পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেবে না পুলিশ
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পেশোয়ার পুলিশ নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এআরওয়াই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, পেশোয়ার পুলিশ নির্বাচনী প্রার্থীদের বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি থেকে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের সুপারিশ করেছে। তবে নির্বাচনী প্রচারণা ও সমাবেশে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়েছে পুলিশ।
এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করার পেছনে নিরাপত্তা কর্মীর অভাব কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে পুলিশ। কারণ ভোটের সময় বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যকে ভোটকেন্দ্রে রাখা হবে। পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে হুমকি পাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একটি তালিকা প্রকাশ করার পর এই অগ্রগতি এসেছে।
সিটিডি যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে খাইবার পাখতুনখোয়ার ১৫ জন রাজনৈতিক নেতার নাম রয়েছে। হুমকির মুখে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএনএ) মহসিন দাওয়ার, সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী ইমতিয়াজ কুরেশি, সিনেটর হিদায়াতুল্লাহ, পিএমএল-এনের সাবেক এমএনএ আমির মাকাম, পিটিআইয়ের সাবেক এমএনএ পীর মনসুর শাহ এবং শাহ মুহাম্মদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মালিক আদনান উজির ও এহসানউল্লাহ, সিনেটর বখতি আফসার এবং সিনেটর মাওলানা আবদুর রশিদ।
পেশোয়ার পুলিশ এমন এক সময় এ সিদ্ধান্ত নিল যখন দেশটির বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক সহিংস বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের জিন্নাহ রোড সিবিতে রাজনৈতিক সমাবেশের কাছে বিস্ফোরণে চারজন নিহত ও পাঁচজন আহত হওয়ার পর সহিংসতার ঢেউ শুরু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিউ করাচি সেক্টর ১১-জে তে এমকিউএম-পি এবং পি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ বছর বয়সী এক বালক নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হয়। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষের সমর্থকরা প্রথমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করার আগে তর্কবিতর্ক মারাত্মক সংঘর্ষে রূপ নেয়।
গত রোববার করাচির নাজিমাবাদ এলাকায় একই ধরনের ঘটনায় এমকিউএম-পি’র এক কর্মীও নিহত হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে তৃতীয় সংঘর্ষের ঘটনা এটি।
সূত্রের বরাত দিয়ে এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্রকে ‘সবচেয়ে স্পর্শকাতর’ ক্যাটাগরিতে রেখেছে। ইসিপি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২