• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
পাথরঘাটায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস  
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার নিষিদ্ধ হাঙ্গরসহ ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ চরঘেরা ও ৪ পিস বেহুন্দি জাল জব্দ করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিনব্যাপী পাথরঘাটার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী বলেশ্বর নদীর পাড়সহ বিভিন্ন নদী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পাথরঘাটার বিভিন্ন নদী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাথরঘাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিষখালী নদীর পাড় এলাকা থেকে প্রায় ১ হাজার কেজি হাঙর জব্দ করা হয়। এছাড়াও পাথরঘাটার লঞ্চ ঘাট, তালতলা, চরদুয়ানী, টেংরা, হাজীরখাল, রুহিতা ও পদ্মা এলাকা থেকে মাছ শিকারে ব্যবহৃত ৩ লাখ ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ চরঘেরা জাল ও ৪ টি বেহুন্দি জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব অবৈধ জালের বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।  পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ বলেন, কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হাঙর শিকারি ও অবৈধ জাল ব্যবহারকারী জেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জব্দকৃত হাঙর উপজেলা বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া উপজেলা মেরিন ফিশারী অফিসার মো. রিয়াজ হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস কারা হয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, প্রতিদিন বিষখালী ও বলেশ্বর নদীতে  আমাদের অভিযান চলে অবৈধ সকল জালের ওপরে এবং সকল সময় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।     
৪ ঘণ্টা আগে

কুয়াকাটায় অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২০ হাজার মিটার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এনিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর সদস্যদের সহযোগিতায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালে অভিযান চালিয়ে এসব জাল জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত থেকে এসব জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মাছ শিকারে যে সকল জেলেরা চায়না দুয়ারী জাল ব্যবহার করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৮

হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলায় গলাকেটে হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেওয়া ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (অ্যাডমিন) অভি রঞ্জন দেব বলেন, জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক এমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। অভি রঞ্জন দেব জানান, উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার কাশীপুর-বিশ্বাসপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।  তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে সাইফুলের জন্ম ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর উল্লেখ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের সামনের ডিঙাপোতা হাওর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাওরের জমিতে কাজের করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বয়স ৩৩ থেকে ৩৫ বছর। ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলাকেটে হত্যার পর পরনের কাপড় খুলে আগুন দিয়ে মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেয় হত্যাকারীরা। মূলত পরিচয় লুকানোর জন্যই হত্যাকারীরা এ কাজ করেছে। আপাতত ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৫

সোনারগাঁয়ে ৫৫ কোটি টাকার নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৫৫ কোটি টাকা মূল্যের এক হাজার একষট্টি বস্তা অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে প্রশাসন।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ টি দোকান ও ৪টি গুদাম থেকে জালগুলো জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরুল আমিন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযান টের পেয়ে অবৈধ জাল বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। উপজেলা মৎস সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কমর উন নাহার জানান, অভিযানে ১৬টি দোকান ও ৪টি গুদাম থেকে ৫৬১ বস্তায় ১ কোটি ৮৩ লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫শ’ বস্তা চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫৫ কোটি টাকা। জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫১

৫ লাখ টাকার বাইক পুড়িয়ে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফে'র ২২ হাজার আয়!
রাজধানীর বাড্ডায় আফতাবনগর হাউজিং এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলার অভিযোগ তুলে নিজের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন মো. রাসেল মিয়া নামে এক যুবক। পরে মোটরসাইকেল পোড়ানোর দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে সেটি ভাইরাল করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তিনি। মূলত, ‘ভাইরাল হিরো’ হতেই রাসেল এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফ' পরিচয় দিতেন তিনি। রোববার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তবে তার এক বন্ধু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। রাসেল সেই মামলার স্লিপ দেখিয়ে নিজের পাঁচ লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেলে আগুন দেন। মূলত ভাইরাল হতেই এ কাণ্ড ঘটান তিনি। পাঁচ লাখ টাকার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে সেই দৃশ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ২০০ ডলার (প্রায় ২২ হাজার টাকা) আয় করেছেন তিনি। ডিবি জানায়, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর এলাকার প্রবাসী মা–বাবার সন্তান রাসেল মিয়া। তিনি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফ' পরিচয় দিতেন। এই নামে তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবে অন্যের বানানো বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করতেন, যার বেশির ভাগই অর্থহীন, অশালীন ও দেশের আইনবিরোধী। ডিবি আরও জানায়, রাসেল মিয়া ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করার পর আর পড়াশোনা করেননি। মাঝে কিছুদিন ভারতে গিয়ে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে 'জুনিয়র টাইগার শ্রফ' পরিচয় দিতেন। তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যান্টের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়তেন। এতে তার সামান্য আয় হতো। ভাইরাল হয়ে আয় বাড়াতেই বাইকে আগুন দেওয়ার কাজটি করেন রাসেল।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৫

‌‘জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই অগ্নি-সন্ত্রাস চালানো হয়েছে, তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য এবং তাদের আটক নেতাকর্মীদের স্বীকারোক্তি থেকে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পল্লবীর ইসলামিয়া স্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান। শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনও মানুষের মনে দাউদাউ করে জ্বলে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে, মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছে। এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষে কোনোদিনও ভোট দেবে না। সে অপরাধবোধ থেকে ভোট চাইতে মানুষের সামনে যেতে ভয় পেয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। পরশ বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখলে বোঝা যায়, যখনই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখনই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে দলীয় ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। তাতে প্রথমে ছিল, দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সেই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রীসভার বৈঠকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়েছেন, তাদের তাগাদা দিচ্ছেন, কাজের তদারকি করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের সমস্যা সমাধান করে জীবনমান উন্নত করা। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। একটু ধৈর্য ধরতে হবে, বঙ্গবন্ধুকন্যার ওপর আস্থা রাখতে হবে। অচিরেই সংকট সমাধান করব। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যখনই মানুষের জীবনে উন্নতি হয়েছে, আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ রয়েছে, তখনই মানুষের ভাগ্য নিয়ে, সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামায়াত। আজকেও এই কালো পতাকা মিছিল তাদের কু-মতলবের আভাস বহন করে। একটা অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করে। আবারও কোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাঁয়তারা করছে কি না সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

দুর্গম পাহাড়ে ৩০ কোটি টাকার গাঁজাখেত পুড়িয়ে ধ্বংস
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় সাড়ে ৩ একর গাঁজাখেত ধ্বংস করেছে প্রশাসন। তারা ৩ হাজার ২৫ টি গাছ কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। এসব গাঁজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে গুইমারা সদর ইউনিয়নের দুর্গম অরণ্যের চৌধুরীপাড়া এলাকায় ওই গাঁজা খেত ধ্বংস করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর আমিন বলেন, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে চৌধুরীপাড়া এলাকায় দুই একর জমিতে চাষ করা গাঁজা গাছ পাওয়া যায়। পরে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে গাঁজা গাছগুলো আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। খেতের মালিক কে এবং ওই গাঁজা চাষের সঙ্গে সম্পৃক্তদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন, সাড়ে ৩ একর জমিতে চাষ করা গাঁজা গাছের আর্থিক মূল্য অন্তত ৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।  
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৯

সুদের টাকা লেনদেনের জেরে পুড়িয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মহাডাঙ্গা এলাকার ঢাবা মাঠে স্বপ্না আক্তার জেসমিন হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিন নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার চারজন হলেন শরিফুল ইসলাম, পারভীন, আয়েশা বেগম ও লেতুন জেরা। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয় জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মিন্টু রহমান বলেন, সুদের টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে জেসমিনকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তাকে যেন কেউ চিনতে না পারেন, সেজন্য তাকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় অবস্থায় জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।   এর আগে নিহত জেসমিনের আপন বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গত ৮ জানুয়ারি সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শরিফুলসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত হাঁসুয়াসহ অন্যান্য আলামতও জব্দ করে। ওসি আরও জানান, জেসমিন হত্যা মামলার মূল আসামি দোষ স্বীকার করে মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।  
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৫

পুড়িয়ে দেওয়া কেন্দ্রেই হবে ভোটগ্রহণ
হবিগঞ্জ-৪ আসনের চুনারুঘাট এলাকার ধলাইপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রটি পুড়িয়ে দেওয়া হলেও তা ধুয়ে-মুছে শামিয়ানা টাঙিয়ে ভোটগ্রহণের জন্য পুনরায় প্রস্তুত করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় কেন্দ্রটিতে আগুন দেয় ভোটবর্জনকারীরা।  এ সময় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে পুড়েছে বিদ্যালয়টির চেয়ার-টেবিলসহ সব আসবাবপত্র।  কেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়া হলেও দমে যাননি নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় কর্মকর্তারা। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় কেন্দ্রটিকে ভোটগ্রহণের উপযুক্ত করার কাজ। আর বিকেল গড়াতেই প্রস্তুত হয় কেন্দ্রটি।   বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার অঞ্জন কুমার দেব বলেন, হবিগঞ্জ-৪ আসনের বাকি ৮৩টি কেন্দ্রের মতো এই আসনটিতেও ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকেই যথারীতি ভোটগ্রহণ শুরু হবে। প্রশাসনের সহায়তায় কেন্দ্রটি এখন ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত। সকাল হলেই ৯টি বুথে ৪ হাজার ৩১৭ জন ভোটার এই কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।    এদিকে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এরইমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, এ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।   এ সময় ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়