• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ ও আমিরাতে ভারতের পেঁয়াজ কূটনীতি
ভারতে বেশ কিছুদিন ধরেই পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটানের মতো কয়েকটি দেশে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পেঁয়াজের দাম বাড়লেও ভারত থেকে ওই দেশগুলোতে কম দামে পেঁয়াজ রপ্তানিকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ ভারতের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, ভারতীয় কৃষকদের এক কেজি পেঁয়াজের জন্য ১২ থেকে ১৫ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু সেই একই পেঁয়াজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছালে তার দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা হয়। এখন প্রশ্ন হলো- রপ্তানি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কেন ভারত সরকার নির্বাচিত দেশগুলোর কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করছে? পেঁয়াজ রপ্তানি কি তাহলে ভারতের কাছে কূটনীতির একটা অংশ হয়ে উঠেছে? তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রীতি একেবারে নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ভারত তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে খাদ্যপণ্য, প্রয়োজনীয় সামগ্রী রপ্তানি করেছে এবং পরিষেবা দিয়েছে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পেঁয়াজ এবং তার দাম ভারতে বেশ সংবেদনশীল একটি বিষয়। বিভিন্ন সময়ে পেঁয়াজের দাম নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের নির্বাচনে পেঁয়াজের সবচেয়ে প্রত্যক্ষ প্রভাব সম্ভবত দেখা গিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। মনে করা হয়, ওই বছর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের জন্য দায়ী ছিল পেঁয়াজের চড়া দাম। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ভালো থাকাটাও পাশের দেশের জন্য কল্যাণকর। সেই কারণেও বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান চলতে থাকে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজের ঘাটতির আশঙ্কায় গত ডিসেম্বর মাস থেকে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। গত মাসে সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে। তবে ভারত সরকার রাজনৈতিক চ্যানেল মারফত একথা একপ্রকার মেনে নিচ্ছে যে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এদিকে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই কৃষকরা এর বিরোধিতা করে আসছেন। সরকারের তরফে ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রেও বিক্ষোভ দেখান কৃষকরা। নাসিকের লাসলগাঁও, নন্দগাঁও, পিপলগাঁও এবং উমরানেতে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন। প্রসঙ্গত, এই অঞ্চলগুলো পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র। নিষেধাজ্ঞার মাঝেই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা চলার মধ্যেই ভারত থেকে একাধিক দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে। সংবাদপত্র ‘দ্য হিন্দু’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, পহেলা মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার এমনটাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে পরিমাণের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হলেছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ত্রৈমাসিক ‘কোটা’ হিসাবে মাসে ৩ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে না। গত মাসে ভারত থেকে তিন হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ত্রৈমাসিক বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ‘দ্য হিন্দু’তে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন বলছে, ভারতে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি ভুটানে ৫৫০ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং মরিশাসে ১২০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে সাধারণত কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে থাকে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। ভারত, পাকিস্তান ও মিসর পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় এই দাম বেড়েছে। দ্য হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি প্রতি টন ৫০০ থেকে ৫৫০ ডলার দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পেঁয়াজ পাঠানোর তথ্য পেয়েছেন রপ্তানিকারকরা। যদি আমরা ভারতীয় টাকার নিরিখে বলি তাহলে এই মূল্য কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করেছেন। দশ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেলে আমদানিকারকরা প্রায় এক হাজার কোটি টাকা মুনাফা পাবেন। বিবিসি।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১১

রাজবাড়ীতে ‘কালো সোনা’ পেঁয়াজ বীজ চাষে স্বপ্ন দেখছে কৃষক
রাজবাড়ীতে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া বেশ অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার পাচটি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে বাতাসে দোল খাচ্ছে কালো সোনার সাদা ফুল। আর এই সাদা ফুলের কদমেই লুকিয়ে রয়েছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। ‘কালো সোনা’ খ্যাত পিয়াজ বীজ।  বাংলাদেশে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রাজবাড়ী জেলার অবস্থান। দেশে উৎপাদিত মোট পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ উৎপাদন হয় রাজবাড়ীতে। এ জেলায় পেঁয়াজ আবাদের পাশাপাশি কদম পেঁয়াজ বীজের আবাদও হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে। পেঁয়াজ আবাদে যে পরিমাণ বীজ প্রয়োজন তার অধিকাংশ বীজ জেলাতেই উৎপাদিত হয়ে থাকে। উৎপাদিত এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। বেশি দাম হওয়ায় পেঁয়াজের এ বীজকে চাষি ও কৃষি অধিদপ্তর ‘কালো সোনা’ বলে ডাকেন। চাষিরা বলছেন, আবহাওয়া ভালো হলে খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হয় দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে। তাই কৃষকরা ‘কালো সোনা’ চাষে স্বপ্ন দেখছেন। এ বীজ আবাদ করে চাষিরা অন্যান্য ফসলের চাইতে অধিক পরিমাণে লাভবান হয়ে থাকেন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলা, পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও গোয়ালন্দে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে জেলা সদর, পাংশা ও কালুখালী উপজেলাতে কদমের আবাদ বেশি হয়ে থাকে। চলতি বছর রাজবাড়ী সদরে ৪২ হেক্টর,পাংশা উপজেলায় ৪৪ হেক্টর, কালুখালী উপজেলায় ৪২ হেক্টর,বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের আবাদ হয়েছে। এদিকে সরেজমিনে পাংশা উপজেলার যশাই গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল। শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।  পাংশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার বোস বলেন, পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য অনেকে কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। পেঁয়াজের কদম প্রথমে সাদা দেখতে হলেও পরে কালো রংয়ে ধারন করেন। প্রতি কেজি বীজ চলতি বছর প্রায় সোনার দামে আট হাজার টাকা দামে বিক্রি হয়েছে বলে কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজ কে আদর করে ‘কালো সোনা’ বলে ডাকে। তবে এ মৌসুমে প্রচণ্ড গরমে ক্ষেতে মৌমাছির সংকট দেখা দিয়েছে। আর মৌমাছির না থাকায় পিয়াজের ফুলের পরাগায়ন কম হওয়ায় বীজ উৎপাদনে ঘাটতির শঙ্কা দেখা দেবে বলে কৃষকরা আশংকা করছেন। জেলায় চলতি মৌসুমে ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের কদমের চাষাবাদ হয়েছে। আর ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হবে ৭০ মেট্রিক টন। এ পরিমাণ পেঁয়াজের বীজের বাজার মূল্য ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান,চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে মূলত তাহের পুরী, কিং ব্যান্ড ও বারী-৪ জাতের পিঁয়াজ  দানা আবাদ করা হয়। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষি কর্মকর্তাগণ নিয়মিত চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার জেলায় দেড় হাজার কৃষক পেয়াজ বীজ আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের ফলনও ভালো হবে। এতে করে লাভবান হবেন চাষিরা।      
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৬

পেঁয়াজ আমদানিতে আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আমাদের এ পেঁয়াজ আনার মধ্যে অনেক ঝুঁকি ছিল। ফাইনালি আমরা যখন ভারতের অনুমতি পেলাম তখনও অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। কারণ, দেশে পেঁয়াজের দাম কমে যায় কি না। আবার রোজা শেষ হওয়ার আগে আসবে কি না। তারপরও আমারা এ ঝুঁকি নিয়েছি। আমি মনে করি ঝুঁকিটা সাধারণ মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনবে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভারত সরকার আবুধাবিতে ১২০০ ডলারে এই পেঁয়াজ বিক্রি করছে। আমরা সেখানে ৮০০ ডলারে নিয়ে এসেছি। আমরা অনেক নেগোশিয়েট করেছি। কারণ, তারা যে দাম ধরিয়ে দিয়েছিল সেই দামে আমরা ভর্তুকি দিয়ে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তে পারব না। আমাদের সিনিয়র বাণিজ্য সচিব অনেক পরিশ্রম করেছেন। সঙ্গে ছিলেন টিসিবির টিম।  পেঁয়াজের মান নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই পেঁয়াজ অন্তত ১৫ দিন সংরক্ষণ করে বাজারে বিক্রি করা যায়। আমরা এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এখন আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হলো। বাকি পেঁয়াজগুলো আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কত সময়ে আমরা পেঁয়াজগুলো ভারত থেকে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, এখন ১৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। বাকি পেঁয়াজগুলো ধীরে ধীরে চলে আসবে। আমরা চাই না আমাদের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। ভারতের বাইরে আমাদের পেঁয়াজের জায়গা হচ্ছে মিশর ও তুর্কি। সেখান থেকে জাহাজে পেঁয়াজে আনতে হয় এবং এটা আনতে অনেক সময় লাগে। ভারতে নির্বাচন চলছে। তাদের ওখানে কৃষক আন্দোলন চলছে। এরপরও কিন্তু তারা তাদের কমিটমেন্ট রেখেছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে তারা তাদের কথা রেখেছে। তাদের ট্রেন আমাদের সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত এসে পেঁয়াজ দিয়ে গেছে। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৮

৪০ টাকা কেজিতে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি শুরু আজ
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আজ (২ এপ্রিল) থেকে বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। দেশের তিনটি জেলায় টিসিবির এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। রাজধানীর ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের খোলাবাজার থেকে টিসিবির কার্ডধারী পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তারা এ পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।  সোমবার (১ এপ্রিল) টিসিবি জানায়, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর টিসিবি ভবনের সামনে এই পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ঢাকায় ১০৩টি, চট্টগ্রামে ৫০টি ও গাজীপুরে ১৫-২০টি স্পটে এই বিক্রি কার্যক্রম চালানো হবে। প্রতিটি ট্রাকে থাকবে ১০ টন করে। প্রতি কেজির দাম পড়বে ৪০ টাকা।  রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশনে এসে পৌঁছায়। সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে পেঁয়াজের চালানটি পৌঁছায় সিরাজগঞ্জে। এদিন সকাল ৯টা থেকে পেঁয়াজ খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। সেখান থেকে ট্রাকে করে ওই পেঁয়াজ ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ডিলারদের মাধ্যমে। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৫

তিন জেলায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি শুরু মঙ্গলবার
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। দেশের তিনটি জেলায় টিসিবির এই বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।  সোমবার (১ এপ্রিল) টিসিবি জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজধানীর টিসিবি ভবনের সামনে এ পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিন জেলার মধ্যে ঢাকায় ১০৩টি, চট্টগ্রামে ৫০টি ও গাজীপুরে ১৫-২০টি স্পটে এই বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হবে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়বে ৪০ টাকা। এর আগে, রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশনে এসে পৌঁছায়। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে পেঁয়াজের চালানটি পৌঁছায় সিরাজগঞ্জে। এদিন সকাল ৯টা থেকে পেঁয়াজ খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। সেখান থেকে ট্রাকে করে ওই পেঁয়াজ ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ডিলারদের মাধ্যমে। ১০ টন করে পেঁয়াজ থাকবে প্রতিটি ট্রাকে। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৮

সিরাজগঞ্জে খালাস হচ্ছে ভারত থেকে আসা টিসিবির পেঁয়াজ
সিরাজগঞ্জ রেল ইয়ার্ডে ট্রেন থেকে খালাস করা হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর বিভাগের টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ৪০ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে এ পেঁয়াজ। সোমবার (১ এপ্রিল) ভোর পাঁচটার দিকে ৪২টি ওয়াগনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা হয়ে সিরাজগঞ্জ রেল ইয়ার্ডে পৌঁছায় পেঁয়াজবাহী ভারতীয় ট্রেনটি। ভারতের সঙ্গে আমদানির চুক্তিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান এটি। টিসিবির যুগ্মপরিচালক বগুড়া অঞ্চল প্রতাপ কুমার জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ১ হাজার ৬৫০ টনের প্রথম চালানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর বিভাগের টিসিবি ডিলারদের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে।আমদানিকৃত পেঁয়াজের ১ হাজার টন ঢাকা, ৪৪০ টন চট্টগ্রাম ও ২১০ টন গাজীপুরের ডিলারদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এই পেঁয়াজ মঙ্গলবার থেকে খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। ঈদুল ফিতরের আগে আমদানির চুক্তিকৃত বাকি পেঁয়াজও দেশে এসে পৌঁছাবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

রাতেই ভারত থেকে আসবে পেঁয়াজ
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আজ রাতেই ট্রেন বাংলাদেশে আসবে। প্রথম চালানে এক হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসবে। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাস্কফোর্স সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।   প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যেহেতু পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য সেহেতু প্রথম ট্রেনে ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমদানি করা বাকি পেঁয়াজও দেশে আসবে। বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।   গত বছরের আগস্টে ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর গত অক্টোবরে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ৮০০ মার্কিন ডলার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয়। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতে চলমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দেশটি থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসতে যাচ্ছে দেশে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসতে পারে আগামীকাল শুক্রবার।   বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে ২৯ মার্চের (শুক্রবার) মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে। জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায় দেশের বাজারে।   কিন্তু পরবর্তীতে বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দেশের বাজারে কমতে থাকে পণ্যটির দাম।  অবশেষে গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৭

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পরও কমেছে দাম
গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারত। তবে নিষেধাজ্ঞার পরও দেশের বাজারে কমেছে পণ্যটির দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা থেকে কমে ৫২ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৭ থেকে ৫৩ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫২ টাকায়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, কারওয়ান বাজার এবং শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ কিনেছে। তাই বাজারে পণ্যটির চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের মৌসুম হওয়ায় ইতোমধ্যে খেত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমে গেছে। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আশরাফ সরকার জানান, তিন দিন আগে তিনি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪২ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৩৭ টাকায়। তিনি বলেন, সাঁথিয়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতাম। তারা দাম কম দেওয়ায় কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে যাই। পরিবহনের জন্য বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে লাভ হয়নি। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর পেঁয়াজের দাম দুইদিন বেশি ছিল উল্লেখ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুলতানা নাসিরা বলেন, পেঁয়াজের মৌসুম হওয়ায় বাড়তি দাম স্থায়ী হয়নি। বাজারে দেশি পেঁয়াজ চলে আসায় দাম কমে গেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে এর মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আর চলতি বছরের ২৩ মার্চ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। তখন দেশের বাজারে পণ্যটির দাম কিছুটা বাড়লেও, দুইদিন পর থেকে কমতে শুরু করে।  
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৫

‘ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের ডাক তামাশা’
ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের নামে বিএনপি মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। বিএনপি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী জামায়াতের নেতাদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। শুধু তাই নয়, তারা ’৭৫ পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের ব্যাপারে খালেদা জিয়া সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার সব আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল, সেই শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যাতে বিশ্বের কোথায় এমন গণহত্যা না হয়, সেজন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমরা গাজায় গণহত্যা বন্ধ চাই। সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়