• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে’
স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাসকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ ভুইয়ারবাগ এলাকার বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।  নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন। আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম যাতে শিক্ষার বাইরে নেশা, সন্ত্রাসী ও মাদকে জড়িয়ে না পড়ে সে জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। তিনি শিক্ষকদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে ছাত্রদের গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, একজন শিক্ষক পারে একজন শিক্ষার্থীকে সত্যিকারের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহবান জানান।  বিদ্যানিকেতন পরিচালনা পরিষদের সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল হক রুমন রেজা, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দীপু, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম আরাফাত, বিদ্যানিকেতন ট্রাস্টের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহেল, প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীরা দেশের গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশ করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রচনা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম বাবু এমপি পুরস্কার বিতরণ করেন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৪১

৩৩ হারানো মোবাইল উদ্ধার, প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর
জিডি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মডেলের ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। রোববার (১১ই ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উদ্ধার হওয়া এসব মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিকদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুুক্তা ধরের তত্ত্বাবধানে থাকা ৯টি থানা থেকে মোবাইল ফোন সংক্রান্ত জিডি ও অভিযোগগুলো সংগ্রহ করে সাইবার ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে মাত্র ৭ দিনের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন মডেলের ৩৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। হারিয়ে যাওয়া মোবাইল পিরে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত মোবাইল ফোন মালিকেরা।  এ বিষয়ে পানছড়ি থানা থেকে আগত মো. হালিম (২৫) বলেন, আমি পেশায় একজন শ্রমিক। আমি পানছড়ি সীমান্তগামী মহাসড়কে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছি। গত ২ মাস আগে আমার মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। আমি অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে মোবাইল ফোনটি কিনেছিলাম। শখের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে আমি মনে প্রচণ্ড কষ্ট পাই। কোন উপায় না পেয়ে আমি পানছড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আমি ভেবেছিলাম হারানো মোবাইল ফোনটি আর কখনোই ফিরে পাবো না। আজ যখন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার স্যার আমার হাতে আমার হারানো মোবাইলটি তুলে দিলেন তখন আমার কাছে স্বপ্ন মনে হচ্ছিল। আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।  একইভাবে খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম এলাকা তাইন্দং থেকে আগত আব্দুল সবুর (৫৫) তার মেয়ের হারানো মোবাইল ফোনটি পুলিশ সুপার মহোদয়ের হাত থেকে গ্রহণ করে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার মেয়ে কলেজে পড়াশোনা করে। কলেজের পড়াশোনার জন্য আমার মেয়েকে আমি অনেক কষ্ট করে ধার-দেনা করে একটি টাচ্ মোবাইল কিনে দেই। বাড়িতে চার্জ দেওয়ার সময় আমার মেয়ের মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। আমার মেয়ে মোবাইল ফোনটি হারিয়ে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করে। আমি আল্লাহর নিকট বিচার দেই। আজ আল্লাহ আমার ডাক শুনেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপারের মত যদি স্যার থাকতো তাহলে আমার মত গরিব দুঃখি মানুষের অনেক উপকার হতো। আল্লাহ স্যারের মঙ্গল করুন। স্যার অনেক দিন বেঁচে থাকুক। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারের আমাদের এ কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং পাশে থাকব। আমাদের খাগড়াছড়ি সাইবার ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ইউনিট আপনাদের সার্বক্ষণিক সকল প্রকার সাইবার সংক্রান্ত সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়