• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
নওগাঁর রাণীনগরে প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে জালাল শেখ (৪৮) নামে এক চা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।  এর আগে শনিবার উপজেলার লোহাচুড়া গ্রাম থেকে জালাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি লোহাচুড়া কারিগরপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জালাল শেখ একই গ্রামের এক প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে স্কুল ছুটির পর বিভিন্ন প্রলোভনে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল। গত সোমবার ওই স্কুলছাত্রী গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরা দেখছিলেন। এমতাবস্থায় জালাল সেখানে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এরপর তারা স্কুলছাত্রীর পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরে স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফেরার পথে বিভিন্ন সময়ে জালাল তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও হুমকি-ধামকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। এরপর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রাণীনগর থানায় জালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল শেখের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ বিষয়ে রাণীনগর থানার ওসি মো. আবু ওবায়েদ বলেন, প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় চা ব্যবসায়ী জালালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৫

নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৩ বিয়ে, বাদ যাননি প্রতিবন্ধী নারীও   
ময়মনসিংহে নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৩ তরুণীকে বিয়ে করার অভিযোগে মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুল (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার সহযোগী কুদ্দুস আলীকেও (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা এসব তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার মোহাম্মদ আলীর আলীর ছেলে। সহযোগী কুদ্দুস আলী ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার নগুয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা বলেন, মহিদুল ইসলাম নৌবাহিনীতে এমএলএস পদে চাকরি করতেন। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বিভিন্ন কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর থেকে তিনি নৌবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মানিকগঞ্জে তিন, টাঙ্গাইলে তিন, কিশোরগঞ্জে এক ও ময়মনসিংহে ছয়টিসহ মোট ১৩টি বিয়ে করেন। এক প্রতিবন্ধী নারীকেও বিয়ে করে ভাতার টাকা আত্মসাত করতেন মহিদুল ইসলাম। মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে একের পর এক বিয়ে করে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন তিনি। পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সময় পোশাক পরিহিত অস্ত্রসহ কিছু ছবি জব্দ করা হয়েছে। মহিদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের খবরে তার ছয় স্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই টাকা উদ্ধার ও মহিদুল ইসলামের কঠিন বিচার দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

দোকানের ভেতর পুড়ল প্রতিবন্ধী বাবা, বাঁচানোর চেষ্টায় আহত ছেলে
যশোরের মনিরামপুরে চায়ের দোকানে আগুন লেগে কালিপদ বিশ্বাস (৪৮) নামে এক প্রতিবন্ধী দোকানদার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। আগুন নিভানোর সময় নিহতের ছেলে অমিত বিশ্বাস (২২) দগ্ধ হয়েছেন।   শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ঝাঁপা ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর মনিরামপুর অংশের পাড়ে একটি চায়ের দোকানে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। নিহত কালিপদ বিশ্বাস মোবারকপুর গ্রামের বাঞ্চারাম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি রাতে ওই দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, কালিপদ বিশ্বাস একজন প্রতিবন্ধী। তার ডান পা নেই। তিনি প্রতিদিন রাতে ওই দোকানের ভেতর  রাখা একটি খাটে ঘুমাতেন। কালিপদ প্রতিদিন ঘুমানোর আগে খাটের পাশে মশার কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতেন। মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। নিহতের মামা সুকেশ বিশ্বাস বলেন, ভোর রাতে নামাজের পর পরই স্থানীয়রা দোকান থেকে ধোয়া দেখতে পেয়ে আমাদের এবং আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। এ সময় আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু তখনও আমরা বুঝতে পারিনি কালিপদ ভেতরে রয়েছে। পরে দেখি কালিপদ আগুনে ঝলসে গেছে। তার ছেলে অমিত বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তার শরীরেরও কিছু অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  মনিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নয়ন মন্ডল জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

কথা দিলেও দেড় বছর প্রতিবন্ধী ভক্তের খোঁজ নেন না অনন্ত জলিল
সময়টা ২০২২ সালের ১৪ জুলাই। ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দম্পতি অনন্ত জলিল ও আফিয়া নুসরাত বর্ষা অভিনীত সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’র প্রচারণায় বগুড়ায় যান। সেখানে গিয়েই ঘটে একটি মানবিক ঘটনা। রানা নামের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ভক্ত আলোচিত নায়ক আনন্ত জলিলের আগমন উপলক্ষে সেদিন আগে থেকেই বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কালিপাড়া ইসমাইল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রামবাসীদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে এই তারকা দম্পতি গ্রামবাসীকে অবাক করে রানাকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করানোর আশ্বাস দেন অনন্ত, সেইসঙ্গে অনুষ্ঠান আয়োজন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদ দুই লাখ টাকাও দেন। আর্থিক সহায়তা ও  থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করানোর আশ্বাস দেয়ার পর কেটে গেছে দেড় বছর। কিন্তু মাঝখানের এই দীর্ঘ সময়ে ওই ভক্তের আর কোনো খোঁজ নেননি অনন্ত। শুধু তাই নয়, নায়কের মোবাইলে বারবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাননি রানা। এদিকে অতীতে বিভিন্ন সময়ে যারা প্রতিবন্ধী রানার পাশে ছিলেন অনন্ত জলিলের প্রতিশ্রুতির পরে সরে দাঁড়িয়েছেন তারাও। বর্তমানে পরিবারের বোঝা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে প্রিয় নায়ককে নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এই প্রতিবন্ধী। রানা জানান, অনুষ্ঠান আয়োজন ও প্রাথমিক চিকিৎসা বাবদ সেদিন রানাকে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন অনন্ত এবং গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন প্রথমে ঢাকায় এনে পাসপোর্টসহ যাবতীয় কাজ করবেন অনন্ত। নায়কের সে আশ্বাস অনুযায়ী কিছুদিন পর নায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাননি। এছাড়া তাকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাবতীয় চিকিৎসার যে আশ্বাস দিয়েছিলেন অনন্ত জলিল সেটিও করেননি। আক্ষেপের কন্ঠে রানা বলেন, অনন্ত জলিল যদি সে সময় চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা না দিতেন তাহলে হয়তো অন্য কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি আমার পাশে দাঁড়াতেন। কিন্তু তার ঘোষণা দেওয়ার পর সবাই ভেবেছিল অনন্ত জলিল অসম্ভবকে সম্ভব করে, আমার জন্যও কিছু করবে। এজন্য আমার পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। আমার এত বড় ক্ষতি অনন্ত করল, আমি যে তাকে এতটা ভালোবাসি, তার কোনো মূল্যই দিল না। সে আমাকে এমনভাবে ধোকা দিয়েছে যে মানুষের কাছে আমি মুখ দেখাতে পারি নি। রানা আরও বলেন, আমার সাথে যখন এমনটা করছে, আমি যখন ঘুমাতে যাই কষ্টে দু’চোখের পানিতে বালিশ ভিজে যায়। এত কষ্ট হয়েছে, এটা ভেবে যে আমার পাশে কেউ নেই আমি একা। তবে প্রিয় নায়ক আশ্বাস দিয়ে না রাখলেও তার প্রতি ভালোবাসা কমেনি রানার। রানার বলেন, সে আমাকে উপকার করুক বা না করুক আমি তাকে আগেও ভালোবাসতাম এখনও বাসি। আমি প্রতি বছর রমজান মাসে তার নামে সেবামূলক কাজ করি। এবার রমজান মাসেও করবো। আমি চাই অনন্ত জলিলকে সবাই চিনুক, জানুক তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। এদিকে মাঝখানের দেড় বছরে বগুড়ার সেই প্রতিবন্ধী রানাকে অনেকটা ভুলেই গেছেন ‘কিল হিম’ সিনেমার নায়ক। মুঠোফোনে অনন্ত জলিলের কাছে রানার কথা জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে ওই প্রতিবন্ধীকে চিনতেই পারেননি তিনি। নানা ইঙ্গিতে বগুড়ার প্রতিবন্ধী রানাকে আশ্বাসের কথা স্মরণ করিয়ে দিলে অনন্ত জানান, এখনও থাইল্যান্ড নেননি ভক্তকে। রানার সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা বা তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন কিনা? এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল বলেন, এগুলো আমি পরে বলতে পারব। আমার সামনে এখন বায়াররা আছে। কলটি কেটে দেওয়ার ৪ মিনিট পর কলব্যাক করে অনন্ত বলেন, আশ্বাস নাতো, ওই ছেলেকে (রানাকে) আমি দুই লক্ষ টাকাও দিয়েছি চিকিৎসা করানোর জন্য। টাকা ছাড়াও থাইল্যান্ডে নিয়ে চিকিৎসা দিতে চেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে অনন্ত বলেন, থাইল্যান্ড নেওয়া সহজ নাকি, এতো ইজি নাকি এগুলো। ও ছোটবেলা থেকে প্রতিবন্ধী। ছোটখাট হলে থাইল্যান্ডে ঠিক করা যায়। আমাদের যে ডাক্তার আছে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি, তারা বলেছে, এভাবে করাতে পারবেন না।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩১

বাক প্রতিবন্ধী নারীর স্বজন খুঁজছে পুলিশ
রাজধানীতে সোনালী নামে (২৫) হারানো একজন বাকপ্রতিবন্ধী নারী পাওয়া গেছে। কিন্তু তার পরিবারের কারও সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় জনসাধারণের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। গত ৪ জানুয়ারি বিকেলে তেজগাঁওয়ের তেজকুনিপাড়া রাজা মিয়ার গলিতে ওই নারীকে কান্নাকাটি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন তাকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায়  সেখানে তিনি কাগজে নিজের নাম লেখেন সোনালী।  পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগে হস্তান্তর করে।  এখন পর্যন্ত তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার মতো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।  বর্তমানে ওই নারী ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। বাকপ্রতিবন্ধী এই নারীর কোনো স্বজনের সন্ধান বা ঠিকানা পাওয়া গেলে তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মোবাইল ০১৩২০০৪২০৮৫ অথবা ০১৩২০০৪২০৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০২

ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হুইলচেয়ারে ভোটকেন্দ্রে প্রতিবন্ধী আব্দুল
সাড়ে ৩শ’ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে মেয়ের বাড়ি থেকে ঝিনাইদহ সদরে ভোট দিতে এসেছেন বয়স্ক শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাস। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হুইলচেয়ারে করে ভোটকেন্দ্রে এসেছেন তিনি। এরপর আনসার বাহিনীর সহযোগিতায় ভোটকক্ষে গিয়ে ভোট দেন আব্দুল ওয়াদুদ। ভোটপ্রদান শেষে আনসারদের সহযোগিতায় তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় তার ছেলের কাছে। সকাল ৮টা থেকে ঝিনাইদহের ৪টি সংসদীয় আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের ৬ উপজেলার ৫৮৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোট দিতে আসছেন নানা বয়সী নারী-পুরষ। নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ৪টি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। কালিকাপুর ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাস বলেন, দেশপ্রেমের কারণেই ভোট দিতে এসেছি। গতকাল মেয়ের বাড়ি থেকে সাড়ে তিন শ’ টাকা খরচ করে বাড়িতে আসছি ভোট দিতে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে অনেক শান্তি পেয়েছি। আমার ভোটে দেশের অনেক কিছু হবে এজন্য কষ্ট করে ভোট দিতে আসছি। ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী ভোটার আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাস উনি আসার পর বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর আমি দেখার পর আনসার বাহিনীকে তাকে সাহায্য করতে বলি। তারপর তাদের সহযোগিতায় তিনি ভোট দিয়েছেন। ভোট দেওয়া শেষ হলে আবারও আনসার বাহিনী তাকে সহযোগিতা করে রাস্তায় পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি ভোট দিতে পেরে খুবই খুশি এবং আশ্বস্ত। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণের শুরু হয়েছে। চলবে ৪টা পর্যন্ত। সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩শ' অধিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ঝিনাইদহ-১ (ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডু) আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ৩৩৬টি। এরমধ্যে পুরুষ ভোটর ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৭টি, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯টি। এই আসনে নতুন ভোটর ২৯ হাজার ৯৯৮টি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিকাপুর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেটি ঝুকিঁপূর্ণ বলা হয়েছে। ওই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২২৯৫ জন। যার মধ্যে মহিলা ভোটার ১১৭৬ জন, পুরুষ ভোটার ১১১৯ জন। এদিকে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ১৯ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের ১৫ প্লাটুন, বিজিবি ৯ প্লাটুন, আনসার ব্যাটালিয়ন ৭ হাজার ২০ জন, পুলিশ ১ হাজার ৬০৪ জন মোতায়েন করাসহ ও র‍্যাবের ৮টি ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্বে রয়েছে।  এ ছাড়া ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ভ্রাম্যমাণ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করে করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম। এবারের নির্বাচনে ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২৬ জন প্রার্থী। নির্বাচনে ৫৮৫টি ভোটকেন্দ্রে ১৫ লাখ ১ হাজার ৪৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭০ জন, নারী ভোটার ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছে ১২ জন। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়