• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না’
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁয় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের নবনির্মিত অফিস ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, সরকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করে। কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যেই জমিতে বিদ্যুতের সেচ সুবিধা পান। ফলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। এর আগে সকালে জয় ‘বাংলা স্লোগানকে’ মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা বলে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নওগাঁ জেলা প্রশাসন আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। ওই ভাষণে জাতির জন্য স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এটি এমন একটি ভাষণ যেখানে তিনি এক কথা দুইবার উচ্চারণ করেননি। অথচ সব দিকনির্দেশনা সেখানে ছিল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ দিতে বঙ্গবন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তখনকার অনেক কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনার বক্তৃতায় এটা বলবেন, ওটা বলবেন। কিন্তু বঙ্গমাতা জাতির পিতাকে বললেন, আপনি আপনার মনের কথা বলবেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি সেদিন বঙ্গবন্ধুর কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিল। তার নির্দেশনা মেনে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা এনেছিল। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেউ মাইকে এটি বাজালে তাকে অত্যাচার করা হয়েছে। সেই ভাষণ এখন আমাদের গর্বের বিষয়। ইউনেস্কো এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৬

হাথুরুর প্রভাব নিয়ে যা বললেন নতুন প্রধান নির্বাচক
নানান সমালোচনার পর প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার জায়গায় প্রধান নির্বাচক রূপে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে এই কমিটিতে এবার নতুন মুখ হান্নান সরকার। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালনে এখনও দেরি থাকলেও মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন নতুন প্রধান নির্বাচক। নির্বাচক হান্নান সরকারও তার সঙ্গে ছিলেন। এদিকে টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে কাজ করছেন লঙ্কান মাস্টারমাইন্ড চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। গুঞ্জন আছে, যেকোনো সিরিজে দল নির্বাচনে টাইগারদের কড়া হেডমাস্টারের প্রভাব থাকতো। গণমাধ্যমে মুখোমুখি হওয়ার পর প্রধান নির্বাচকের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে রহস্য রেখেই দেন গাজী আশরাফ। হাসিমুখে তার ভাষ্য, বল ইজ নট ইয়েট ডেলিভার্ড। লেট দ্য বল কাম অ্যান্ড লেট মি প্লে দ্য বল (বল এখনও করা হয়নি। আগে বলটা আসতে দিন, আমাকে খেলতে দিন)। এর আগে, প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়ার পর সাবেক এই অধিনায়কের মন্তব্য, আমি বিশ্বাস করি যে স্বাধীনভাবে না হলে কাজ করে আনন্দ নেই। রাস্তা সব সময় খোলা আছে, আসার রাস্তাও খোলা, যাওয়ার রাস্তাও খোলা। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা থাকবে। এই ব্যাপারে আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। আগের প্রক্রিয়াটা নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আমরা জানি যে এটা অনেক বড় একটা প্রক্রিয়া ছিল। তবে যেহেতু দল নির্বাচন সেহেতু অধিনায়ক-কোচ অবশ্যই জড়িত থাকবেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে সিস্টেম আছে সেটার মধ্যেই আমরা রাখার চেষ্টা করবো।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৮

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কন্নোয়নে নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষের প্রভাব পড়বে না 
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও সম্পর্কন্নোয়নের ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বরং ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাইডেন প্রশাসন। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তঃসহযোগিতা বাড়াতে কাজ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রহের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত তারা। ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'এ ধরনের সম্পর্ক বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গেই আছে আমাদের। আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। বাংলাদেশের ক্র্যাকডাউন নিয়েও আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি। তবে এর মানে এই নয় যে, দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব নেই আমাদের।  প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন সাধারণ মানুষ। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসে ১১ দেশের ১২৭ জন পর্যবেক্ষক। দফায় দফায় সংবাদ সম্মেলনের পর তারা মতামত দেন, নির্বাচন হয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য।  সরাসরি উপস্থিত থেকে বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা যখন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে জানান, তখন পর্যবেক্ষক না পাঠিয়েই ভিন্ন সুর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ভোট নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানায় তারা। কিন্তু, এবার বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কেমন হবে, সেই প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকেই যুক্তরাষ্ট্রের নজর থাকবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ম্যাথিউ মিলার। 
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৬

রাজনৈতিক প্রভাব এড়াতে বড় সংস্কার আসছে ব্যাংকিং খাতে
দেশের ব্যাংকিং খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে বড় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ঋণ খেলাপিদের ধরতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ব্যাংক খাতে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে খেলাপি ঋণ। সুশাসনের অভাবও দীর্ঘদিনের। প্রতিনিয়তই দুর্বল হয়ে পড়ছে কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। তারল্য সংকটসহ ব্যাংকগুলোতে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট। এই পরিস্থিতিতে টাকা ছেপে ওই কয়েকটি ব্যাংককে নিয়মিত তারল্য সহায়তা করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথম ব্যাংর্কাস সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানেই ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের এসব নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। সভায় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নরসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।   সভায় মামলার জালে আটকে পড়া অর্থ আদায়ে অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এমডিদের। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্রলিং পেগ বাস্তবায়ন, কারেন্সি সোয়াপের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে ধার দেওয়া, প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া সংকটে থাকা দূর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।   সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর সংস্কারের জন্য আমরা প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ঘোষণা করেছি। সংস্কারের ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যাংকগুলোর অবস্থান নির্ণয় করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা দেওয়া আছে। তিনি বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব ধরে আগামী বছরের মার্চ নাগাদ ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হবে। ব্যাংকগুলোর এমডিদের ব্যক্তিগতভাবে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার প্রতি দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে। যেসব ব্যাংকের অবস্থা খুবই দুর্বল তাদের ঋণ বিতরণ, আমানত সংগ্রহ থেকে শুরু করে কার্যক্রমের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কোনো কোনো ব্যাংক একীভূত (মার্জার) করেও দেওয়া হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলো যদি তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে তাহলে কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা আসবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সম্প্রতি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বলেছি আমাদের টার্গেট বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। এতে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে। আগে থেকেই তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যাতে লিকুইডিটি ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো করতে পারে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে। মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটি একটি অ্যাকশন প্ল্যান করছে। সেখানে খেলাপি ঋণ কমানো এবং সুশাসন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আসবো। মুদ্রানীতি ঘোষণা করার সময় ক্রলিং পেগ চালুর বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। ডলারের মূল্যে স্থিতিশীলতা ফেরাতে ব্যাংকগুলোকে ক্রলিং পেগ বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া মামলা কমাতে এডিআরের ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে হয়তো মামলার সংখ্যা কমে আসবে। কোনো গ্রাহক যেন এই এডিআরের সুবিধা নিয়ে শুধু শুধু সময়ক্ষেপণ না করে, সে ব্যাপারেও ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, গভর্নর বলেছেন, গ্রাহকের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, তিনি ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে কোনো আপস করবেন না। অর্থাৎ আগামীতে ব্যাংকিং সেক্টর ঘুরে দাঁড়াবে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যাংকিং পরিচালনা হবে। ব্যাংকের ঋণ খেলাপিদের ধরতে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। ব্যাংকে সুশাসন ফেরাতে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সব কিছুই নিতে গভর্নর নির্দেশ দিয়েছেন।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩২

বাংলাদেশে সীসার ক্ষতিকর প্রভাব জরিপে যুক্তরাষ্ট্র
সীসার বিষক্রিয়ায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রতি দুই শিশুর একজন আক্রান্ত হয় এই বিষক্রিয়ায়। এ নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের রক্তে সীসার মাত্রা পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য ১.১ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে মার্কিন একটি সংস্থা। সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম চলাকালে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সামান্থা পাওয়ার এ ঘোষণা দেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এক মিডিয়া নোটে এ ঘোষণার কথা জানায়।  বাংলাদেশে ইউএসএআইডি এর মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান বলেন, সীসার সংস্পর্শ বাংলাদেশের শিশুদের কতটা আক্রান্ত করে তা পরিমাপ করা এবং সারাদেশে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের এ বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষার পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সীসার বিষক্রিয়ায় প্রতি বছর কমপক্ষে ১.৬ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়, যা এইচআইভি এবং ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর চেয়েও বেশি। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে। সীসা একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন, কোনও মাত্রাতেই এর সংস্পর্শে আসা নিরাপদ নয়। সীসার বিষক্রিয়া মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, শিক্ষা অর্জনকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভবিষ্যতের উৎপাদনশীলতা কমাতে পারে। ধনী এবং দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষাগত ব্যবধান এক পঞ্চমাংশ বাড়াতে ও বিশ্ব অর্থনীতি কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে সীসার সংস্পর্শে আসার কারণে। তা সত্ত্বেও নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সীসা প্রশমনের প্রচেষ্টায় দাতাদের অর্থায়নের পরিমাণ প্রতি বছর প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার। নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলো যাতে রং, মশলা এবং প্রসাধনীর মতো ভোগ্যপণ্যে সীসার ব্যবহার কমাতে বাধ্যতামূলক নীতি প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে পারে, তার সমর্থনে একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগের পরামর্শ দেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাওয়ার। শুধু এই পদক্ষেপগুলোই প্রতি বছর বাঁচাতে পারে কয়েক হাজার জীবন, প্রতিরোধ করতে পারে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতা এবং লাখ লাখ শিশুর শিক্ষাগত ফলাফল উন্নত করতে পারে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভোগ্যপণ্য থেকে সীসা অপসারণের ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা ব্যয় সাশ্রয়ী ও সীমিত তহবিল দিয়ে অনেক জীবন বাঁচানোর একটি বড় সুযোগকে প্রতিফলিত করে। এ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পাওয়ার আরও ঘোষণা করে যে ইউএসএআইডি সীসাযুক্ত রং নির্মূল করার জন্য বৈশ্বিক জোটে যোগ দেবে। এ জোটের অংশীদারিত্ব প্রায় ৪০টি দেশে সীসাযুক্ত রঙের ওপর আইনত বাধ্যতামূলক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করছে। ইউএসএআইডি এই জোটে যোগদানকারী প্রথম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা, যেখানে এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সরকারি সংস্থার সদস্য যেমন ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এবং এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি (ইপিএ) এর অংশীদার হবে। ইউএসএআইডি-এর প্রচেষ্টাগুলো সীসামুক্ত ভবিষ্যতের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্রে এবং সারাবিশ্বের সব মানুষকে সীসার সংস্পর্শ থেকে রক্ষা করা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের অগ্রাধিকার।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১২

ভোটের ফলাফল নিয়ে ১৪ দলে বিরূপ প্রভাব পড়বে না : মেনন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ১৪ দলে বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বরিশাল প্রেস ক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন নিয়ে দলগুলো এখন পর্যন্ত নিজেরা বসতে পারেনি। তবে এ নিয়ে সামগ্রিকভাবে বড় ধরনের কোনো প্রতিক্রিয়া হবে বলে মনে করি না। রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। ভোটের পরে যেসব বিদেশি রাষ্ট্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, এটা তাদের কূটনৈতিক তৎপরতার রুটিন ওয়ার্ক। তাদের এসব প্রতিক্রিয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে না। বিদেশি কয়েকটি রাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের হস্তক্ষেপ নির্বাচনকে অবাধ করার উদ্দেশ্যে ছিল না। তারা হস্তক্ষেপ করেছিল নির্বাচন বানাচাল করার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নীলু ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক টিপু সুলতানসহ আরও বেশকয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৮

‘ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রায় ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।  সোমবার (১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রসচিব বলেন, একজন ব্যক্তির কারণে রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কে প্রভাব না পড়াটাই স্বাভাবিক। এটি আমাদের একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে, তারও আপিল করার সুযোগ আছে। এটি চলমান আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছে। এ নিয়ে আমি আর মন্তব্য করতে চাই না। এর আগে সোমবার শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ড পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আদালত। এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন পাওয়া বাকি তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন। এরপর ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়