• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
২০৩২ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা উত্তরণের মেয়াদ ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের আইরিশ প্রতিনিধিদল সোমবার (১৮ মার্চ) গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান, প্রধানমন্ত্রী এজন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন যাতে ইইউ বাংলাদেশের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বৃদ্ধি করে। আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইইউ সদস্য দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। তিনি ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য আইরিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিন থেকে চার বিলিয়ন ভোক্তার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাব্য বড় মার্কেটিং হাব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। শ্রম ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রম ইস্যু নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। এ সময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট খোলার জন্য তিনি এখানে এসেছেন উল্লেখ করে আইরিস মন্ত্রী বলেন, এই কার্যালয়টি দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে। সাইমন কভেনি বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা জোরদার, তাদের উপার্জনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করার ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত ঘরের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ কখনও কখনও দেখা যায়, কারণ সেখানে অনেক অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রয়েছে- যারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণের নজির নেই, তবে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাসানচরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পটি সফল হচ্ছে না। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
১৭ ঘণ্টা আগে

বঙ্গবন্ধু ভাবতেই পারেননি বাঙালিরা তাকে হত্যা করবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর একটা বিশ্বাস সবসময় ছিল যে বাঙালিরা তাকে কখনো মারবে না। অনেকেই তাকে সাবধান করেছেন। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেননি। বলেছেন, ‘না ওরা তো আমার ছেলের মতো। আমাকে কেন মারবে।’ বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এতো গভীরভাবে ভালোবেসেছিলেন যে, এ দেশের কোনো মানুষ তার গায়ে হাত দেবে, তাকে হত্যা করবে তিনি ভাবতে পারেননি। কিন্তু আমরা দেখলাম, যারা আমাদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত এসেছে, আমার মায়ের হাতের খাবার খেয়েছে। ১৫ আগস্ট তারাই ঘাতক হিসেবে হত্যাকাণ্ড চালালো। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতির পিতার ১০৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমলে দুর্ভিক্ষ লেগেই থাকত। দুর্ভিক্ষের সময় সেই ছোট্ট খোকা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) তার বাবার ধানের গোলা খুলে দিয়ে গরিব মানুষকে সাহায্য করেছে। এভাবেই ছোটোবেলা থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে মানুষের প্রতি দরদ ও কর্তব্যবোধ জেগে উঠে। আমার দাদা-দাদি তার খোকাকে যেভাবে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করেছেন, সেটিও বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এবং তার লেখা বইগুলো নেতাকর্মীদের পড়া উচিত। তিনি অত্যন্ত সাদাসিদে জীবন-যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সরকারপ্রধান বলেন, রমজানে আমরা ইফতার পার্টি না করে এই খাবার দরিদ্র মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেব। সারাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিরা মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করছেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মণি প্রমুখ।
২৩ ঘণ্টা আগে

যে কারণে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
রোজা শুরুর আগেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইফতার পার্টি না করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনার পর প্রশ্ন ওঠে- কেনো এরকম একটা নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। রোজা শুরুর দিন থেকে তা স্পষ্ট হতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনগুলো ইফতার সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেন। এরইমধ্যে আয়োজনটি ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।  দ্বিতীয় রমজানের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে আবারও শেখ হাসিনা ‘ইফতার পার্টি না করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন’ বলে বৈঠক শেষে জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহবুব হোসন। একইসঙ্গে ওইদিন শেখ হাসিনা বলেন, যারা ইফতারে আগ্রহী ও সাধ্য আছে তারা যেন ইফতার পার্টির টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে তার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনগুলো কাজ শুরু করে। কিন্তু ইফতার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, কেবল এবারই নয়, গতবারও কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে এবং প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে কোন ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়নি। গতবার অপচয় রোধে ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে খরচ কমাতে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সাধারণত গণভবনসহ বিভিন্ন জায়গায় খুবই আড়ম্বরপূর্ণ ইফতার পার্টি হয়। এই সামাজিক অনুষ্ঠানে যারা যায় তাদের সবারই কিন্তু ইফতার করার সামর্থ্য থাকে। তাই সরকার ও দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা গরীব তাদের কাছে ইফতার সামগ্রী বিতরণের জন্য। রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। সেই নির্দেশনার অংশ হিসেবেই ছাত্রলীগ দেশজুড়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণের এই কার্যক্রম শুরু করেছে।  ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই পবিত্র রমজান মাসে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর যে নির্দেশনা দিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ। আমরা মাসজুড়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। ইফতার সামগ্রী সহায়তা পাওয়া রমিজান বানু বলেন, রোজায় খরচ একটু বেশি হয়। আমরা সাধারণত ভাত দিয়ে ইফতারি করে থাকি, ঘরে শরবতের ব্যবস্থা করতেও হিমশিম খাই। এই সামগ্রী পাওয়ার কারণে এবার অন্যভাবে ইফতার করতে পারবো। কোনরকম হয়রানি ছাড়া এই যে সামগ্রী বিতরণ সেটার ব্যবস্থা যিনি করেছেন আল্লাহ তার ভালো করুক। এদিকে রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ মেনে অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে শেখ হাসিনার পক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পবিত্র রমজান মাসে আওয়ামী লীগ অস্বচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলের সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। কেবল ঢাকায় নয়, স্থানীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা এই কর্মযজ্ঞে যুক্ত হয়েছেন। রোজই ইফতারির আগে বিভিন্ন স্পটে দলীয় উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী দেওয়া মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪

গাজায় আক্রমণের সময় মানবাধিকার কোথায় থাকে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ব বিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন। আমরা সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি।  রোববার (১৭ মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে একই দিন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। প্রযুক্তির শিক্ষা শিশুকাল থেকে পাওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। এসময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় দিবস সম্পর্কে শিশুদের যথাযথ শিক্ষা দেয়ার আহ্বান জানান।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৭

আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের স্মার্ট জনগোষ্ঠী : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশুরাই হবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশুরাই। দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে একযোগে কাজ করে শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ, আত্মবিশ্বাসী এবং মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী’ এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং দেশের সকল শিশুসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতীয় শিশু দিবসে এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী। স্কুলে পড়ার সময়েই তার নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ লাভ করতে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই বিশ্ববরেণ্য নেতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল। শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৮ সালে তার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। কখনও জেলে থেকে কখনও বা জেলের বাইরে থেকে তিনি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনে কারান্তরীণ অবস্থায় থেকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-র আইয়ুব খানের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন এবং ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শিশুদের প্রতি অপরিসীম মমতা ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে- এই ভাবনা থেকেই জাতিসংঘ শিশুসনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি শিশু আইন প্রণয়ন করেন। শিশু শিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ১৭ মার্চ ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং শিশুদের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা ‘জাতীয় শিশুনীতি’, ‘শিশু আইন’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন’ প্রণয়ন করেছি। এছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’ শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে। আমরা শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছি। এছাড়াও শিশুদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার উপযোগী সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী’ এবং ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১০:১২

রোববার টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টারযোগে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তাদের এই সফর ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ঘিরে তার জন্মভিটায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন।  এরই মধ্যে শেষ হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভা বর্ধনের কাজ। জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। উৎসাহের কমতি নেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝেও। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এরইমধ্যে নিরাপত্তাসহ সব প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে শেষ করেছে প্রশাসন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে নিরাপত্তাময় ও উৎসবমুখর করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।  জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৮

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টার যোগে তাদের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পর তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে শিশু দিবসের আলোচনা সভায় ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির আগমনকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে নিরাপত্তাময় ও উৎসবমুখর করার লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।   
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:২৪

ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা
ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মুস্তফা। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপালনে ছিলেন মোহাম্মদ মুস্তফা। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ। মার্কিন চাপের মুখে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মুস্তফা এখন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্য একটি নতুন সরকার গঠনের কাজ করবেন। মোহাম্মদ মুস্তফা যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন। খবর আল জাজিরা। সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মুস্তফাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে মুস্তফাকে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজায় প্রশাসনকে পুনরায় একীভূত করার, সরকারে সংস্কার, নিরাপত্তা পরিষেবা এবং অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করতে আহ্বান জানান আব্বাস। প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধির মধ্যে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারসহ পদত্যাগ করেন মোহাম্মদ শাতায়েহ।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৪

পদত্যাগ করলেন হাইতির প্রধানমন্ত্রী
হাইতিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিবিসি ও সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে হেনরির উপদেষ্টা জিন জুনিয়র জোসেফ বলেন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী তার ভূমিকায় থাকবেন। ২০২১ সালের জুলাইয়ে হাইতির সাবেক রাষ্ট্রপতিকে হত্যার পর এরিয়েল হেনরি দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে তিনি নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেননি। মূলত, এ নিয়েই দেশটিতে অস্থিরতা চলছিল। হেনরিকে পদত্যাগ করতে দীর্ঘদিন জোর দাবি জানিয়ে আসছিল সশস্ত্র গ্যাং নেতারা। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় এই গ্যাংদের হামলায় নিরাপত্তা ভেঙে পড়েছে। কয়েক দিন আগে তাদের হামলায় কারাগার থেকে পালিয়ে যায় কয়েক হাজার বন্দি। এরপরই হাইতি সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে। হেনরি বর্তমানে পুয়ের্তো রিকোতে আটকা পড়েছেন। মূলত সশস্ত্র গ্যাংগুলোর বাঁধার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। তার ফিরে আসায় বাধা দিতে সম্প্রতি বিমানবন্দরে হামলা চালায় গ্যাংরা।  উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে হাইতিতে কোনো নির্বাচন হয়নি।
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:১৯

কোস্টগার্ডের ‌‘ভি-স্যাটনেট’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে ‘ভি-স্যাটনেট’ যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দফতরে এ যোগাযোগ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ রোববার (১০ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ যোগাযোগ ব্যবস্থার নবনির্মিত পাঁচটি স্টেশন ও একটি আউটপোস্ট উদ্বোধন করেন তিনি। এদিন কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সকাল ১০টার দিকে কোস্টগার্ডের সদর দফতরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান নবনির্মিত বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মীরসরাই, সন্দ্বীপ, নিদ্রাসকিনা এবং বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী উদ্বোধন করবেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভিস্যাটনেট সিস্টেম চালু করা হবে বাহিনীর সদর দপ্তরসহ তিনটি জোনে। এই প্রযুক্তি ছয়টি জাহাজ ও সাতটি স্টেশনেও ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রী পদক দেবেন। এবার ১০ জন করে পাচ্ছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় কাজ করছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, বনজ সম্পদ রক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ রক্ষাসহ নানা কাজ বাহিনীটি করে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়