• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম সৌদি নারী রুমি
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের নারীরা অংশগ্রহণ করলেও সৌদির কোনো নারীকে কখনও দেখা যায়নি। এবার সেই ধারা ভাঙলেন সৌদি নারী রুমি আলকাহতানি। তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো সৌদি নারী সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখালেন।  এবারের মিস ইউনিভার্সের বিশ্ব মঞ্চে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করবেন রুমি। গত ২৫ মার্চ দেশটির প্রতিনিধি হিসেবে আলকাহতানির নাম ঘোষণা করা হয়  মিস ইউনিভার্স। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লেন ২৭ বছর বয়সী রুমি। কারণ, এর আগে রক্ষণশীল সৌদি আরব থেকে কেউ মিস ইউনিভার্সে অংশ নেননি। জানা গেছে, ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আলকাহতানির ১০ লাখ অনুসারী রয়েছে। সেখানে একটি পোস্টে রুমি লিখেছেন, ২০২৪ সালের মিস ইউনিভার্সে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি ভীষণ সম্মানিত বোধ করছি। এর মধ্য দিয়ে সম্মানজনক এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে যাচ্ছে সৌদি আরব। তিনি আরও লেখন, আমি বহির্বিশ্বের সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত হতে চাই। পাশাপাশি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে চাই। শুধু মিস ইউনিভার্স নয়, এর আগেও বহু আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন রুমি। কয়েক সপ্তাহ আগেও মালয়েশিয়ায় ‘মিস অ্যান্ড মিসেস গ্লোবাল এশিয়া’-তে অংশ নেন তিনি। এ ছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে— ‘মিস মিডল ইস্ট’, ‘মিস আরব ওয়ার্ল্ড পিস ২০২১’র খেতাব।       
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৫

আসামে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ টিম রেনেসাস
আলচেরিঙ্গা, আইআইটি গুয়াহাটির বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব, এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসব। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এই উৎসবে অংশ নেয়।  প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করে প্রায় এক লক্ষ মানুষের মিলনমেলা হয়ে ওঠে এই উৎসব।  ৭ থেকে ১০ মার্চ  ভারতের আসামের আইআইটি গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আলচেরিংগা ২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ টিম রেনেসাস। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩০ দলকে পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় করে বাংলাদেশ দল। ভারতের গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) বার্ষিক সাংস্কৃতিক উত্সব ও প্রতিযোগিতা ‘আলচেরিঙ্গা’ বা ‘আলচার’। এবার এই আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।  ১৯৯৬ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি গুয়াহাটিতে ‘আলচেরিঙ্গা’ বা ‘আলচার’ নামে বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবের এই অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল। চলতি বছর একঘেয়ে বিশ্বে আর্ট ব্লকের মুখোমুখি হওয়া একটি অল্পবয়সী মেয়ের গল্প, যে একটি জাদুঘরের শিল্প প্রদর্শনীতে ভ্রমণ করে, যখন সে স্মৃতি এবং সাইকেডেলিয়ার একটি যাত্রা উন্মোচন করার অনুপ্রেরণা পায়।তাই  থিমের নাম  ক্রোম্যাটিক এলিসিয়াম এই মূলমন্ত্রে ‘আলচেরিঙ্গা’-২৪ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এটা ছিল আল চেরিঙ্গার ২৮ তম  অনুষ্ঠান।  চার রাত ও ৩ দিনের এ উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রো-শো, ক্রিয়েটর ক্যাম্প, প্রো নাইটস, সোশ্যাল থেকে শুরু করে ইভেন্টের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় লাইনআপ থাকে। এবারের  উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ  প্রতিযোগিতার বিস্তৃত পরিসর। যেখানে সামিট, সাংস্কৃতিক শোকেস, কুইজ, সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রতিযোগিতার লাইন আপসহ আরও অনেক কিছু অনুষ্ঠিত হয়। জনপ্রিয় বলিউড গায়ক আরমান মালিকের সঙ্গীত পরিবেশনাও এবারের ফেস্টিভালকে রঙ্গিন করে তোলে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

বঙ্গবন্ধু ৪৩তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় বিজিবি চ্যাম্পিয়ন
নড়াইলে ৪৩ তম বঙ্গবন্ধু জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আর রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।  রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, জেলা প্রশাসক আশফাকুল হক চৌধুরী, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া ইউসুফ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি আয়ুব খান বুলু, সহসাধারণ সম্পাদক কৃষপদ দাস প্রমুখ। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু ৪৩ তম জাতীয় সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় ২৩টি জেলা ও ৫টি সার্ভিসেস দলসহ মোট ২৮টি দলের ২১৮ জন খেলোয়াড় পুরুষ গ্রুপে ১০টি ইভেন্টে ও মহিলা গ্রুপে ১০টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। গত ৮ মার্চে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ৩ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
১১ মার্চ ২০২৪, ১২:৫২

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন কুবি
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার (৯ মার্চ) ঢাকার এফডিসিতে এ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।  ‘দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকারের ঘাটতি নেই’ এ শীর্ষক বিতর্কে সরকারি দল হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিরোধী দল হিসেবে ছিল গ্রিন ইউনিভাসিটি। বিতর্কে সরকারি দল অর্থাৎ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাদিয়া আফরিন, শাকিল আহমেদ সবুজ, সাদিয়া আফরিন মোহনা, আরাফাত হোসাইন ও এনায়েত হোসাইন অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান, এমপি। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। আরও বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি, স্টাট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের কান্ট্রি ম্যানেজার, সার্ভিস রায়হান প্রমুখ। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এস এম মোর্শেদ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ তানজিনা শারমিন, সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন, সাংবাদিক অনিমেষ কর ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সবুজ। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান জনাব হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হলেও এখনো আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক মানুষ দুর্যোগ ঝুঁকিতে বসবাস করছে। দুর্যোগের কারণে বাস্তচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। দুর্যোগজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে অনেক মানুষ শহরে এসে ভীড় করছে। যারা পেশাহীন হয়ে নগদ দারিদ্র তৈরিসহ ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে। বাস্তচ্যুত গৃহহীন এসব মানুষকে এখনও পুরোপুরি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, গত তিন দশকে বাংলাদেশে ২০০ টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়েছে, এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার। মোট ক্ষয়ক্ষতির ৮৫ শতাংশই হচ্ছে বন্যা, নদীভাঙ্গন ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে।  এ সময় তিনি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে ১০ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

যে মেলায় মাছ কিনতে প্রতিযোগিতায় নামেন জামাইরা
অন্তত চারশো বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বগুড়ার গাবতলীতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহের মেলা। সন্নাসী পূজার মেলা হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হলেও কালের বিবর্তনে এটি পোড়াদহ মাছের মেলা এবং জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত লাভ করে। একদিন ব্যাপি এ মেলার প্রধান আকর্ষণ বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছ। মেলা উপলক্ষে আশপাশের কয়েক গ্রামের ঘরে ঘরে চলছে জামাই সমাগম, অতিথি আপ্যায়ন ছাড়াও ও নানা আনন্দ উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো মানুষের ভীড়ে মুখোরিত মেলা প্রাঙ্গন। কেবল বগুড়া নয় অতি প্রাচীন পোড়াদহের এই মেলায় মাছ কিনতে ও দেখতে সারাদিন সেখানে ভীড় করে দূরদূরান্তের হাজারো মানুষ। প্রতিবছর মাঘের শেষ বুধবার এই মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারো বগুড়া ছাড়াও উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মানুষ এসেছে পোড়াদহ মেলা প্রাঙ্গনে। ছেলে-বুড়ো সকলেই কাকডাকা ভোর থেকে দল বেঁধে মাছ-মিষ্টি বেচা-কেনার উৎসবে মেতেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইছামতি নদীর তীরে বিস্তৃর্ণ মাঠে বাড়তে থাকে মানুষ। কেবল বিশাল আকৃতির মাছই নয় একশো একর জমি জুড়ে আয়োজন করা এই মেলায় নাগোরদোলা, সার্কাস, বাহারী সব মিষ্টিসহ সংসারের খুটিনাটির পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা স্থানীয়রা জানান, গাবতলির অন্তত ৩০ গ্রামে বছরের এই দিনটিকে বিশেষ দিন হিসেবে পালন করতে মেয়ে-মেয়ে জামাই, আত্মীয়-স্বজনদের জানানো হয় আমন্ত্রণ। ঈদ-পূজো-পার্বনের মতোই সব ধর্মের লোকেরা নতুন জামা-কাপড়, পিঠা-পুলি আর বিশাল আকারের মাছ-ভাতে কয়েকদিন মাতেন এই উৎসবে। সাতসকালেই ইছামতী নদীর তীরে মানুষের ঢল। নদীর তীরে ছিল ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। দূরদূরান্ত থেকে দল বেঁধে লোকজন মেলায় ছুটে আসছেন। মেলা উপলক্ষে আশপাশের ৩০ গ্রামে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। গৃহস্থ ঘরে নাইওর এসেছে নববধূ আর মেয়ে জামাই। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অন্যবারের মতো এবারও মেলায় উঠেছে নদীতে ধরা হরেক প্রজাতির বিশাল বিশাল মাছ। প্রতিবছর দুই থকে আড়াইমণ ওজনের বাঘাইড় মাছ এই মেলার প্রধান আকর্ষণ হলেও প্রশাসনিক নিষেধাঞ্জার কারণে এবারও মেলায় ছিলনা কোনো বাঘাইড়। তবে আকর্ষণ হিসেবে ছিল প্রায় ৪০ কেজি ওজনের সামুদ্রিক পাখি মাছ।  টাঙ্গাইলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাছ বিক্রেতা জানান, পাখি মাছটি কুয়াকাটা হতে মেলায় নিয়ে এসেছেন। মাছটির প্রতিকেজি ১৫ শত টাকা দরে বিক্রি করার জন্য দাম হাকাচ্ছেন তিনি। তবে দর্শনার্থীদের অনেকেই মাছটি দেখলেও আশানুরূপ দাম না বলায় বিক্রি হয়নি।  প্রায় ৪শ’ বছর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সন্ন্যাসীরা বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে আস্তানা গাড়েন। এর প্রায় ৫০ বছর পর স্থানীয়রা এখানে সন্ন্যাসী পূজার পাশাপাশি গোড়াপত্তন করেন ঐতিহ্যবাহী এই মেলার। সেই থেকে প্রতিবছর মেলাটি মাঘ মাসের শেষ বুধবারে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এ মেলাটির সর্বজনীন মেলা হিসেবে বগুড়াসহ আশপাশে জেলায় বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।   মেলাতে আসা ক্রেতা  বিক্রেতা ও দর্শনার্থীরা জানান, মেলায় শিশুদের জন্য খেলাধূলার সামগ্রী ছাড়াও রয়েছে হরেক রকমের খাবারের দোকান। ছাড়াও প্রসাধনী সামগ্রীর পাশাপাশি মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল আকৃতির মাছের সরবরাহ। অনেকে এই মেলাকে বলেন, মাছের মেলা। আর সকাল থেকে মেলায় ভীড় জমান বগুড়াসহ আশপাশের জেলার মানুষ। জানা যায়, প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ বুধবার প্রথম দিকে সন্নাসী মেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এই মেলা। কালের বিবর্তনে হয়ে ওঠে পূর্ব বগুড়াবাসীর মিলনমেলা। পোড়াদহ নামকস্থানে হয় বলে এ মেলার নাম হয়ে যায় পোড়াদহ মেলা। আবার অনেকেই এটাকে জামাই মেলা বলেও অভিহিত করেন। মেলাকে ঘিরে আশপাশে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ মেয়ে ও জামাইকে নিমন্ত্রণ দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এ কারণে স্থানীয়রা আবার এ মেলাকে জামাই মেলাও বলে থাকে অনেকেই। এবার সর্বোচ্চ ৩০ কেজির কাতল ছাড়াও বিশাল আকৃতির বোয়াল, রুইসহ হরেক রকম মাছ নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা যার কোনটি ৩৫ কোনটির দাম হাঁকা হয় ৪০ হাজারেরও বেশি। মাছের আদলে তৈরি ১৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের বাহারী মিষ্টিও মেলে এখানে। এক দিনের এই মেলায় প্রায় শত কোটি টাকার বেচাকেনা হয় প্রতি বছর।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

জোকোভিচের সঙ্গে টেনিস প্রতিযোগিতায় নামলেন স্মিথ
ক্রিকেটারদের অবসর সময় কাটাতে ফুটবল, টেনিসের মতো অন্য খেলায় অংশ নেওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।। তবে পেশাদার টেনিস তারকাদের ক্রিকেটের ব্যাট হাতে নেওয়ার ঘটনা চোখে পড়ে না বললেই চলে। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে দেখা মিললো এমন ঘটনার। যেখানে স্টিভ স্মিথ পেশাদার ক্রিকেটার হলেও টেনিস কোটেও তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। বিপরীতে সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের ক্রিকেটের স্কিল খুবই কাঁচা। আগামী ১৪ থেকে ২৮ জানুয়ারি মেলবোর্নে বসছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আসর। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। মূলপর্বের খেলা শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ আয়োজন করে বিশেষ চ্যারিটি ইভেন্টের। রড লেভার এরিনায় অনুষ্ঠিত সেই ইভেন্টে নোভাক জোকোভিচ বিভিন্ন খেলার তারকাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগ দেন। সেই ইভেন্টে অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ। তিনি নোভাকের বিরুদ্ধে টেনিস র‌্যাকেট হাতে নেন। স্মিথ দক্ষতার সঙ্গে জোকারের সার্ভিস রিটার্ন করেন, যা দেখে অবাক জোকোভিচ নিজেও। তিনি মাথা নিচু করে স্মিথকে কুর্নিশ জানাতেও ভুল করেননি। গ্যালারির দর্শকরাও স্মিথের টেনিস স্কিলের প্রশংসা করেন করতালিতে। পরে জোকোভিচকে দেখা যায় টেনিস কোর্টেই ব্যাট হাতে নিতে। যদিও নিতান্ত সহজ ডেলিভারিতেও বলে ব্যাট ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন জোকোভিচ। পরে তিনি টেনিস র‌্যাকেট দিয়ে ক্রিকেট খেলার উপায় খুঁজে বার করেন। জোকার তার র‌্যাকেটটিকে স্টাম্পের পিছনে রেখে দেন। বোলার বল করা মাত্রই ক্রিকেট ব্যাট ফেলে দিয়ে র‌্যাকেট হাতে তুলে নেন জোকোভিচ এবং সেই র‌্যাকেট দিয়েই ছক্কা হাঁকান তিনি। স্মিথ অবশ্য ব্যাট হাতে নিয়ে জোকারের বলে অনায়াসে শট খেলেন। স্মিথ ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার আর্টিস্টিক জিমন্যাস্ট জর্জিয়া গডউইনের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান। তিনি জর্জিয়াকে কোর্টেই ফ্লেক্সিবিলিটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তবে জর্জিয়ার কাছে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা ছিল জল-ভাতের সমান। জোকোভিচ অস্ট্রেলিয়ার হুইলচেয়ার টেনিস তারকা হিথ ডেভিডসনের বিরুদ্ধেও কোর্টে নামেন হুলই চেয়ারে বসে। যদিও তিনি নিজে থেকে হুলই চেয়ার এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। সাহায্য নেন সাবালেঙ্কা ও সিসিপাসের, যারাও সেই ইভেন্টের অংশ ছিলেন। যদিও জোকোভিচের রিটার্ন মোটেও দেখার মতো ছিল না। জোকোভিচ কোর্টেই কসরৎ করেন অস্ট্রেলিয়ার মাঝারি পাল্লার দৌড়বিদ পিটার বলের সঙ্গে। টেনিসের বাইরে শুধু বাস্কেটবলেই একটু খেলে নোভাক। ফলে বোঝা যায়, বাকি সব খেলায় সার্বিয়ান টেনিস তারকা খুবই কাঁচা।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়