• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পাচ্ছে :  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দরিদ্র মানুষকে যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পাচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের জন্য শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেছেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়ায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ করার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, মানুষকে ঋণের নামে টাকা-পয়সা দিয়ে ১৪ গুণ সুদসহ ফেরত নেওয়া হচ্ছে। তারপরও ঋণ শোধ হয় না। এভাবে বহু মানুষ তাদের সর্বস্ব হারাচ্ছে। তিনি বলেন, যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পুরস্কার পাচ্ছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই দেশের মাটি, ঘাস, প্রকৃতির ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে কোন মানুষ একটু কষ্টে আছে, কোন মানুষ বিষণ্নতায় আছে, কোন মানুষের একটা কাজ জোগানো যায়, সেসব খুঁজে খুঁজে বের করেন; সেই শেখ হাসিনার উপরই অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের হস্তক্ষেপ আসে। এরপর মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে মো. আব্দুর রহমান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে সারা দেশ উন্নয়নে ভরপুর করে দেওয়া হবে। মধুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. গোলাম রব্বানী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনূন আহমেদ অনিক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুদেব কুমার দাস।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৭

মধ্যস্বত্বভোগীদের জিহ্বা টেনে ধরতে হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, গ্রামের মাঠে যে কপি ৫ টাকায় বিক্রি হয়, সেটা চূড়ান্ত বা খুচরা বাজারে এসে ৬০ টাকা হওয়াটা অযেীক্তিক মনে হচ্ছে। এখানে যেসব যেসব মধ্যস্বত্বভোগী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। তাদের জিহ্বা টেনে ধরতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়রি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং পরিপ্রেক্ষিতের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত : সমস্যা সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ভোক্তার স্বার্থেই সরকার ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়ে থাকে। আমরা (সরকার) চাই যারা উৎপাদন করে তারা যেন ন্যায্যমূল্য পায় এবং আমরা যারা ভোক্তা তারাও যাতে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে কিনতে পারি। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীরা এখানে সুবিধা নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। তাদের জিহ্বা টেনে ধরতে হবে।  এ সময় তিনি জানান, গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও স্বল্প আয়ের মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উপকারের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে তাদের পণ্য বিক্রি করবে। পণ্যের আমদানি শুল্কের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, শুল্ক বাড়লে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ে। কমলে সরকারের আয় কমে। এর পরেও সরকার অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়ে থাকে। এর কারণ ব্যবসায়ীরা যে সুবিধা পাবে সেটির কারণে উৎপাদন বাড়বে, সরবরাহ ঠিক থাকবে। সবশেষ মানুষ ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবে। এটি সবার সমন্বয়ে সম্মিলিত চেষ্টায় সম্ভব হবে। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে দেশ মাছ, মাংস, ডিম ও দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো। তিনি বলেন, এখনো বাজারে পর্যাপ্ত মাছ, মুরগি, ডিম ও দুধের সরবরাহ আছে। তবে দাম অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার থেকে বেশি। কারণ সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে, তেমনি এরসঙ্গে নৈতিক অধঃপতনও বেড়েছে। মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা মুনাফা লুটে নিচ্ছে। অবৈধ উপাজনকারীদের উদ্দেশে আব্দুর রহমান বলেন, যারা অবৈধ উপায় সম্পদ গড়ে। শেষ বেলায় তারা সেসব সম্পদ ভোগ করে যেতে পারে না। রাজনীতির জীবনে দেখেছি। অনেকেই এক মুরগির ডিম অন্য খোপে গোপন রাখে। কিন্তু ডিম সেখানে পিঁপড়া খায়।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৭

ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ইলিশকে একটি বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে আমরা এগোতে চাই। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‌‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ -এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা কথা জানান। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা এবং একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্য এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন। সবাই যার যার জায়গায় অবদান রাখলে ইলিশ উৎপাদনে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার। ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে, ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ ইলিশ সফলভাবে ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। যা ভিত্তি বছর ২০০১-২০০২ এর তুলনায় ১০৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ফলে এ বছর প্রায় ৪০ দশমিক ৫৮ হাজার কোটি জাটকা নতুন করে ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষেণের সুফল পেতে হলে এ বছর উৎপাদিত ইলিশের পোনা (জাটকা) নিবিড়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সাধারণ মানুষের জন্য আরও সহজলভ্য হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫২

দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণ অনুসন্ধান চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।   বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।  তিনি বলেন, সব পণ্যেরই উৎপাদন এবং মজুদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও মাছ, মাংস এবং ডিমের  মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন।  মন্ত্রী বলেন, কিছু পণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তার কারণ অনুসন্ধানে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন৷ সেইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়েও কাজ হচ্ছে। যারা অসৎ ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। আব্দুর রহমান আরও বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বাড়াচ্ছে, তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কোথায় কীভাবে কারসাজি হয় সেটি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেইসঙ্গে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সবার জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এরপর বলেন, আসন্ন রমজানে যে সব এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি, সে সব জায়গায় কম মূল্যে মাছ, মাংস ও ডিম  পাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ট্রাকে করে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়