• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেইলি রোড ট্রাজেডি / পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ
রাজধানীর বেইলি রোডে কোজি কটেজ ভবনের অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানিরঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৪ জুন নির্ধারণ করা হয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিন এই তারিখ ধার্য করেন। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।  আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জন প্রাণ হারান। সেইসঙ্গে আহত হন ১১ জন। নিহতদের মধ্যে ৮ শিশু ছাড়াও ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ছিলেন।এ ঘটনায় ২ মার্চ সকালে রমনা মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অবহেলা জনিত হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—ভবনটির নিচতলায় থাকা চা কফির দোকান চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল (৪০) এবং কাচ্চি ভাই নামে রেস্তোরাঁর মালিক মো. সোহেল সিরাজ (৩৪)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভবনটির মালিক ও ম্যানেজার সংশ্লিষ্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট এবং দোকান ভাড়া দেন। রেস্টুরেন্টগুলো যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া রান্নার কাজে গ্যাসের সিলিন্ডার এবং চুলা ব্যবহার করে। রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য ভবনের মালিক ও ম্যানেজারের যোগসাজশে চুমুক, কাচ্চি ভাই, মেজবানী রেস্টুরেন্ট, খানাস ফ্ল্যাগশিপ, স্ট্রিট ওভেন, জেষ্টি, হাক্কা ঢাক্কা, শেখহলি, ফয়সাল জুসবার (বার্গার), ওয়াফেলবে, তাওয়াজ, পিৎজা–ইন, ফোকো এবং এম্ব্রোশিয়া রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবনটির নিচ তলায় বিপুল পরিমাণে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করেন। তাঁরা জননিরাপত্তা তোয়াক্কা না করে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া ও তাচ্ছিল্যপূর্ণ এবং বিপজ্জনকভাবে এই গ্যাস সিলিন্ডার এবং গ্যাসের চুলা ব্যবহার করে আসছিলেন। এই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এই আগুনের তাপ ও প্রচণ্ড ধোঁয়া পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা রেস্টুরেন্ট ও দোকানে অবস্থানকারী লোকজন আগুনে পুড়ে ও ধোঁয়া শ্বাসনালিতে ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান এবং গুরুতর আহত হন। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভবনটি আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত হলেও পরবর্তীতে মালিক ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ব্যবসায়িক কাজে পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়। ভবনটির যেসব তলায় রেস্তোরাঁ ছিল, সেগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেয়নি। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট সিঁড়িও নেই। আরও বলা হয়েছে, ভবনের মালিক, ম্যানেজার ও রেস্তোরাঁর মালিকেরা ভবন ব্যবহারের যথাযথ নিয়ম মানেননি। তাঁরা আবাসিক ভবনকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য ভাড়া দিয়েছেন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) দোকান পরিদর্শকদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ স্থাপন করে, গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনার পর ভবনের কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৪

ফের পেছাল এস কে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলার প্রতিবেদন
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফের সময় দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন ২৬ জুন দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আক্কাস আলী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় ২০২২ সালের ৩১ মার্চ এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা) এস কে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অনন্ত সিনহা নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরও একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কেনেন নগদ টাকায়। মামলার বিবরণে আরও জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউজার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারে বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি। দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা নিয়েছেন তা বিদেশে পাচার করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনে। এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এরমধ্যে মানিলন্ডারিংয়ে সাত বছর এবং অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে ১৮২ পাতার রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

বেনজীরের সম্পদ: অনুসন্ধান প্রতিবেদন নিয়ে দুদককে হাইকোর্টের যে নির্দেশ
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদের অনুসন্ধানের অগ্রগতির রিপোর্ট দুই মাসের মধ্যে দাখিল করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান। এর আগে বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।  সম্প্রতি ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। দৈনিকটির দাবি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় আসেন পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।  এই সংবাদে বলা হয়, বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

সাগর-রুনি হত্যা / ১০৭ বার পেছাল মামলার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছানো হয়েছে। এনিয়ে ১০৭ বার পেছাল। র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক আগামী ১৬ মে নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  প্রথমে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। এরপর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। তারা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৩

সাত দিনেও প্রতিবেদন দেয়নি তদন্ত কমিটি, যা বললেন অবন্তিকার মা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। প্রতিবেদন কবে দেওয়া হবে তাও জানায়নি তদন্ত কমিটি।  শুক্রবার (২২ মার্চ) দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে অবন্তিকার মায়ের কাছে জানতে চান। আলোচনা শেষে অবন্তিকার মা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি আসছে তদন্ত করার জন্য, তারা আমাদের কাছ থেকে যে ঘটনা ঘটেছিল তার তথ্য নিয়েছে। আমি তাদের বিস্তারিত ঘটনার বিবরণ দিয়েছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে এতটা আন্তরিক হলে হয়তো আমার মেয়েকে হারাতে হতো না। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহের জন্য কুমিল্লায় এসেছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো কথা বলেছি। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কাছ থেকে কোনো তথ্য-উপাত্ত থাকলে সেগুলো নেব। তিনি বলেন, আমাদের তদন্তকাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। চেষ্টা করছি দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীবেন বিশ্বাস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তকারী দল আবন্তিকার মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছি। এর আগে গত ১৫ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:২২

মেট্রোরেলে ঢিল : চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল
প্রায় এক বছর আগে মেট্রোরেলে ঢিল ছুড়ে কাচ ভাঙার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতাও মিলেছে। তবে প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি অভিযুক্ত অজ্ঞাতনামা আসামি ভবনের ছাদ থেকে হঠাৎ ঢিল ছুড়ে মারায় কেউ আসামি সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যও দিতে পারেনি। এরই মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে রাজধানীর কাফরুল থানা পুলিশ। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আদালতে কাফরুল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রয়েল জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারাসহ দণ্ডবিধি ৪২৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রতীয়মান হয়েছে। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কলাকৌশলে তদন্ত অনুসন্ধান করা এবং সংঘটিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণসহ ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সেহেতু মামলাটি আরও তদন্ত করে ভবিষ্যতে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে মর্মে আপাতত মামলাটি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে তদন্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য ধারা-৩৫/৪৩ মেট্রোরেল আইন, ২০১৫; তৎসহ 427 The Code, 1860, তাং-২২-০২-২০২৪ দাখিল করলাম। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেল লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় ১ মে মেট্রোরেলের লাইন অপারেশন শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল কাদের বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। ঢিল ছোড়ায় মেট্রোরেলের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:১১

সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার সাংবাদিক শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তথ্য কমিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের নিকট প্রতিবেদন জমার বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি। সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন। এ আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।   তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, আগামীকাল (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। এ বিষয়ে তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এর আগে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেয় তথ্য কমিশন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি গত ১০ মার্চ সকালে শেরপুর জেলা কারাগারে গিয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। একইদিন দুপুরে তিনি নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। বিকেলে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে সাংবাদিকের আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন। গত পাঁচ মার্চ দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ দণ্ডাদেশ দেন।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি  ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কর্মরত সিএ শিলা আক্তার তাকে বাধা দিলে রানা তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে গালিগালাজ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হলে তার সঙ্গেও রানা অসদাচরণ করেন।  এ অভিযোগে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  রোববার (১৭ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌এনডিআই-আইআরআই কী বলল না বলল তাতে কিছু আসে যায় না।  হাছান মাহমুদ বলেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে বলে এনডিআই ও আইআরআই স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আগের সব নির্বাচনের তুলনায় ৭ তারিখের নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। তিনি বলেন, এনডিআই ও আইআরআই কী বলল না বলল, এতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাত তারিখের নির্বাচনে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ না করে প্রতিহতের ডাক দিয়েছিল। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়গুলোও তো তাদের (এনডিআই ও আইআরআই) প্রতিবেদনে আসতে হবে। হাছান মাহমুদ বলেন, তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা দেখছি। আমরা পর্যবেক্ষণগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।  উল্লেখ্য, আইআরআই এবং এনডিআই হলো নির্দলীয় বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে। ইনস্টিটিউটগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩

এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে মৃত্যু / তদন্ত প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ 
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে রাহিব রেজা (৩১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্তের প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১১ মার্চ) নিহতের পরিবারের রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ নির্দেশনা দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু তদন্তে বোর্ড কেন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রাহিব রেজা পরিবারের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম জানান, রিটে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ল্যাবএইড ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনায় রাহিবের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে রিটে। জানা গেছে, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল। রাহিবের স্বজনরা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খালি পেটে ল্যাবএইড হাসপাতালে যেতে বলা হয় রাহিবকে। যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে গেলেও এন্ডোস্কোপি শুরু হয় রাত ১১টার দিকে। কিন্তু  দেড় ঘণ্টা পরও রোগীকে বাইরে বের করা না হলে স্বজনদের একজন জোর করে এন্ডোস্কোপি রুমে ঢোকেন এবং রাহিবকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। এরপর অবস্থা জটিল হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৪

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুললেন পাপন
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের আগে নানান ঘটনাপ্রবাহ ও বিশ্বমঞ্চে নজিরবিহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি।  নানান নাটকীয়তা শেষে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে সেই কমিটি। এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে না এলেও গণমাধ্যমে নানান রকমের গুঞ্জন ছড়ায়। এ-ও দাবি করা হয়, বিশ্বমঞ্চে ব্যর্থতায় কোচ-অধিনায়ক একে অন্যকে দোষারোপ করেছেন। একই সঙ্গে দলের সঙ্গে থাকা দুই পরিচালকের দিকেও অভিযোগের তীর ছুটে আসে। তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তার মন্তব্য, গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয়। শনিবার (৯ মার্চ) বিসিবিতে বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাপনের ভাষ্য, একটা কমিটি করা হয়েছিল। তারা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে তারা কিছু সাজেশন ও রিকমেন্ডেশন দিয়েছে। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, সেখানে আসলে এমন কোনো তথ্য নেই; যা আমি জানি না বা আপনারা জানেন না। কী আসতে পারে, পারফরম্যান্স খারাপের জন্য? যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে সে বলতে পারবে। তবে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে দিয়েছে। শেষ মিটিংয়ের পর তো বলেছিলাম আপনাদের। যেসব বিভাগের কাজ, তা শুরু হয়ে গেছে। এদিকে গণমাধ্যমে দুই বোর্ড পরিচালকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠে এসেছে, তা একেবারেই অসত্য বলে দাবি পাপনের। ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাষ্যমতে, আমাকে চেয়ারম্যান একটা রিপোর্টই দিয়েছে। এখানে কোনো পরিচালক দূরে থাক, এমন কোনো লাইনই নেই, শব্দও নেই। এরকম রিপোর্ট তো প্রতিদিনই আসে। আমাকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, এখানে কিচ্ছু নেই। আজ আমি জালাল ভাই, সুজন ও কয়েকজন পরিচালকের সামনে পুরো রিপোর্ট পড়ে শুনিয়েছি। বলেছি দেখেন, কোথায় কী আছে। উনারা দেখলেন এরকম কিচ্ছু নেই। যে দুজনের নাম এসেছিল ওই দুজনকেও পড়ে শুনিয়েছি, দেয়ার ইজ নাথিং। এর বাইরে কেউ কিছু বললে আমাদের করার কিছু থাকে না। বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, আজ কে জানি আকরামের একটা বক্তব্য পাঠাল। আকরামকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠালাম, আকরাম লিখেছে এক্স্যাক্টলি ফেইক নিউজ (ভাইয়া)। আমি তো আকরামকে অবশ্যই বিশ্বাস করি। ফেইক নিউজ করলে আমার কী করার আছে? যে পরিমাণ নিউজ হয়, আমাদের কাজ কি খালি এসবের উত্তর দেওয়া?
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়