• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়াম থেকে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। মেয়র পদে পাঁচজন, ৩৩ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থীর মাঝে এ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।  টেবিল ঘড়ি প্রতীক পেয়েছেন সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সাদেক খান মিল্কী টজু পেয়েছেন হাতি প্রতীক, এহতেশামুল আলম পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক, রেজাউল হক পেয়েছেন হরিণ প্রতীক এবং জাতীয় পার্টির শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক।  আগামী ৯ মার্চ ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ।  প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচরণায় নেমেছেন। 
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২

সংরক্ষিত নারী আসনে জাপার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা
নির্বাচনে কমিশনে (ইসি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম (ঢাকা) ও নূরুন নাহার বেগমের (ঠাকুরগাঁও) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু। এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী ৫০ জন সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ভাগাভাগি করে জাতীয় পার্টি দুটি আসন পাই। জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুন নাহার দুইজনই আমার দলের পরীক্ষিত নিবেদিত পুরোনো কর্মী। তাদের এবার দলের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। মুজিবুল হক বলেন, জাতীয় পার্টি গতবারের মতো এবারও সংসদে শক্ত ও কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্যসংখ্যা কম, কিন্তু সংখ্যা দিয়ে কিছু হয় না। জাতীয় পার্টির ১৩ জন সদস্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারলে সংসদকে কার্যকরী করা সম্ভব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা তিনি যখন সংসদ নেতা ছিলেন তখন একজন সংসদ সদস্যই মরহুম বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদ কাঁপিয়েছিলেন। মনে হয় আমরা বর্তমানে পার্লামেন্টে যারা আছি ১১ জনের মধ্য একজন ছাড়া অন্যরা কয়েকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পার্লামেন্টে কথা বলার মতো ক্যাপাসিটি আছে। আশাকরি এদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলা সরকারের ঘাটতিগুলো ধরিয়ে দেওয়া সরকারের দুর্নীতি উচ্চকণ্ঠে গত পার্লামেন্ট বলেছি এই পার্লামেন্ট নিশ্চয়ই বলবো। এটা আমাদের ওপর জাতি ভরসা রাখতে পারেন। উল্লেখ্য, আগামী ১৪ মার্চ এবার সংরক্ষিত আসনে ভোট হবে। তফসিল অনুযায়ী, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রয়েছে। এদিন দুপুর ২টায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। আগামী ১৪ মার্চ ভোটের দিন রাখা হলেও মনোনয়নের বাইরে কারো প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না থাকায় ভোটের আর প্রয়োজন পড়বে না।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯

পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেবে না পুলিশ
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে পেশোয়ার পুলিশ নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এআরওয়াই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, পেশোয়ার পুলিশ নির্বাচনী প্রার্থীদের বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানি থেকে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের সুপারিশ করেছে। তবে নির্বাচনী প্রচারণা ও সমাবেশে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে রাজি হয়েছে পুলিশ। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করার পেছনে নিরাপত্তা কর্মীর অভাব কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে পুলিশ। কারণ ভোটের সময় বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যকে ভোটকেন্দ্রে রাখা হবে। পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে হুমকি পাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একটি তালিকা প্রকাশ করার পর এই অগ্রগতি এসেছে। সিটিডি যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে খাইবার পাখতুনখোয়ার ১৫ জন রাজনৈতিক নেতার নাম রয়েছে। হুমকির মুখে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএনএ) মহসিন দাওয়ার, সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী ইমতিয়াজ কুরেশি, সিনেটর হিদায়াতুল্লাহ, পিএমএল-এনের সাবেক এমএনএ আমির মাকাম, পিটিআইয়ের সাবেক এমএনএ পীর মনসুর শাহ এবং শাহ মুহাম্মদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মালিক আদনান উজির ও এহসানউল্লাহ, সিনেটর বখতি আফসার এবং সিনেটর মাওলানা আবদুর রশিদ। পেশোয়ার পুলিশ এমন এক সময় এ সিদ্ধান্ত নিল যখন দেশটির বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিক সহিংস বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের জিন্নাহ রোড সিবিতে রাজনৈতিক সমাবেশের কাছে বিস্ফোরণে চারজন নিহত ও পাঁচজন আহত হওয়ার পর সহিংসতার ঢেউ শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিউ করাচি সেক্টর ১১-জে তে এমকিউএম-পি এবং পি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ বছর বয়সী এক বালক নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় উভয় দলের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হয়। এআরওয়াই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষের সমর্থকরা প্রথমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করার আগে তর্কবিতর্ক মারাত্মক সংঘর্ষে রূপ নেয়। গত রোববার করাচির নাজিমাবাদ এলাকায় একই ধরনের ঘটনায় এমকিউএম-পি’র এক কর্মীও নিহত হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে তৃতীয় সংঘর্ষের ঘটনা এটি। সূত্রের বরাত দিয়ে এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্রকে ‘সবচেয়ে স্পর্শকাতর’ ক্যাটাগরিতে রেখেছে। ইসিপি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২

স্থানীয় সরকার নির্বাচন / যে কারণে প্রার্থীদের ‘নৌকা’ দেবে না আ.লীগ
আট বছর আগে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার নিয়ম চালু করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু এখন সেই অবস্থান থেকে সরে আসছে ক্ষমতাসীন দলটি। এর পেছনে তৃণমূলের কোন্দল মেটানো ও নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) বিল-২০১৫ পাস হওয়ার পর ২০১৭ সালের মার্চে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয় উপজেলায়। তারপর থেকে সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করায় আগের চেয়ে গত দুই দফায় নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়েছে। সহিংসতায় শীর্ষে ছিল সরকারি দলের প্রার্থীদের অনুসারীরাই। ফলে সহিংসতার দায় পড়েছে আওয়ামী লীগের ওপর। তাই এবার আর দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিয়ে সহিংসতার দায় নিতে চায় না ক্ষমতাসীন দলটি। পাশপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও স্বতস্ত্র প্রার্থিতা ‘উন্মুক্ত’ রাখতে চাচ্ছে দলটি। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পাশপাশি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিভেদ কমানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের বিজয়ী হয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে করে আগামীতে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলা সহজ হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে না হলে তৃণমূল পর্যায়ে সহিংসতা কমে আসবে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের কারণে অনেক সময় নৌকার যারা সমর্থক তারাও নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেয়, এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে ভোট না করা এটা একটা কারণ। আবার নিজেদের মধ্যে সহিংসতাও বাড়ে। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় চিন্তা করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  সেসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকা ব্যবহার করা হবে না। নৌকা না দেওয়ার জন্য ওয়ার্কিং কমিটির সভায় এখন অভিমত পেশ করেছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার অভিমতের সঙ্গে তিনি ভিন্নমত প্রকাশ করেন না। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, শুধু উপজেলা নয়, আগামীতে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো পর্যায়ে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যমতে, আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আগামী ১০ মার্চ পবিত্র মাহে রমজান শুরু হবে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। সারাদেশে ৪৮৫টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনযোগ্য হয়েছে। সেই অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুতি নিয়েছে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪০

জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে : কাদের 
নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোট প্রদানে কোনো প্রকার ভয়ভীতি বা হস্তক্ষেপ করা হয়নি। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি যাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা হলো বাংলাদেশের জনগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সারা বিশ্ব এবং বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জনগণের বিজয়। তিনি আরও বলেন, ভোটাররা সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পৃথিবীর কোথাও পারফেক্ট গণতন্ত্র নেই। খোদ যুক্তরাষ্ট্রে কতটা মানবতা, গণতন্ত্র প্রতিপালিত হয় সেটা সবাই জানে।  ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের দোসররা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা প্রতিহত করতে চেয়েছে। তাই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি এবং সমমনাদলগুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে কিন্তু ভোটাররাই বিএনপিকে বর্জন করেছে। তিনি বলেন, আমরা যে ভোট সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হয়েছি এজন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। আশা করি এই নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিজয়ী হবে। শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, সাহসিকতায় নৌকার পক্ষে রায় আসবে বলে মনে করি। এদিকে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং ১৫ ব্যক্তিকে জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮

আ.লীগ প্রার্থীদের ৯৩ শতাংশই কোটিপতি : সুজন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমন প্রার্থীদের ৯২ দশমিক ৮৩ শতাংশই কোটিপতি। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এসব তথ্য তুলে ধরে। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে সংগঠনটি আরও জানায়, আওয়ামী লীগের ২৬৫ প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয় ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গড় সম্পদমূল্য সাড়ে ২৮ কোটি টাকার বেশি। দলটির প্রার্থীদের ১৭০ জনই পেশায় ব্যবসায়ী।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ১ হাজার ৯৪৫ জনের মোট বার্ষিক আয় ১ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। মোট সম্পদমূল্য ১৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি আয় ও সম্পদ আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। এরপর আয় ও সম্পদ বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সুজন জানায়, এবারের প্রার্থীদের মধ্যে স্নাতকোত্তর পাস ৩২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। স্নাতক পাস প্রার্থী ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা আছে। সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ক্ষমতার সঙ্গে জাদুরকাঠি জড়িত। ২০০৮ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে, যে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিল, সেখানে প্রার্থীদের মধ্যে আয়বৈষম্য কম ছিল। একতরফা নির্বাচনে এই বৈষম্য বেড়ে যায়। কারণ, এসব নির্বাচনে যেনতেন প্রার্থী দিলেও জিততে সমস্যা হয় না।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৩

ভোট শেষে প্রার্থীদের সম্পদের হিসাব যাচাই করবে দুদক
নির্বাচন শেষে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদের তথ্য যাচাই করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১ জানুয়ারি) দুদক কার্যালয়ে এমজিআই-র‍্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। নির্বাচনটা শেষ হোক, এরপর প্রার্থীদের সম্পদের হিসাবের সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ আছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিক ও দুদক একে অপরের পরিপূরক। আমরা চাই আপনারা দুর্নীতি নিয়ে ভালো ভালো রিপোর্ট করেন। আপনারা যখন বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য পাবেন, তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধান করে মুদ্রার দুই পিঠ তুলে ধরবেন, তাতেই আমরা লাভবান হবো। তিনি বলেন, এমনভাবে রিপোর্ট করবেন যাতে দুর্নীতিটা বন্ধ হয়। তাবে কোনো ফরমায়েশি প্রতিবেদন করবেন না। এতে সেই প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ হবে না, সংবাদের স্বকীয়তাও থাকবে না। এ সময় দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন, মো. জহুরুল হক ও দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ কমিশন ও র‍্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে ৩ জনকে এমজিআই-র‍্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ তুলে দেওয়া হয়। অনলাইন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম, প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিবেদক নুরুজ্জামান লাবু এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত পুরস্কার পেয়েছেন।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়