• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রচণ্ড তাপদাহে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ ও আমল
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। চলমান এই অবস্থা আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর, ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও তিন দিন বাড়িয়েছে। এমন সময়ে বৃষ্টি আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। আল্লাহর রহমতে প্রকৃতি পায় স্বস্তি ও উর্বরতা শক্তি। এক পশলা বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে মানুষ। এমন সংকটময় মুহূর্তে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ পড়ার নির্দেশ দেয় ইসলাম। নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে তার রহমতের প্রার্থনা করার বিধান হাদিসে এসেছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমা করবেন। তোমাদের জন্য মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (সুরা নুহ: ১০-১১) আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার বাইরে কিছুই হয় না। রোদ-বৃষ্টিও তারই রহমত ও মহান কুদরতের প্রকাশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বাতাস পাঠান, এরপর তা মেঘমালা সঞ্চালিত করে। এরপর তিনি মেঘমালা যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও যে তা থেকে বৃষ্টি নেমে আসে। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান; তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সুরা রুম: ৩৮) সালাতুল ইসতিসকার পদ্ধতি ইসলামের পরিভাষায় বৃষ্টির এই বিশেষ নামাজকে সালাতুল ইসতিসকা বা বৃষ্টিপ্রার্থনার নামাজ বলা হয়। ফিকহের কিতাবে এই নামাজের বিশেষ পদ্ধতির কথা এসেছে। খোলা ময়দানে আজান-একামত ছাড়া উঁচু স্বরে কেরাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের পর ইমাম খুতবা দেবেন। খুতবায় বেশি বেশি ইস্তিগফার ও কোরআন তিলাওয়াত করবেন। এরপর দুই হাত উঠিয়ে মিনতির সঙ্গে দোয়া করবেন এবং হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়বেন। মুসল্লিরাও তখন কায়মনোবাক্যে তার সঙ্গে শরিক হয়ে দোয়া-প্রার্থনা পড়বেন। বৃষ্টির নামাজ আদায় করতে বিনয়ের সঙ্গে যাওয়া সুন্নত। একমাত্র আল্লাহ তাআলাই যে বান্দার সব প্রয়োজন পূরণ করেন—এই বিশ্বাস অন্তরে জাগ্রত রাখতে হবে।  ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খুবই সাদামাটাভাবে, বিনয়-নম্রতা এবং আকুতিসহ বাড়ি থেকে বের হয়ে নামাজের মাঠে উপস্থিত হয়েছেন।’ (আবু দাউদ)   বৃষ্টির নামাজের দোয়া বৃষ্টির নামাজ আদায়ের সময় নিচের দোয়াটি পাঠ করা খুবই কল্যাণকর। এই দোয়া নবী (সা.) নিজেই বৃষ্টির জন্য পাঠ করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, লোকজন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অনাবৃষ্টির কষ্টের কথা বললে তিনি ঈদগাহে সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে এই দোয়া করেন। এরপর আল্লাহর হুকুমে বৃষ্টি বর্ষণ হতে শুরু করে। বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষের ছোটাছুটি দেখে নবীজি হেসে ফেলেন। (আবু দাউদ: ১১৭৩) দোয়াটি হলো—আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর-রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াউমিদ্দিন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফয়ালু মা ইউরিদ। আল্লাহুম্মা আনতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল গানিয়্যু ওয়া নাহলুল ফুকারাউ। আনজিল আলাইনাল গাইছা ওয়াজআল মা আনজালতা লানা কুওয়্যাতান ওয়া বালাগান ইলা হিন। অর্থ: সব প্রশংসা পৃথিবীর প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তিনি পরম করুণাময়, দয়ালু ও শেষ বিচারের মালিক। আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি যা ইচ্ছা করেন। হে আল্লাহ, তুমিই একমাত্র মাবুদ, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি ধনী, আমরা গরিব। আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করো এবং আমাদের জন্য যা অবতীর্ণ করো, তা আমাদের জন্য শক্তিময় ও কল্যাণ দান করো।’ (আবু দাউদ: ১১৭৩)
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২২

প্রচণ্ড গরমে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
তীব্র তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড গরমের কারণে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। তবে এসময়ে চলমান পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাহমান তীব্র তাপদাহের (হিট ওয়েভ) কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে প্রচলিত ১০ শতাংশ অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে। আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। নির্দেশনাগুলো হলো শিক্ষার্থীদের সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা। যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা। বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি-ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা। বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা। তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন-চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪০

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে আইনজীবীদের প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা
দেশজুড়ে চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের পোশাক পরিধানে শিথিলতা জারি করা হয়েছে।   শনিবার (২০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কোর্ট প্রশাসন।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (কাল রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর আগে, গত ৪ এপ্রিল পৃথক এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অধস্তন আদালতের আইনজীবী ও বিচারকদের কালো কোট ও গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর একই কারণে ২০২৩ সালের ১৪ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পোশাকে শিথিলতা জারি করেছিল সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। তবে এবার অত্যাধিক গরমের কারণে এপ্রিল মাসেই আইনজীবীদের পোশাকের শিথিলতার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন
দেশে এই মুহূর্তে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি না-হওয়া পর্যন্ত এই তাপদাহ কমবে না। ফলে শিগগিরই গরমের তীব্রতা কমছে না বলে মনে করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তীব্র তাপমাত্রা হলে তা যেকোনো স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই যতক্ষণ না আপনাকে বাইরে বের হতে হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে কিন্তু বাইরে বের হলে আর স্বস্তিটুকু থাকবে না।  গরমের ঘাম এবং তাপ সহজেই ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং এর কারণে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাই তীব্র এই গরমে কিছু বিষয়ে সতর্কতা জরুরি।   ১. হাইড্রেটেড থাকা গরমের তাপ থেকে বাঁচার সহজ নিয়ম। ঘামের মাধ্যমে যে পানি বের হয়ে যায়, পর্যাপ্ত পানি ও অন্যান্য তরল পান করলে সেই ঘাটতি পূরণ হয়। সব ধরনের আবহাওয়ায়ই প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ২ লিটার পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে সহজে পানি কমে যাওয়ার কারণে আপনাকে একটু এসময় বেশি পানি পান করতে হবে। ২. এই গরম আবহাওয়ায় বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চেষ্টা করুন বাসার বাইরে কাজ না রাখার। যদি একান্তই বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, ছাতা নিয়ে বের হবেন এবং চোখ রক্ষায় সানগ্লাস ব্যবহার করবেন। খুব ভিড় হয় এমন এলাকায় যাবেন না। ৩. প্রচণ্ড গরমে চলার পথে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করবেন না। কারণ অনেক সময় হঠাৎ ঠান্ডা পানি খেলে গলা ব্যথাসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বাইরে থেকে ঘেমে ঘরে ফিরেও সঙ্গে সঙ্গে হিমশীতল পানি খাওয়া ঠিক নয়।    ৪. ক্যাফেইন এবং নিকোটিন গ্রহণ শরীরের মূল তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। এগুলো রক্তনালীকে সংকুচিত করে। যা রক্তকে উষ্ণ করে এবং এর ফলে আপনার গরম বেশি লাগে এবং ঘাম বেশি হয়। ডাবের পানি, লেবুর শরবত এবং ফলের রসের মতো ঠান্ডা পানীয় পান করুন। সেইসঙ্গে অ্যালকোহল গ্রহণও এড়ানো উচিত। ৫. ভারী খাবার খাওয়া শরীরে তাপ তৈরি হতে পারে এবং আপনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। ভারী খাবার খাওয়ার পরে আপনার শরীরকে খাবার হজম এবং তা বিপাক করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এটি অবশেষে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং ঘাম ও ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়। গরমে হালকা এবং তাজা রান্না করা খাবার খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং নোনতা খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। ৬. যদি অতিরিক্ত গরম অনুভব করেন তবে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার একটি সহজ উপায় হলো পায়ের আঙ্গুলগুলোকে ঠান্ডা করা। কিছু সময়ের জন্য আপনার পা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে আরাম পাবেন এবং গরমও কম অনুভব করবেন। কিছুক্ষণ ভেজা মোজাও পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ঠান্ডা লেগে না যায়। ৭. টাইট ফিট করা এবং গাঢ় রঙের জামাকাপড় পরলে আরও বেশি ঘামতে পারেন। আপনি যদি ঠান্ডা থাকতে চান এবং অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে চান তাহলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের সুতির কাপড় বেছে নিন। মোটা কাপড় পরলে ঘাম বাষ্পীভূত হয় না। এছাড়া গাঢ় রং আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি শোষণ করে। যে কারণে এ ধরনের কাপড় পরলে আরও বেশি গরম লাগে। ৮. গরমে প্রতিদিন গোসল করতে ভুলবেন না। সামান্য কাশি হলেও করবেন। গোসলের পর অবশ্যই চুলটা ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। ঘেমে গেলেও ভালোভাবে চুলটা শুকনো করে মুছে নিন।  ৯. গরমের তীব্রতা বাড়ায় হিট স্ট্রোক নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই গরমে কারোর তীব্র মাথা ব্যথা, প্রচণ্ড তৃষ্ণা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, বমি বমি ভাব, পেশীতে ব্যথা, দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৬

প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলাজুড়ে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। ব্যহত হচ্ছে সাধারণ জীবনযাত্রা।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এ জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ফলে জেলার ছিন্নমূল মানুষ ও খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির লোকজন রয়েছেন চরম বিপাকে।  সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচণ্ড শীতে নিম্ন আয়ের ও সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে গিয়ে এবং গরম পানি করতে গিয়ে দগ্ধের ঘটনা ঘটলেও মানুষ আগুনের তাপ নিচ্ছেন। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা তেমনটা বাড়েনি।  এ শীতের প্রকোপে জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগী। এদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।তবে হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় শীতে কষ্টে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষজন। নদী পাড়ে হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এখানকার মানুষ।  এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবৎ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও জেলায় মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যা আগামী আরও দুদিন অব্যাহত থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে।  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে ৬৭ হাজার কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো বণ্টন করা হবে। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৭

প্রচণ্ড শীতে ফরজ গোসল, অপারগতায় ইসলামের যে বিধান
এখন ভরা শীতের মৌসুম। প্রচণ্ড শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই শীতে অনেকেরই ওজু ও আবশ্যক গোসলে সমস্যা হয়। যারা ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে, তাদের জন্য নিয়মিত গোসল করা রীতিমতো বিপদের। যদি কারও নিয়মিত আবশ্যক ওজু-গোসলে সমস্যা হয়, তার জন্য ইসলামের বিধান কী? কীভাবে তিনি এই সমস্যার মধ্যে নামাজ-রোজা পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে ইসলাম বলছে, গরম পানি কিংবা অন্য যেভাবে শরিয়তের বিধান মোতাবেক ওজু করা যায় সেটা করা। যদি আপনি অপারগ হন এবং ঠান্ডা অতি তীব্র হয়, পানি ব্যবহারে বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে, পানি গরম করা বা আশপাশে কারও থেকে গরম পানি কেনার কোন উপায় না থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ওজর গ্রহণযোগ্য এবং তায়াম্মুম করাই আপনার জন্য যথেষ্ট। আরবে অন্তরীণ শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদের কাছে এক ব্যক্তি জানতে চেয়েছিল, ‘প্রচণ্ড শীতের দিনে গোসল ফরজ হলে আমি কি তায়াম্মুম করে নামায পড়তে পারি? উল্লেখ্য, যে সরঞ্জামাদি থাকলে আমি অবিলম্বে পবিত্র হতে পারি সেগুলো আমার কাছে নেই। তাছাড়া আমি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত; আমার পিঠ রোগাগ্রস্ত, আমাকে সাংঘাতিক কষ্ট দিচ্ছে।’ উত্তরে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, যে ব্যক্তির উপর গোসল ফরজ হয়েছে সে ব্যক্তি নামায পড়তে চাইলে তার উপর ফরয হচ্ছে, পানি দিয়ে গোসল করে নেওয়া। দলিল হচ্ছে- ‘আর তোমরা জুনুবি (অপবিত্র) হলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে (সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬)। তাই কেউ যদি পানি ব্যবহারে অক্ষম হয়, পানি না-থাকার কারণে কিংবা পানি থাকলেও এর ব্যবহারে রোগের ক্ষতি হতে পারে কিংবা তীব্র ঠান্ডার কারণে (তার কাছে পানি গরম করার মত কিছু না থাকলে); তাহলে সে ব্যক্তি পানি দিয়ে গোসল করার পরিবর্তে মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করতে পারেন। এর দলিল হচ্ছে আল্লাহ্‌র বাণী: “আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ মলত্যাগ করে আসে বা তোমরা স্ত্রী সহবাস কর এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৬)।  এ আয়াতে দলিল রয়েছে যে, অসুস্থ ব্যক্তি পানি ব্যবহার করার ফলে যদি তার মৃত্যু ঘটা, কিংবা রোগ বেড়ে যাওয়া কিংবা আরোগ্য লাভ বিলম্ব হওয়ার আশংকা থাকে সেক্ষেত্রে তিনি তায়াম্মুম করবেন। আল্লাহ্‌ তাআলা তায়াম্মুমের পদ্ধতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘তা দ্বারা মুখমণ্ডল ও হাত মাসেহ করবে (সুরা মায়েদা, আয়াত: ৬)।    আমর বিন আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘জুতুস সালাসিল’-এর অভিযানে এক ঠান্ডার রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়ে গেল। আমি আশঙ্কা করলাম, আমি যদি গোসল করি তাহলে ধ্বংস হয়ে যাব। তাই আমি তায়াম্মুম করলাম। এরপর আমার সাথিদেরকে নিয়ে ফজরের নামায আদায় করলাম। আমার সাথিরা বিষয়টি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, হে আমর! তুমি কি জুনুবি (গোসল ফরজ হওয়া) অবস্থায় তোমার সাথিদের নিয়ে নামাজ পড়েছ? তখন আমি তাকে জানালাম কী কারণে আমি গোসল করিনি এবং আমি আরও বললাম, আমি শুনেছি আল্লাহ্‌ বলেন: ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি দয়ালু (সূরা নিসা, আয়াত: ২৯)। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেসে দিলেন, কোন কিছু বললেন না।  শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহ.) বলেন, যদি আপনার পক্ষে গরম পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় কিংবা আপনি গরম করতে পারেন কিংবা প্রতিবেশী বা অন্য কারো থেকে কিনে নিতে পারেন তাহলে সেটা করা আপনার উপর আবশ্যকীয়। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন, ‘তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহ্‌কে ভয় করো (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ১৬)। তাই আপনার কর্তব্য হচ্ছে ।  তথ্য সূত্র : ইমাম বাতায়ন
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:১৮

প্রচণ্ড শীতের মধ্যেই খুলনায় বৃষ্টি
গত কয়েক দিন থেকেই শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে দেশ। ভালোভাবে মিলছে না সূর্যের দেখাও। এরই মধ্যে খুলনায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। একদিকে মাঘের হাড় কাঁপানো শীত, অন্যদিকে হালকা বৃষ্টি। এ দুইয়ে মিলিয়ে খুলনার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী ও অফিসগামী মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। এ বিষয়ে খুলনার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, আমরা আগে থেকে বার্তা দিয়ে এসেছি যে, ১৮ জানুয়ারি খুলনায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশে মেঘ জমার কারণে খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যেহেতু সকাল ৯টার দিকে বৃষ্টি হয়েছে, তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেলা ১২টায় রেকর্ড করা হবে। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। আগামীকাল শুক্রবারও আকাশ মেঘলা থাকবে। তিনি জানান, খুলনায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার (১৬ জানুয়ারি)। ওই দিন সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ আকাশ মেঘলা থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারির পর আবারও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এদিকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়