• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১
যশোরের কেশবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে আরেক ট্রাকের ধাক্কায় রাকিব হোসেন (১৮) নামে এক চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে যশোর-চুকনগর সড়কের উপজেলার মঙ্গলকোটের বাদুড়িয়া মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত রাকিব হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল নতুনপাড়া এলাকার মৃত আশরাফুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ধাক্কা দেওয়া ট্রাকটির চালক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর এলাকার হজরত আলীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে।  পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, চুকনগর দিক থেকে আসা একটি কাঠবোঝাই ট্রাক আজ ভোরে উপজেলার মঙ্গলকোটের বাদুড়িয়া মোড় এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তরমুজ বোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে কাঠ বোঝাই ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালকের সহকারী রাকিব হোসেন মারা যান। ওই কাঠ বোঝাই ট্রাকের চালক ছিলেন হযরত আলী।  এ ছাড়া তরমুজ বোঝাই ট্রাকটি ধাক্কা খেয়ে সড়কের পাশে পড়ে যায়। খবর পেয়ে কেশবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির ভেতর থেকে রাকিব হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। চুকনগর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। ট্রাক চালক হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে

ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, চালকসহ নিহত ২
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে বাসে থাকা আরও ১০ জন যাত্রী।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শীতলপুর আবুল খায়ের কারখানার গেট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন- ফেনী সোনাগাজী এলাকার বাসিন্দা ও গ্রামবাংলা বাসের চালক মো. নুরের নবী শিমুল (২৪) ও কুমিল্লার বাসিন্দা বাসযাত্রী গৌতম ভৌমিক (৫০)।  প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামমুখী গ্রামবাংলা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি বেপরোয়া গতিতে মহাসড়কের শীতলপুর আবুল খায়ের কারখানা গেট এলাকা অতিক্রমকালে একই মুখী পণ্যবাহী একটি ট্রাকের পেছনে সজোর ধাক্কা দেয়। এ সময় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বাসের সামনে থেকে চালক শিমুল লাফিয়ে নিচে নামলে বাসটি চালককে চাপা দেয়। দুর্ঘটনায় চালক শিমুলের পাশাপাশি বাসের সামনের অংশে থাকা আরেক বাস যাত্রী গৌতম ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরুতর আহত হয় বাসে থাকা আরও ১০ যাত্রী। দুর্ঘটনা পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় হাইওয়ে পুলিশ।  বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে  দুজনের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৫

চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কা, নারী নিহত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যানের পেছনে একটি যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দিলে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আহতদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম হাইওয়ে থানার ওসি এসএম লোকমান হোসাইন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এখন পর্যন্ত একজন নারী নিহত হয়েছেন। ১৫ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী মায়ের দোয়া পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে এক নারী মারা যান। আহত হন অন্তত ১৫ জন। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সহকারী মেডিকেল অফিসার নুর উদ্দিন জানান, ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৩

‘পার্বত্য এলাকার অস্থিরতার পেছনে বিএনপি জড়িত থাকতে পারে’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বিএনপি কথায় কথায় মিথ্যা বলে। পার্বত্য এলাকায় অস্থিরতার পেছনে বিএনপির জড়িত থাকার আশঙ্কা আছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চান। রোববার (৭ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জের নয়াবাজার উচ্চবিদ্যালয়ে ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে। কিন্তু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ষড়যন্ত্র করতে ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে বাসায় নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, আওয়ামী লীগ চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। মন্ত্রী-এমপি কেউই প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৬

মোবাইল ব্যবহারে দেশে পুরুষদের পেছনে ফেলেছেন নারীরা
দেশে গত কয়েক দশকে বেড়েছে মোবাইল ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। আর মোবাইল ব্যবহারে দেশে পুরুষদের তুলনায় এগিয়ে আছে নারীরা। দিন দিন পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারে আগ্রহ কমছে, অন্যদিকে নারীদের আগ্রহ বাড়ছে।  সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে পুরুষ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল ৮৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে মোবাইল ব্যবহারকারী পুরুষ। অন্যদিকে, ২০২২ সালে নারী মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে নারী ব্যবহারকারী যেখানে বেড়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, সেখানে পুরুষ ব্যবহারকারী কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। এদিকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের দিক থেকে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ছিল বিস্তর বৈষম্য। তবে দিন দিন সেই বৈষম্য দূর হচ্ছে। বর্তমানে শহরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রামেও বাড়ছে মোবাইল-ইন্টারনেটের ব্যবহার। এমনকি বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় এখন গ্রামে অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে শহরে কমছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের হার। যদিও এখনো মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী শহরে বেশি। বিবিএসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার মোট জনসংখ্যার ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এই হার শহরে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে এখনো শহরে মোবাইলের ব্যবহার বেশি। তবে বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। ২০২০ সালে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে হয়েছে ৭১ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে ব্যবহারকারী। আর ২০২২ সালে ছিল ৭১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০২২ সালে শহরে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৮৩ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে কমে হয়েছে ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২০ সালে শহরে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী ছিল। চার বছরে বেড়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে শহরের চেয়ে গ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। শহরের সঙ্গে গ্রামেও বাড়ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ছিল ৪১ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে গ্রামে ৫ শতাংশ হারে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। শহরে এই সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর দিক থেকেও বৃদ্ধির হার শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিসম্প্রতি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পেছনে রয়েছে অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। অনলাইনে জুয়া খেলার হার সবচেয়ে বেশি। তথ্যপ্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামের অনেকে প্রবাসে থাকে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের ব্যবহার বাড়ছে। একই সঙ্গে মানুষের সক্ষমতাও আগের থেকে বেড়েছে। তবে গ্রামে মোবাইল ব্যবহারকারী বাড়ার পেছনে বর্তমানে অন্যতম কারণ অনলাইন জুয়া ও পর্নোগ্রাফি। এ কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহারও বেড়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের কিশোর-তরুণরা অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতাও রয়েছে। পাশাপাশি অনেকে মোবাইলে গেম খেলে। এসব কারণে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ছে। শহরে কমার বিষয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন ডিভাইসের সহজলভ্যতা এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে শহরে মোবাইলের ব্যবহার কম। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহরের সঙ্গে গ্রামেও ব্যবহারকারী বাড়াটা ভালো খবর। তবে গ্রামপর্যায়ে এটার নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণে বিটিআরসিকে আমরা বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:১৩

আমি আর পেছনে তাকাতে চাই না : শরিফুল রাজ
চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে বিচ্ছেদের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের নানান ঝামেলায় দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন শরীফুল রাজ। তবে চলতি বছর সব বিতর্ক পেছনে ফেলে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। শিগগিরই তিনটি চলচ্চিত্র দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন এই অভিনেতা।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিজের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন রাজ। এসময় অভিনেতা বলেন, তিনি আর পেছনে ফিরে তাকাতে চান না।  রাজ অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। সিনেমাগুলো হলো— গিয়াসউদ্দীন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’ এবং মিশুক মনিরের ‘দেয়ালের দেশ’। তবে তিনটি সিনেমা দিয়ে প্রত্যাবর্তনে খুব একটা খুশি নন বলে জানিয়েছেন রাজ। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ভেবেছিলাম শুধু ‘ওমর’ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পাবে। ‘কাজলরেখা’ ও ‘দেয়ালের দেশ’ আগেই মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু এক ঈদেই আমার এতগুলো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, এটা আমার মোটেও ভালো লাগছে না।  কারণ— এই সিনেমাগুলো আমার অনেক কষ্টের, অনেক পছন্দের কাজ। বিরতি দিয়ে মুক্তি পেলে, সময় নিয়ে প্রতিটি সিনেমা বিচার–বিশ্লেষণ করে দর্শকেরা চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পারতেন। কিন্তু একসঙ্গে মুক্তির কারণে দর্শকেরা তিনটি সিনেমা নাও দেখতে পারেন। বিভ্রান্ত হতে পারেন দর্শক। ভাগ করে দুই ঈদেও সিনেমাগুলো মুক্তি দেওয়া যেত।   এদিকে তিনটি কাজ নিয়েই আশাবাদী হয়ে রাজ বলেন, তিন সিনেমার গল্প ও তার অভিনীত চরিত্র তিন ধরনের। আগে কখনও এমন চরিত্রগুলোতে তাকে দেখেনি দর্শক। সিনেমা তিনটির প্রস্তুতিতে বছরের পর বছর সময় লেগেছে।      গেল বছরের সেপ্টেম্বরে মাসে বিচ্ছেদ হয় রাজ-পরীর। ওই সময় মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছিলেন রাজ। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন কাজে যুক্ত হয়ে চেষ্টা করেন কাজে ডুবে থেকে নিজেকে চনমনে রাখতে।    ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রাজ বলেন, ওই সময়টা আমার জন্য ভালো ছিল না। এক ছাদের নিচে বসবাস করা দুটো মানুষ আলাদা হয়ে গেলে, কেমন লাগে সেটা যাদের হয় তারাই বুঝবেন। এছাড়া ওই সময় আমার সন্তানকেও মিস করছিলাম খুব। প্রতিদিন যে সন্তানকে দেখছি, খেলছি, আদর করছি— সেই সন্তানের সঙ্গে হঠাৎ করেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াটা খুবই কষ্টদায়ক ছিল। তবে বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।  তিনি আরও বলেন, এখন বেশ ভালো আছি। খাচ্ছি, ঘুরছি, কাজ করছি, সময় কেটে যাচ্ছে। নতুন নতুন চিত্রনাট্য হাতে আসছে। সেসব পড়ছি। এখন আমি আর পেছনে তাকাতে চাই না। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। তবে রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই। সংসার ভাঙার পর থেকে ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন তিনি। 
০৩ মার্চ ২০২৪, ১০:২৫

‘পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে’
পিলখানার ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ফারুক খান বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যা সশস্ত্র বাহিনীসহ পুরো দেশবাসীর জন্য একটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনা বিচারের আওতাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বিচারকার্যের যে নিয়ম সেটা অনুসরণ করতে হবে। যতদূর জেনেছি, এই বিচারকার্য এগিয়ে চলেছে, অনেকটা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নিহতের পরিবার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, যারা এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত, যারা দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। আর এ ধরনের ঘটনা যেন বাংলাদেশে আর কখনো ঘটতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার। এ বিদ্রোহের অবসান হয় ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর। রক্ত বয়ে যায় পিলখানায়। পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৫

গেইল-কোহলিকে পেছনে ফেলে বাবরের অনন্য রেকর্ড
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। ঘরের মাঠে পিএসএল আসরেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত  দুটি ম্যাচেই পঞ্চাশের বেশি রান করেছেন পেশোয়ার জালমির এই অধিনায়ক। এর ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাবর। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে করাচি কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল বাবরের পেশোয়ার জালমি। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫১ বরে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। এতে ২৭১ ইনিংসে দ্রুততম ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি।  সেই সঙ্গে দ্রুততম দশ হাজারি ক্লাবে পৌঁছার রেকর্ড গড়া ‘ইউনিভার্স বস’খ্যাত ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে গেছেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি ফেরিওয়ালা খ্যাত এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওই মাইলফলক ছুঁতে ২৮৫টি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলেন।  গেইলের পরের অবস্থানেই ছিল ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলি। সাবেক এই অধিনায়ক ২৯৯ ইনিংসে দশ হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করেন। সবমিলিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটটিতে দশ হাজারের এলিট ক্লাবের সদস্য আছেন ১২ জন। যার সর্বশেষ সদস্য বাবর। টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রানের তালিকায় সবার ওপরে আছেন সাবেক ক্যারিবীয় ওপেনার গেইল। এরপর যথাক্রমে আছেন শোয়েব মালিক, কাইরন পোলার্ড, অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড ওয়ার্নার, বিরাট কোহলি, অ্যারন ফিঞ্চ, রোহিত শর্মা, জস বাটলার, কলিন মানরো, জেমস ভিন্স, ডেভিড মিলার ও বাবর আজম। এর আগে চলতি আসরে পেশোয়ারের প্রথম ম্যাচটিতে বাবর পিএসএলের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তিন হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। এ ছাড়া অন্য কোনো ক্রিকেটার আড়াই হাজার রানও পার হতে পারেননি। 
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩১

আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাব না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাব না। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সফিপুর আনসার একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী’র ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ৪৪তম জাতীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করব। নিরাপদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সহনীয় সমৃদ্ধশালী ব-দ্বীপ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সুরক্ষিত থাকে, উন্নত জীবন পায় এবং প্রত্যেকে যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ, তারাই হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম পর্যায়ে মানুষের কর্মসংস্থানে, গ্রামভিত্তিক আপনারা আরও দক্ষতার সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করে কাজ করে যাবেন। যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে যাবে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৪

নেতার পেছনে দাঁড়ানো নিয়ে সংঘর্ষ, ছাত্রলীগের ৪ জনকে বহিষ্কার
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের পেছনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কয়েকজন নেতাকর্মী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এ ঘটনার পর সংগঠনটির চার নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি উপসম্পাদক আবদুল্লাহ আল মারুফ, প্রশিক্ষণবিষয়ক উপসম্পাদক ফিরোজ আলম অপি, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপসম্পাদক মাশফিউর রহমান এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিঝুম ইফতার। জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান মধুর ক্যান্টিনে যান। এ সময় তার পেছনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ঢাবির বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ ও মাস্টার দা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে তিনজন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার কিছু অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়