• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ব্র্যান্ড প্রমোটার বারিশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
তরুণ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পী, মডেল ও উপস্থাপিকা বারিশ হক। জীবনের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নিজেকে মেলে ধরছেন শোবিজে। পরিচিতিও পেয়েছেন বেশ। প্রতিনিয়ত নিজেকে তৈরি করছেন নতুন রুপে। সম্প্রতি এই ব্র্যান্ড প্রমোটারের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ। বারিশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে ইতোমধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগও করেছেন এক নারী উদ্যোক্তা। টাকা নিয়ে কাজ না করা, একাধিকবার সময় পরিবর্তন ও কাজ না করে টাকা কেটে রাখার অভিযোগ এনে নারী উদ্যোক্তা নামিরা আরমিন বলেন, আমি একটি পেজে লাইভের জন্য বারিশকে চুক্তিবদ্ধ করি। শুরু দিকে ঠিকভাবে কাজ করলেও পরবর্তীতে তিনি চুক্তি অনুযায়ী কাজ করেননি। পর পর বেশ কয়েকটি লাইভের সময় পরিবর্তন করায় আমি যখন বলি এভাবে করলে আমার ক্ষতি হয়ে যাবে তখন সে আর লাইভ করবে না বলে জানিয়ে দেন। আর দশ হাজার টাকা কেটে রাখেন।  এদিকে বিষয়টি নিয়ে বারিশ হক জানান, তাকে ব্যবহার করে ভাইরাল হতেই এমনটি করেছে সেই নারী উদ্যোক্তা। এদিকে কিছুদিন আগে নিয়মবিধি উপেক্ষা করে সক্রিয়ভাবে নিজের স্যোশাল মিডিয়ায় অনলাইন জুয়ার প্রচারের অভিযোগ উঠে বারিশ হকের বিরুদ্ধে। মূলত ফেসবুককেন্দ্রীক বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারকাজ করে থাকেন বারিশ হক। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ১২ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে। সেই পেজ থেকে বিগত সময় ‘সিটিবিডি২০’ নামে একটি জুয়ার সাইটের প্রচারণা করেন বারিশ বলে জানা গিয়েছে।
১০ মার্চ ২০২৪, ২০:০৩

অভিনেত্রী মানসীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
বাংলা টেলিভিশন তথা বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী মানসী সিনহা। মূলত, কমেডি চরিত্রেই দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি। সেই মানসী সিনহাই এবার পড়লেন বিপাকে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ আনলেন তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘এটা আমাদের গল্প’র সহপ্রযোজক দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। দীপঙ্করের অভিযোগ, মানসী তার কাছ থেকে ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন, কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাননি। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনায় হাত দিয়েছেন মানসী। ছবির নাম ‘এটা আমাদের গল্প’। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ছবির সিংহভাগ শুটিং হয়ে গেছে। এই ছবির সহ-প্রযোজক এক সংবাদমাধ্যমকে দীপঙ্কর জানিয়েছেন, মানসী আমার থেকে ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা আমি ফেরত পাইনি। শুধু তাই নয়, শুটিং চলাকালীন মানসী, যে হিসেব দেখিয়েছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। ছবিতে বাকি টাকা শর্মিষ্ঠার বিনিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু একটা সময়ে দেখলাম শর্মিষ্ঠাও ওর অফিস বদলে ফেললেন। পুরো বিষয়টায় আমার ধোঁয়াশা রয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ছবির পোস্টারও মানসী শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্টারে সহ-প্রযোজনার জায়গায় নিজের নাম না থাকায়, টনক নড়ে দীপঙ্করের। পোস্টারে প্রযোজক হিসেবে সুভাষ বেরা ও শুভঙ্কর মিত্রের নাম রয়েছে। দীপঙ্করের কথায়, আমি এদের চিনিই না। ২০২২ সালে আর কোনো উপায় না দেখে মানসীকে আইনি নোটিশ পাঠান প্রযোজক। এমনকি, সমঝোতাপত্রে সইও করেছিলেন মানসী। যেখানে লেখা ছিল দীপঙ্করের অনুমতি ছাড়া তিনি ছবি রিলিজ করবেন না। এই পুরো বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মানসীও। তিনি জানালেন, ছবির শুটিং শুরু হয় শর্মিষ্ঠার প্রযোজনায়। শর্মিষ্ঠার বিনিয়োগকারী হিসেবে এসেছিলেন দীপঙ্কর। সহ-প্রযোজক হিসেবে দীপঙ্করের নাম রাখার সিদ্ধান্ত ছিল শর্মিষ্ঠার। মানসীর আরও জানিয়েছেন, দীপঙ্কর বলেছে টাকা খরচের হিসেব দিতে পারেনি শর্মিষ্ঠা। কিন্তু এখনও দীপঙ্করের মনে হচ্ছে আমি ওকে ঠকাচ্ছি! আমি তো পরিচালক মাত্র।দীপঙ্করের বিরুদ্ধে মানসী তার সই-সহ জাল নথি তৈরির অভিযোগও এনেছেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০

প্রতারণার কামাই খোয়ালেন জুয়ার সাইটে 
আব্দুর রউফ ওরফে বাপ্পি। বায়িং হাউজে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত চার বছর ধরে করে আসছিলেন প্রতারণা। এ সময়ে অন্তত ৫০০ মানুষ শিকার হয়েছে তার প্রতারণার। তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। কিন্তু সে টাকা ধরেও রাখতে পারেননি, খুয়েছেন অনলাইন সাইটে জুয়া খেলে। অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের বিশেষ টিমের হাতে।   পুলিশ জানায়, আব্দুর রউফ পড়াশোনা করেছেন এইচএসসি পর্যন্ত। পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে এরপর ঢাকায় এসেছিলেন গার্মেন্টসে চাকরির জন্য। ভর্তি হয়েছিলেন বিজেএমইএ-এর ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান কিউসি ম্যানেজমেন্টের ওপর ৬ মাসের কোর্সে। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য কোর্সটা সম্পন্ন করতে পারেননি। চলে যান গ্রামের বাড়ি শেরপুর। কোর্স সম্পন্ন না করতে পারলেও বায়িং হাউজ সম্পর্কে অর্জিত যৎসামান্য জ্ঞানই পুঁজি করে নেমে পড়েন প্রতারণায়। বাড়িতে গিয়ে গ্রামীনফোনের সিম বিক্রেতার কাছ থেকে সংগ্রহ করেন কয়েকটা বেনামি রেজিস্ট্রেশন করা সিম। এসব সিম দিয়ে শুরু করেন বায়িং হাউজে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা। বায়িং হাউজের চাকরি সম্পর্কে ধারণা থাকায় বিভিন্ন কৌশলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ করেন এবং সেইসব সিভির রেফারেন্সে থাকা নম্বরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও নতুন সিভি সংগ্রহ করেন। এরপর সংগৃহীত সিভির চাকরি প্রার্থীদের ফোন করে নিজেকে বিভিন্ন নামিদামি বিদেশি কোম্পানির বাংলাদেশি প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেন, আকর্ষণীয় বেতনে বায়িং হাউজের চাকরির অফার করেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। কন্ঠ পরিবর্তন করে কখনও ভারতীয় নাগরিক, কখনও শ্রীলঙ্কান নাগরিক পরিচয়ে কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে কথা বলেন। হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারভিউ নিয়ে কনফার্ম করেন চাকরি। পরে বাংলাদেশি প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। বাংলাদেশি প্রতিনিধি পরিচয়দানকারী ব্যক্তি কান্ট্রি ম্যানেজারকে তার দেশে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কেনার জন্য কিছু টাকা দিতে বলেন। কেউ একবার এই ফাঁদে পা দিলে শুরু হয় তার নতুন ফাঁদ। চাকরি কনফার্ম করে মূল কোম্পানিতে মেইল করা হয়েছে বলে জানান। বিদেশি কোম্পানির বেতন নিতে হবে নেটেলার বা পেপাল অ্যাকাউন্টে, অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং চালু করার জন্য বিভিন্ন ধাপে টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক। টাকা দিতে না চাইলে ক্যারিয়ার ধ্বংসের হুমকি দেওয়া হয়। টাকা হাতানোর কৌশলও অভিনব। প্রতারক নিজের কোনো বিকাশ, নগদ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন না। প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা ডিপোজিট করেন অনলাইন জুয়াসাইট ‘1XBET’ এ। এভাবে আব্দুর রউফ নামে এ প্রতারক গত ৪ বছরে পাঁচ শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়েছেন দুই কোটি টাকা। প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া এই টাকার বেশিরভাগই পরে তিনি হারিয়েছেন জুয়ার সাইট ‘1XBET’ এ বেটিং করে। তার প্রতারণার শিকার একজন ভুক্তভোগী গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থানায় বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অজয় দাস জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক আব্দুর রউফ ওরফে বাপ্পিকে শেরপুরের সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল সিমকার্ড, মোবাইল ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা আলামত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গ্রেফতার আসামি শুধু গত দুই মাসেই একটি ‘1XBET’ অ্যাকাউন্ট থেকে জুয়া খেলে খুইয়েছেন  ২১ লাখ টাকা।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৬

‘জনগণ এই প্রতারণার নির্বাচন বাতিল চায়’
দেশের মানুষ এই প্রতারণার নির্বাচন বাতিল চায় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের এক কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়নি। এটা কোনো নির্বাচন নয়। দেশের মানুষ এই প্রতারণার নির্বাচন বাতিল চায়। সারাদেশে ভোটকেন্দ্রে কোনো লাইন ছিল না। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। হতে পারে না। আওয়ামী লীগ সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করেছে। অবিলম্বে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। জনগণের দাবি মেনে নিন।’ এর আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী ও সরকারবিরোধী আইনজীবীরা। এ সময় ইউরাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্টের কো-কনভেনর সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘এই সরকার ১৫ বছর দেশে নির্যাতন চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সালে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ডামি নির্বাচন পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।’ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি ইলেকশন হয়নি, সিলেকশন হয়েছে। তারা নিজেরাই বলছে নির্বাচন হয়নি। আমরা আন্দোলন করছি আইনের শাসনের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আজ শুনলাম গার্মেন্টসের অবস্থা খারাপ, জনশক্তি রপ্তানির অবস্থা খারাপ। আপনারা দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, চালের দাম বেড়েছে। জনগণকে আর কত কষ্ট দেবেন আপনারা? দয়া করে ক্ষমতা ছেড়ে বিদায় হোন।’ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন করি। আমাদের এই আন্দোলন চলছে, চলবে। কোনো ধরনের বাধা আমাদের এই আন্দেলন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই আদালতকে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যাখ্যা দেব।’ তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আজ চোরদের দখলে। কোনো নির্বাচন না হওয়ায় অবৈধভাবে তারা জোর করে দখল করে আছে। এর সবই আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে।’
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪

নড়াইলে অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে ২ সহোদর গ্রেপ্তার
জেলার কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রাম থেকে ৯টি মোবাইল ফোনসেট, ১৬টি সিমসহ অনলাইন প্রতারণার অভিযোগে ২ সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া দুই সহোদর মো. শাহজালাল শেখ (২৭) ও মো. শাহজামান শেখ (২৩), যাদবপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস শেখের ছেলে।  মঙ্গলবার তাদেরকে যাদবপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  আরও পড়ুন : মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি আজ   জেলা পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তার দুই প্রতারক ‘ইলোরা ফ্যাশন’ নামে ফেসবুক পেইজে ১৫৫০ টাকা মূল্যে বিভিন্ন প্রকার কম্বল বিক্রি ও অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে গত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৬ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে।  রেজওয়ান সিদ্দিক ইমরান (৩২) নামে এক ব্যক্তি ফেসবুক পেইজে কম্বলের বিজ্ঞাপন দেখে দুটি সাইজের কম্বল কেনার জন্য অর্ডার দেন। প্রতারক চক্র বিভিন্ন ছলচাতুরী করে ভুক্তভোগী রেজওয়ান সিদ্দিক ইমরানের কাছ থেকে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রতারক চক্র ভুক্তভোগীর কম্বল সরবরাহ করেনি এবং মোবাইল ফোনও রিসিভ করেনি। আরও পড়ুন : ‘সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ সমূলে উৎপাটন করাই আজকের দিনের শপথ’   ওই ভুক্তভোগী নড়াইল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার দুজনের নামে ২০১৮ সালে ঢাকার কোতয়ালী থানায় এবং ২০২২ সালে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা আছে বলে পুলিশ সুপার জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, মো. দোলন মিয়া, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছাব্বিরুল আলম, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪

নোয়াখালী-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মানিকের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ 
‘ট্রাস্ট’ নাম ব্যবহার করে অন্য প্রতিষ্ঠানকে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের যৌথ মূলধনী প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অভিযোগে বলা হয়- পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তর থেকে অনুমতি না পেলেও সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারিত করে ফায়দা তোলার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, ‘ট্রাস্ট’ বা ‘আস্থা’ শব্দটি সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নামের অংশ। যা গ্রাহকের ভরসা-বিশ্বাস আর আস্থার সঙ্গে মিশে আছে। সেই ‘ট্রাস্ট’ শব্দটি ব্যবহার করে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি গড়ে তোলেন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকসহ কয়েকজন। প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইলে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখানো হয়।   ‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সসহ যেসব প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট বা আস্থা শব্দ ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির কাছে অভিযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। অভিযোগে প্রতারণার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। অভিযোগে বলা হয়, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান ‘আস্থা লাইফ ইনস্যুরেন্স’ ২০১১ সাল থেকে বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু অসাধু চক্র প্রতিষ্ঠানটির নামের অংশ ‘ট্রাস্ট’ বা আস্থা শব্দটি তাদের প্রতিষ্ঠানের নামের অংশ হিসেবে ব্যবহার করছে। নিজেদের সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পরিচয় দিয়ে আর্থিক লেনদেনসহ নানাভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান জয়নাল বারী কথা বলতে রাজি হননি। তবে অথরিটি আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সকে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছে। ‘ট্রাস্ট’ বা ‘আস্থা’ শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে ‘আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট’ অভিযোগ দিলেও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের প্রধান নির্বাহী গিয়াস উদ্দিন নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, কোম্পানির নাম ‘ট্রাস্ট’ নয়। এখানে ‘ট্রাস্ট’ একটা শব্দ না। কোম্পানির নাম হলো ‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।’ সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ‘ট্রাস্ট’ শব্দ থাকায় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনুমতি পায়নি। তারপরও ওই নামে কার্যক্রম পরিচালনা করায় আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  মো. মুনিম হাসান। তিনি বলেন, ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স নামে একটি সংস্থা ‘ট্রাস্ট’ শব্দ ব্যবহার করতে আবেদন করেন। কিন্তু ইতোমধ্যে ‘ট্রাস্ট’ অন্য আরেকটি সংস্থাকে দিয়ে দেওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়। আমাদের এখানে ‘আর্মি ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট’র রেজিস্ট্রেশন নম্বর আছে। এখন তারা চাইলে ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে। 
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়