• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩৮ টাকায় নেমেছে পেঁয়াজের দর 
ভারত ও কৃষকের মাঠ থেকে একযোগে পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় হু হু করে কমছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহখানেক আগের পাইকারি দরে এখন খুচরা বাজারেই মিলছে পণ্যটি। সবশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে বর্তমানে ৩৮ টাকায় নেমে এসেছে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে যাওয়াতেই প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর পেঁয়াজের অন্যতম বড় দুই বাজার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজে ভরপুর হয়ে উঠেছে আড়তগুলো। থরে থরে সাজানো বস্তা। কিন্তু সে তুলনায় বাজারে ক্রেতা একদমই কম। পাইকারি বাজারে বর্তমানে ৩৮ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সপ্তাহখানেক আগেও ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এখন এই দামে ভোক্তা সাধারণের কাছেই বিক্রি করতে হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের।     এদিকে ভারত থেকে আমদানি করা এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের ১৮০টি স্পটে আজ মঙ্গলবার থেকে বিক্রি শুরু করেছে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ বা টিসিবি। ভোক্তা পর্যায়ে ৪০ টাকা কেজিতে এসব ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি ডিলাররা। এর আগে, গত রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চালানটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশনে এসে পৌঁছায়। পরদিন সোমবার সকাল ৬টার দিকে চালানটি পৌঁছায় সিরাজগঞ্জে। সেখান থেকে ট্রাকে করে ওই পেঁয়াজ ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ডিলারদের মাধ্যমে। ভারত থেকে আমদানি করা এই এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ঢাকার ১০৩টি, চট্টগ্রামের ৫৫টি আর গাজীপুরের ২২টি স্পটে বিক্রি করবে টিসিবি। ভারত সরকারের প্রতিশ্রুত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির প্রথম চালান এটি। বাকি ৪৮ হাজার ৩৫০ টন পেঁয়াজ রোজার ঈদের পর ধাপে ধাপে দেশে আসবে বলে জানানো হয়েছে টিসিবির পক্ষ থেকে।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

ভারত থেকে আসলো পেঁয়াজের প্রথম চালান
ভারত থেকে আমদানি করা প্রথম চালানের ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।  রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টায় পেঁয়াজের বড় এ চালানটি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে এসে পৌঁছায়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পেঁয়াজের এ চালানটি সিরাজগঞ্জে পৌঁছাবে। সেখান থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে।  দর্শনা রেলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবির) কর্তৃক ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালন ভারত থেকে দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে দেশে এসে পৌঁছেছে। মোট ৪২টি ওয়াগনে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আনা হয়েছে। এ পেঁয়াজের চালানটি রোববার রাতেই সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হাসান জানান, টিসিবির আমদানি করা প্রথম চালানের পেঁয়াজ বুঝে পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি পেঁয়াজের চালান ট্রেনযোগে দেশে আসতে পারে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৭

হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম, অপরিবর্তিত আদা-রসুনের দাম 
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আরেক দফায় কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ১০ টাকা কমেছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বেশি এবং ক্রেতা সংকটের কারণে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।  অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহ থেকে আদা এবং রসুনের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। আদা কেজি প্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় এবং রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।  হিলিতে কাঁচাবাজার করতে আসা গোলাম মোস্তফা বলেন, হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ অনেক রয়েছে। দামও অনেকটাই কমেছে। হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ৩০ টাকার মধ্যে যদি কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হতো তাহলে আমাদের জন্য অনেকটাই সুবিধা হতো।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও অনেকটাই কমেছে দাম। আমরা মোকামে কম দামে কিনে খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করছি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করলেও চলবে। দেশের বাজারে এখনো অনেক পরিমাণ পেঁয়াজ রয়েছে। 
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৬

আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম, বেড়েছে ডিমের
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম, তবে বেড়েছে ডিমের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। এ সময় ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।  রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, কমলাপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ছিল এখন বর্তমানে তা ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত শুক্রবারও এক ডজন ডিম ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। তবে দুদিনের ব্যবধানে নতুন করে ডিমের দাম বেড়েছে। এখন প্রতি ডজন ডিম ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়াই পেঁয়াজের দাম কমেছে। অন্যদিকে, চাহিদা বাড়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। রাজধানীর কাওরান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, হটাৎ করেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। সোমবার আড়ত থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনে এনে আজ তা ৬০ টাকাতেই বিক্রি করছি। গত শুক্রবার পেঁয়াজের কেজি ৬৫-৭০ টাকা বিক্রি করেছি। ডিম বিক্রেতা সোহান রহমান বলেন, রমজানের শুরুতেই ডিমের দাম ১৪০ টাকা ছিল। মাঝে কমে ১২০ টাকায় আসে। শুক্রবার থেকে দুই তা আবারও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকায় বিক্রি করছি। ডিমের চাহিদা বাড়ার কারণে হয়তো দাম বেড়েছে। এদিকে, ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়। লাল লেয়ার ও সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৪০ টাকা। সবজির বাজারে বরবটি ৭০-৮০ টাকা, সজনে ডাটা ৩০০-৩২০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০-৪০ টাকা, গুন ৪০-৫০ টাকা কেজি, শিম ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কলা ৩০-৪০ টাকা ও প্রতি আটি ডাটা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৭

হিলিতে ক্রেতা সংকট, কমেছে পেঁয়াজের দাম
তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বর্তমানে প্রকারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। যা গত তিনদিন আগে বিক্রি হয়েছিলো ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।  ক্রেতা সংকটের কারণে বিক্রি না হওয়াতেই কমেছে দাম, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।  রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে হিলির কাঁচা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।  হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম, মিনারুল আলম বলেন, পেঁয়াজের দাম এই বৃদ্ধি এই কম। কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হলেও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে কিছুটা দাম নিয়ন্ত্রণে থাকতো। হিলিতে কোনো প্রকার বাজার মনিটরিং করা হয় না। আগে ৫ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতাম এখন কমিয়ে দিয়েছি। ১ থেকে ২ কেজি পরিমাণ পেঁয়াজ এখন ক্রয় করি।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল মাহমুদ বলেন, বৈরী আবহাওয়া সেই সঙ্গে বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। আমাদের কিছুটা লোকসান হলেও কাঁচামাল বেশি দিন রাখা যাবে না, সেই জন্য লোকসান করেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৯

রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় বাড়ল পেঁয়াজের দাম
এক রাতের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি বাজারে ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা। পাইকারি বাজারে পেয়াজ ক্রয় এসে  হঠাৎ দাম বাড়ায়  বিপাকে পড়েছেন  দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীরা। রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় আড়ত শ্যামবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিন আগেও ৪২-৪৫ টাকায় শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন তারা। মাত্র এক রাতের ব্যবধানেই সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। আড়তদাররা বলছেন, পাবনা, ফরিদপুরসহ দেশের সব মোকামেই ১ হাজার ৭০০ টাকার বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। তারা আরও জানান, দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলেও তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবুও এক রাতের ব্যবধানেই দাম বাড়ল পেঁয়াজের। ক্রেতারা বলছেন, ভারত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা দেওয়ার পরই তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। যদি সত্যিকার অর্থে সংকট দেখা দেয় তাহলে এই দাম হু হু করে আরও বাড়বে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে ভারত। সেই সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকাল করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সেই ঘোষণার প্রভাবেই এক রাতের ব্যবধানে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭

পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ২৪ জেলার ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার। এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিএডিসি এসব বীজ সরবরাহ করবে। বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা, বিশুদ্ধতা ও উৎপাদন কাঙ্ক্ষিত মানের হতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৮

কমছে পেঁয়াজের দাম, নেমেছে অর্ধেকে
দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। পবিত্র রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজও এসেছে বাজারে। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, সুজানগর উপজেলা সদরে প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। বুধবার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। পেঁয়াজের দরপতনের একই চিত্র মিলেছে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও। এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পেঁয়াজ ফের নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু তার আগেই অনেক কৃষক তড়িঘড়ি করে পেঁয়াজ বাজারে তুলছেন। রমজানে বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ হাটে তুলেছেন তারা। আবার বেশি দামের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। রমজান শুরুর পর থেকেই মজুত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। তাতে দরপতন ঘটে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয় পাবনায়। একটি মুড়িকাটা জাতের আগাম পেঁয়াজ, অপরটি হালি পেঁয়াজ। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এবার ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। এদিকে পেঁয়াজের দরপতনে দুই উপজেলার কৃষকের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে লোকসান হবে না বলেও জানায় সূত্র।
২১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

হিলিতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে হিলির খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। যা গতকাল বিক্রি হয়েছিলো ৫০ টাকায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঠ থেকে কৃষকরা পেঁয়াজ তুলতে না পারার কারণে বেড়েছে দাম, বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।  অন্যদিকে তিন দিনের ব্যবধানে কমেছে রসুন, বেগুন ও ডিমের দাম। রসুন কেজি প্রতি ৪০ টাকা কমে ৮০ টাকা, বেগুন ১০ টাকা কমে ২০ টাকা এবং ডিম খাঁচি প্রতি ৩০ টাকা কমে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।  হিলির কাঁচা বাজারে আসা আতাউর রহমান মানিক বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে কয়েকদিন পেঁয়াজের দাম একটু কম ছিলো। এখন আবার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে পরিমাণে বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারছি না। ১ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। আমরা সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যে আছি। সরকারের কাছে অনুরোধ বাজার ব্যবস্থার দিকে একটু নজর দেবেন দয়া করে। সরকারকেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তা না হলে আমরা গরিব অসহায় মানুষগুলো সংসার চালাতে পারবো না।  হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, গত দুদিন থেকে বৈরী আবহাওয়া চলছে। যার কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠাতে পারছেন না। এর ফলে মোকামে পেঁয়াজের সরবরাহ কম দেখা দিয়েছে। যার জন্য মোকামে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। 
২০ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৯

পেঁয়াজের দামে সুখবর
বাংলাদেশে পাঠাতে ভারতের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে দেশটির সরকার। এ খবরে দেশের বাজারে পণ্যটির দরে বড় পতন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কাওরান বাজার, নর্দ্দা, নতুনবাজার, মগবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহেও যে পেঁয়াজের কেজি ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। সেই পেঁয়াজ এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। কাওরান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যটি আসছে। সে জন্য মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম কমেছে। কয়েক টাকা লাভেই আমরা পণ্যটি বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন তা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। ভারত থেকে পণ্য আসছে এমন খবরে দাম কমেছে কিনা?- এ প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। তবে এমন খবর শুনেছেন।  পেঁয়াজ কিনতে আসা আরাফাত আহম্মেদ বলেন, গত সপ্তাহে ৯০টাকা কেজি দরে কিনেছি। আজ ৫৫ টাকা কেজিতে কিনলাম। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা হাতে করে পণ্যের দাম বাড়ান। এটিই তার প্রমাণ।  সোমবার (১৮ মার্চ) জানা গেছে, ঢাকাকে দেওয়ার জন্য ভারতের কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন। প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই ব্যবসায়ীরা গোদাম খালি করছেন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়