• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
৮ বছর পর কমিটি পেল বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগ
দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সভাপতি পদে ফয়েজ আহমেদ নিজু ও ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. রুবেল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া কমিটিতে ১৯ জন সহসভাপতি, ৬ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৬ জন সাংগঠনিক সম্পাদক রয়েছেন। কমিটির সহসভাপতিরা হলেন— আক্তারুজ্জামান হাওলাদার হাফিজ, সাইফুল বাদশা, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. রাসেল হাওলাদার, ফরহাদ হোসেন রানা, কাউসার আহমেদ জনি, মো. রাসেল মোল্লা, রবিউল আউয়াল সানি, ইসরাত খান বাবু, মো. আরিফ হোসেন, মো. আল-আমিন মজুমদার, কাজী অমিত, মো. শাহরিয়ার আল ইমাম সাগর, মো. শাহরিয়ার নাফিজ সজীব, মো. জিয়ারুল ইসলাম, মো. রবিউল হাসান, বিপ্লব মীর উজ্জ্বল, মোহাম্মদ শামীম ও হযরত আলী হিমু। এ ছাড়া যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মো. আক্তার হোসেন, মো. হামিদুল্লাহ জিহাদ, মো. সাখাওয়াত হোসেন অর্নব, সোহাগ খান, মো. শিপন শিকদার এবং মো. মাহাবুব আলম। পাশাপাশি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম সাগর, মিঠুন হালদার আকাশ, মেহেদী হাসান, সালাহউদ্দীন সরকার, মো. শফিকুর রহমান এবং আদনান হাবিবের নাম রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে

নাম পেল বাইডেন-জয়ার তিন কন্যা
চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামে নাম রাখা বাঘ বাইডেন ও তার সঙ্গিনী জয়ার ঘরে জন্ম তিন শাবকের নাম রাখা হয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে তাদের নাম প্রকৃতি, রূপসা ও স্রোতস্বিনী রাখা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) তাদের জন্মের এক মাস পর নাম পেল এই তিন শাবক। জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরে পর্যটকদের জন্য প্রকৃতি, রূপসা ও স্রোতস্বিনীকে চিড়িয়াখানায় উন্মুক্ত করা হবে। তিন ডোরাকাটা বাঘ শাবককে বুকে নিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ২০১৬ সালে প্রথম আফ্রিকা থেকে আনা দুটি শাবক থেকে এখন ১৭টা বাঘ বাঘিনী হয়েছে। এক মাস আগে জন্ম নেওয়া শাবকগুলোকে আমরা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে নামকরণ করেছি। আমরা অনেক যত্ন নিয়ে লালন পালন করি। চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানা দেশে বিদেশে সুনাম কুড়িয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর শাহাদাত হোসেন।
২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৭

যেভাবে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’
ঢাকাগামী ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সঙ্গে গাছবোঝাই একটি ট্রলি গাড়ির ধাক্কা লেগেছে। তবে গতি কম থাকায় গাড়িটি কিছু দূরে ছিটকে গেলে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ডুলাহাজারা-চকরিয়া সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ডুলাহাজারা পার হয়ে চকরিয়া ঢোকার মুখে রেললাইনের উপর উঠে আসা গাছবাহী একটি ট্রলি গাড়িকে ধাক্কা দেয় কক্সবাজার এক্সপ্রেস। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন হেলাল বলেন, ট্রেন আসার আগে স্থানীয় একটি নসিমন রেললাইনে উঠে আটকে যায়। ট্রেনের গতি কম থাকায় ট্রলিটি কিছুদূর হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এ সময় ট্রলির চালক দৌড়ে চলে যাওয়ায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাৎক্ষণিক ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। পরে ট্রেনের চালক, স্টাফ ও স্থানীয়রা ট্রলিটি লাইন থেকে সরিয়ে দেন। ২৫ মিনিট পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫২

অনুমোদন পেল ৩৪৩৪ কোটি টাকার ১৪ প্রস্তাব
টিসিবির কর্মসূচীর জন্য ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল, ১০ মেট্রিক টন চিনি কেনাসহ ১৪টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে মোট ৩ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।  বুধবার (২০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি জানান, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে ১৬০ কোটি টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে সরকার। বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করতে আরও সময় লাগছে। তাই সাময়িক চাহিদা পূরণে সরকার টু সরকার পদ্ধতিতে ১৬০ টাকা কেজি দরে সরকারি মিলে উৎপাদিত এই চিনি কেনা হচ্ছে। এছাড়া টিসিবির জন্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ডাল কেনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতের চেন্নাইভিত্তিক অ্যাগ্রিগো ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড ডাল সরবরাহের অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০০ টাকা ৮০ পয়সা। সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন ডাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫শ মেট্রিক টন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল প্রায় ৬৩ কোটি টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি ডালের দাম পড়ছে ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা।  সেইসঙ্গে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার টন রক ফসফেট ও ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড রয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২৮৫ কোটি। বৈঠকে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের হাউজিং কলোনি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত পূর্ত কাজের প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি টাকা।  খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা মজুত সুসংহত করতে প্রতি মেট্রিক টন গম কেনা হবে ২৭৯.৯৫ মার্কিন ডলারে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা। প্রতি কেজি গমের মূল্য ৩০ টাকা ৭৯ পয়সা। এছাড়া, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি কেনার একটি এবং ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিংয়ের তিনটিসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি রাজধানীর আজিমপুরে একটি বহুতল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বুধবারের এ বৈঠকে। 
২১ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৮

মুক্তির অনুমতি পেল ‘ডেডবডি’
সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার মধ্য দিয়ে এবার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অনুমতি পেল প্রযোজক ও পরিচালক এমডি ইকবালের নতুন সিনেমা নাম ‘ডেডবডি’। সম্প্রতি বিনা কর্তনে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে সেন্সর বোর্ডে সদস্যরা সিনেমাটির গল্প ও নির্মাণের প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে সিনেমাটির পরিচালক ও প্রযোজক এমডি ইকবাল বলেন, সেন্সর ছাড়পত্র হচ্ছে টেস্ট পরীক্ষার মতো, আর মুক্তির পর চূড়ান্ত পরীক্ষা। আমরা খুশি যে, চূড়ান্ত পর্বে পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। এখন দেখা যাক, দর্শকদের কাছ থেকে সেই পরীক্ষার রেজাল্টে কী আসে! তবে, আমি আশাবাদী, সীমিত বাজেট আর আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় বানানো দেশীয় চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচনা করে দেখলে ভালো লাগবে।’ ইকবাল আরও বলেন, ওমর সানী বলেছেন সিনেমাটি নিয়ে ঈদে আসতে। আমি তো প্রায় ঈদেই আসি। এবারও আসছি নতুন সিনেমা নিয়ে। এই সিনেমাটিতে অভিনয় করবেন ওমর সানী, মিশা সওদাগর, শ্যামল মওলা, জিয়াউল হক রোশান, রাশেদ মামুন অপু, কলকাতার অভিনেত্রী অন্বেষা রায় এনি ও মিষ্টি জাহান প্রমুখ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫১

বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত পেল পরিবার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ ফেরত পেয়েছে পরিবার। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিজিবি মরদেহ গ্রহণ করে সীমান্ত এলাকায়ই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।  জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছদ্দেকুর রহমান (৩৪) মুরাইছড়া সীন্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চরাতে চরাতে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি চলে যায়। এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে কিশোর সাদ্দাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ছিদ্দেকুরকে আহতবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে ফিরে আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নেয়। তবে সেখানেও অবস্থা খারাপ হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরদিকে নিহত সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাং জানান, নিহত সাদ্দামের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে ছিল। মরদেহ ফেরাতে তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। এরপর বিজিবি ও বিএসএসফের যোগাযোগ হলে আজ মরদেহ ফেরত পাওয়া গেছে। বিকালে বিএসএফ সাদ্দামের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলে রাতে বিজিবি তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ জানান, সোমবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ মরদেহ বাংলাদেশে পাঠালে প্রথমে বিজিবি তা গ্রহণ করে। পরে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের কৈলাশহর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার ডকুমেন্টসহ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আইনি কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৩

আরও ২ পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
গাজীপুর টঙ্গীর উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কমফিট বানানা লিফ নামে আরও দুই পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে।     শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৩–তে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে কারখানা দুটি পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।  উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কমফিট বানানা লিফ লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। ১১০ নম্বরের মধ্যে উইন্ডি অ্যাপারেলস পেয়েছে ৬৯ নম্বর। আর কমফিট বানানা লিফ এর নম্বর ৭৩। বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২১৩। তার মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১১৯টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস। উইন্ডি অ্যাপারেলসের কারখানা গাজীপুরে টঙ্গীতে এবং কমফিট ব্যানানা লিফের কারখানা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে অবস্থিত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪০

ইউরোপীয় সংসদে এআই আইন চূড়ান্ত অনুমোদন পেল
ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য যুগান্তকারী একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন৷ আইনের পক্ষে ৫২৩টি ও বিপক্ষে ৪৬টি ভোট পড়ে৷ বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এআই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি এ বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে৷ দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এ আইনটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সরকারের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করা ও একই সাথে উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে৷ আইনটি ঝুঁকি অনুযায়ী বিপজ্জনক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা আলাদা সাজাবে যেন সেগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে৷ বেশিরভাগ এআই সিস্টেম কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ যেমন স্প্যাম সনাক্তের জন্য ব্যবহৃত মডেল৷ তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে এআই-এর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে৷ এই মডেলগুলো তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে৷ জনসাধারণের কাছে প্রকাশের আগে সে মডেলগুলো আইন মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে৷ জনপরিসরে রিয়েল-টাইম ফেসিয়াল রিকগনিশন নিষিদ্ধ করা কথা রয়েছে৷ যদিও এ আইন প্রয়োগের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে৷ কোনো সংস্থা আইন অমান্য করলে তাদের ৭৫ লাখ ইউরো থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে৷  এআই আইনটি পৃথকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে৷ এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে আইনটি এ বছরের শেষের দিকে কার্যকর হবে৷ চ্যাটজিপিটি-র মতো জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো আইনটি কার্যকর হওয়ার ১২ মাস পর চালু হবে৷ তবে সংস্থাগুলোকে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য নিয়মের ব্যাপারেও একমত হতে হবে৷ নতুন পাস হওয়া আইনটি কার্যকরের ছয় মাস পর বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এআই সিস্টেমগুলি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে৷
১৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৫

১১ দিন পর নাজমুলের মরদেহ পেল পরিবার
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে আগুনের ঘটনায় ১১ দিন পর নাজমুল ইসলামের (২৫) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় নাজমুল ইসলামের বাবা নজরুল ইসলামের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ।  সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। এর মধ্যে গতকাল (সোমবার) আমরা বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। আজ (মঙ্গলবার) নাজমুল ইসলামের মরদেহ আমরা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।  তিনি বলেন, গত ১ মার্চ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার ময়নাতদন্ত এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তার পরিবারের সাথে তার ডিএনএর নমুনা মিলে যাওয়ায় আজ তার বাবা নজরুল ইসলামের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করি। ধর্মীয় রীতি মেনে নাজমুলের মরদেহ দাফন করার জন্য তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত নাজমুল ইসলামের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নাজমুলকে তখন আমরা খুঁজে পাইনি। আমার ছেলের শরীর এমনভাবে পুড়েছে যে, তাকে চেনা যাচ্ছিল না। পরে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ময়নাতদন্ত এবং ডিএনএ করা হয় এবং আমাদের থেকে তার পরিচয় শনাক্তে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ১১ দিন পর আমাদের সঙ্গে নাজমুলের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় মরদেহ হস্তান্তর করেছে। নাজমুল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। চার ছেলের মধ্যে নাজমুল দ্বিতীয়। নাজমুলের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানার নলবুনিয়া কান্দি। সেখানে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হবে বলেও জানান নাজমুল ইসলামের বাবা নজরুল ইসলাম।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩১

অবশেষে সাংবাদিক বৃষ্টির মরদেহ বুঝে পেল পরিবার
অবশেষে সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় পৌঁছানোর পর মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে সকালে ঢাকার রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বেইলি রোডের ঘটনায় নিহত বৃষ্টির ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট এসেছে, তবে নাজমুলের রিপোর্ট এখনও আসেনি। তার রিপোর্ট আসতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এদিকে রোববার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সনাতন ধর্মালম্বী দাবি করেন। অন্যদিকে সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন বাবা-মা দাবি করে জানান, নিহত তরুণী অভিশ্রুতি নয়, তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তাদের সন্তান। এমন পরিস্থিতিতে পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে। বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়