• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নওগাঁয় প্রমি রানী সাহা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ডঙ্গাপাড়া গ্রামের প্রমি রানী সাহাকে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় মানববন্ধনে প্রমি রানীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের মেয়ে প্রমি রানী সাহাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করার পর গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করার নাটক সাজানো হয়েছে তারা আরও বলেন, প্রমি রানী সাহার স্বামী স্বপন সরকার ও তার পরিবারের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হত্যারহস্য উদঘাটন করে খুনিদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ জানান প্রমি রানীর পরিবারের সদস্যরা।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙায় ফখরুলের প্রতিবাদ
নারায়ণগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমানে এক প্রতিহিংসাপরায়ণ দখলদার সরকারের দ্বারা শাসিত দেশে বসবাস করছি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারটুকুও হরণ করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান ৭১ এর রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারই নন, তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বর্তমান সরকার চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেই নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় শহীদ জিয়া হলের ওপরে থাকা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের অস্তিত্ব সহ্য করতে না পেরে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে ভেঙে ফেলেছে। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী শুধু গণতন্ত্রকেই যে ধ্বংস করেছে তা নয়, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্রমান্বয়ে দুর্বল করে তুলেছে। ম্যুরাল ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে আমাদের রক্তার্জিত জাতীয় স্বাধীনতাকে অপমানিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি। দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার এখন জুলুম, নির্যাতন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের সর্বনাশা খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ সময় জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৮

প্যান্ট ছাড়া ইউনিফর্ম পরে জার্মান পুলিশের প্রতিবাদ
জার্মানির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বাভেরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ইউনিফর্মের ঘাটতি অব্যাহত থাকায় পুলিশের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। জার্মান পুলিশদের ইউনিয়ন ‘স্টেট চ্যাপ্টার অফ দ্য পুলিশ ইউনিয়ন’ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, প্যান্ট ছাড়া ইউনিফর্ম পরে ঘুরছেন পুলিশ সদস্যরা। দীর্ঘদিন ধরে ইউনিফর্মের স্টক খালি থাকায় পুলিশ সদস্যরা তাদের দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই পথ বেছে নিয়েছেন। খবর জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের। স্টেট চ্যাপ্টার অফ দ্য পুলিশ ইউনিয়ন ইউটিউব চ্যানেল এবং ইনস্টাগ্রাম আইডিতে পোস্ট করা সেই ভিডিওটিতে দেখা গেছে, পুলিশের গাড়িতে বসে দুই পুলিশ কর্মকর্তা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছেন, আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? উত্তরে চার, ছয় মাস, বলতে বলতে যখন তারা বিএমডাব্লিউ গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাদের পরনে প্যান্টবিহীন ইউনিফর্ম দেখা যায়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়র্গ্যেন কোহলাইন ভিডিওটির প্রসঙ্গে জার্মানির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ভিডিওটি দেখে মনে হতে পারে এটি এপ্রিল ফুলের বাজে কৌতুক। কিন্তু আসলে এখানে হাসির কিছু নেই। ইউনিফর্মের ভয়াবহ অভাব পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য অসম্মানের। তিনি বলেন, বাভেরিয়ার পুলিশরা অর্ধনগ্ন, এমনকি ট্রাউজার ছাড়া থাকতে বাধ্য হচ্ছে৷ ইউনিফর্মের ২১ ধরনের সামগ্রীর ঘাটতি রয়েছে৷ ক্যাপ, জ্যাকেট, প্যান্ট। আমরা অপেক্ষা করছি, কিন্তু জানি না আদৌ এগুলো পাওয়া যাবে কিনা। দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে বাভেরিয়া প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্টেট চ্যাপ্টার অব পুলিশ ইউনিয়ন। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা সমস্যা সম্পর্কে জানেন। সরবরাহ খাতে ব্যাঘাতের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে তারা নিজেরা এগুলো পৌঁছে দেয়ার দায়দায়িত্ব পালন করবেন৷
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২

নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ক্র্যাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও ইন্ডিপেডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্র্যাব। একজন পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোয়াট মামলা হওয়ায় ক্র্যাব এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ক্র্যাবের এই সদস্যকে কোন ধরনের হয়রানি যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী না করেন তার অনুরোধ জানিয়ে ক্র্যাব। ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে নাজমুল সাঈদকে হয়রানি করা যাবে না। ক্র্যাব দ্রুত এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। নাজমুল সাঈদ জানান, হাতবাড়ালে কীভাবে মাদকের দেখা মেলে তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণে অনুসন্ধানে যায় টিম তালাশ। অনুসন্ধানের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে হোটেল রুম বুক করা হয়। গোপন ক্যামেরায় সব ধারণও করে তালাশ। পরে পরিচয় দিয়ে রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে ক্ষেপে যান মালিক নোমানুল হক সাজিম। এক পর্যায়ে তালাশ টিমের উপর হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। ঘিরে ফেলে সাজিম বাহিনীর সদস্যরা।  এরপর তালাশ টিমকে ভুয়া প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সাজিম। তার মাসিক মাসোহারা ভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাকবিতণ্ডার একটি খন্ডিত অংশ দিয়ে তারা অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন। ইয়াবা ব্যবসাী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশকিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ, পুরো ঘটনা উল্টো। তিনি বলেন, ঘটনার পর জানা যায়, সাজিম ও তার পরিবার মিলে শহর জুড়ে গড়ে তুলেছেন অপরাধের সম্রাজ্য। সাজিমসহ তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে, ইয়াবা, ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে।  সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকাতেও রয়েছে তার নাম। এসব মাদকের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম আদালতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আর কক্সবাজার আদালতে মানহানির মামলা করা হয়েছে নাজমুল সাঈদের বিরুদ্ধে। ক্র্যাব এই মিথ্যা মামলা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং নাজমুল সাঈদকে কোন ধরনের হয়রানি না করার অনুরোধ জানান ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৫

লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটে আসন ফাঁকা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, প্রতিবাদ বিমানের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত এক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে। ওই পোস্ট জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস বলে মনে করে সংস্থাটি। ফেসবুক পোস্টে বলা হয় ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ বলছে সংস্থাটি।        শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত একটি পোস্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিমানের যাত্রী এবং সর্বসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই পোস্ট বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস। বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সব টিকিট সবার কাছে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট ছাড়াও বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে বিমানের টিকিট কেনা যাবে। অন্যান্য সব রুটের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা রুটের সব এয়ার টিকিটই এসব মাধ্যমে বুকিং করা যায়। এতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরে অনুমতি ছাড়া ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ডিজিটাল যেকোনো মাধ্যমে প্রচার করে বিমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মানহানীকর ও বেআইনি তথ্য সম্বলিত কোনো পোস্ট ফেসবুক অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার না করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিমান। বিমান বাংলাদেশ জানায়, এয়ারলাইনস ব্যবসায় লিন বা পিক মৌসুম থাকে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুর দিকে এবং মার্চ মাসে সাধারণত যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রী চাহিদা কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীর চাহিদা থাকে। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সবগুলো ফ্লাইট আসন সংখ্যার প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে বর্তমানে লিন মৌসুমের কারণে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। গত সপ্তাহেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গড়ে ৮৬ শতাংশ যাত্রী (কেবিন ফ্যাক্টর) ছিল।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪০

নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সাথে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিপ্লব মল্লিক এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বুধবার (১৩ মার্চ) পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জনৈক এক ছাত্রনেতার শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ঐ শিক্ষার্থী হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পর, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কতিপয় ছাত্রনেতা হল-পর্যবেক্ষক একজন শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে, ঐ শিক্ষক, পরিচালক (ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ), প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতে থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।  বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলসমূহে নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপ করছে এবং কর্তব্যরত শিক্ষকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আসছে। প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক সমিতি বদ্ধ পরিকর। কিন্তু মুষ্ঠিমেয় শিক্ষার্থীদের এরূপ অছাত্রসুলভ আচরণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং পরীক্ষার হলসমূহে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এরূপ কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষক সমিতি কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেনি। বিপ্লব মল্লিক স্যার নিজেই দায়িত্বরত ম্যাডামকে স্যারের রুমে নিয়ে বসিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার ফোনও অফ ছিল কিন্তু দায়িত্বরত ম্যাডামের ফোন এবং ল্যাপটপ দুটোই চালু ছিল। আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ইউজ করতে পারবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কি বলে? আমি দোষীদের পক্ষ নিচ্ছি না। শিক্ষার্থী যদি দোষী হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে ম্যাডাম ও দোষী। শাস্তি ২ জনেরই হওয়া উচিত। নকল করলে তাকে শাস্তি দিবে এটাতে আমার কোনো দ্বিমত নাই। কিন্তু বিনা অপরাধে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার তো দরকার নেই।   
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবিতে গণইফতার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুরে জোহরের নামাজের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।  এর আগে, গত সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদস্বরূপ সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে।  সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বানী ইয়ামিন বলেন, শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঙালি মুসলমানদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার পার্টিকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে নোটিশ দিয়েছে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এ ধরনের নোটিশ বড় ধরনের ধৃষ্টতা এবং হাজার বছরের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অবমাননার শামিল। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ এখানে শত বছর ধরে হিন্দু মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মিলেমিশে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। আমরা একে অপরকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ট্যাগ দিয়ে আসি নাই। কিন্তু আজ ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে সংখ্যালঘুদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি সংশোধন করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম নোটিশ জারি করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রশাসনের নিকট আমাদের উদাত্ত আহ্বান রইলো।  এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১০ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকেই হল ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের আগমন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইফতার সম্পন্ন হয়। গণ ইফতারে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ইফতার মাহফিল করা এটা আমাদের মুসলমানদের ঐতিহ্য। ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্য। অথচ ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল না করার জন্য অনুরোধ করে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা এর প্রতিবাদে গণ-ইফতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী দেলওয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার বিজ্ঞপ্তিতে গণ-ইফতার আমাদের মৌন প্রতিবাদ। আমরা চাই, ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ইফতার পার্টি অব্যাহত থাকুক। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কখনো না নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জানা যায়, রমজান মাসে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (১০ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার (১১ মার্চ) বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। সমালোচনার মুখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য হয় শাবিপ্রবি প্রশাসন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তবে ইফতার পার্টিতে প্রশাসন থেকে কোনো অর্থ সহায়তা করা হবে না বলে জানায় প্রশাসন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৮

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিআরটিএর প্রতিবাদ
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উপস্থাপিত প্রতিবেদন অনুমান নির্ভর, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করবো। সম্প্রতি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সম্পর্কিত মোটরযান নিবন্ধন-রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ ইস্যু, নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে ঘুষ প্রদান নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআইবি। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বনানী সড়ক পরিবহন ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে বিআরটিএ তীব্র প্রতিবাদ এবং তা প্রত্যাখ্যান করছে। কারণ, এতে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমান নির্ভর তথ্য যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। আমরা টিআইবির কাছে এর লিখিত ব্যাখ্যা চাইব। বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (bsp.brta.gov.bd)-এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের আবেদন ঘরে বসে দাখিল ও ঘরে বসেই সার্টিফিকেট প্রিন্ট করতে পারছেন জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অধিকন্তু, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক প্রদান করে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অনলাইনে প্রযোজ্য ফি জমা প্রদানপূর্বক আবেদন দাখিল করে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ওই দিনই পেয়ে যাচ্ছে যা ব্যবহার করে গাড়ি চালাতে পারছে। এছাড়াও অনলাইনে আবেদন দাখিলের ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাকযোগে আবেদনকারীর কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যেহেতু সেবা পেতে সশরীরে বিআরটিএতে আসার প্রয়োজন হয় না, সেহেতু উল্লেখিত সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত নয় বলে দাবি করেন তিনি। বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, মোটরযান মালিক ডিলার বা শো-রুম থেকে মোটরযান ক্রয়ের পর অনলাইনে মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিজে বা ডিলার /শো-রুম এর মাধ্যমে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল এ দাখিল করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে মোটরযান সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক একই দিনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখিত গড় ব্যয়িত সময় ৩০ কর্মদিবসের বিষয়টি অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত। তিনি বলেন, রুট পারমিট সার্টিফিকেট ইস্যু/নবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের যাত্রী, ও পণ্য পরিবহন কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআরটিএ থেকে নির্ধারিত সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুট পারমিট সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ১৫ অক্টোবর ২০২০ থেকে ফিটনেস নবায়নে অনলাইনে অ্যাপয়নমেন্ট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জানিয়ে  বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অ্যাপয়নমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মোটরযান সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে হাজির করে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উপযুক্ততা সাপেক্ষে ফিটনেস সার্টিফিকেট একই দিনে প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে যেহেতু স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে সেহেতু সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৫

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল ইউনিয়নে নিরব (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিরব মধ্য কামারগাঁও এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে লৌহজং মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। স্বজনদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভাগ্যকূল ইউনিয়নের কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল নিরব ও তার বন্ধু সাব্বিরসহ কয়েকজন। অনুষ্ঠানে এক ছাত্রীকে কয়েকজন ইভটিজিং করলে প্রতিবাদ করে নিরব ও তার বন্ধুরা। এনিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার কথা বলেন। এর জের ধরে আজ কামারগাঁও এলাকায় বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থানকালে বাঘড়া এলাকা থেকে প্রতিপক্ষ ১০-১৫ জন যুবক নিরবের ওপর হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়বীর গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / প্রতিবাদ করে শিরোপা উদ্ধার করল বাংলাদেশ, যৌথ চ্যাম্পিয়ন দুই দল
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ সালে ফাইনাল ম্যাচ ইতিহাসে পাতায় হয়তো স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে যা ঘটেছে তা ফুটবল ইতিহাসে এর আগে কখনও ঘটেনি। এই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে যৌগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে আলোচনায় ম্যাচের ঘটনাগুলো। শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিকরা। ফাইনালে ভারত রেফারির সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাঠ ত্যাগ করায় নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে সময়ে। যেখানে ‍দুই দলই নৈপুণ্য দেখিয়ে ২২ গোল করে ম্যাচ সমতায় রাখে। পরে টস করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কারণ সাফের নিয়ম অনুসারে টস করে ম্যাচের রেজাল্ট ঘোষণা করার নিয়ম নেয়। ফলে প্রতিবাদ করায় ম্যাচ রেফারি ডি সিলভা ক্ষমা চেয়ে তার সিদ্ধান্ত পর পরিবর্তন করেন। আবারও টাইবেকারের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। তবে মানতে রাজি হয়নি ভারত। এরপর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায় ভারতীয় দল। এরপর ম্যাচ রেফারি তাদের মাঠের নামার জন্য ৩০ মিনিটের সময় বেঁধে দেন। তবে সেই ৩০ মিনিটের পর প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার ম্যাচের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রেফারি। তবে নির্দিষ্ট কোনো দল নয়, দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে রেফারি ডি সিলভা। এর আগে ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী।  ১৭ মিনিটের সময় আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিস করে ভারত। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের রাইট উইঙ্গার। এরপর বার বার আক্রমণ করে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মারিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রমণের পর আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে সাগরিকারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়