• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্মল জ্বালানির উৎস হতে পারে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন
পরিবেশবান্ধব জ্বালানির সন্ধানে হাইড্রোজেন অন্যতম সম্ভাবনাময় উৎস৷ কিন্তু সেই জ্বালানি উৎপাদনের ঝক্কি কম নয়৷ এবার মাটির নীচে প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের ভাণ্ডার কাজে লাগানোর উদ্যোগ শুরু হচ্ছে৷ পৃথিবীর গভীরে প্রচুর হাইড্রোজেন জমা রয়েছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাটির নীচে এমন ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে বলে অনুমান করা হয়৷ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেনের এই ভাণ্ডার কি আমাদের চাহিদা মেটাতে টেকসই এক স্বর্ণখনির মতো হয়ে উঠতে পারে? যান চালাতে পেট্রোল ও ডিজেলের বিকল্প হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা যায়৷ ইস্পাত ও রসায়ন শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতেও সেই সম্পদ কাজে লাগানো যায়৷ কারণ কম্বাসচন প্রক্রিয়ার পর সে ক্ষেত্রে শুধু পানি অবশিষ্ট থাকে৷ প্রাকৃতিক হাইড্রোজেন আমাদের গ্রহের কার্বন নির্গমন নাটকীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারে৷ তা সত্ত্বেও এই উৎস কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না? ভূতত্ত্ববিদ ও স্টার্টআপ উদ্যোগপতি এরিক গোশের মনে করেন, পৃথিবীতে এখনো ভালোভাবে অনুসন্ধান চালানো হয়নি৷ মাটির গভীরে এখনো অনেক কিছু অজানা থেকে গেছে৷ মানুষ নিজেকে সবজান্তা মনে করলেও বাস্তবে সেটা ঠিক নয়৷ গ্রহের একটা বড় অংশে কোনো অন্বেষণ হয়নি৷ এরিক গোশের বহু বছর ধরে হাইড্রোজেনের প্রাকৃতিক উৎসের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমে পিরেনিস পর্বতমালায় এমন এক উৎস রয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, হাইড্রোজেনের অস্তিত্বের কিছু প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে, কারণ ভূপৃষ্ঠে তার কিছুটা বেরিয়ে আসছে৷ এমন সিপেজ বড় ফাটল বা টেকটনিক ফল্টের মধ্যে দেখা যায়৷ অর্থাৎ, একটি এলাকার গভীরে সীমাবদ্ধ৷ আমরা সেই এলাকাকে কিচেন বলি৷ মাটির গভীরে সেই কিচেন-এ হাইড্রোজেন সৃষ্টি হচ্ছে৷ ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে কিচেনের লৌহঘটিত শিলার সংস্পর্শে আসে৷ তখন হাইড্রোজেন বেরিয়ে এসে সেখানে জমা হয়৷ এখনো পর্যন্ত মাত্র একটি এমন হাইড্রোজেনের উৎস কাজে লাগানো হয়েছে৷ পশ্চিম আফ্রিকার এক গ্রামের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে একটি জেনারটর হাইড্রোজেন শক্তিতে চলছে৷ লাইবনিৎস ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. রুডলফো ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, মালিতে মাটির অগভীরে বিশাল পরিমাণে হাই কনসেন্ট্রেশন হাইড্রোজেন পাওয়া গেছে৷ প্রায় ১০০ থেকে ২০০ মিটার নীচেই সেই ভাণ্ডার রয়েছে৷ অন্যান্য দেশেও সেই প্রক্রিয়া নকল করে হাইড্রোজেন ব্যবহার করে ইলেকট্রিক গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করাই আমাদের উদ্দেশ্য৷ ফেয়ারি সার্কেল বলে পরিচিত এমন রিং হাইড্রোজেন ভাণ্ডারের ইঙ্গিত দেয় ড. ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, হাইড্রোজেন বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে এমন কাঠামো সৃষ্টি করে৷ স্যাটেলাইট ইমেজের সাহায্যে আমরা এমন কাঠামো চিহ্নিত করতে পারি৷ জানতে পারি, মাটির নীচে ঠিক কোথায় হাইড্রোজেন সৃষ্টি হচ্ছে বা অতীতে ঘটেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু স্টার্টআপ কোম্পানি হাইড্রোজেনের সন্ধানে ড্রিলিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ও কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ মোটা মুনাফার আশায় বিনিয়োগকারীরা সেই কাজে কোটি কোটি ডলার ঢালছেন৷ স্টার্টআপ উদ্যোগপতি ভিয়াচেস্লাভ জগোনিক বলেন, মাটির নীচ থেকে হাইড্রোজেন যে উত্তোলন করা যায়, সেটা হাতেনাতে দেখানোই ছিল ড্রিলিং-এর মূল কারণ৷ কারণ অনেক বিনিয়োগকারী ও অন্যান্যরা আমাকে বলেছেন, যে এত সহজে এমন সাফল্য তাদের অভাবনীয় মনে হচ্ছে৷ সেটা যে আদৌ সম্ভব, তা সবার আগে দেখিয়ে দিতে বলেছেন তাঁরা৷ কেউ বিশাল ভাণ্ডার আবিষ্কার করে মোটা অংকের অর্থ লাভ করতে পারেন৷ বিষয়টা অনেকটা পেট্রোলিয়াম যুগের সূচনার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে৷ কিন্তু এর আগে কেউ কখনো সেই চেষ্টা না করায় হাইড্রোজেনের জন্য ড্রিলিং বেশ ঝুঁকিপূর্ণ৷
০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬

আজ সুন্দরবন দিবস / টিকে থাকুক প্রাকৃতিক অক্সিজেন ভান্ডার
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, সুন্দরবন দিবস। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক অক্সিজেন ভান্ডার বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন বুক দিয়ে উপকূলবাসীকে রক্ষা করলেও নানা কারনে নিজে ভাল নেই। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুন্দরবন রক্ষা করে, সুন্দরবনের পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ত দিলে একদিকে যেমন রাজস্ব বাড়বে অপরদিকে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান বলছেন সংশ্লিষ্টরা। বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় গড়ে ওঠা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে রয়েছে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুরসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছ। দেশের সংরক্ষিত বনভূমির ৫১ শতাংশ, প্রায় ৬ হাজার ১১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ বন রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চিত্রা হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। নদ-নদীতে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় তালিকায় থাকা ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন ও ২১০ প্রজাতির মাছ। সুন্দরবন বিভিন্ন সময়  প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিজে ক্ষতবিক্ষত হয়ে উপকূলবাসীকে রক্ষা করেছে মায়ের মতো। উপকূলের কোটি-কোটি মানুষকে নিরাপদে রাখলেও নিজে ভালো নেই সুন্দরবন। জলবায়ু পরিবর্তন, পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, পরিবেশ দূষণ, বন্যপ্রাণী শিকার ও কাঠপাচারকারীদের কারণে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন প্রেমী বাগেরহাটের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সুন্দরবন আমাদের আগলে রাখে, তাকে আমাদের মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে। সুন্দরবনের উপর চাপ কমাতে হবে। যে কোন কিছুর বিনিময়ে সুন্দরবনকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, তিনি দীর্ঘদিন এই কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন জোয়ার ভাটার পানিতে ডুবে যায়। এতে কুমিরের প্রজননসহ বনের জীববৈচিত্রের ব্যপক ক্ষতি হয়। সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকারিরা ফাঁদ পেতে ও গুলি করে চিত্রা ও মায়া হরিণ শিকার করে বিভিন্ন এলাকায় মাংস, মাথা, শিং বিক্রি করে। অপরদিকে সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করায় ক্রমশ মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে। বিষ দেওয়ার ফলে শুধু মাছ-ই নয় মারা যাচ্ছে অন্যান্য প্রাণীও। বাঘ শিকারীদের অপতৎপরতাও থেমে নেই।  সুন্দরবন রক্ষায় অসাধু চক্রকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন এই সুন্দরবন বিশেষজ্ঞ। সুন্দরবন ভ্রমনে আসা রোটানিয়ান রিয়াজ উদ্দীন বলেন, সুন্দরবনের পর্যটন খাতে রয়েছে ব্যপক সম্ভাবনা। তবে এখানে নানা প্রকার সীবদ্ধতা ও বিশৃংখলার রয়েছে। ফলে কাংখিত দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করা যাচ্ছে না। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যে সুন্দরবনের পর্যটনকে আধুনিকায়ন করলে একদিকে যেমন রাজস্ব বাড়বে অপরদিকে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, বন্যপ্রাণী ও সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগ সর্বদা তৎপর রয়েছে। এখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজও করা হচ্ছে। একই সাথে সুন্দরবনের পর্যটন আধুনিকায়ন করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করছে সরকার। সুন্দরবন রক্ষায় সকলে এক হয়ে কাজ করতে হবে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০২

ফল ও শাকসবজি তাজা রাখতে প্রাকৃতিক সমাধানসূত্র
শাকসবজি ও ফলমূল দ্রুত পচে গেলে ফেলে দিতে হয়৷ এই সমস্যার সার্বিক সমাধানের লক্ষ্যে প্রকৃতি-নির্ভর এক সমাধানসূত্র উদ্ভাবন করেছে৷ আমরা সবাই জানি, ফল দুই-একদিনের মধ্যে পচে যায়৷ কিন্তু সাদা এই স্যাচেট সেটা বদলে দিতে পারে৷ সেইসঙ্গে খাদ্য অপচয়ের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে৷ সমস্যার মাত্রা বিশাল৷ ২০২১ সালের জাতিসংঘের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে বছরে ব্যক্তিপ্রতি প্রায় ৫০ কিলো খাদ্যের অপচয় ঘটে৷ অর্থাৎ সব মিলিয়ে সাত কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়৷ অব্যবহৃত খাদ্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয় এবং সেগুলি গোটা বিশ্বে কার্বন নির্গমনের প্রায় দশ শতাংশের জন্য দায়ী৷ ভারতের এগ্রি-বায়োটেক কোম্পানি গ্রিনপড ল্যাবস ফলমূল ও শাকসবজির আয়ু বাড়ানোর দাবি করছে৷ পরিবহণের বাক্সে ছোট স্যাচেট ভরে দিয়ে তারা এমনটা করতে চাইছে৷ প্রকৃতিই এই সমাধানসূত্রের প্রেরণা জুগিয়েছে৷ কোম্পানির কর্ণধার দীপক রাজমোহন বলেন, ফল বা সবজি ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে কোল্ড স্টোরেজের তুলনায় পচনের সম্ভাবনা তিন গুণেরও বেশি বেড়ে যায়৷ ফলে এক অর্থে কোল্ড স্টোরেজ প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে৷ কিন্তু বিশাল মূলধন বিনিয়োগ ও চালানোর ব্যয়ের কারণে সেই অবকাঠামো অত্যন্ত ব্যয়বহুল৷ সেটাই কোল্ড স্টোরেজের অসুবিধা৷ এখন আমাদের সব পণ্য দশ থেকে শুরু করে ৪৫ বা ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালোভাবে কাজ করে৷ ফলে এই স্যাচেট কোল্ড স্টোরেজের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে৷ গাছের প্রাকৃতিক নির্যাস কাজে লাগিয়ে ছোট এই স্যাচেট ফলের পেকে যাওয়ার প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়৷ গ্রিনপড ল্যাবসের গবেষক দর্শিনী বলেন, সংক্রমণ মোকাবিলা করতে সাধারণত সব গাছপালার নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে৷ আমরা আমাদের পণ্যে সেই কৌশল প্রয়োগ করছি৷ উদ্বায়ী যৌগগুলি সেই ডিফেন্স মেকলানিজম জাগিয়ে তুলে বাড়তি দুই দিন তাজা রাখে৷ অত্যন্ত প্রাকৃতিক উপায়ে সেটা ঘটে৷ এই কোম্পানি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় কমানোর লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে৷ পরিবহণের সময়েও খাদ্য পণ্যের অনেক ক্ষতি হয়৷ গ্রিনপড ল্যাবস সবে তোলা আঙুর নিয়ে এক পরীক্ষা চালিয়েছিল৷ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় দশ দিন পর সেগুলির হাল বেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল৷ কোম্পানির স্যাটেচ ব্যবহার করে সেই একই আঙুর অনেক তাজা থেকেছে৷ দীপক রাজমোহন বলেন, ফলমূল ও শাকসবজি পরিবহণের সময়ে বিক্রেতারা দুটি পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখ দেখেন৷ প্রথমত, পচনের সমস্যা৷ তারা ১০০ কিলো বহন করলে প্রায় ২০ কিলো নষ্ট হয়, মাত্র ৮০ কিলো বিক্রি করা যায়৷ এটা এক ধরনের অপচয়৷ দ্বিতীয়ত, বাকি ৮০ কিলোর মানও কমে যাওয়ার কারণে মূল্যও কমে যায়৷ ফলে বিক্রেতা ১০০ টাকার বদলে ৮০ বা ৯০ টাকা পান৷ আমরা গ্রিনপডের মাধ্যমে দুটি সমস্যারই সমাধান করছি৷ ফলমূল ও শাকসবজি পচনের হার ৩০ থেকে মাত্র এক শতাংশে কমাতে পারছি৷ ফলে শেষ পর্যন্ত আমাদের গ্রাহকদের আর্থিক সুবিধা হচ্ছে৷ প্রশ্ন হলো, ভোক্তা হিসেবে খাদ্যের অপচয় এড়ানোর উপায় কী? ঠিক প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার কেনা একটা উপায় হতে পারে৷ সেইসঙ্গে আপনি ও আপনার পরিবার যা খেতে পারছে না, সেই উদ্বৃত্ত খাবার বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও প্রতিবেশীদের বিতরণ করা যায়৷ অথবা উদ্বৃত্ত খাবার ফুড ব্যাংকের মাধ্যমে অভাবী মানুষের কাছেও পৌঁছে দেওয়া সম্ভব৷  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০

পাটগ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সহায়তা প্রদান
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ পরিবারকে ঢেউটিন, টাকার চেক, চাল ও শুকনা খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় এসব বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের চত্বরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন, ৬ হাজার করে টাকার চেক, ৩০ কেজি করে জিআর চাল ও শুকনা খাবার তুলে দেওয়া হয়।  বিতরণ অনুষ্ঠানে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী প্রমুখ।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪৪

প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে কাজ করছে ঝিনাইদহের সামাজিক বনায়ন
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ এলাকার খালের পাড়ে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। এখানে রোপণ করা হয়েছে চিকরাশি, জারুল, অর্জুন, খয়ের, সোনালু, বাবলা, শিমুল, শিশু, মেহগনি, নিম, বহেরা, হরিতকিসহ প্রায় ১৮টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সবুজায়নের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর ও উন্নত হয়েছে সেই সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করছে এই বাগানটি। আরও পড়ুন : রাজধানীতে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে   জানা যায়, যশোর সামাজিক বন বিভাগ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে জিকে প্রধান সেচখালের ডাউটিয়া ব্রিজ হতে লাঙ্গলবাঁধ বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অন্তত ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করেছে। গাছগুলো দেখভাল করেন ওই এলাকার ৫৭ জন উপকারভোগী। যার মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ৫ জন। সংশ্লিষ্টরা জানায়, আগামী ১০ বছর পর গাছগুলো বিক্রি করে বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এ ছাড়া ভূমি মালিক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকেও সামাজিক বনায়নের নীতিমালার আলোকে লভ্যাংশ প্রদান করা হবে। উপকারভোগী সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রোপিত গাছের পাহারার কাজে সহযোগিতা করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন, এই খাল পাড়ে আগে কোন গাছ ছিলো না। সামাজিক বন বিভাগ এখানে গাছ রোপণ করেছে। এতে যেমন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি এই এলাকার খাল পাড়ের ভূমি ধস থেকেও রক্ষা পাবে। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, জিকে সেচ খালের পাড়ে অন্তত ১৮ জাতের গাছ রোপণ করা হয়েছে। গাছ স্থানীয় লোকজন পরিচর্যা ও পাহারা দিচ্ছে। এভাবে যদি গাছ বাড়তে থাকে তাহলে বন বিভাগের এ ধরনের বনায়ন কর্মসূচির কারণে পতিত এ জায়গায় অচিরেই বৃক্ষ সম্পদে পরিণত হবে। আরও পড়ুন : মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, ছাত্রলীগ কর্মী নিহত   ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, লাঙ্গলবাঁধ এলাকার খালের পাড়ে সৃজিত বাগানটি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন অবস্থার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালির কলরবে বাগানটি পরিপূর্ণ। বাগানটি ভূমিক্ষয়, বাঁধ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করছে। স্থানীয় কৃষক ও পথিকগণ গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। বাগানটি আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধন করছে। শৈলকুপা উপজেলায় বন বিভাগের এ ধরনের বনায়ন কর্মসূচি চলমান থাকবে।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৪

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ মিশরী তরুণী নুরহান
আরব বিশ্বের সবচাইতে জনবহুল রাষ্ট্র মিশর থেকে বাংলাদেশে স্বামী মোবারক হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন নুরহান নামের এক তরুণী। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ দেখে খুবই মুগ্ধ তিনি। তবে এই প্রথম নয়, গত একবছর আগেও একবার এসেছেন বাংলাদেশে। তখন স্থানীয়ভাবে তেমন জানাজানি হয়নি। এবার নুরহানকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাদের বিয়ের মোহরানা ধার্য করা হয় বাংলাদেশি টাকায় ১০ লাখ টাকা। মিশরী কন্যা নুরহান তার নিজের ভাষায় অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ খুবই সুন্দর। এদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ।  স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রামের মিজি বাড়ির মৃত মফিজুল ইসলামের ছেলে মোবারক হোসেন ২০০৮ সালে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান মিশরে। ওই দেশের রাজধানী কায়রোর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন মোবারক। তার কর্ম এলাকায় বসবাস করতেন নুরহান নামে তরুণীর পরিবার। বেশ কিছুদনি অতিহবাহিত হওয়ার পর পরিচয় হয় নুরহানের সঙ্গে। পর্যায়ক্রমে পরিচয় থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। নুরহানের পিতা ফৌজি রমদান লিবিয়ার নাগরিক। তিনিও কর্মসংস্থানের কারণে মিশরের বসবাস করেন। মোবারক ও নুরহানের সম্পর্ক জানতে পেরে প্রথমে মেনে না নিলেও একসময় মেনে নেন। এরপর ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় বাংলাদেশি টাকায় ১০ লাখ টাকা। বিয়ের পর থেকে এই দম্পত্তি সুখে ও শান্তিতে রয়েছেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। গত একবছর আগেও মোবারক নুরহান বাংলাদেশে এসে ভ্রমন করে যান। গত এক মাস আগে আবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশে এসেছেন। মোবারক হোসেনের বাড়ি জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। কিন্তু বর্তমানে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাড়ি করে পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন।  নুরহান ভাই বোনদের মধ্যে তৃতীয়। মোবারকের বাবা নেই। মোবারক ছাড়া তার মা, দুই বোন এক ছোট ভাই থাকেন বাড়িতে।  স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, আমাদের এলাকার মোবারক বিদেশ থেকে বিয়ে করে বউ এনেছে। তারা খুবই সুন্দরভাবে চলাফের করছে। আমাদের কাছে মিশরী এই মেয়ের আচরণ খুবই ভালো মনে হয়েছে। মোবারক হোসেরন মা জয়তুননেছা বেগম জানান, আমার ছেলে আজ ১৫ বছর ধরে মিশরে থাকে। ২০১৬ সালে বিয়ে করেছে। গত বছরও একবার বাড়িতে এসেছে বউকে নিয়ে। এখন আবার এসেছে। মেয়েটি ভালো, নামাজ পড়ে। কাজও করতে পারে টুকটাক। ছেলের কাছ থেকে অল্প বাংলা শিখেছে। সবাই আমার ছেলে এবং বউরে জন্য দোয়া করবেন।  নুরহান তার নিজের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, আমার নাম নুরহান। মোবারকের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। মোবারক ও তার পরিবারের সদস্যরা খুবই ভালো। তাদের সঙ্গে থেকে আমার খুবই ভাল লেগেছে। তারা আমার প্রতি খুবই যত্নবান। আমার শাশুড়ি খুবই ভালো। তাকে আমি ভালোবাসি। বাংলাদেশ খুবই সুন্দর। এদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমি খুবই মুগ্ধ।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৪

ত্বকের ক্ষতি করে যেসব প্রাকৃতিক উপাদান 
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর আস্থা বাড়ছে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রূপচর্চার আগ্রহ এখন প্রত্যেকের। হলুদ, নিমপাতা, ঘৃতকুমারী কিংবা অ্যালোভেরা প্রায়ই ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারেই ত্বক ভালো থাকবে এই ধারণা একদম ভুল। কারণ প্রাকৃতিক এসব উপাদান ত্বকের জন্য উপকারী হলেও সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে অথবা পরিমাণে বেশি ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্ব করা উচিত। জেনে নিন বিস্তারিত: চিনি- ত্বকের জন্য চিনির ব্যবহার খুব পরিচিত। কিন্তু বেশি মাত্রায় এটি ব্যবহার করলে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। ত্বক ভালোভাবে স্ক্রাব না করে মরা কোষ দূর করতে চিনি ব্যবহার করেন অনেকে। এটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। চিনি ঘা এর মতো ক্ষত তৈরি করতে পারে যা ত্বককে অনেক বেশি শুষ্ক করে দেয়। লেবুর রস- লেবুতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি। ত্বকের যত্নে অনেকে লেবুর রস ব্যবহার করেন। বয়সের ছাপ দূর করতেও কার্যকরী। কিন্তু লেবুর কারণে ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই লেবুর রস ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা ভালো। পরিমাণে বেশি দেওয়া যাবে না। বেকিং সোডা- মানসিক চাপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে গোসলে অনেকেই বেকিং সোডা ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এর ক্ষারীয় মাত্রা ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সাবধানতার সঙ্গে এটি ব্যবহার করুন। ডিমের সাদা অংশ- ত্বকের কুচকানো ভাব দূর করতে ও ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করেন। ডিমের মধ্যে সেলমোনেলা নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই এটি ব্যবহার না করাই ভালো।  অ্যাপল সিডার ভিনেগার- অনেকেই ব্রণ, খুশকি ও ত্বকের রুক্ষতা কমাতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি অনেক বেশি অ্যাসিডিক হওয়ায়, ত্বকে মারাত্মক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য অ্যাপল সিডার ভিনেগার পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়