• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী
সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ডিএমপি জানায়, ঢাকা মহানগরীর সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ডিএমপির তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধান বিচারপতি, সংসদ সদস্য, কুটনীতিকবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সবস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের প্রশংসা করেন। গণভবনে প্রায় পাঁচ হাজার অতিথি আসেন। আগত অতিথিদের গমনাগমন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৮

প্রশংসা কুড়াচ্ছে ‘গোশত সমিতি’
ঈদের আগমুহূর্তে অস্থির হয়ে উঠেছে মাংসের বাজার। সারাদেশে গরুর মাংসের দাম কেজিতে কোথাও ৩০, কোথাও ৫০ টাকা বেড়েছে। ফলে নিম্নবিত্তদের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে গরুর মাংস। নিম্ন-মধ্যবিত্তও পড়ছেন দুচিন্তাই। তবে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার আশার আলো ব্যতিক্রমী ‘গোশত সমিতি’।  স্থানীয়দের ভাষায় এই সমিতির নাম ‘গোশত বা মাংস সমিতি’। অনেকের কাছে ‘গরু সমিতি’ নামেও পরিচিত। উপজেলার ধল্লা ইউনিয়ন ছাড়াও জয়মন্টপ, জামির্ত্তা, চান্দহর, বায়রা, তালেবপুর, শায়েস্তা, চারিগ্রাম, জামশা ও সিংগাইর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের আরও অনেক সমিতি গড়ে উঠেছে। জানা গেছে, সিংগাইরে গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ৩০ থেকে ১০০ জন মিলে গঠিত হয় মাংসের সমিতি। প্রতিবছর বাড়ছে মাংস সমিতির সংখ্যা। আগের বছর ঈদের পরপরই গঠিত হয় এ সমিতি। এতে অন্তর্ভুক্ত প্রতিজন সদস্য মাসে মাসে সমিতিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখেন। ঈদের আগে জমাকৃত অর্থ দিয়ে পশু কেনা হয়। শবেকদরের দিন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই পশু জবাই করে গোশত সমিতির প্রত্যেক সদস্যকে ভাগ করে দেওয়া হয়। এতে ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর আর্থিক চাপ যেমন কমে, তেমনি ঈদের আগে সবাই বাড়তি আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। বর্তমানে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মাংস বা গোশত সমিতি। ভ্যান চালক উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মো. টোকন শেখ। পরিবারের সব খরচ মিলিয়ে তাকে অনেকটা নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থায় সংসার চালাতে হয়। ঈদ এলে পোশাকসহ সব কেনাকেটা শেষে একদমই খালি হাত এরই মধ্যে আদরের সন্তানদের বায়না থাকে ঈদের দিন গোশত খাওয়ার। ঈদের দিনে সন্তানদের গোশত খাওয়ানোর ইচ্ছা থাকলেও সাধ্যে কুলায় না। এ কারণে গত দুই বছর যাবৎ নয়াপাড়া ‘গোশত সমিতির সদস্য হয়েছেন। নয়াপাড়া গোশত সমিতির মূল উদ্যোক্তা মো. সারোয়ার হোসেন জানান, এবার সমিতির ৬৩ জন সদস্য প্রতিমাসে ২০০ টাকা করে অর্থ জমা রেখেছেন। এরই মধ্যে গরু কেনা হয়েছে, আগামিকাল কিংবা পরের দিন জাবাই করে মাংস সমিতির সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাজার দরের চেয়ে অনেক কম দামে এবং এক সাথে বেশি পরিমাণ গোশত পেয়ে প্রত্যেকেই খুব খুশি হবেন আশা করি। শবেকদরের দিন থেকে শুরু হয় সমিতির পশু জবাইয়ের কাজ। চলে ঈদের দিন পর্যন্ত। এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, এটা খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। সকল শ্রেণির লোকজনের অংশগ্রহণে এ ধরনের গোশত সমিতি সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে সকলের মধ্যে ঈদের আনন্দটাও অনেক বাড়িয়ে দেয়। 
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১০

কোরআনে যেসব নারীর প্রশংসা করা হয়েছে
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা কয়েকজন নারীর প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের মা মারিয়াম বিনতে ইমরান কেই পবিত্র কোরআনে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে; অন্যদেরকে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্কের সূত্রে সম্বোধন করা হয়েছে। তাদের ভিতর ৫ জনের সম্পর্কে জানানো হলো।  মারিয়াম বিনতে ইমরান হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের মা মারিয়াম বিনতে ইমরান। যিনি ঈমান ও সৎকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে মহান মর্যাদার অধিকারিণী হন।  পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,  ضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا لِّلَّذِیۡنَ کَفَرُوا امۡرَاَتَ نُوۡحٍ وَّامۡرَاَتَ لُوۡطٍ ؕ کَانَتَا تَحۡتَ عَبۡدَیۡنِ مِنۡ عِبَادِنَا صَالِحَیۡنِ فَخَانَتٰہُمَا فَلَمۡ یُغۡنِیَا عَنۡہُمَا مِنَ اللّٰہِ شَیۡئًا وَّقِیۡلَ ادۡخُلَا النَّارَ مَعَ الدّٰخِلِیۡنَ ١۰ وَضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا امۡرَاَتَ فِرۡعَوۡنَ ۘ  اِذۡ قَالَتۡ رَبِّ ابۡنِ لِیۡ عِنۡدَکَ بَیۡتًا فِی الۡجَنَّۃِ وَنَجِّنِیۡ مِنۡ فِرۡعَوۡنَ وَعَمَلِہٖ وَنَجِّنِیۡ مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ۙ ١١ وَمَرۡیَمَ ابۡنَتَ عِمۡرٰنَ الَّتِیۡۤ اَحۡصَنَتۡ فَرۡجَہَا فَنَفَخۡنَا فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِنَا وَصَدَّقَتۡ بِکَلِمٰتِ رَبِّہَا وَکُتُبِہٖ وَکَانَتۡ مِنَ الۡقٰنِتِیۡنَ ٪ ١٢ যারা কুফরি করে, আল্লাহ্‌ তাদের জন্য দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন নূহের স্ত্রী ও লুতের স্ত্রীর, তারা ছিল আমার বান্দাদের মধ্যে দুই সৎকর্মপরায়ণ বান্দার অধীন। কিন্তু তারা তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। ফলে নূহ ও লুত তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি হতে রক্ষা করতে পারলেন না এবং তাদেরকে বলা হল, তোমরা উভয়ে প্রবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ কর। আর যারা ঈমান আনে তাদের ব্যাপারে আল্লাহ ফেরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন। সে প্রার্থনা করেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমার জন্য তোমার নিকট জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও আর আমাকে তুমি ফেরাউন ও তার (অন্যায়) কার্যকলাপ থেকে রক্ষা কর, উদ্ধার কর আমাকে যালিম সম্প্রদায় থেকে।’ (আল্লাহ আরও উদাহরণ পেশ করেন) ইমরান কন্যা মারয়াম-এর, যে নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তাতে আমার রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছিলাম। আর সে তার রবের বাণীসমূহ ও তার কিতাবসমূহের সত্যতা স্বীকার করেছিল এবং সে ছিল অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। (সূরা তাহরিম, (৬৬), আয়াত, ১০-১২) আসিয়া বিনতে মুযাহিম তাদের মধ্যে একজন নিজেকে খোদা ঘোষণা করা দাম্ভিক সম্রাট ফেরাউনের পুণ্যশীলা স্ত্রী আসিয়া বিনতে মুযাহিম। যিনি মূসা আলাইহিস সালামের দাওয়াতে সাড়া দিয়ে আল্লাহর ওপর নিজের ঈমান এনেছিলেন। যার কারণে ফেরাউন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। আর এ শাস্তি তিনি হাসতে হাসতে বরণ করে নেন। কোন কোন রেওয়ায়াত অনুসারে আল্লাহ পাক দুনিয়াতেই তাকে জান্নাতের গৃহ প্রদর্শন করেছেন।  ঈমানের প্রশ্নে একজন নারী হয়েও কী করে অত্যাচারী বাদশাহ'র সামনে দৃঢ় থাকা যায় আছিয়া (আ.) এর জীবনী তার উত্তম দৃষ্টান্ত। তার জীবনী থেকে পৃথিবীর সকল নারীর জন্য রয়েছে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজের সুখ-শান্তি বিসর্জন দেওয়ার এক সুমহান শিক্ষা। আছিয়া (আ.) কে পবিত্র কুরআনের ২৮ নং সূরার ৭ থেকে ৯ নং আয়াত ও ৬৬ নং সূরার ১১ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। হাওয়া (আ.) সমগ্র মানবজাতির মা হাওয়া (আ.) কে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি ছিলেন পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আ.) এর স্ত্রী। হাওয়া (আ.) এর জীবন থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে বেশি বেশি আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা প্রার্থনা করা। একজন মুমিন আর কাফেরের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো মুমিন সর্বদা আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা প্রার্থনা করে ও তাঁর দয়া চায়। আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) এর জীবনী আল্লাহ তায়ালার অনুপম ক্ষমাশীলতা ও সীমাহীন দয়াশীলতার প্রমাণ বহন করে। হাওয়া (আ.) কে পবিত্র কুরআনের ৭ নং সূরার ২৩, ২৭ ও ১৮৯ নং আয়াতে, ৩৬ নং সূরার ৬ নং আয়াতে, ৩০ নং সূরার ২০ নং আয়াতে এবং ৪ নং সূরার ১ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। উম্মে মূসা (আ.) উম্মে মূসা (আ.) মানে হলো মূসা (আ.) এর মা। তিনি মিসরে ফিরআউনের রাজত্বকালে মূসা (আ.) কে জন্ম দেন যখন ফিরআউন মিসরে জন্ম নেওয়া সকল পুং নবজাতককে হত্যা করার আদেশ জারি করেছিলো। তিনি আল্লাহ তায়ালার আদেশে শিশু মূসা (আ.) কে দরিয়ায় ভাসিয়ে দেন; এবং আল্লাহ তায়ালা পরবর্তীতে তাকে পুনরায় তার মায়ের সাথে মিলিয়ে দেন। উম্মে মূসা (আ.) আল্লাহ তায়ালার উপর অবিচল আস্থা স্থাপনের দিক থেকে পৃথিবীর সকল নারীর জন্য এক মহান আদর্শ। তার জীবন থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, তৎক্ষণাৎ বুঝে না আসলেও সবসময় আল্লাহ তা'য়ালার পরিকল্পনা মেনে নেওয়া ও তাঁর রহমতের আশা রাখা। উম্মে মূসা (আ.) কে পবিত্র কুরআনের ২০ নং সূরার ৩৭ থেকে ৪০ নং আয়াতে ও ২৮ নং সূরার ৭ থেকে ১৩ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। মূসা (আ.) এর স্ত্রী মূসা (আ.) এর স্ত্রী ছিলেন একজন বুদ্ধিমতী নারী। তিনি জানতেন কী করে একজন অপরিচিত পুরুষের সাথে রক্ষণশীল আচরণ করা যায়। সেসময় মূসা (আ.) একেবারে নিঃস্ব থাকা সত্ত্বেও তিনি তাকে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান যুবক হিসেবে বিবাহ করতে রাজি হয়ে যান। পৃথিবীর সকল নারীর জন্য তার জীবনী থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষাটি হলো, স্বামী হিসেবে একজন পুরুষের চারিত্রিক গুণাবলীকে প্রাধান্য দিতে হয়, তার ধন-সম্পদকে নয়। অপরিচিত পুরুষের সাথে রক্ষণশীল আচরণ করে কী করে নিজের মর্যাদা রক্ষা করা যায় - এটাও তার জীবনীর একটি অন্যতম শিক্ষা। মূসা (আ.) এর স্ত্রীকে পবিত্র কুরআনের ২৮ নং সূরার ২২ থেকে ২৮ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৮

সেলুন পাঠাগার, বইপ্রেমী জামালের প্রশংসা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে
লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত এলাকার তরুণ জামাল হোসেন। যার 'সেলুন লাইব্রেরি' করার অনন্য উদ্যোগের প্রশংসা ছড়িয়ে গেছে দেশের সীমা পেরিয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলে। যার হাত ধরে সারাদেশে ৫০ টি স্থায়ী পাঠাগার এবং দেশের ৬৪ টি জেলায় গড়ে উঠেছে ১ হাজার ২৩৪ টি সেলুন লাইব্রেরি। স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন দেশি-বিদেশি সম্মাননা, পুরস্কার। জামাল হোসেনের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের এক অজপাড়াগাঁয়ে। পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কবি নজরুল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষে। শৈশব থেকে বইয়ের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তার। স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে মাটির ব্যাংকে জমিয়ে সেই টাকা দিয়ে বই কিনে নিজ বাড়িতে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শুরু করেন গ্রামে গ্রামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার কাজ। জামাল হোসেনের মতে, জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বই পড়ার বিকল্প কিছু নেই। তাছাড়া সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এবং সমাজের কল্যাণে আত্মনিয়োগের জন্য বই পড়াই হতে পারে মোক্ষম হাতিয়ার। সেই চিন্তা থেকে ২০১৬ সালে নিজ গ্রামের বাইরে প্রথম তিনি পাঠাগার প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালে খারুভাজ গ্রামে আরেকটি লাইব্রেরি গড়ে তোলেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি জামাল। একে একে সারাদেশের ১৮ টি জেলায় গড়ে তোলেন ৫০ টি লাইব্রেরি। যার ২৭ টি নিজ জেলা লালমনিরহাটের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে। এসব লাইব্রেরির প্রতিটিতে রয়েছে সাত শত থেকে সাড়ে তিন হাজার বই। জামাল আরও জানান, প্রথমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরাতন বই সংগ্রহ করে, এরপর যেসব প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে বই পাওয়া যায় সেসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এসব বই তিনি সংগ্রহ করেছেন। পাঠকের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় জামাল ছুটে যান বিভিন্ন শিক্ষক, লেখক, গবেষকদের কাছে। জামালের হাতে প্রতিষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে বড় যুব নেটওয়ার্ক 'যুব ফোরাম', যেখানে প্রায় দশ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী সদস্য বই সংগ্রহের কাজ করছেন; সেইসব স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে একের পর এক এসব লাইব্রেরি। ২০১৬ সালে জামালের আসে প্রথম সেলুন লাইব্রেরির ধারণা। কথা বলেন সেলুন মালিকদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। তারাও রাজি হন সেলুনে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে। এরপর গোটা জেলার ৫০ টি সেলুনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন অস্থায়ী পাঠাগার। সেলুনে বই পড়ার সুযোগ ব্যাপক সাড়া ফেলে পাঠকদের মাঝে। সেলুন পাঠাগার গড়ার মহতী উদ্যোগের বিষয়টি সেসময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে নজরে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন, মুজিবশতবর্ষে সারা দেশে সেলুন লাইব্রেরী স্থাপনের। পরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সারা দেশে ৫০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে লালমনিরহাটসহ ১৮ জেলায় ১০০ সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। বাকিগুলো চালুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতিটি সেলুন লাইব্রেরীতে ১৭টি করে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর বই পেয়ে পাঠক সমাজ খুবই খুশি। বর্তমানে জামালের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় সারা দেশের ৬৪টি জেলায় ১ হাজার ২৩৪টি সেলুন লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। জামাল নিজে দেশের ৫৬ টি জেলায় ভ্রমণ করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন সেলুন লাইব্রেরী গড়ে তোলার ব্যাপারে। তার পরিচালনায় সারা দেশে বর্তমানে ৭৫৬টি স্বেচ্ছাসেবামূলক সামাজিক সংগঠনে প্রায় দশ লাখ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। জেলা শহরের সেলুন ব্যবসায়ী নরসুন্দর বিপুল শীল বলেন, চুল-দাড়ি কাটাতে লম্বা সিরিয়াল দেখে অনেক কাস্টমার চলে যেতেন। এখন দোকানে লাইব্রেরি স্থাপন করায় কাস্টমার বই পড়ে সময় কাটায়। এদিকে তার প্রতিষ্ঠিত প্রথম লাইব্রেরীটির আধুনিকায়ন করতে নিজস্ব জমির প্রয়োজন হয়। বাবাকে বুঝিয়ে লাইব্রেরীর নামে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে নেন জামাল। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গড়েছেন সেই আধুনিক লাইব্রেরীর ভিত্তি ও দেয়াল। কিন্তু অর্থ সংকটে মাঝ পথেই থেমে আছে তার কাজ। আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য হরিপদ রায় পাঠাগার সম্পর্কে বলেন, লাইব্রেরি গড়ে উঠে শহর এলাকায়। কিন্তু এলাকার যুবক জামাল গ্রামে লাইব্রেরি করে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। তারা নিয়মিত পাঠাগারে আসছেন বই পড়ছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে লাইব্রেরী স্থাপন করায় এলাকার লোকজন বই পড়ার ওপর আগ্রহী হয়ে উঠছে। জামালের এই অনন্য উদ্যোগ দেখতে এসেছিলেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রমেশ সিং সহ দেশি-বিদেশী অনেক পর্যটক। জামাল জানান, রমেশ সিং সারাবিশ্বে বইপড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে একটা কনসেপ্টের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। শুধু বই পড়া নয় নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদান রেখে চলেছে তার সংগঠনের সদস্যরা।   কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ভিএসও গ্লোবাল ভলান্টিয়ারিং ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার অ্যাওয়াড-২০২২, কবি জীবনানন্দ সম্মাননা ও অসীম সাহা সম্মাননা পেয়েছেন জামাল। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে পাঠাগার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন জামাল। তার মতে, জনসংখ্যা অনুযায়ী দেশে ষাট হাজার লাইব্রেরী প্রয়োজন। এই বিপুল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি জ্ঞানপিপাসু, সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬

সাকিবের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন তামিম
গত বিশ্বকাপে দল থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও নাম সরিয়ে নিয়েছেন এই টাইগার ড্যাশিং ওপেনার। তবে বিপিএলের দশম আসরে দুর্দান্ত পারফরম করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক এবং টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন তামিম। সেই সঙ্গে আসরের সর্বোচ্চ রান করেছেন তিনি। ১৫ ম্যাচে ৩৫ গড়ে ৪৯২ রান করেছেন দেশ সেরা এই ব্যাটার। দেশের ক্রিকেটে বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের মধ্যকার দ্বৈরথ। দীর্ঘদিন ধরেই একসঙ্গে জাতীয় দলে খেলছেন না দেশসেরা এই দুই ক্রিকেটার। এবারের বিপিএলে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে দুজনের শরীরী অভিব্যক্তিও ছিল দৃষ্টিকটু। নিজের বলে তামিম আউট হ‌ওয়ার পর সাকিবের উচ্ছ্বাস ও সাকিব আউট হ‌ওয়ার পর তামিমের একটু ভিন্ন উচ্ছ্বাস প্রকাশ, সব মিলিয়ে বিষয়গুলো বেশ অন্য রকমই ছিল। তবে তাদের মধ্যে যাই থাকুক না কেন শুক্রবার (১ মার্চ) বিপিএল ফাইনালের পর তামিমের কথা শুনে মনে হলো ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের প্রতি তামিমের শ্রদ্ধা ঠিকই অটুট। ম্যাচ শেষে আলাদাভাবে সাকিবের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন তামিম। এদিন সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কাছে প্রশ্ন করা হয় ‘বিপিএলে কার কার পারফরমেন্স তার নজর কেড়েছে?’ উত্তরে সাকিব আল হাসানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তামিম। তিনি বলেন, শুরুতে একটু সমস্যা হলেও এবারের বিপিএলে সাকিব দারুণ খেলেছে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে সে ঠিক নিজেকে খুঁজে পেয়েছে। ব্যাট ও বল হাতে সাকিবের পারফরমেন্সটা ছিল বেশ ভাল।  
০২ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৬

বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা ডব্লিউএফপি নির্বাহী পরিচালকের 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গত ১৫ বছরে অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুল থেকে ঝরে পড়া হ্রাস এবং জলবায়ু বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা তৈরিতে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।  গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউএফপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।   এসময় ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামকে লেটার অব কমিশন উপস্থাপনকালে ডব্লিউএফপিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেন ডব্লিউএফপি প্রধান। এছাড়া তিনি মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিধন ও গণহত্যার কারণে মিয়ানমার ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মনিরুল ইসলাম কমিশন গ্রহণ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার উপলব্ধি বিনিময়ের জন্য ম্যাককেইনকে ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কার্যক্রম বহুমাত্রিক, দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত কার্যকর উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ডব্লিউএফপি প্রধানকে বাংলাদেশের স্কুল ফিডিং এবং রাইস ফর্টিফিকেশন প্রোগ্রামে আর্থিক ও পরিচালনাগত উভয় অবদান সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ডব্লিউএফপির অভূতপূর্ব সমর্থন ও ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, আশ্বাসযুক্ত ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে নির্বাহী বোর্ডের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত ২০২২-২০২৬ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান (সিএসপি) অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সিএসপি বাস্তবায়নে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউএফপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ২০৩০ সালের এজেন্ডা বাস্তবায়নে, বিশেষ করে এসডিজি-২ বাস্তবায়নে 'বিশ্বব্যাপী জীবন বাঁচানো ও পরিবর্তন করা'র ওপর নিবিড়ভাবে জোর দিয়ে বাংলাদেশ ও ডব্লিউএফপি উভয়ের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬

মাতৃভাষার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরায় অস্ট্রেলিয়ার প্রশংসা
মাতৃভাষার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) সরকারের মন্ত্রীসহ বহুভাষা ও সংস্কৃতির ব্যক্তিরা। এ উদ্যোগ সকল জাতির ভাষা, আত্মপরিচয় ও নিজস্ব সংস্কৃতির স্বীকৃতি লাভে সহায়ক হবে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বহু ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে আজ পালিত হয় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এসময় বাংলাদেশের হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, পৃথিবীর সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের ভাষা এখন ঝুঁকির সম্মুখীন। গত দুই শতাব্দীতে প্রায় দু’হাজার ভাষা বিলুপ্ত হয়েছে। যেকোনো ভাষার প্রতিটি শব্দ গভীর মর্মার্থ বহন করে। ভাষা হলো প্রতিটি জাতির সংস্কৃতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে ধরে রাখার মাধ্যম। যে কোন ভাষা বিলোপ হলে মানুষের অতীত স্মৃতি, সংগ্রামের ইতিহাস এবং আবিষ্কৃত নতুন প্রযুক্তিসহ সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক হারিয়ে যায়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার বিশ্বের প্রতিটি ভাষা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত দীর্ঘ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্ভীক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন তিনি। রাজধানী ক্যানবেরায় প্রভাত ফেরীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন এসিটি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী রেবেকা ভাসারতি, বহু সংস্কৃতি বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী পিটার কেইন, অস্ট্রেলিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. সিসো প্রামানোসহ কূটনৈতিক, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ভাষা-ভাষীদের প্রতিনিধি, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী ও অভিবাসীগণ এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। অংশগ্রহণকারীরা অস্থায়ী শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া এসিটি সরকারের পরিবেশ মন্ত্রী, ছায়ামন্ত্রী এবং অস্ট্রেলিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। সকাল ৮ টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এসময় দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। সন্ধ্যায় দেড় শতাধিক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হাইকমিশনারসহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা শেষে ভাষা শহিদদের স্মরণে ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে স্থানীয় বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া নিজ নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে মৌন প্রার্থনা এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৪

এবার শাকিবের প্রশংসা করে যা বললেন বুবলী
‘ফ্ল্যাশব্যাক’ দিয়ে টলিউডে অভিষেক হচ্ছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকা শবনম বুবলীর। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার টিজার। যেখানে কলকাতার অভিনেতা সৌরভ দাস, কৌশিক গাঙ্গুলি ও রজতাভ দত্তের সঙ্গে পর্দায় ঝড় তুলেছেন এই অভিনেত্রী।  এরপরই কলকাতার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বুবলী। যেখানে সিনেমা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাশাপাশি উঠে এসেছিল শাকিব খান প্রসঙ্গও। যে বিষয়েও কথা বলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আসলে ওনার শুভকামনা, ভালোবাসা সবসময়ই থাকে। কারণ, আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে তার হাত ধরে। শাকিব খানের মাধ্যমেই আমার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলা শুরু। তিনি অনেক কিছুই আমাকে দেখিয়েছেন শিখিয়েছেন। আমি টানা পাঁচ বছর তার সঙ্গেই তো কাজ করেছি, আর এখন তো পরিবারের অংশ। তাই সেখান থেকে শুভকামনা ও ভালোবাসা থাকে সবসময়। শাকিব খান সিনেমার পোস্টার আর টিজার দেখেছেন কি না, এমন প্রশ্নে বুবলী বললেন, টিজার তো মাত্রই রিলিজ হলো, তিনি পোস্টার দেখেছেন এবং ভীষণই পজিটিভ, তিনি কাজের ব্যাপারে সব সময় ইতিবাচক থাকেন।  এ সময় শাকিব খানের আসন্ন ‘দরদ’ সিনেমার পোস্টার দেখেছেন জানিয়ে বুবলী বলেন, আমিও তার দরদের পোস্টার দেখেছি, খুবই ভালো হয়েছে। আর এখন তো তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজকুমারের শুটিং করছেন। ব্যাক টু ব্যাক ভালো কাজ আসছে। তার জন্যও অনেক শুভকামনা। প্রসঙ্গত, ‘ফ্ল্যাশব্যাক’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন বাংলাদেশের খায়রুল বাসার নির্ঝর। কণ্ঠ দিয়েছেন ইমন চক্রবর্তী, সিদ্ধার্থ ও অমিত ব্যানার্জি। সংগীত পরিচালনা করেছেন সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজনা করেছেন কলকাতার নারায়ণ চ্যাটার্জি ও বাংলাদেশের কাজী জাফরিন। আগামী মে মাসে ছবিটি ঢাকা, কলকাতাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পাওয়ার কথা। 
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫

শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই প্রশংসা করেন। সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। একই সঙ্গে টানা চতুর্থ এবং সবমিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নারী ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা যে কাজ করছেন, সেটির সঙ্গেও সহমত পোষণ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে ভারত সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের রাজধানীতে পৌঁছান ড. হাছান মাহমুদ। তিন দিনের এই সরকারি সফরের সমাপ্তি দিনে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৪

উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের 
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন এবং ব্যবহারে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সর জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও। বুধবার (৭ ফেব্রুয়া‌রি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলামের আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ইফাদ প্রেসিডেন্ট এ প্রশংসা ক‌রেন। আলভারো ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু-স্মার্ট এগ্রিকালচার এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।  রাষ্ট্রদূত ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য ইফাদ প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদের প্রথম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন, যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।  এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন তিনি। ইতালির রোমে ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।  অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান ও ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়