• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নতুন প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললেন শ্রাবন্তী
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন এই নায়িকা। একাধিক প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ নিয়ে সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ে না তার।  কিছু দিন পর পরই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে গুঞ্জন ওঠে শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশ কিছু দিন ধরেই অভিনেতা জিতু কমলের সঙ্গে অভিনেত্রীর প্রেমের গুঞ্জন উঠেছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন শ্রাবন্তী।    শ্রাবন্তী বলেন, আমি নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছি জিতু কমলের নামটা শুনে। আরও অনেকের নাম জুড়ে দেওয়া হয় আমার সঙ্গে। মানুষ অনেক কিছুই ভাবে। কিন্তু আমি তো জানি সত্যিটা কী! প্রেম, ভালোবাসা, এ সবই অভিনয়কে ঘিরে। অন্যকিছু নয়। বর্তমানে আমি সিঙ্গেল।   সিনেমার জন্য নির্মাতার সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ রাখতে হয় কি না? জানতে চাইলে জবাবে অভিনেত্রী বলেন, শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়। সব ইন্ডাস্ট্রিতেই এটা আছে। যেকোনো করপোরেট সেক্টরেই এটা দেখা যায়। তবে আমার সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ৯ বছর বয়স থেকে অভিনয় করছি। সকলের সঙ্গেই আমার মোটামুটি সম্পর্ক ভালো।  তবে যে ‘সুসম্পর্ক’র কথা বলা হচ্ছে— আমি সেই পন্থা কখনও নিইনি। এই বিষয়ে বাকিদের ব্যাপারে জানি না। যারা করেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তারা হয়তো নিজেরা সেই জায়গাটা নিয়ে ভেবেছেন। আমি এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। দর্শকের সমালোচনা সামলানোর বিষয়ে শ্রাবন্তী বলেন, সত্যি কথা বলতে, দর্শকদের সমালোচনা খারাপ লাগে। মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। যথেষ্ট লড়াই করেই আজকের জায়গায় এসেছি। মানুষ আমার স্ট্রাগলের কথা না ভেবেই সমালোচনা করতে শুরু করে। সবাই তো আমার বাড়ি এসে দেখতে যাচ্ছে না, জীবনে আমাকে কতটা ভুগতে হয়েছে।    
৯ ঘণ্টা আগে

তন্বীর প্রেমের টানে নারায়ণগঞ্জ থেকে মোংলায় সুবর্ণা
টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। সেই সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কথাবার্তা। এরপর ভালোলাগা রুপ নেয় ভালোবাসায়। এভাবে চলতে থাকে ৩ থেকে ৪ মাস। এই ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার আগ্রহ দিন দিন বাড়তে থাকে তাদের। শেষমেশ এ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রুপ নিয়েছে। সুবর্ণা মেয়ে হয়েও তন্বী নামক মেয়েকে ভালোবেসে নিজের স্ত্রী হিসাবে দাবি করছেন।  শুক্রবার (১২ এপ্রিল) প্রেমের টানে মোংলায় ছুটে এসেছেন গোপালগঞ্জের বড়দিয়া মো. রবি শেখের মেয়ে সুবর্ণা। বর্তমানে তারা ঢাকার নারায়ণগঞ্জে থাকে। সেখান খেকেই তিনি এসেছেন। একটি রাতও তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সুবর্ণা বলেন, আমাদের টিকটকের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়। আমরা ধর্মগ্রন্থকে সাক্ষী রেখে অনলাইনে একে অপরকে বিয়ে করেছি। আমি এখন আমার বউকে নিয়ে যেতে এসেছি। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। তন্বী বলেন, টিকটক থেকে পরিচয় হওয়ার পরে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তার সাথে যুক্ত হই। পরে সে (সুবর্ণা) একটা গ্রুপে আমাকে যুক্ত করে। আমাকে মজা করে সুবর্না বউ বলে ডাকতো। পরে সে আমাকে বিবাহ করছে চায়। আমরা কোরআন শরীফ ছুঁয়ে কসম করি। আজকে আমাকে নিতে আসছে। তন্নীর পরিবারসূত্রে জানা যায়, সুবর্ণা শুক্রবার তন্বীর বান্ধবী পরিচয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসে। তাদের এ সম্পর্কের ব্যাপারে কিছুই জানে না তারা।  এ ব্যাপারে সুবর্ণার মা পারভিন বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, আমার মেয়েকে নিয়ে আসবো, একটু সময় দেন আমাদের।  এদিকে, মেয়ে হয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে স্ত্রী হিসাবে দাবি করার এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাদেরকে এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা ও এলাকাবাসী ভিড় করেন তন্বীর বাড়িতে। এ বিষয়ে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এটা বিয়ের কোন বিষয় না। তারা দুজনেই টিকটক করে। তারা দুজনই বান্ধবী। সুবর্ণা এখন পুলিশ হেফাজতে আছে। তার মা-বাবা আসলে তাকে তাদের হেফাজতে দেওয়া হবে।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৩

প্রেমের টানে ঝালকাঠিতে ভারতীয় যুবক, পালালেন প্রেমিকা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ঝালকাঠিতে প্রেমিকার বাড়ি এসেছেন ইমরান (৩৪) নামে এক ভারতীয় যুবক। কিন্তু তার আসার খবর শুনে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিকা।  শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দী এলাকার ইমাদুল হাওলাদারে বাড়িতে আসেন ইমরান নামে ওই যুবক। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ কানপুর এলাকার ছেলে। তাকে একনজর দেখতে বিকেল থেকেই ওই বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইমরানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ইমাদুল হাওলাদারের মেয়ে ফারজানার। দুই বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর থেকে ইমরান বিভিন্ন সময় ফারজানার কাছে টাকা পাঠাতেন এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে পোশাক পাঠাতেন। এবার প্রেমিকাকে দেখতে ভারত থেকে ছুটে আসেন ইমরান। কিন্তু ইমরানের আসার খবর শুনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন ফারজানা। এদিকে যুবকটির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয় ফারজানার পরিবারও। কোনো উপায় না পেয়ে পরে ফিরে যান তিনি। যাওয়ার আগে ইমরান বলেন, ফারাজানার ছোট খালা এবং আমি সৌদিতে এক মালিকের অধীনে চাকরি করেছি। সেই সুবাদে ফারাজানার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ফারাজানার পরিবারের সবাই জানত। তারা আমার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপর পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর এখন তারা সব কিছু অস্বীকার করছে। আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এখন বাধ্য হয়ে আবার দেশে ফিরে যাচ্ছি। ইমরানকে চিনলেও মেয়ের প্রেম ও প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করেন ফারজানার বাবা ইমদাদুল। তিনি বলেন, আমার শ্যালিকা সৌদি আরবে থাকেন। সেখান থেকে ইমরানের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। এরপর আমাদের একটা ভিসা দেওয়ার কথা বলেছিল। আমি তার হিন্দি ভাষা বুঝতে না পারার কারণে আমার মেয়ের সঙ্গে তার কথা হতো। আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এটা মিথ্যা কথা। ফারাজানার খালা বলেন, যখন সৌদিতে থাকতাম তখন আমরা একই মালিকের অধীনে কাজ করতাম। একদিন আমার মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে আমি ইমরানের কাছে মোবাইল সারাতে দিয়েছিলাম। কারণ আমি মোবাইলের তেমন কিছু বুঝি না। এরপর সে কীভাবে আমার মোবাইল থেকে আমার ভাগ্নির ছবি নিয়ে যায়। আমি সৌদি থেকে বাংলাদেশ আসার সময় আমি একটা নম্বর দিয়ে এসেছিলাম। তারপর ইমরান ওই নম্বরে একমাস কল দিয়েছিল। এ ব্যাপারে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। আমার যদি কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২২

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করতেন তারা!
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ব্যাপারে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান এ তথ্য জানান। আটকরা হলেন- রাজবাড়ী শহরের বিনোদপর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদুর রহমান (৪৫), সদর উপজেলার বাগমারা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন (২৬), ভবানীপুর গ্রামের মৃত বানু মোল্লার ছেলে মো. ফজলুল হক (৫৩), লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মৃত ক্বারী আনোয়ার উল্লাহর ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (৫৯) ও কালুখালী উপজেলার মদাপুর গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫২)। মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে আনেন। সেখানে মাসুদুর রহমান, জামাল সরদার ও ফজলুল হক রিমা ও মাহফুজকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তারা মাহফুজের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরে তারা এমদাদ হোসেনের মাধ্যমে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা এবং নোটারি পাবলিকের হলফনামা তৈরি করে মাহফুজের পরিবারের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনা মাহফুজের বাবা শাহজাহান খান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশর একটি দল রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপিসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

প্রেমের টানে ভারতীয় মা-ছেলে বাংলাদেশে, অতঃপর...
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেম হয় ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাসের। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে মাকে সঙ্গে নিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে আসে ওই যুবক। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে তারা। তারপর ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল চার মাস ২১ দিন।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কারাভোগ শেষে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাবে হস্তান্তর করা হয় মা-ছেলেকে। প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলার ফুলতলি থানার মথুরানগর কলোনি লস্করপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎসজীবী। প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, দালালদের মাধ্যমে বিনা পাসপোর্টে কেউ যেন আমাদের মতো ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ না করে। আমরা যে ভুল করেছি যার জন্য প্রায় ৫ মাস জীবন থেকে ঝরে গেল।  এ সময় প্রাণ কৃষ্ণ দাসের মা কাজলী দাস বলেন, দালাল চক্রের মাধামে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মা-ছেলে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপে গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখে বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে গত ৭ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের কাছে আটক হয়। এরপর সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন মোহন, হাবিলদার সাফার উদ্দিন, ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, দর্শনা থানার এসআই টিপু সুলতান, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, এএসআই মোমিন প্রমুখ। ভারতের গেঁদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি বিতাশি, এসআই পি মুখার্জি, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত মন্ডল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই শামসুর রহমান, ডিআইবি সাধন মন্ডল, গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটির সভাপতি দীনু বন্ধু মহলদার প্রমুখ।
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

প্রথম বর্ষেই অবন্তিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আম্মান!
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষেই অবন্তিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান। প্রেমের ডাকে সাড়া না পেয়ে অবন্তিকাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন তিনি। এ বিষয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আলী আক্কাসের মাধ্যমে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল বরাবর একটি অভিযোগ দেন অবন্তিকা। ওই অভিযোগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। অভিযোগপত্রে অবন্তিকা উল্লেখ করেন, প্রথম বর্ষে আম্মান তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু অবন্তিকা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এর কিছুদিন পর থেকেই আম্মান তাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করা শুরু করে। তাকে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে দেখা হলে কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করছিল আম্মান। প্রতিবাদ করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়। হুমকি দিয়ে আম্মান অবন্তিকাকে বলেছিল, তাকে এমনভাবে ফাঁসাবে যাতে সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এবং আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। অভিযোগপত্রে অবন্তিকা লেখেন, তখন আমার বাবা অসুস্থ থাকায় আমি এ বিষয়ে গুরুত্ব দেইনি। পরে আমি তাকে স্পষ্ট করে বলে দেই আমার সঙ্গে যেন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যোগাযোগ না রাখে। কিন্তু যখনই আমার বন্ধুরা আমার থেকে চলে যেত, তখনই সে আমাকে একা পেয়ে ফাঁকা ক্লাসরুমে ডাকতো। আমি তাকে ইগনোর করে চলে যেতে চাইলে সে আমার পথ আটকে ধমক দিতো। তার জন্য আমি প্রচণ্ড ভীতসন্ত্রস্ত। রাস্তাঘাটে চলাচলেও অনিরাপদবোধ করি। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পর কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, অবন্তিকা যখন প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দেয়, তখন আমি তাকে বলছি অফিসে এসে সরাসরি কথা বলতে। তাদের এই ঘটনা নিয়ে অতীতে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। আবার ওই সময় ভিসি স্যার মারা যাওয়ায় আর এসব বিষয়ে শুনতে পারিনি। অবন্তিকাও আর অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসেনি। এ বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, প্রথম থেকেই অবন্তিকা বিভাগকে কিছু জানায়নি। তার সব অভিযোগ ছিল প্রক্টর অফিসকেন্দ্রিক। ছেলেদের সঙ্গে তার একটা ঝামেলা হয়েছিল। পরে শুনেছি সেটি সমাধান হয়ে গেছে। এরপর গত নভেম্বরে হঠাৎ মেয়েটি আমার কাছে এসে বলে, স্যার আগের ঘটনা মীমাংসা হয়েছে। কিন্ত ওরা এখনো আমাকে এখনো বিরক্ত করছে। সে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিতে চাইলে আমি তাতে সুপারিশ করে দেই। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৪

প্রেমের বিয়েতে পরিবার রাজি না হওয়ায় ৭ তলা থেকে লাফ 
ফেনীতে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ৭ তলা থেকে পড়ে রাকিব হোসেন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় পৌরসভার সুলতানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাকিব পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দনগর এলাকার সেলাম মিয়ার ছেলে।  নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিজ এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাকিবের। কিছুদিন ধরে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিতে থাকে সে। বিয়ের উপযুক্ত সময় না হওয়ায় পরিবার থেকে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।  বুধবার সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ও বিয়ে না করালে মারা যাবে বলে বের হয়ে যায় রাকিব। এর কিছুক্ষণ পর ভ্যাট অফিসের নির্মাণাধীন হোয়াইট হাউজ ভবনে ৭ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। নিহত রাকিবের বড় ভাই বাবু বলেন, রাকিব সহজসরল প্রকৃতির ছিল। শুনেছি সে এলাকার একটি মেয়েকে পছন্দ করতো। ওই মেয়ে সম্পর্কে আমাদের এক ভাইয়ের মেয়ে। এ ছাড়াও তাদের এখনো বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। তাছাড়া রাকিব এমন সিদ্ধান্ত নেবে এটি আমারা কেউই বুঝতে পারেনি। ভবনের মালিক মো. এনামুল হক বলেন, ছেলেটিকে প্রায়ই ভবনের আশপাশে ঘুরাঘুরি করতো। ঘটনার সময় ভবনের দারোয়ান ছিলো না৷ সম্ভবত এ সুযোগে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সে ভবনের ভেতর ঢুকে পড়ে। তবে তার এ অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর খবরে আমরা সবাই মর্মাহত হয়েছি। ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একটি নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনের ৭ তলা থেকে পড়ে এ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ছেলেটি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৭

পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যা করার মামলায় স্ত্রীসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর দুর্গাপুর গ্রামের মোখলেছার রহমানের মেয়ে জোৎনা বেগম ও দাশরা খানপাড়ার বুলু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া বাবু। এর জেরেই ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিকেলে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের চাচা ছানাউল ইসলাম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:২৭

ব্যর্থ প্রেমের দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন
পুরনো প্রেমের স্মৃতিতে ডুবে না থেকে আজ নিজেকে মুক্তি দিন। নিজের ইতিবাচক চিন্তাগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ডেইলি রুটিন তৈরি করে ফেলুন। কারণ দুয়ারে হাজির হয়েছে ‘ব্যর্থ প্রেম ভুলে ঘুরে দাঁড়ানো দিন।’ বলা যায়, ভাঙা হৃদয়কে নতুন করে সারিয়ে তোলার দিন আজ। ভালোলাগা থেকে যে প্রেমের গল্প, অনেকের জীবনে তা ব্যর্থতার গল্পে পরিণত হয়। এরপর মানুষটি হতাশ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ ভুল পথে পা বাড়ান। কিন্তু জীবন সুন্দর। এই সুন্দরকে আরও সুন্দর করে তুলতে বেদনাদায়ক স্মৃতিকে বিদায় জানাতে হয়। নিজেকে খুঁজে নিতে হয় নতুন কোনো ভালোলাগায়, ভালোবাসায়। ডেজ অব দ্য ইয়ারের তথ্য, প্রেমিকা চলে যাওয়ার পর খুব বেশি ভেঙে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার অধিবাসী জেফ গোল্ডব্ল্যাট। দুঃখভারাক্রান্ত মানুষটা ব্যর্থ প্রেম ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে চাচ্ছিলেন। চেষ্টা করছিলেন এমন কিছু করতে, যা তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করবে। এ সময়ই তার মাথায় আসে ‘দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন’ গোছের একটা দিবস চালুর ভাবনা। ভাবলেন, তিনি তো একা নন, এমন বেদনাহত মানুষ আছে প্রচুর। তারাও হয়তো ব্যাপারটা থেকে অনুপ্রেরণা পেতে পারে। যেই ভাবা সেই কাজ। জেফ একটি কবিতা লিখলেন এবং একটি ওয়েবসাইট খুলে সেখানে পোস্ট করলেন।  সাড়া পেতে বেশি সময় লাগেনি গোল্ডব্ল্যাটের। অনেক মানুষ গোল্ডব্ল্যাটের কবিতায় সাড়া দেন এবং একাত্মতা পোষণ করেন। এরপর ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বিচিত্র এই দিবস নিয়ে ফিচার প্রকাশ করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় দিনটি। হ্যাঁ, দিনটি ছিল ৯ মার্চ। সচেতনভাবেই ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং এপ্রিল ফুল ডে-র মাঝামাঝি একটা তারিখকে বেছে নিয়েছিলেন জেফ। আজ সেই দুঃখ ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দিন (গেট ওভার ইট ডে)। যারা হৃদয় ভাঙার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, আজকের দিনকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারেন তারা। পুরনো প্রেমের স্মৃতিতে ডুবে না থেকে আজ নিজেকে মুক্তি দিন। এই দিনটিই হোক বিরহ যাপনের শেষ দিন। 
০৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়