• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি / যে বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে বললেন নাবিক
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশি একটি জাহাজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সোমালিয়ার জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জাহাজটিতে বাংলাদেশি ২৩ জন নাবিক রয়েছেন। তাদেরকে একটি জায়গায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে জলদস্যুরা।  জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা (চিফ অফিসার) মো. আতিক উল্লাহ খান সর্বশেষ এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে স্ত্রীর কাছে পাঠানো ওই বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা একে একে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তাদের যত তাড়াতাড়ি টাকা দেবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়বে বলেছে। এই বার্তাটা সবদিকে পৌঁছে দিয়ো। এর আগে, জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর মালিকপক্ষের কাছে একটি অডিও বার্তা পাঠান আতিক উল্লাহ খান। সেখানে তিনি বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) সকালে জাহাজের সময় আনুমানিক সাড়ে ১০টার (বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টা) সময় একটা হাইস্পিড বোট আমাদের দিকে আসছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এলার্ম দিয়ে ব্রিজে গেলাম। ওখান থেকে পরে সিটে চলে গেলাম। ক্যাপ্টেন স্যার ও সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিল। আমরা ঝিকঝাক কোর্স করলাম। তারপর এএসএস-এ করলাম। ইউকে এমটিকেও ট্রাই করলাম। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করেনি। এরমধ্যে জলদস্যুরা চলে আসল। চলে আসার পর ওরা ক্যাপ্টেন স্যার ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে আমাদের ডাকল। আমরা সবাই আসলাম। আমাদের ডেকে কিছু গোলাগুলি করল। আমরা একটু ভয় পেয়েছি। সবাই ব্রিজে বসে ছিলাম। কারও গায়ে হাত তোলেনি। শুধু সেকেন্ড অফিসারকে একটু মারধর করেছে। তারপর আরেকটি স্পিডবোটে করে আরও কয়েকজন চলে আসল। এভাবে মুহূর্তেই প্রায় ১৫-২০ জন চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে একটি বড় ইরানিয়ান ফিশিং বোট নিয়ে আরও জলদস্যু চলে আসে। ইরানিয়ান ওই ফিশিং বোটটি এক মাস আগে তারা জিম্মি করেছিল। এটি দিয়ে তারা এক মাস ধরে নতুন কোনো জাহাজ জিম্মি করার জন্য সাগরে ঘোরাঘুরি করছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সামনে পড়ে গেলাম। এই ফিশিং বোটের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের জাহাজে থাকা পাম্প দিয়ে কিছু ডিজেল নিয়ে ওই বোটে দিয়েছে তারা। তেল দেওয়ার পর আমাদের জাহাজে উঠে জিম্মি করা ফিশিং বোটটিকে ছেড়ে দেয়। তারপর ওরা আমাদের সেকেন্ড ও থার্ড অফিসারকে নিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে যায়। তাদের নিয়ে গিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সবাই ভয়ে আছি। ওরা খুব ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের জাহাজে ২০-২৫ দিনের খাবার পানি আছে। প্রায় ২০০ টনের মতো। সবাইকে বলেছি, এগুলো একটু সাবধানে ব্যবহার করতে। শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়ব আমরা। তবে একটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের জাহাজে কিছু কোল্ড কার্গো আছে। প্রায় ৫৫ হাজার টন। এগুলো একটু ডেঞ্জারাসও। ফায়ারেরও ঝুঁকি আছে। মিথেন বাড়ে। লাস্ট যখন অক্সিজেন মেপেছি তখন ৯-১০ শতাংশ লেভেল পেয়েছি। এটি নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কোনো কারণে অক্সিজেন লেভেল বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে। এটার একটু ব্যবস্থা করবেন, স্যার। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, স্যার। আমাদের পরিবারকে একটু দেখবেন, স্যার। সান্ত্বনা জানাবেন, স্যার। আসসালামুলাইকুম। দেশের শীর্ষ শিল্প গ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এটি। ২০১৬ সালে তৈরি জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় বাংলাদেশি ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রী। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় তাদের।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৫

৭০০ শিক্ষার্থীকে হলে পৌঁছে প্রশংসায় ভাসছেন রেল কর্মকর্তা অসীম
মানবহিতৈষী আমাদের ‘রেলওয়ে ম্যান’ অসীম কুমার তালুকদার। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী। এতে প্রশংসায় ভাসছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ওই মহাব্যবস্থাপক। জানা গেছে, গত ৫ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা ছিল। এদিন এই ইউনিটের চতুর্থ ও শেষ শিফটের পরীক্ষা দুপুর সাড়ে ৩টায় শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষা দিতে ধূমকেতু ট্রেনে আসছিলেন প্রায় ৭০০ পরীক্ষার্থী। আর তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে হলে পৌঁছাতে ঘটে এক রুদ্ধশ্বাস ঘটনা। পরীক্ষার্থীদের পৌঁছাতে ট্রেনের ইঞ্জিন খুলে আরেক ট্রেনে লাগাতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ৮৫ কিলোমিটার বেগে চালাতে হয়েছিল ট্রেন। অসীম কুমার তালুকদার ৫ মার্চের সেই ভ্রমণের কাহিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখে পোস্ট করেছেন। হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘আজকের ধূমকেতুর যাত্রা’ শিরোনামে ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, গতকাল (৫ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী ধূমকেতু এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে রওনা হন। ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়তেই দেরি হয়ে যায়। বেলা ১১টায় হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বেলা ৩টা নাগাদ রাজশাহীতে পৌঁছাবে। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ট্রেনটি অন্য ট্রেনকে বসিয়ে দিয়ে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। লাহেড়ী মোহনপুর স্টেশনে এসে ধূমকেতুর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে শরৎনগরে বসা চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন এনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস আবার চালু করা হয়। তখন হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহীতে পৌঁছাবে, তখন পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অসীম কুমার তালুকদার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। ট্রেন সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতিতে চলছিল। তবে দুশ্চিন্তা ছাড়ছিল না। সময়মতো পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল। উপায় না পেয়ে আড়ানী স্টেশনের স্টপেজে ট্রেন না থামিয়ে থ্রু পাস করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বেলা ৩টা ৩৮ মিনিটে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটি থামে। পরে শিক্ষার্থীরা দ্রুত দৌড়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসেন। অসীম কুমারের পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা তাকে নিয়ে সিনেমা বানানোর দাবিও তুলেছেন। একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন টেস্ট ছিল। ঢাকা থেকে আসা একটি ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। থ্যাংকফুলি পশ্চিমাঞ্চল ট্রেনের মহাব্যবস্থাপক সেটা মনিটর করেছেন। নিজে রাবি’র ভিসির সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষায় লেট এন্ট্রির ব্যবস্থা করেছেন। অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন ওই নষ্ট ট্রেনে সেট করে দ্রুত রাজশাহী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। এতো কষ্ট না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও কারও কিছু করার ছিল না। একটু সহমর্মিতা, একটু আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থীকে চোখের পানি ফেলতে হয়নি। তার নাম অসীম কুমার তালুকদার।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একটা পচে যাওয়া সময়ে অসীম যা করেছেন, তা আসলেই রেলওয়ের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমরাও সুর মিলিয়ে বলতে পারি- অসীম, আপনি যা করলেন, তার জন্য ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে। এই শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ যদি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-ও হয়, তবু আপনার ঠাঁই হবে মহাকালের অনন্ত যাত্রায়।’
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এ ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি। প্রথমে তথ্যকেন্দ্র পরে ডিজিটাল সেন্টার করি। আজ সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারের মতো ডিজিটাল সেন্টার আছে। যেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।ওয়াইফাই কানেকশনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটাও আমরা করে দিয়েছি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন একটি কমিশন গঠন করি। ৯৬ সালে যখন সরকারে আসি তখনই ওয়ার্ড থেকে নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে, উপজেলা, জেলা পর্যন্ত আইন পাস করি। জেলা পরিষদ আইন সেসময় করে দেই। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উন্নয়নের সার্বিক কাজ হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছিলাম। সরকারপ্রধান আরও বলেন, মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার তিনি হাতে নেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা। সেই স্বপ্ন নিয়ে তিনি স্বাধীনতা পর একটি সংবিধান দেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনকে শক্তিশালী করি। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে যেন এগুলো গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।   এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন, জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু প্রমুখ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

‘স্বাস্থ্যসেবা শুধু শহর কেন্দ্রিক নয়, গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে’
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা শুধু শহর কেন্দ্রিক নয়, এর পরিধি একেবারে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেটাই চান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া (পিএইচএ) গ্লোবাল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যসেবার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে কাজ করতে হলে চিকিৎসকদের সুযোগ সুবিধাগুলোও ভাবতে হবে। নার্সদের নিয়ে আমাদের আরও পরিকল্পনা করতে হবে। আজকের এই আয়োজন প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যাকাডেমিয়া সরকারের কাজকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। ডা. সামন্ত লাল বলেন, চিকিৎসা প্রশিক্ষণার্থী বিনিময় কর্মসূচির মতো উদ্যোগগুলো শুধু আন্তঃসাংস্কৃতিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করবে না বরং দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সম্মিলিত অভিজ্ঞতাকেও সমৃদ্ধ করবে। দেশে এবং দেশের বাইরে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এ ধরণের প্রোগ্রামে তৃণমূলের চিকিৎসকদের যুক্ত করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে নার্সদের গুরুত্ব অপরিসীম। চিকিৎসকদের পাশাপাশি তাদের নিয়েও এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করা যায়।  এ সময় আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের সিইও ডা. মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ।   অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়ার (পিএইচএ) ট্রাস্টি ডা. নাসির খান। এ ছাড়া রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস লন্ডন, রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস এডিনবার্গ, রয়েল কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন, ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন, আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি এর প্রেসিডেন্টরাও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সামিট-২০২৪ এ দুই হাজারের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও মেডিকেল শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। স্পিকার হিসেবে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৫০ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং দেশের ১০০ জনেরও বেশি খ্যাতিমান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। নয় দিনের সম্মেলনে থাকছে ৩০টির বেশি কোর্স এবং সাইন্টিফিক সেশন। দেশে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন শুধু বাংলাদেশেই নয়; দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৯

এক দিনেই পরীক্ষা ও আঙুলের ছাপ, ড্রাইভিং লাইসেন্স পৌঁছে যাবে বাড়িতে
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সহজতর করার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রতিষ্ঠানটির সব সার্কেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন অনলাইনে দাখিল করতে পারবেন পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নকারীরা। এরই মধ্যে নবায়নের আবেদনসমূহ অনলাইনে দাখিল শুরু করেছে বিআরটিএ। ফলে আবেদনকারীকে শুধুমাত্র একদিন বিআরটিএর পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সহজতর করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ (মিরপুর), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-২ (ইকুরিয়া), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৩ (দিয়াবাড়ি, উত্তরা), ঢাকা মেট্রো সার্কেল-৪ (পূর্বাচল) ও ঢাকা জেলা সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত আবেদনসমূহ bsp.brta.gov.bd এই ওয়েসাইটের মাধ্যমে গ্রহণ কার্যক্রম (পাইলটিং) শুরু করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এ প্রক্রিয়ায় বিআরটিএর অন্যান্য সকল সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চালুর ফলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীকে শুধুমাত্র একবার বিআরটিএর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে বায়োএনরোলমেন্ট প্রদান ও দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আবেদন করবেন যেভাবে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর দিয়ে ইউজার আইডি খুলতে হবে। এর জন্য  bsp.brta.gov.bd যেতে হবে। আবেদনকারী কর্তৃক তার bsp একাউন্টের মাধ্যমে প্রথমে অনলাইন ভেরিফিকেশন বেজড কিউআর কোড সংবলিত প্রবেশপত্র গ্রহণ করতে হবে। পরবর্তীতে রিফ্রেশার ট্রেনিং ও দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনলাইনেই ফি প্রদান ও ডোপ টেস্ট রিপোর্ট স্ক্যান কপি সংযুক্ত করে আবেদন সাবমিট করতে হবে। এখন থেকে আবেদনকারীর পরীক্ষার ফলাফল এবং আবেদন প্রক্রিয়াকরণের প্রতিটি পর্যায়ের স্ট্যাটাস অনলাইনে তার bsp একাউন্টে জানতে পারবেন। কিউআর কোড বেজড সিস্টেম জেনারেটেড মোটরযান চালনার ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবেন। প্রিন্টিং কার্যক্রম শেষে আবেদনকারীর চাহিত ঠিকানায় ডাকযোগে ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে এই ইমেইলে [email protected] পাঠানো যাবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেবে পুলিশ
ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান জানিয়েছেন, আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় রাজধানীর ১২২টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য পুলিশের অন্তত ৩২টি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত থাকবে।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে প্রয়োজনে পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মো. মুনিবুর রহমান বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যাওয়া সহজ করতে ১৮টি সুপারিশ করা হয়েছে। মূল বিষয়গুলোর পরীক্ষা চলাকালে ডিএমপি ট্রাফিকের আটটি জোনে প্রায় ৩২টি কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত থাকবে, যারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে পরীক্ষার্থীদের। এ সময় পরীক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের প্রতি সড়কের যানজট, প্রকল্পের কাজসহ নানান প্রতিবন্ধকতার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রে আগেভাগে রওনা দেওয়ার আহ্বান জানান ট্রাফিক পুলিশের এ অতিরিক্ত কমিশনার। এক প্রশ্নের উত্তরে মো. মুনিবুর রহমান জানান, ঢাকার সড়কে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে নিয়মিত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, দুই কোটিরও বেশি মানুষের আবাস রাজধানী ঢাকায় কম সংখ্যক সড়কে অধিক সংখ্যক মানুষের যাতায়াতের নানা অসুবিধার মধ্যেই আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অন্যান্য বারের মতো এবারও স্বাভাবিকভাবেই অন্যতম অগ্রাধিকার তৈরি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছানো। আর এসব বিষয় মাথায় রেখেই পরীক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করতে বিশেষভাবে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। এ বছর এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৯

পুলিশ পরিচয়ে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলে ছিনতাই
প্রাইভেটকার নিয়ে বাসস্ট্যান্ডসহ জনবহুল এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তোলেন গাড়িতে। কিছুক্ষণ পরেই প্রকাশ পায় চালক ও সহযাত্রীদের আসল চেহারা। তারা মূলত ছিনতাইকারী। নির্মম নির্যাতন করে আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।  পুলিশ বলছে, শুধু রাতে নয়, দিনের বেলায়ও ছিনতাই করেন তারা। তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে। এ রকম একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   প্রযুক্তি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গার একটি এটিএম বুথ থেকে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলছেন যে ব্যক্তি এই কার্ডের প্রকৃত মালিক তিনি নন। একজনকে অপহরণ করে তার সঙ্গে থাকা এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলছেন তিনি। একই বছরের জুলাই মাসের ২০ তারিখে আরেকটি এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও টাকা তুলতে দেখা যাচ্ছে এই একই ব্যক্তিকে। এখানেও এই একই ঘটনা। বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা ব্যক্তির নাম আফজাল। তিনি মূলত একটি ছিনতাইকারী চক্রের প্রধান। রাসেল আহমেদ গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আফজাল বাহিনীর হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন। ঢাকায় আসার জন্য তিনি দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়নের একটি এলাকায়। একটি প্রাইভেটকার এসে থামে তার সামনে। ভাড়া মিটিয়ে তিনি উঠে পড়েন গাড়িতে। পরের ঘটনা শোনা যাক তার মুখেই। সেই রাসেল বলেন, তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পকেট থেকে ম্যানিব্যাগ, মোবাইল ও হাত থেকে ঘড়ি নিয়ে নেন। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। কথা বলারও সুযোগ দেয়নি। আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে তারা বলেন যে, আপনার স্বামীকে রিসোর্ট থেকে মেয়েসহ ধরা হয়েছে। তাকে মারধর করা হচ্ছে। এই ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে তারা বলেন যে তারা পুলিশের লোক। তারা আমাকে সেভ করেছেন। আমাকে সোপর্দ করার কথা বলে আমার স্ত্রীকে এক লাখ টাকা নিয়ে আসতে বলেন। এই মহাসড়কে রাসেলের মতো ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন আরও একাধিক ব্যক্তি। এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার কাছ থেকে মোবাইল, টাকা নিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। সেইসঙ্গে এটিএম কার্ড, বিকাশ ও নগদের পাসওয়ার্ড নিয়ে নেন তারা।   থানা পুলিশের কাছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর ঠিক কি পরিমাণ ছিনতাই এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এই এক্সপ্রেসওয়েতে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কারণ অনেকেই যারা ভুক্তভোগী অর্থাৎ ছিনতাই কিংবা ডাকাতির শিকার হয়েছেন তারা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি কিংবা মামলা করেননি। তবে যেসব ঘটনায় মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি হয়েছে সেগুলো তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ পেয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একাধিক ডাকাত চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের পর তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। পুলিশ প্রযুক্তি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে শনাক্ত করে আফজাল বাহিনীকে। মূলহোতা আফজালসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। পুলিশ বলছে, ১১ মামলার আসামি আফজালের দলে আছেন একাধিক সদস্য। প্রতিদিন তিন থেকে চারজনকে নিয়ে তিনি বের হন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে।   কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির গণমাধ্যমে বলেন, কবে কাজ করবে, কীভাবে করবে- আফজাল এসব পরিকল্পনাগুলো করতেন। তিনি পালাক্রামে একেকদিন ৪ থেকে ৫ জনকে নিয়ে নিয়ে কাজটা করতেন। আফজালের কাছ থেকে এই হাইওয়ে রোডে এ ধরনেরই আরও কয়েকটি গ্রুপের তথ্য পেয়েছি।  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, রাজধানীর তিনশো ফিট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ যেসব সড়কে বিরতিহীনভাবে যানবাহন চলাচল করে সাধারণত সেসব এলাকায় তাদের মূল বিচরণক্ষেত্র। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন কবির আরও বলেন, বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে খুব চতুরভাবে নিজেরাও যাত্রী সেজে চক্রটির সদস্যরা টার্গেট ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করতেন। সাধারণত যাত্রীরা মনে করেন যে বাসে করে গেলে বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে গেলে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হবে। প্রাইভেটকারে করে গেলে দ্রত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। সামান্য একটু সময় বাঁচাতে গিয়ে তারা বিপদে পড়ে যান। পুলিশ বলছে, একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এতে পুলিশের মতে ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচতে দরকার যাত্রী সাধারণের সচেতনতা।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯

ভুলে অন্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী, নিজ কেন্দ্রে পৌঁছে দিলো ট্রাফিক পুলিশ
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি)। এরমধ্যে রাজধানীর মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের আওতাধীন দুটি কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় প্রায় ৬০০০ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এরমধ্যে ৩০ জন পরীক্ষার্থী ভুল করে অন্য কেন্দ্রে চলে যায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় দ্রুত সময়ে তাদের সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা পরীক্ষার্থীরা যাতে যানজটে আটকা না পড়েন সেদিকে লক্ষ্য রেখে মোটরসাইকেলে করে তাদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। কেন্দ্র দুটির মধ্যে আইডিয়াল-মুগদা কেন্দ্রের পরিবর্তে আইডিয়াল-মতিঝিল কেন্দ্র এবং আইডিয়াল-মতিঝিল কেন্দ্রের পরিবর্তে আইডিয়াল-মুগদা কেন্দ্রে চলে যান পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল হাসান। তিনি জানান, মতিঝিল ট্রাফিক পুলিশের আওতাধীন এলাকায় দুটি কেন্দ্রে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৬ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ জন পরীক্ষার্থী ভুল করে অন্য কেন্দ্র কেন্দ্রে চলে যান। তাৎক্ষণিকভাবে সময় স্বল্পতা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা শুরুর আগেই সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষার কথা চিন্তা করে কেন্দ্র দুটিতে আমাদের কুইক রেসপন্স টিম আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের কর্মকর্তা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগে থেকেই এ বিষয়ে প্রস্তুতি রাখতে বলেছিলেন। নির্দেশনা মোতাবেক মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টরা কেন্দ্র ভুল করা পরীক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলে করে সঠিক কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। ডিএমপির ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের এ ধরনের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডে পরীক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা ট্রাফিক পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তবে পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। ডাক্তার হওয়ার আশায় এবারের পরীক্ষায় এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৪

রাজধানীর কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপার
রাজধানীতে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হলো ব্যালট পেপার। রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোর পাঁচটায় কাকরাইলের ইউলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১১০ টি কেন্দ্রের ব্যলট পেপার প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট বুঝিয়ে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম। এছাড়াও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বাকি কেন্দ্রগুলোর ব্যালট পেপার বিতরণ করা হয়। এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ভোট শুরু হওয়ার আগেই সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে। তিনি আরও বলেন, রাতে রাজধানীতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, সারাদিন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজধানীতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়