্চ থুং প্রেসিডেন্ট হন। দেশটিতে স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সতর্কতার সঙ্গে সাজানো হয়েছে।  ফুকের আগে কেবল অন্য একজন কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি পদত্যাগ করেছিলেন এবং তা ছিল স্বাস্থ্যগত কারণে।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, আগামী বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ। টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং অন্যান্য স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চিঠিতে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন ২০২৩ সালে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এটি একটি নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনাকেও চিহ্নিত করেছে, যার লক্ষ্য আমাদের অংশীদারিত্বের কাঠামোকে আরও বিস্তৃত এবং আধুনিকীকরণ করা।’   ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের কাঠামোর মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে এবং এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে। ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের দপ্তর থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পত্রটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২০

শেখ হাসিনাকে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
টানা চতুর্থবার ও পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বোলা আহমেদ টিনুবু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি আনন্দিত, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় আমার উষ্ণ অভিনন্দন গ্রহণ করুন। নাইজরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্বাচনে আপনার বিজয় আপনার প্রশাসনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আস্থারই প্রতিফলন। বোলা আহমেদ টিনুবু বলেন, শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, দুই দেশ এবং জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে নাইজেরিয়ার আগ্রহী।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯

জার্মানির চ্যান্সেলর ও আজারবাইজান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শ্লোজ এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে হোটেল বেইরিশার হফ-এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা পারস্পরিক ও বৈশ্বিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।  এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, এদিন নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রীর মিউনিখ ত্যাগ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সূত্র : বাসস  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৪

শিশুদের যৌন নিপীড়ন : প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
শিশুদের যৌন নিপীড়ন ক্ষমা প্রদর্শন করে জনরোষের মুখে পড়ে পদত্যাগ করলেন হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট কাতালিন নোভাক। তার বিরুদ্ধে গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। খবর এএফপির। এ সময় ক্যাটালিন বলেন, আমি একটা ভুল করে ফেলেছি। আমার সিদ্ধান্তে অনেকে ব্যথিত হয়েছেন। ভুল বার্তা গিয়েছে সমাজের কাছে। তাই আমি প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দিচ্ছি। জানা গেছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে এক ধারাবাহিক যৌন নিপীড়নকারীকে ক্ষমা প্রদর্শন করে তার সাজা লাঘব করেছিলেন ক্যাটালিন। দেশের মানুষ প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তাই তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল মধ্য ইউরোপের দেশটিতে। ক্ষমা পাওয়া ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ প্রমাণিত। সরকারচালিত একটি হোমে তিনি শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। গোপনে দীর্ঘ দিন ধরে এই কাজ করে আসছিলেন তিনি। পরে ধরা পড়েন এবং আদালত তার শাস্তির নির্দেশ দেয়। আট বছরের সাজা হয়েছিল ওই অপরাধীর। ক্যাটালিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে তা কমিয়ে দিয়েছিলেন। হাঙ্গেরির প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০২২ সালে শপথ নিয়েছিলেন ক্যাটালিন। এর আগে তিনি শাসকদল ফিডেসের মন্ত্রী ছিলেন। ওই দল ২০১০ সাল থেকে হাঙ্গেরির ক্ষমতায় রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে হাঙ্গেরির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ক্যাটালিন। তার সিদ্ধান্তে শাসকদলও অস্বস্তিতে পড়েছিল। দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে। জনগণের দাবিকে মান্যতা দিয়ে পদ ছেড়েছেন ক্যাটালিন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের 
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন এবং ব্যবহারে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সর জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও। বুধবার (৭ ফেব্রুয়া‌রি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলামের আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ইফাদ প্রেসিডেন্ট এ প্রশংসা ক‌রেন। আলভারো ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু-স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।  রাষ্ট্রদূত ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য ইফাদ প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদের প্রথম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন, যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।  এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন তিনি। ইতালির রোমে ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।  অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান ও ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩

বেলুচিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিএসি
বালুচ আমেরিকান কংগ্রেস (বিএসি) মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখেছে এবং বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে তার জরুরি মনোযোগ চেয়েছে। বিএসি ‘জোরালো ভাবে’ বাইডেনকে বেলুচ জনগণের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। জোরপূর্বক গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বেলুচিস্তানে চলমান গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএসি। চিঠিতে বিএসি বলেছে, গত ছয় মাসে বেলুচিস্তানে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোরপূর্বক গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাইডেনকে লেখা চিঠিতে বিএসি বলেছে, বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি আপনার জরুরি মনোযোগ দাবি করে। আপনার হস্তক্ষেপ অনেক জীবন বাঁচাতে পারে এবং অগণিত ব্যক্তি যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের দুর্দশা লাঘব করতে পারে। বেলুচ জনগণের ন্যায়বিচার চাওয়ার জন্য আমরা আপনার কাছে দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি। তা করতে ব্যর্থ হলে তা হবে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। যারা একটি স্বীকৃত দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের সামরিক প্রতিষ্ঠানের ভারে পিষ্ট হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বেলুচিস্তানে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এক্স-এর একটি পোস্টে বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস বলেছে, বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। চিঠিতে তারা পাকিস্তান রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত জোরপূর্বক নিখোঁজ, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং বেলুচিস্তানে বেলুচ গণহত্যার বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য উদ্ধৃত করে বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস চিঠিতে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেলুচিস্তানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও লেখকসহ ২৭৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। বিএসি দাবি করেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (আইএসআই) সদস্যরাই গুমের এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। চিঠিতে বিএসি আরও উল্লেখ করেছে, উপরন্তু, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সমর্থিত ‘ডেথ স্কোয়াড’ এবং প্রক্সি ধর্মীয় সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম তীব্রতর করেছে। যার ফলে বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে মানবাধিকার রক্ষাকর্মী এবং সামাজিক-রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিদিন হত্যা ও অপহরণ করা হচ্ছে। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী রাজনৈতিক কর্মীদের অপহরণ, নির্যাতন ও ছিন্নভিন্ন লাশ ফেলে দেয়াটা দুঃখজনক ভাবে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএসি জানিয়েছে, বেলুচ জনগণের ক্রমাগত অমানবিক ও দমনমূলক আচরণের বিষয়ে মাহরং বেলুচের নেতৃত্বে বেলুচ ইয়াকজেহতি কমিটি বেলুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের পুনরুদ্ধারের জন্য ইসলামাবাদে প্রেস ক্লাবের বাইরে মূলত বেলুচ মহিলা, শিশু এবং প্রবীণদের একটি অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করেছিল। চিঠিতে বিএসি বলেছে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত ছিল এবং পাকিস্তানি শাসকদের কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে ইসলামাবাদ প্রশাসন জোর করে অবস্থান ধর্মঘট শেষ করেছিল। বেলুচিস্তানকে কোণঠাসা করার বিষয়ে অভিযোগ করে বিএসি উল্লেখ করেছে যে, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের বেলুচিস্তানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে বিএসি উল্লেখ করেছে, ২০০৭ সাল থেকে ৫০০০ বেলুচ রাজনৈতিক কর্মী, নেতা এবং মানবাধিকার রক্ষাকর্মীকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। চিঠিতে বিএসি দাবি করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক শোষণ বেলুচিস্তানে আরেকটি চাপের বিষয়। বেলুচিস্তানে গোয়াদার, সাইনডাক এবং রেকোডিকের মতো তথাকথিত মেগা প্রকল্পগুলির জন্য চীনা কর্পোরেশনগুলিকে বেলুচ জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই কর্পোরেশনগুলি নির্মমভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করছে, নৈতিক ব্যবসায়িক অনুশীলনকে উপেক্ষা করছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিএসি দাবি করেছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বেলুচিস্তানের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। এতে বলা হয়েছে, সিপিইসি সংলগ্ন গ্রামগুলোকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে এবং তাদের জমি স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মতি ছাড়াই চীনাদের দেওয়া হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১

শেখ হাসিনাকে স্পেনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
পঞ্চমবার এবং টানা চতুর্থ মেয়াদে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ। এ সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে। গত ২৫ জানুয়ারি এক বার্তায় এ অভিনন্দন জানান স্পেনের প্রেসিডেন্ট।  গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে বার্তায় পেদ্রো সানচেজ লেখেন, নতুন ম্যান্ডেড নিয়ে আপনি সফল হবেন, এই প্রত্যাশা করছি। আমার বিশ্বাস, আপনার মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় এবং বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন সাধন হবে। এটির জন্য আপনার প্রতি আমার এবং আমার সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মাদ্রিদে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট (প্রতিমন্ত্রী) ইভা মারিয়া গ্রানাদোস গালিয়ানোর সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক করেছেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ। এ সময় স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো উষ্ণ অভিনন্দন বার্তার জন্য দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস বৈঠকের বিষয়ে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্পেন ও বাংলাদেশ উভয় দেশই সম্প্রতি পুনর্নির্বাচিত নতুন সরকারের দায়িত্বগ্রহণের প্রেক্ষাপটে সামনের দিনগুলোতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর হবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রার বিষয়ে ইভা মারিয়া গ্রানাদোসকে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূত। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধার মেয়াদ ২০২৯ সালের পরও বর্ধিত করার প্রয়োজনে স্পেনকে পাশে থাকার অনুরোধ করেন। এ ছাড়া মাদ্রিদ ও ঢাকার মধ্যে বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন কিছু সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরে সেক্রেটারি গালিয়ানোর সহায়তা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে পাঠাতে স্পেনের সমর্থন জোরদারের আহ্বান জানান তিনি। সেক্রেটারি গালিয়ানো রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি স্পেনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ সময় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে স্পেনের ০.৮ মিলিয়ন ইউরোর আর্থিক সহায়তার কথাও জানান তিনি। বাংলাদেশে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানে স্পেন সরকারের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন গালিয়ানো। তিনি জানান, বাংলাদেশে স্প্যানিশ অ্যাজেন্সিস ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশনের (এইসিআইডি) সহযোগিতা কর্মসূচি আরও সম্প্রসারণ করতে চায় স্পেন।  
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৮

শেখ হাসিনাকে গাম্বিয়া ও ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ আর মার্কোস আইআর। শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে অ্যাডামা লিখেছেন, গাম্বিয়ার সরকার ও জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আপনাকে আমাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি বলেন, আমি আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের অনেক ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য গাম্বিয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করার এই সুযোগটি নিতে চাই। প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা আরও বলেন, যদিও আমি আপনাকে পুনরায় নিশ্চিত করতে চাই, গাম্বিয়া সরকার গাম্বিয়া প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে মূল্য দেয়। অন্যদিকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট তার অভিনন্দন বার্তায় লিখেছেন, ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আপনি পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ফার্দিনান্দ আর মার্কোস আইআর বলেন, ফিলিপাইন বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য নতুনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দেয় কারণ আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং আমাদের উভয় জনগণের স্বার্থে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার জন্য আমাদের ইচ্ছাকে পুনর্ব্যক্ত করছি। তিনি আরও বলেন, আমি আপনার সাফল্য কামনা করি কারণ আপনি আপনার দেশকে আরও অব্যাহত উন্নয়ন এবং অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের রায় পেয়েছেন। সূত্র : বাসস
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২১

শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
টানা চতুর্থ মেয়াদে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এ সময় বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম জনগণের অব্যাহত সফলতা, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন তিনি। রোববার (১৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক পত্রে তিনি এ অভিনন্দন জানান। পত্রে আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, সম্প্রতি আপনার দেশে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি নতুন মেয়াদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এই উচ্চপদে আপনার পুনঃনির্বাচন হচ্ছে আপনার দেশের আরো অগ্রগতি অর্জনে আপনার সক্ষম নেতৃত্বের প্রতি আপনার জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, আমি আনন্দের সাথে স্বীকার করছি মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক স্বার্থে আগামী বছরগুলোতে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আপনার মঙ্গল কামনা করে পাঠানো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছাবার্তা আপনি অনুগ্রহ করে গ্রহণ করুন, অভিনন্দন পুনর্ব্যক্ত করে যোগ করেন আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়