• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুমিনুলের প্রতিরোধ ব্যর্থ, ৩২৮ রানে হারল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ৫১১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনেই নিশ্চিত পরাজয় লিখে রেখেছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৪৭ রানেই পাঁচ উইকেট খুইয়েছিল স্বাগতিকেরা। চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে ছোট ছোট কয়েকটি জুটিতে লঙ্কানদের জয়োল্লাসের অপেক্ষা বাড়াচ্ছিলেন মুমিনুল হক। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার বৃত্তেই জায়গা করে নিলো মুমিনুলের সেই প্রতিরোধ। চতুর্থ দিনে ৭ উইকেটে ১২৯ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল টাইগাররা। সেখানে থেকে ফিরে ৫৩ রান জড়ো করতেই বাকি ৩ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকেরা। এতে ১৮২ রানে অলআউট হওয়ায় দিনে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় দেখলো টাইগাররা। সোমবার (২৫ মার্চ) হারের শঙ্কা নিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। তবে সফরকারীদের ব্যাটিং তোপে দিনের তৃতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ‘নাইটওয়াচ’ ম্যান তাইজুল। কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ১৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। তাইজুলের বিদায়ের পর মিরাজকে নিয়ে মুমিনুলের প্রতিরোধ বা হার বিলম্বিত করা জুটিতে পথ দেখে বাংলাদেশ। এই জুটিতে লজ্জার রেকর্ড থেকেও রেহাই পায় লাল-সবুজ শিবির। লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর ও হোম ভেন্যুতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ৫১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে ৬৬ রান যোগ করে এই জুটি। এতে আর উইকেট না হারানোর স্বপ্ন বুনেছিল বাংলাদেশ। তবে একপর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় রাজিথার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ধনঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬ চারে ৫০ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন মিরাজ। এতে ভাঙে তাদের ৬৬ রানের জুটি। মিরাজের বিদায়ে হারের আরও দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে শরিফুলকে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত লঙ্কানদের অপেক্ষা বাড়ান সাবেক টেস্ট দলপতি। এরপর ৪৬ রান করা মুমিনুল অপরাজিত শরিফুলকে নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যান। বিরতি থেকে ফিরে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। শরিফুলও টাইগারদের সাবেক টেস্ট অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দেন। শেষদিকে স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান তুলে এই জুটি। কিন্তু কাসুন রাজিথার বলে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শরিফুল। এরপর দ্রুতই ফেরেন খালেদ আহমেদ এবং নাহিদ রানাও। তবে অপরপ্রান্তে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে দলের বড় ব্যবধানে হার দেখেন মুমিনুল। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন রাজিথা। এ ছাড়া ফার্নান্দোর তিনটি ও কুমারার শিকার দুই উইকেট। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৭

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ ১৯ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানাজানি হতেই বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।   ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরও একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়। বাণীতে তিনি বলেন, আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই। তিনি বলেন, কোনো মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনও বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেন, দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই।  পরে তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।  সূত্র : বাসস  
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৭

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস আজ
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। ১৯৮৩ সালের এই দিনে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে। ১৯৮২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি নতুন শিক্ষানীতি প্রস্তাব করেছিল জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকার। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান শিক্ষানীতি ঘোষণার আগেই সে বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করে ছাত্র সংগঠনগুলো।  এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফরম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই কর্মসূচির আগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন জাফর, জয়নাল, দীপালী ও কাঞ্চনসহ ১০ জন। আহত হন আরও অনেকে, তুমুল আন্দোলনের মুখে পরবর্তী সময়ে বাতিল হয় সেই শিক্ষানীতি। সেদিন থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনগুলো প্রতিবছর শিক্ষা ভবনের মোড়স্থ শিক্ষা অধিকার চত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। 
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়