• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বর্ষবরণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি 
দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবেন বাঙালি। বৈশাখকে বরণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।  নববর্ষ বরণে ঢাবির চারুকলা অনুষদের দেয়ালে ইতোমধ্যে বিভিন্ন চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, বুড়িগঙ্গার নৌকা, মা ও প্রকৃতির বিভিন্ন চিত্র। শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রে ঠাঁই পেয়েছে ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ফুল-পাখি। দর্শকরা ঘুরে ঘুরে চারুশিল্পীদের আঁকা বিভিন্ন চিত্র দেখছেন। এ ছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য চারুকলার ভেতরে চলছে মুখোশ, পুতুল ও ছবি আঁকার কাজ।  চারুকলার শিল্পী ইলহাম গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করি, বাকি কাজ রাতের মধ্যেই শেষ হবে। এদিকে ঢাবির চারুকলা অনুষদ থেকে রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। রোববার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ক্লাব ও শিশু পার্ক ঘুরে টিএসসিতে এসে শেষ হবে। এ ছাড়া বিকেল ৫টা পর্যন্ত চারুকলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলায় জেলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার তাদের পহেলা বৈশাখের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হবে যশোরে। এ ছাড়া খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নেত্রকোনা, বরিশালে নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ছায়ানটের বর্ষবরণ সফল করতে আমরাও সহযোগিতা করছি। বর্ষবরণে উদীচী কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষ আয়োজনের নিরাপত্তা সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য। বর্ষবরণ প্রস্তুতির শুরু থেকেই এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমনা পার্কে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও আমরা মনিটরিং করব।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৪

বর্ষবরণে রমনা বটমূলে ছায়ানটের প্রস্তুতি
আর মাত্র একদিন পরেই বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ করবেন বাঙালিরা। প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর রমনা বটমূলে নববর্ষকে বরণ করবে ছায়ানট। এ দিন রমনা বটমূলে গান, কবিতা ও নানান আয়োজন থাকবে সংগঠনটির।   ছায়ানটের এবারের অনুষ্ঠানের শিরোনাম— ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’। সংগঠনটির এই অনুষ্ঠান ঘিরে এখন চলছে মঞ্চ তৈরিসহ বর্ষবরণের চূড়ান্ত প্রস্তুতি।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সরেজমিন দেখা যায়, গানের রিহার্সেলে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছায়ানটের সঙ্গীতশিল্পীরা। এবারও রমনার বটমূলে সুরের মাধুরীতে নতুন বছরকে বরণ করবে ছায়ানট। সংগঠনটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আরও থাকবেন দেশের সব গুণী শিল্পীরা।  জানা গেছে, পহেলা বৈশাখের প্রভাতে রমনার বটমূলে থাকবে ছায়ানটের ৩০টি পরিবেশনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আঁধার রজনী পোহালো’, ‘তোমার সুর শুনায়ে’র মতো জনপ্রিয় গানের সঙ্গে অতুলপ্রসাদের ‘ওরে বন, তোর বিজনে সঙ্গোপনে’র মতো দাদরা তালের গানও রেখেছেন তারা। তবে এ সবই একক সংগীত।   এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের ‘নম নম নম বাংলাদেশ মম’ আর ‘আনো আনো অমৃত বারি’র পাশাপাশি থাকবে নিশিকান্ত রায় চৌধুরীর ‘অধরা দিল ধরা এ ধুলার ধরণিতে’। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ বলেন, এবার শিল্পীদের অংশগ্রহণের সংখ্যা বেশি। প্রায় ১৭০ জন শিল্পী অংশ নেবেন এই অনুষ্ঠানে। যারা গান গাইবেন, তারা দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হয়ে এসেছেন। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে থাকবে বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী এবং ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সনজীদা খাতুনের নতুন বছরের আশীর্বাণী। এসব আয়োজনের সবশেষে পরিবেশিত হবে জাতীয় সংগীত।   
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫১

চারুকলায় বর্ষবরণে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়েই। তাই বৈশাখকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত পুরো জাতি। বর্ষবরণের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এবার নববর্ষ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন তারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভেতরে হাতি এবং টেপা পুতুলের বিশাল আকৃতির ভাস্কর্য তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এগুলোর কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে। এখন তাতে কাগজ লাগিয়ে রং করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন পশু-পাখির আদলের মুখোশ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্য বাঘের মুখাবয়ব, প্যাঁচা, ফল এবং রাজা-রানিসহ একাধিক মুখোশ তৈরি করা হয়েছে। রঙিন কাগজের ওপর বিভিন্ন নকশা এঁকে তৈরি করা হচ্ছে এসব মুখোশ। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবারই প্রবীণতম ব্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পালন করে। তবে তাদের সঙ্গে অন্যান্য ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীরাও কাজ করছেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার আগ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে। যেহেতু সময় কম, তাই কষ্ট একটু বেশি হচ্ছে, এরপরও কাজটি বেশ উপভোগ করছেন তারা। এবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শোভাযাত্রার আগমুহূর্ত পর্যন্ত প্রস্তুতি চলবে। ঢাকায় যেসব শিক্ষার্থী রয়েছেন, তাদের নিয়েই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন এবারের শোভাযাত্রাও বড় পরিসরে করা যায়। গত ২১ মার্চ বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার এ প্রস্তুতি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিল্পী হাশেম খান। এ বছর কবি জীবনানন্দ দাশের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ চরণটিকে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

নানা আয়োজনে নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় করে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করবেন বাঙালিরা। বৈশাখের আগমন উপলক্ষে সর্বত্র চলছে প্রস্তুতি। নগর কিংবা গ্রামে পয়লা বৈশাখে বসবে বৈশাখী মেলা। মেলায় ক্রেতাদের জন্য রাখা হয় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী কারুপণ্য। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা পাওয়া যাবে মেলায়। এ উপলক্ষে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন বর্ণিল সব মাটির জিনিসপত্র বানাতে। রাজধানীর রমনা বটমূলে প্রতি বছরের মতোই গান, কবিতা ও নানা আয়োজনে নববর্ষকে বরণ করবে ছায়ানট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে।থাকবে শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা আয়োজন। ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের প্রতিপাদ্য ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’। এই অনুষ্ঠান ঘিরে এখন চলছে মঞ্চ তৈরিসহ চূড়ান্ত প্রস্তুতি। রমনা পার্ক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানস্থলের সীমারেখা টানা হচ্ছে। বৈশাখের আয়োজন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে গোটা এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। অন্যদিকে ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে প্রায় দেড়শ শিল্পীকে নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত মহড়া চলছে। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, পহেলা বৈশাখের আগের দিন মঞ্চে শিল্পীরা চূড়ান্ত মহড়ার অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি। পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। সেখানে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। বর্তমান বা সাবেক শিক্ষার্থীরা যে যখন সময় পাচ্ছেন, প্রাণের টানে ছুটে আসছেন মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আহ্বায়ক সাদিত সাদমান বলেন, বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তৈরি করা হচ্ছে মুখোশ, পুতুল, চাকাসহ দেশি ঐতিহ্যের বিভিন্ন প্রতীক। শিক্ষার্থীরা রংতুলি, কাগজ, বাঁশ, বেত, চাটাই নিয়ে কাজ করছেন ভাগে ভাগে। মঙ্গল শোভাযাত্রার পোস্টার তৈরির জন্য যে কর্মশালা আয়োজিত হয়েছিল, তা থেকে ৪০ জন শিল্পীর আঁকা পোস্টার নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী হবে শনিবার দুপুরে। চারুকলা অনুষদে এই আয়োজনের উদ্বোধনের পর মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলবেন অতিথিরা। বর্ষবরণের আগের দিন শনিবার চারুকলায় রয়েছে লোকগানের  তিনি আরও জানান, কাঠামোর পাশাপাশি এবার মুখোশ, বড় মুখোশ, গাজীর পটের দুটি চিত্র বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে থাকবে। এবারের শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য আনা হয়েছে মোটিফ ও কালারের মাধ্যমে।পরিবেশনা। এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলায় জেলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার তাদের পহেলা বৈশাখের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হবে যশোরে। এ ছাড়া খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নেত্রকোনা, বরিশালে নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘ছায়ানটের বর্ষবরণ সফল করতে আমরাও সহযোগিতা করছি। বর্ষবরণে উদীচী কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষ আয়োজনের নিরাপত্তা সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য। বর্ষবরণ প্রস্তুতির শুরু থেকেই এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমনা পার্কে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও আমরা মনিটরিং করব। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩

ঈদের প্রস্তুতি অনেক আগেই নিয়েছিলেন জিম্মি ২৩ নাবিক
জাহাজের ডকে একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা। এসময় তারা নতুন পোষাকে ছিলেন। খাবারেও ছিল ঈদ আয়োজন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় নামাজ আদায়ের পর একসঙ্গে ছবিও তুলেছেন তারা। এক জিম্মি নাবিকের পরিবার জানিয়েছে, নামাজের পরে তারা কোলাকুলি করেন এবং পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তারা পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনাম চৌধুরী বলেন, সব নাবিক জাহাজের ওপর ডেকে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ঈদের নতুন পোশাক অর্থাৎ পায়জামা-পাঞ্জাবি ও টুপি পরেছেন তারা। নামাজ পড়ার পর জাহাজের ওপর একসঙ্গে ছবি তুলেছেন। এ রকম একটি ছবি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। ছবিতে ২২ নাবিককে দেখা যাচ্ছে। আরেকজন ছবি তুলেছেন। তারা ২৩ জনই সুস্থ এবং ভালো আছেন। জানা গেছে, জিম্মি জাহাজটি এখন সোমালীয় জলসীমায় অবস্থান করছে। বুধবার সোমালিয়াসহ ওই অঞ্চলটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এদিন নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে আসার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এক নাবিকের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ফোন করেছিলেন। সকালে জাহাজের নাবিকরা দস্যুদের কাছে নামাজের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে দস্যুরা ঈদের নামাজ পড়তে দেয়। তারা জাহাজের ডেকে নামাজ আদায় করেন এবং এ সময় ভারী অস্ত্রসহ জলদস্যুরা পাহারা দেয়। তবে তাদের দলীয় ছবি এবং কয়েকজন নাবিকের ভিক্টর প্রদর্শন দেখে নেটিজেনরা নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকে। এ বিষয়ে এম আনাম চৌধুরী বলেন, জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হামরাহে যাচ্ছিল। ফিরতে দীর্ঘ সময় লাগবে ভেবে নাবিকরা ঈদের জামা-কাপড় জাহাজে উঠার সময় সঙ্গে নিয়ে গেছেন। কারণ সমুদ্রপথে নাবিকদের কোনও না কোনও দেশে ঈদ করতে হতো। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, তারা গত ২৭ মার্চ থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। সবশেষ বুধবার ঈদের দিন জাহাজের ডকে তাদের একসঙ্গে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করে সৌমালি দস্যুরা। তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। ফিরিয়ে আনতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় অগ্রগতি আছে। আশা করছি যেকোনও দিন নাবিকরা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরবেন।  এদিকে বুধবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে হাইজ্যাক করে সোমালীয় দস্যুরা। এরপর জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করে ২০ মার্চ। এর আগে ১৬ মার্চ রাত ৮টায় ওই জাহাজের এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলাপ হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জলদস্যুরা এখন নিয়মিত পরিবার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে জিম্মি নাবিকদের আলাপ করতে দিচ্ছে। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি জাহান মণি ২৬ নাবিকসহ সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সেবার প্রায় চার মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই এমভি জাহান মণির জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ ইদ্রিসও। তিনি বলেন, তাদের ক্ষেত্রে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পর হেলিকপ্টার থেকে দুটি পানিরোধী কার্টনে মুক্তিপণের অর্থ সাগরে ফেলা হয়েছিল। দস্যুরা নৌযান নিয়ে গিয়ে প্যাকেট দুটি জাহাজে তুলে আনে। দাবিকৃত অর্থ বুঝে পেয়ে পরদিনই ভোরে জাহাজটি থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ আবার চলতে শুরু করে দেশের পথে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৬

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ
ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে সোমবার বৈঠক করেন দেশটির স্বাস্থ্যসচিব। সেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা, সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, সেচ, পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ‍সূত্র- আনন্দবাজার। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নির্দেশ দেন, প্রতিটি জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা এবং চিকিৎসার পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে কি না, তা দেখেতে। মশাবাহিত ওই রোগ প্রতিরোধে যেসব প্রশিক্ষণ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত শুরু করতে। পাশাপাশি, সেচ দপ্তরকে রাজ্যের প্রতিটি খালের দিকে নজর রাখতে। যাতে কোথাও পানির প্রবাহ থমকে না যায়। মশা রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৪০ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ৮১৩ জনের পজিটিভ এসেছে। গত বছর এই সময়ে (১৪ সপ্তাহ) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০১৭। পরীক্ষা হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা দেখে আপাতত স্বস্তি মিললেও এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি জানিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না, এ বারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম কি না। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই তিন মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বেশি হয়, তা হলে সমস্যা বাড়বে বলে ধারণা করছে তারা। গত বছর পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ১ হাজার ৭৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও ডেঙ্গুর ওপরে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩

বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুস্মিতা সেন
বলিউড অভিনেত্রী  সুস্মিতা সেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিশ্বজোড়া খ্যাতির অধিকারিণী তিনি। বলিউডে অভিষেক তার ঠিক দুই বছর পর। ১৯৯৬ সালে ‘দস্তক’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক। তার পর ‘বিবি নম্বর ওয়ান’, ‘সির্ফ তুম’, ‘ফিজা’, ‘আঁখে’, ‘ম্যায় হু না’-র মতো অসংখ্য ফিল্মে অভিনয় করেছেন।  এই নায়িকার ব্যক্তিত্বের জন্য যতটা আলোচিত হয়েছেন, ততটাই চর্চিত ব্যক্তিগত জীবনের জন্য। বলা ভালো তার প্রেমজীবন নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। তবু কোনো দিনই কোনো কিছু লুকিয়ে করায় বিশ্বাসী নন সুস্মিতা সেন। কখনো রণদীপ হুডা, কখনো মুম্বাইয়ের রেস্তোরাঁ মালিক হৃতিক ভাসিন, কখনো পরিচালক বিক্রম ভাট, আবার কখনো ললিত মোদী, আবার কখনো বয়সে অনেক ছোট রোহমান শলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার। বয়স তার পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। তবু ঘর বাঁধা হয়নি। এই মুহূর্তে দুই মেয়ে রেনে ও আলিশাকে নিয়ে তার সংসার। সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন প্রেমিক রোহমনও। এবার সুস্মিতা জানিলেন, বিয়ে করবেন তিনি। মুখ খুললেন তার প্রাক্তনদের নিয়েও। বছর খানেক আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসার পরে নতুন করে নিজের জীবন ফিরে পেয়েছেন। সেই সঙ্গে জীবনে ফিরে এসেছে পুরনো প্রেমও। তিনি রোহমান। এই মুহূর্তে একসঙ্গেই আছেন তারা। তবে সম্পর্কে আছেন কি না, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সুস্মিতা জানান, প্রাক্তনদের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্কই রয়েছে তার। শুধু তাই নয়, তিনি কৃতজ্ঞ জীবনে এমন কিছু বন্ধু পেয়ে। তিনি স্বীকার করেন, যেকোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর বন্ধুত্ব থাকতেই পারে। তবে সেটারও নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। রোহমন তার জীবনে ফিরে আসায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তবে কি প্রাক্তন প্রেমিকেই থিতু হবেন অভিনেত্রী? সেই সময় শুধুই জানান, বিয়েতে তার অনীহা নেই। তবে এবার সুস্মিতা জানান, তিনি বিয়ে করবেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, বিয়ে করার জন্য আমি কখনোই সামাজিক চাপ অথবা বয়সের তোয়াক্কা করি না। তবে বিয়ে করার ইচ্ছে আছে। কিন্তু জীবনে সেই সঠিক মানুষটাকে আসতে হবে। যেদিন এমন কোনো পুরুষ জীবনে আসবে, যাকে দেখে মনে হবে একেই বিয়ে করা যায়, কিংবা আমার যে চাহিদার তালিকা রয়েছে সেগুলো মিলে গেলেই বিয়ে করবে নেব। তার আগে এই বেশ ভালো আছি।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩

জিম্মি জাহাজ উদ্ধারে প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। সোমবার (১৮ মার্চ) পান্টল্যান্ডের আঞ্চলিক পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড থেকে অক্ষত অবস্থায় ১৭ জন ক্রুসহ সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে মুক্ত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এর আগে বেশ কয়েকটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে ভারতের বাহিনীটি। তবে রয়টার্স তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি জাহাজটি দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে ৩৫ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালি জলদস্যুরা। সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দস্যুদের পক্ষ থেকে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। এ যাবত ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৪

রোজার প্রস্তুতি ও করণীয়
পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য বিশেষ উপহার। রমজানে জীবনের গুনাহসমূহ ক্ষমা করিয়ে জান্নাতি করে তোলার চমৎকার সুযোগ। রমজান আসার আগে রমজানকে পাবার জন্য মু’মিনের হৃদয় ব্যাকুল থাকে। আবার রমজান শেষ হয়ে আসলে মুমিনের হৃদয়ে ইমানী ব্যথা অনুভূত হয়। মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। রুটিন করে ইবাদতসহ সময়ের কাজ সময়ে করার গুরুত্ব অনেক। কেননা যে কোনো কাজ পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে করলে তা সুন্দর ও সফল হয়। তাই রোজার মাসে করতে হবে পূর্বপরিকল্পনা এবং নিতে হবে প্রস্তুতি। দোয়া করা : রোজার মাসের প্রস্তুতি হিসেবে মহানবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মুসনাদে আহমদ)। রমজান মাসে সকলে কেই তাই নিজের জন্য পরিবারের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে। রমজান মাসে রোজাদারের দোয়া আল্লাহ সহজে কবুল করেন। জামাতে নামাজ আদায় করা : জামাতে নামাজ আদায় করলে তাকে দুটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং দুই. মুনাফেকি থেকে মুক্তি।  তাই রমজানে জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। জামাতে নামাজ আদায় করলে আত্মার শান্তি মেলে। মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সমাজের ছোট বড় অনেকের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়। এতে সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়। নফল নামাজ : ফরজ নামাজের পাশাপাশি রমজান মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে হবে। রমজানে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে, যাতে রমজানে ইশারায়, চাশত, তারাবি এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ভালোভাবে আদায় করা যায়। নবী (সা.) বলেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল। (বায়হাকি) কোরআন তিলাওয়াত : রোজার মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। রমজানে কোরআন তিলাওয়াতে ফজিলত অনেক। তাই রমজানে কোরআন তিলাওয়াতে মনোযোগী হতে হবে। কোরআনে আছে ,রমজান মাস, এতে মানুষের পথপ্রদর্শক ও সৎ পথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মীমাংসারূপে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে-কেউ এ-মাস পাবে, সে যেন এ-মাসে অবশ্যই রোজা রাখে। আর যে রোগী বা মুসাফির তাকে অন্য দিনে এ-সংখ্যা পূরণ করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, যাতে তোমরা নির্ধারিত দিন পূর্ণ করতে পার ও তোমাদেরকে সৎ পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে পার, আর তোমরা কৃতজ্ঞ হলেও হতে পার। (সুরা বাকারা: ১৮৫) দান-সদকা : রমজানে দরিদ্র অসহায় লোকদের দান-সদকা করার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু টাকা পৃথক করে রাখা উচিত। নবী (সা.) রমজানে অধিক পরিমাণে দান করতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীর সব মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরও প্রসারিত হতো। (বুখারি) গুনাহের কাজ না করা : পবিত্র রমজান মাসে সব ধরনের গুনাহ মাফ করা হয়। রোজা রাখার পাশাপাশি এ মাসে গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। মিথ্যা বলা, চোখের জেনা, পরকীয়া, পরনিন্দাসহ সব ধরনের গুনাহ থেকে বিরত থাকা বাঞ্চনীয়। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৮

যে ১২ আমলে রমজানের প্রস্তুতি নেবেন
রোজা ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভ। রমজানের পূর্বাভাস নিয়ে হাজির হওয়া শাবান মাস ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে সমাপ্তির দিকে। ক্ষমার মহান বারতা নিয়ে সমহিমায় হাজির হচ্ছে পবিত্র রমজান। মুমিনের হৃদয়মাত্রই প্রহর গুনছে রমজানের একফালি চাঁদের জন্য। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়, তেমনি সব পাপ ছেড়ে দিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে নতুন করে সাজানোর সুযোগও এনে দেয় রমজান। এ মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদত রোজা পালন করেন। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) হতে পারো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। রমজানের প্রস্তুতি উপলক্ষে জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, মুক্তির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হতে চলেছে মাহে রমজান। এ মাসের প্রস্তুতি হিসেবে আজই শুরু করে দিন ১২টি কাজ। কাজগুলো হলো— ১. বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করা। ২. রমজানের ফজিলত ও মাসায়েল জানা চেষ্টা করা। ৩. মাগফিরাত ও নাজাত লাভে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। ৪. পূর্বের কাজা রোজা থাকলে সেগুলো আদায় করা। ৫. সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করা। ৬. অন্তরকে হিংসা-বিদ্বেষ ও শিরক থেকে পরিচ্ছন্ন করুন। ৭. গত রমজানের ভুলগুলোকে চিহ্নিত করুন। ৮. রমজান মাসের আমলগুলো রিহার্সাল করুন। ৯. পুরো রমজান মাসের সময়সূচি নির্ধারণ করুন। ১০. শাবান মাসের শেষ দিনে রমজানের চাঁদ দেখার চেষ্টা করুন। ১১. আল্লাহ তায়ালার কাছে তৌফিক কামান করুন। ১২. বেশি বেশি নফল রোজা রাখুন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়