• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ যেদিন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার। ওই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে ঈদুল ফিতরের আগে ফল প্রকাশ সম্ভব হচ্ছে না। রোববার (১ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে। সেজন্য ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করতে পারব। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এদিন। তৃতীয় ধাপে মোট প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৪

প্রাথমিকে ২৫ ও মাধ্যমিকে ৫১ শতাংশ পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত ‘বাংলাদেশে বিদ্যালয় শিক্ষা মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক ও গবেষক দলের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। গবেষণার তথ্য বলছে, ২০২২ সালে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিশুর শিক্ষার জন্য বার্ষিক পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, যেখানে গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। একই সময়ে মাধ্যমিক স্তরের একজন শিক্ষার্থীর জন্য পারিবারিক ব্যয় ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। উভয় স্তরেই প্রধানত ব্যয় হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের বেতন ও গাইডবই বা নোটবই বাবদ। ২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় ২০২২ সালের তুলনায় প্রাথমিক স্তরে বার্ষিক ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরে ৫১ শতাংশ বেড়েছে। গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, প্রাইভেট টিউটরিং, কোচিং, বাণিজ্যিক গাইডবই এবং বিভিন্ন স্কুল ফি-র ক্রমবর্ধমান খরচ পরিবারগুলোর ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে, যা বৈষম্য এবং শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং পরিবারের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে শিক্ষায় ন্যায়সঙ্গত সুযোগের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গবেষণা দলের প্রধান ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ, গবেষণার পর্যালোচক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, গবেষক দলের সদস্য সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন, মো. আহসান হাবিব বক্তব্য রাখেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৮

চলতি বছর ১৩ হাজার ৭৮১ শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রাথমিকে 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছর ১৩ হাজার ৭৮১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।  নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধ প্রসঙ্গে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, চলমান নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ঠেকাতে সুরক্ষা নামে একটি ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এ ডিভাইস ব্যবহার করে সফলতাও পাওয়া গেছে।  তিনি আরও জানান, যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কম সেসব বিদ্যালয় বন্ধ করে পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এ ছাড়া যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের কম সেগুলোকেও পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। এমন ৩০০ বিদ্যালয়ের তালিকা ইতোমধ্যে করা হয়েছে।  এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। যেগুলোতে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৬

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ : সনদের সঙ্গে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট জমার নির্দেশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রের (সব সনদের মূল কপি ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম) সঙ্গে ডোপ টেস্টের রিপোর্টও জমা দিতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের শর্তসাপেক্ষে সর্বমোট দুই হাজার ৪৯৭ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করেছে অধিদপ্তর। নির্বাচিত কোনও প্রার্থী কোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রদান করলে কিংবা কোনও তথ্য গোপন করেছেন বলে প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ ওই প্রার্থীর ফলাফল বা নির্বাচন বাতিল করতে পারবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনের দেওয়া স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ বা প্রত্যয়নপত্র ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করতে হবে। স্বাস্থ্যগত সনদে প্রার্থী কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগছেন কিংবা উল্লিখিত পদে নিয়োগযোগ্য নন বলে  উল্লেখ থাকলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না। আরও বলা হয়েছে, নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ১৪ মার্চের মধ্যেই পরিচিতি প্রতিপাদন ও সব ডকুমেন্টস যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সব সনদের মূল কপি, জাতীয় পরিচয়পত্র সশরীর উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে তিন সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরমও যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। কোনও প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে পূর্ব কার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা বা সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন বলে প্রতীয়মান হলে তিনি নিয়োগের অনুপযুক্ত বলে গণ্য হবেন। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ, সব মূল সনদসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে না পারলে এবং পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম জমা না দিলে পরবর্তী সময়ে তিনি নিয়োগপত্র পাবেন না বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৩

চার মাসের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমদ। রোববার  (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ), ময়মনসিংহের মিলনায়তনে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ফরিদ আহমদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। বর্তমানে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩১ এ দাঁড়িয়েছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের মধ্যেই এ অনুপাত ১:৩০ হবে। তিনি বলেন, আগামী ১৬ মাসের মধ্যে শিক্ষার চলমান উন্নয়ন কাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করার টার্গেট রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৭ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এ বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে সময়মতো শেষ করার জন্য একটু নজরদারি বাড়ানো উচিত। সমন্বয় ও কাজের তদারকির জায়গায় সমাধান আনতে পারলে যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। বর্তমানে চলমান গুণাগুণের সঙ্গে সংগতি রেখে আগামীতে শিক্ষায় আরও মানসম্মত উন্নয়নে কাজ করব।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০০

প্রাথমিকে নিয়োগ : জানা গেল তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হতে পারে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিয়োগ প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার পরপরই সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। এর পরপরই তৃতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনও পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ নির্বাচন করা হয়নি। সূত্রের দাবি, শিগগিরই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃসভায় দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে। গত বছর ২৪ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত তৃতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।   এর আগে দ্বিতীয় ধাপে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিং বিভাগের প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে জেলাভিত্তিক এসব প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষায় বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগ থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। তারা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৬

২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ চলছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরুর আগেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ সময়সীমার মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে পারব। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার খাতা ইতোমধ্যে স্ক্রিনিং শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে সভা করবে বুয়েট। তারপর ফল প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র আরও জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর প্রার্থীরা অংশ নেন। এ ধাপে আবেদন করেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৫

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায়, পরীক্ষার্থীর কারাদণ্ড 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে নওগাঁর মহাদেবপুরে এক পরীক্ষার্থীকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা চলাকালে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ওই পরীক্ষার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সাজা দেন।  রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আওতাধীন জেলাসমূহে আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৩৩ জন।  মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান জানান, শুক্রবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলা সদরের সর্বমঙ্গলা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।  ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় ওই পরীক্ষার্থীকে তৎক্ষণাৎ আটক করে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই পরীক্ষার্থীকে এই সাজা দেন।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৩

৪ লাখ ৩৯ হাজার প্রার্থী / প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ : ২২ জেলায় পরীক্ষা আজ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আজ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নেওয়া হবে পরীক্ষা। এ ধাপে খুলনা, রাজশাহী, ময়নমনসিংহ বিভাগের ২২টি জেলা শহরে পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দ্বিতীয় ধাপে মোট পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। আর ২২ জেলার ৬০৩ কেন্দ্রে কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭টি। এদিকে, এ ধাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস, জালিয়াতি, অত্যাধুনিক ডিভাইসের ব্যবহার, প্রক্সিবাজি ঠেকাতে ২২ জেলায় মনিটরিংয়ে থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে তারা জেলায় জেলায় পৌঁছে গেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা স্ব স্ব জেলার সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এবারই প্রথম মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা এরই মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলায় পৌঁছে গেছেন। গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোয় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। ২০ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। বর্তমানে জেলায় জেলায় তাদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৮

প্রাথমিকে ফেল ওসির ফাঁদে ৭ শতাধিক নারী
পঞ্চম শ্রেণি ফেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (৩০) ‘প্রিন্টিং প্রেস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। সামান্য কর্মচারী হলেও এলাকার বিভিন্ন মানুষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি ঠিক করে ‘ফেসবুক মাস্টার’ উপাধি পেয়েছেন তিনি। আর এ দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে শত শত নারীর সঙ্গে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করেছেন আনোয়ার।  ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রীসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নামে আইডি খুলে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েছেন আনোয়ার। অবশেষে ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে বিষয়টি পুলিশ জানতে পারায় ধরা পড়েছেন তিনি। জানা গেছে,  রাজধানীর তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের নামে ফেসবুক আইডি ও হোয়াটসঅ্যাপ খুলে ৭৭১ নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আনোয়ার। আপত্তিকর ছবি আদান-প্রদানের ঘটনায় বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে হাজির হলে ওসি মহসীন নিজেই বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) গাইবান্ধার স্টেশন রোডের দাশ বেকারি মোড়ের ইসলাম প্রিন্টিং প্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান । লিটন কুমার সাহা বলেন, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা আনোয়ার ইন্টারনেট ঘেঁটে ফেসবুকসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। তার এ দক্ষতা ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তা, জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে তাদের নামে ফেসবুক আইডি খুলতো। এসব আইডি ব্যবহার করে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাদের আপত্তিকর ছবিসহ অর্থ হাতিয়ে নিত আনোয়ার। তিনি বলেন, আনোয়ারকে গ্রেপ্তারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে রাষ্ট্রপতি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন, চিত্রনায়ক শান্ত খান, অভিনেতা ও মডেল আব্দুন নুর সজলের নামের ফেসবুক আইডি পাওয়া গেছে। কিছু আইডি ডিজেবল অবস্থায় পেলেও বেশিরভাগই সচল ছিল। তিনি আরও বলেন, আনোয়ার কখনো জনপ্রতিনিধি, কখনো অভিনেতা সেজে এ পর্যন্ত তিনি সাত শতাধিক বেশি নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার এ তালিকায় শিক্ষার্থী, গৃহিণী, প্রবাসী, মডেল সবাই আছেন। ম্যাসেঞ্জারের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপেও তাদের সঙ্গে কথা বলতেন তিনি। তবে কখনো ভিডিও কলে আসেনি তিনি। কেউ তাকে দেখতে চাইলে কিংবা সন্দেহ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্লক দিতেন আনোয়ার। মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর কথাবার্তা ও আপত্তিকর ছবিও আদান-প্রদান করতেন তিনি। এসব আপত্তিকর ছবির কথা বলে কারো কারো কাছে টাকাও দাবি করেন আনোয়ার। তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, আমার পরিচয় ব্যবহার করে আনোয়ার ৭৭১ নারীর সঙ্গে চ্যাটিং করেছেন। এটি আমি এবং পুলিশের জন্য খুবই মানহানিকর। ভুক্তভোগী নারীরা আমাকে ভেবে সহযোগিতার জন্য তাকে নক করেছিলেন। প্রথমে ভালোভাবে কথা বললেও ধীরে ধীরে অশ্লীলভাবে চ্যাটিং করেন আনোয়ার। অনেক নারী সন্দেহ হলে লিখেছেন, ‘আপনি ওসি মহসীন তো’। অনেকে তার কথার প্রতিবাদও করেছেন।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়