• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পাচ্ছে :  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দরিদ্র মানুষকে যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পাচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের জন্য শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেছেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়ায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ করার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, মানুষকে ঋণের নামে টাকা-পয়সা দিয়ে ১৪ গুণ সুদসহ ফেরত নেওয়া হচ্ছে। তারপরও ঋণ শোধ হয় না। এভাবে বহু মানুষ তাদের সর্বস্ব হারাচ্ছে। তিনি বলেন, যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পুরস্কার পাচ্ছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই দেশের মাটি, ঘাস, প্রকৃতির ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে কোন মানুষ একটু কষ্টে আছে, কোন মানুষ বিষণ্নতায় আছে, কোন মানুষের একটা কাজ জোগানো যায়, সেসব খুঁজে খুঁজে বের করেন; সেই শেখ হাসিনার উপরই অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের হস্তক্ষেপ আসে। এরপর মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে মো. আব্দুর রহমান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে সারা দেশ উন্নয়নে ভরপুর করে দেওয়া হবে। মধুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. গোলাম রব্বানী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনূন আহমেদ অনিক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুদেব কুমার দাস।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৭

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চাকরি
জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নেওয়া হবে। আগ্রহীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। যা যা প্রয়োজন- ১. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের সংখ্যা: ১৩ বয়স: অনূর্ধ্ব ৩০ বছর। তবে বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) আবেদনের যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ; কম্পিউটার টাইপিংয়ে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল ও ফ্যাক্স পরিচালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ২. পদের নাম: অফিস সহায়ক পদের সংখ্যা: ১০ বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর। বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০) আবেদনের যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। ৩. পদের নাম: ক্যাশ সরকার পদের সংখ্যা: ১ বয়স: ৩০ বছর বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭) আবেদনের যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বয়সসীমা: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে প্রার্থীর বয়সসীমা উল্লিখিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি: প্রার্থীকে অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা এবং ২ ও ৩ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহীরা এই http://mofl.teletalk.com.bd/ ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহীরা ৭ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮

সরকারি অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমি দখলের অভিযোগ
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার টেংরাখোলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জমিতে বাজারের স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা টাঙানো থাকলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, মুকসুদপুরের দক্ষিণ চণ্ডীবরদী গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিন সরদারের ছেলে এস এম পলাশ মাহমুদের দাবিকৃত জমিতে টেংরাখোলা বাজারে ওয়েট মার্কেটের জন্য আধাপাকা ভবন নির্মাণ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।  এস এম পলাশ মাহমুদ অভিযোগ করেন, তার জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে অনুরোধ করার পরও কেউ তার কথা শোনেনি। বরং জমির দখল ছেড়ে দিতে নানা রকম হুমকিও দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। পলাশ জানান, হাটবাজার বসানোর অভিপ্রায়ে ১৯৬৩ সালে আমার দাদা মৃত আজহার সরদারের কাছ থেকে বর্তমান টেংরাখোলা বাজার সংশ্লিষ্ট ৭০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। কিন্তু কোন টাকা পরিশোধ করেনি। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার জমিটি অবমুক্ত করে দেয়। এরপর থেকেই আমরা এই জমিতে দোকানপাট তুলে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনের যোগসাজশে জমি থেকে দোকানপাট উচ্ছেদ করতে আসলে আমি আইনি সহায়তা নিই। তিনি বলেন, জমির মালিকানা নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালে সরকারকে বিবাদী করে মামলা করি আমরা। ২০০৯ সালে সেই মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেন যুগ্ম-জেলা জজ আদালত। তারই প্রেক্ষিতে বাবা হয়ে ওয়ারিশ সূত্রে ১৮.৫৬ শতাংশ জমি আমার মালিকানায়। কিন্তু গেলো বছরের ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার দোকানঘর ভেঙে ফেলে বাজারের অবকাঠামো নির্মাণের হুমকি দেন পৌর মেয়র। এর প্রেক্ষিতে আমি আবার আদালতের শরণাপন্ন হই। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে অন্যদের নালিশি ভূমিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ আমার বর্তমান দখল বজায় রেখে স্থিতি অবস্থা জারি করেন সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন টানানো থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পকে ওয়েট মার্কেট নির্মাণের অনুমতি দেন পৌর মেয়র ও ইউএনও। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমার জমি প্রভাবশালীদের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুকসুদপুর পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম শিমুল বাজার নির্মাণের সঙ্গে সব ধরনের দায়বদ্ধতা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওয়েট বাজার নির্মাণের প্রজেক্ট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের, এখানে পৌরসভার কোনো হাত বা নিয়ন্ত্রণ নেই। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) অমিত কুমারের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলু এ জমি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এটি সরকারি খাস জমি। আমি আইন-আদালত ভালো বুঝি না তাই অবকাঠামো নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলুও এটাকে সরকারি খাস জমি বলে দাবি করে বলেন, খাস জমি রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের। তাই আমি একে রক্ষা করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পরক্ষণেই জমিটি ব্যক্তিগত নামে রেজিস্ট্রেশন হবার কথা স্বীকার করে ইউনএও বলেন, ভুল করে সরকারের জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়েছে। এটা ফিরে পেতে আমরা মামলা করেছি। আশা করি রায় পক্ষে পাব। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কেন এই জমিতে কাজ শুরু হলো? -এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ইউএনও ইমাম রাজি টুলু।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৮

ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ইলিশকে একটি বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে আমরা এগোতে চাই। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‌‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ -এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা কথা জানান। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা এবং একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্য এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন। সবাই যার যার জায়গায় অবদান রাখলে ইলিশ উৎপাদনে আরও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার। ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে, ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ফলে ৫২ দশমিক ৪ শতাংশ ইলিশ সফলভাবে ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। যা ভিত্তি বছর ২০০১-২০০২ এর তুলনায় ১০৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ফলে এ বছর প্রায় ৪০ দশমিক ৫৮ হাজার কোটি জাটকা নতুন করে ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। মা ইলিশ সংরক্ষেণের সুফল পেতে হলে এ বছর উৎপাদিত ইলিশের পোনা (জাটকা) নিবিড়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। মা ইলিশ সংরক্ষণ ও জাটকা রক্ষার মাধ্যমে ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ইলিশ সাধারণ মানুষের জন্য আরও সহজলভ্য হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়