• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমিকার উপহারের পোশাক পরে তরুণের আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রেমিকার ওপর অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কুমার (২৫) নামের এক যুবক।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। তার বাড়ি সুন্দরবন-সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার জেলেখারী গ্রামে।  প্রদীপ কুমার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিওকলের কিছু মুহূর্ত ও ছবিও পোস্ট করেন তিনি। নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রদীপ পোস্ট করেন, ‘পাখি দুবছর আগে তোমাকে বলেছিলাম, আমাকে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক করলে আমি দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব’। আজ তোমাকে অন্য মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখে সহ্য করতে না পেরে তোমার দেওয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চির বিদায় নিলাম’। পাখি তুমি একটা বেঈমান, পুনরায় কারও সঙ্গে এমন বেঈমানি যাতে না করো তাই আমি চলে গেলাম।’  মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী বলেন, প্রদীপের বংশীপুরের একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার ওপরে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক তরুণের আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০ ঘণ্টা আগে

প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর শুনে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন রহিমল হাসান বাবু (২৩) নামে এক যুবক। নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের পাইলটি গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।  রহিমল হাসান বাবু ওই উপজেলার পাইলাটি গ্রামের হাবিবুল মিয়ার ছেলে। আর বাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা মেয়েটির (১৮) বাড়ি একই গ্রামে। তারা ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।  বাবুর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্পর্কে চাচাতো বোনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুর। মেয়েটি বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন এবং পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বাবুও তিন-চার বছর ধরে ঢাকায় পোশাক কারখানায় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখানে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত সপ্তাহে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে মেয়ে ও বাবা-মা। বাড়িতে আসার পর বাবা-মা ও চাচারা মিলে মেয়েটির বিয়ের আলোচনা করতে থাকে তারই ফুফাতো ভাই বারহাট্টা এলাকার সায়েম মিয়ার সঙ্গে। এ কথা শুনে বাবুর পরিবার মেয়েকে বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে আলোচনা করতে তাদের বাড়িতে যান। কিন্তু বাবুর সঙ্গে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে রাজি হননি পরিবারের লোকজন। এতে ক্ষোভে আত্মহত্যার হুমকি দেন বাবু।  পরে এ বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন আলোচনায় বসলেও তাতেও ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার রাতে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা পাকা হয়। সেই সঙ্গে তাদের দেওয়া নাকফুলসহ স্বর্ণালংকার পরানো হয় মেয়েটিকে। শনিবার সকালে মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় তার বাবা-মা। এতে ক্ষোভে এ দিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবু। পরে ক্ষোভে মেয়ের বাবা-চাচার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বাবুর স্বজনরা।  এ বিষয়ে বাবুর চাচা কামাল মিয়া ও মামা মো. বিলকিছ মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে মেয়েটির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ঢাকায় চাকরি করে সব টাকা ওই মেয়ের পেছনেই ব্যয় করে বাবু। মেয়ের জন্য সে পাগল ছিল। বিয়ের জন্য আমরা সবাই গিয়েছি মেয়ের বাবাসহ পরিবারের সবার কাছে। তাদের কাছে অনুনয় বিনয় করেছি। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। রাজি হলে আজ বাবুর মতো একটা তরুণ প্রাণ ঝড়ে যেত না। আমরা এর বিচার চাই। তবে মেয়ের বাড়ি ঘরে হামলার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। তাদের দাবি-তারা নিজেরাই তাদের ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এলাকা ছেড়েছে।’  স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাজন মিয়া বলেন, ‘বাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। অন্যত্র বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ায় ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।’  রোববার মেয়ের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পাশের বাড়ির জ্যোস্না আক্তার নামে এক নারী জানান, বাবু আত্মহত্যা করার পর মেয়ের বাড়ির লোকজন ভয়ে অন্যত্র চলে যায়। পরে বাবুর পরিবারের লোকজন এখানে এসে হামলা চালায়। তিনটি ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। গেয়ালে থাকা দুটি গরুও নিয়ে যায়।  মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাবুর মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করতে আবেদন করেছেন বাবুর বাবা। ঘটনা তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

যে কারণে প্রেমিকার মাকে স্পর্শ করেছিলেন সোহেল খান
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সোহেল খান। ক্যারিয়ারে বেশ কিছু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। যদিও এখন আর আগের মতো পর্দায় দেখা যায় না তাকে। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কম আলোচনা হয়নি এই অভিনেতার। একবার নাকি সোহেল তার প্রেমিকার মাকে স্পর্শ করেছিলেন।  সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বিষয়টি খোলাসা করেন সোহেল। এ সময় অভিনেতা জানান, ভুলবশত প্রেমিকা মনে করে তার মাকে স্পর্শ করেছিলেন তিনি।   সোহেল জানান, একবার দুর্ঘটনাবশত প্রেমিকার জায়গায় প্রেমিকার মাকে যৌন উত্তেজনাপূর্ণ স্পর্শ করেছিলেন। আসলে ঘটনাটা বুঝতে না পারার কারণেই ঘটেছিল। মূলত ডার্ক রুম খেলছিলেন তারা। সোহেল বলেন, আমার এক প্রাক্তন প্রেমিকার বাড়িতে ডার্ক রুম খেলছিলাম। আমি একটা ওয়ারড্রবে গিয়ে লুকিয়েছিলাম। আমার প্রেমিকার মা এসেও সেই আলমারিতেই লুকিয়ে পড়েন।  অভিনেতা আরও বলেন, অন্ধকার আলমারিতে আমি বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলাম আমার প্রেমিকাই এসেছে। সেটা ভেবেই আমি ওকে স্পর্শ করা শুরু করি। কিন্তু সে আচমকা খিলখিল করে হেসে উঠলে আমার ভুলটা ভাঙে।   তিনি বলেন, এরপর তিনিও হেসে ফেলেছিলেন। তাদের সেই হাসাহাসির জেরে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং মাঝপথেই খেলা শেষ হয়।  সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস   
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৭

প্রেমিককে না পেয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যা 
প্রেমিককে বিয়ে করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক প্রেমিকা। নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকার সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর থেকে ওই প্রেমিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ নেত্রকোণা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।  নিহত প্রেমিকার নাম সবুজা খাতুন (১৯)। তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪/৩নং ঘরের মঞ্জু ইসলামের মেয়ে। অন্যদিকে প্রেমিক বাবু মিয়া পার্শ্ববর্তী ৪/২নং ঘরের আবদুল আলীর ছেলে।   স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সবুজা আর বাবু দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৩-৪ দিন আগে ছেলে-মেয়েকে একত্রে পেয়ে এ ঘটনা দুই পারিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। পরে মীমাংসার মাধ্যমে দুজনের বিয়ের আশ্বাস দেয় ছেলের পরিবার। এ সুযোগে ছেলের পরিবারের লোকজন ছেলেকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেয়। এ খবর সবুজা জানতে পারে। এরই জের ধরে এ আত্মহত্যা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।  এ দিকে এ ঘটনা ঘটার পরপরই ছেলে পরিবারের লোকজন পালিয়েছে বলেও জানায় নিহতের পরিবার।  এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, নিহতের নিজ বসতঘরের পাশের একটি বসতঘরের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করি আমরা। বাঁশের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৪

প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আত্মহত্যা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রাখালিয়া চালা এলাকায় প্রেমিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা (৪০) উপজেলার রাখালিয়াচালা গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে। একই গ্রামের সামসুল মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়ার (৪৫) সঙ্গে তার প্রেম ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, গত দুবছর ধরে আরিফ ও সালমার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকেই সালমা আরিফকে তাদের বাড়িতে জানাতে চাপ দেয়। স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করে আরিফের বাড়িতে সালমা বার বার আসলেও আরিফ নানাভাবে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে টালবাহানা করছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে শুক্রবার দুপুরে প্রেমিকের তালাবদ্ধ টিনসেড বাসার একটি কক্ষের তালা ভেঙে ঘরের সিলিংয়ের আড়ার সঙ্গে কাপড় দিয়ে ফাঁসি দেয় সালমা। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার তদন্ত (ওসি) সাব্বির রহমান। তিনি বলেন, স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

প্রেমিকের বোনের বাসায় প্রেমিকার আত্মহত্যা, অতঃপর...
ফেনীর মেডিল্যাব হাসপাতাল সংলগ্ন অ্যাডভোকেট অলি উল্ল্যাহ ভবনে প্রেমিকের বোনের বাসা থেকে ফাতেমা আক্তার আঁখি (১৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আঁখি শহরের নাজির রোড এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ও জুলেখা দম্পতির মেয়ে।  জানা গেছে, পোল্যান্ড প্রবাসী সালাউদ্দিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফাতেমার। এরপর পোল্যান্ডে চলে যান সালাউদ্দিন। সম্প্রতি সালাউদ্দিনকে বিয়ের জন্য জোর করলে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।  সালাউদ্দিনের বোনের শ্বশুর আবুল কাশেম বলেন, রোববার দুপুরে বাসা থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় এক মেয়ে ঘরের ভেতর একটি রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। পরে বাসায় গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওই মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখি। সালাউদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার নাদিয়া বলেন, আমার ভাইয়ের সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্কের কথা আজ প্রথম জানলাম তার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে। দেশে এলে আমরা ভাইকে বিয়ে করাবো এমন তথ্য জেনেই সম্ভবত মেয়েটি এমন কাজ করেছে। ফাতেমার পরিবার জানিয়েছে, সালাউদ্দিনের সাথে ২০১৮ সালে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সালাউদ্দিনের মা মারা গেলে ফাতেমা তাদের বাসায় গিয়েছিল। তবে এই সম্পর্ক সালাউদ্দিনের ভাই বাপ্পি ও বোন নাদিয়া কখনও মেনে নিতে পারেনি। আজ কৌশলে ডেকে নিয়ে আঁখিকে তারা হত্যা করেছে।  ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা বা অভিযোগ করেনি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:২১

প্রেমিকার বিয়েতে প্রেমিকের হামলা, অতঃপর....
নারায়ণগঞ্জে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রেমিকার বিয়েতে দলবেঁধে সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রূপগঞ্জ উপজেলার বলাইখা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই প্রেমিকের নাম কাউসার। সে ভুলতা ভায়েলা এলাকার বাসিন্দা। কনের বাবা মহিউদ্দিন হাজী বলেন, কাউসার আমার মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে (১৮) দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার ঘরোয়াভাবে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সাদিয়ার বিয়ের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কাউসার ও তার লোকজন পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আমাদের বাধায় তাকে নিয়ে যেতে পারেনি। পরের দিন বিকেলে কাউসার আবারও দেশীয় অস্ত্রসহ দলবল নিয়ে এসে বরপক্ষকে হামলা চালায়। তাদেরকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে এলে কাউসার বাহিনীর হামলায় পনির, নিপা আক্তার, বৃষ্টিসহ মোট ৮ জন আহত হন। হামলাকারীরা বরপক্ষের লোকজনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় হামলাকারীরা রান্না করা খাবার ফেলে দেয় ও ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।  এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউসার বলেন, বরযাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনা মিথ্যা। এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। আর সাদিয়ার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক আছে। ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিউদ্দিন হাজীর বাড়িতে যেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মেয়ের পরিবারের লোকজন লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২১

প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে আটক পুলিশ সদস্য
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল ইমন মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণীর করা ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  জানা গেছে, কনস্টেবল ইমন উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগর এলাকার মাহে আলমের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত এবং দুই সন্তানের জনক। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেন।  মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইমনের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে ওই তরুণীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন ইমন। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি দেখা দেয়। গত রোববার দুপুরে দেখা করতে প্রেমিকার বাড়িতে আসেন তিনি। পরে পুনরায় শারীরিক মেলামেশা করতে চাইলে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই তরুণী। এ সময় বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা মিলে ইমনকে আটক করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইমন আমার সঙ্গে একাধিকবার মেলামেশা করেছে। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। এ ঘটনায় আমি ইমনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আবদুল হালিম বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর মামলায় অভিযুক্ত ইমনকে প্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৭

প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় প্রেমিকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় অভিমানে প্রেমিক অনিমেষ চন্দ্র (১৬) নামে ঠাকুরগাঁওয়ের এক কিশোর আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাড়ির পাশে কাঠাল গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত অনিমেষ চন্দ্র সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী আদর্শ পাড়া গ্রামের মৃত রমেশ চন্দ্রের ছেলে। জানা যায়, সুবর্ণা নামে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অনিমেষের। হঠাৎ তার প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এ কারণে গত ৩-৪ দিন ধরে ওই তরুণী অনিমেষের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করছেন পরিবারের সদস্যরা।  সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির আঙ্গিনা ঝাড়ু দেওয়ার সময় অনিমেষের মা কাঠাল গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গাছ থেকে অনিমেষের মরদেহ উদ্ধার করেন। ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে অনিমেষ আত্মহত্যা করতে পারেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস, হঠাৎ ধর্ষণ মামলা প্রেমিকার
সাভারে সাবেক ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল রানা (৩০) নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের শাহরাইল থেকে সাভার মডেল থানা পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানা সাভার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি পাবনায়।  পুলিশ জানায়, সাভারের চাপাইনের লালটেক এলাকায় বাদী ও বিবাদী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছিলেন। তাদের উভয়েরই গ্রামের বাড়ি পাবনায়। বিবাদী সোহেল রানা হঠাৎ অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ কারণে স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করা নারী সোহেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।  এ বিষয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব সিকদার বলেন, এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে। জানা গেছে, অভিযোগকারী নারীও ছাত্রলীগের একটি ইউনিটের কমিটিতে ছিলেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়