• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কালীগঞ্জে পুলিশি বাধার পরও বিএনপির ইফতার মাহফিল 
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ইফতার মহফিল করেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি।  শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলা শহরের নলডাঙ্গা সড়কে বিএনপি এ মাহফিলের নির্ধারিত দিন ছিল।  ইফতার মাহফিল সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সব কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে ছিল। তার আগেই কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাহফিল বন্ধের নির্দেশ দেন। মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  তবে পুলিশের নির্দেশ দেওয়ার পরও সেখানে তিন শতাধিক নেতাকর্মী অবস্থান নেন। এরপর সেখানে নতুন করে আর কোন নেতাকর্মী প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে ইফতার মাহফিল করেন।  ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, ঝিনাইদহ জেরা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমান কুণ্ডু, কেন্দ্রী ড্যাব নেতা ইব্রাহিম রহমান বাবু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক-দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদসহ জেলা উপজেলা নেতাকর্মীরা।  এ ঘটনায় বিকালে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এক ভিডিও বার্তায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বর্তমান ডামি সরকারের পুলিশ বাহিনী ইফতার মাহফিল দোয়া অনুষ্ঠানের বাধা সৃষ্টি করে। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেন নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হতে না পারে। তারা ধর্মীয় কর্মসূচীতে বাধা দিয়ে বর্তমান সরকার স্বৈরাচার সরকার তা আবারো প্রমাণ করেছে। তিনি সেখান থেকে ইফতারের আগেই পুলিশ বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রস্বানের প্রতি আহ্বান জানান।  তবে, পুলিশের দাবি ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশংকায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক-দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাদিুল ইসলাম হামিদ জানান, আমরা মাহফিল আয়োজনের এক সপ্তাহ আগেই জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। আমাদের নির্ধারিত দিন শনিবার আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল তখন কালীগঞ্জ থানার পুলিশ এসে বন্ধ করে দেন। তারপরও আমরা সেখানে ইফতার করবো বলে যোগ করেন তারা।  কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, বড় পরিসরে দলীয় কোনো আয়োজন করতে হলে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা কোনো অনুমতি নেননি। অনুমতি না নিয়েই তারা ওপেন প্লেসে বড় পরিসরে আয়োজন করেছেন। তবে তারা সেখানে পুলিশি নিরাপত্তায় ইফতার মাহফিল সম্পন্ন করেছে।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৮

পুলিশি বাধায় মহিলা দলের নারী দিবসের র‍্যালি পণ্ড
বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে বের হওয়া জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের র‌্যালি পণ্ড হয়ে গেছে পুলিশি বাধায়। পুলিশ বলছে, অনুমতি না থাকায় র‍্যালি করতে দেওয়া হয়নি সংগঠনটিকে।  শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর র‌্যালি বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এতে নারী কর্মীরা কিছুক্ষণ স্লোগান দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের ভেতর চলে যান। এর আগে বিশ্ব নারী দিবসে মহিলা দলের র‌্যালি আয়োজন ঘিরে সকাল থেকে রাজধানীর ফকিরাপুল, কাকরাইল মোড়ের বিভিন্ন গলিতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সঙ্গে জলকামানের গাড়িও দেখা গেছে। মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক, আজকে নারী দিবসে পুলিশ নারীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে দিল না। দেশের নারী সমাজ কেমন আছে এটাই তার প্রমাণ। শান্তিপূর্ণ র‌্যালি করতে না দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে পুলিশের এডিসি ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, তারা সমাবেশ করেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানে আমরা বাধা দিইনি। যতটুকু অনুমতি ছিল, সেটা আমরা করতে দিয়েছি। তিনি বলেন, জুমার নামাজের সময় এই র‌্যালি করতে দিলে যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হতো। সেজন্য আমার সেটা করতে দিইনি।  এদিকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বিশ্ব নারী দিবসে দেশের নারী সমাজকে অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজ দেশের নারীরা অবহেলিত, নির্যাতিত। এমন কোনও দিন নেই, এমন কোনও মাস নেই, এমন কোনও সপ্তাহ নেই, যখন দেশের নারীদের ওপর নির্যাতন চলছে না।  তিনি বলেন, তার চেয়ে বড় কষ্টের বিষয় হচ্ছে, আমরা কোনও বিচারের প্রয়োগ দেখছি না। কারণ নির্যাতন ও ধর্ষণের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের অনেকে জড়িত, তাদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা জড়িত। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যারা নারীবাদী হিসেবে পরিচয় দেন, তারা কিন্তু খুব একটা সোচ্চার হচ্ছেন না। কারণ ভয়ভীতির পরিবেশ। বাংলাদেশে দখলের রাজনীতি চলছে মন্তব্য করে এরপর তিনি বলেন, গতকাল হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ পর্যন্ত যে দখল করার প্রক্রিয়া চলেছে তা আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন। আইনজীবীদের ভোট হচ্ছে, ওখানে দখল করার কী আছে? সারা দেশে জনগণের ভোট তো দখল হয়ে গেছে, এখন আইনজীবীদের ভোটও দখল করতে হবে? প্রতিটি ক্ষেত্রে এই দখলের যে প্রতিক্রিয়া এতে শুধু নারী নয়, বাংলাদেশের সব নাগরিক বঞ্চিত হচ্ছে। আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিতি ছিলেন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নেওয়াজ হালিমা আরলি, নায়েবে ইউসুফ, শাহানা আখতার সানু, রুমা আখতার প্রমুখ।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৮

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ : ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার ঘটনা ‘দখলদার সরকারের চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ।’ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের আহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব রাতে এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন দাবি করে ফখরুল বলেন, দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগণসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে। আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটলো গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে। পুলিশি এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। জনগণের শক্তির কাছে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে অচিরেই মাথা নত করতে হবে জানিয়ে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও আওয়ামী অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে এখন পরাধীন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেতে সাধারণ মানুষ কোথাও আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। এ অবস্থার পরিবর্তন হয়ে তারা অচিরেই মাথা নত করবে। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫১

বরিশালে আইনজীবীদের কালো পতাকা মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড
বরিশালে পুলিশের বাধায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও ইউনাইটেড ল’ ইয়ার্স ফ্রন্টের কালো পতাকা মিছিল পণ্ড হয়েছে। ডামি নির্বাচন বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগ দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টায় জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয় চত্বর থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এ মিছিল বের করেন। মিছিলটি আদালত চত্বর থেকে ফজলুল হক অ্যাভিনিউ সড়কে বের হওয়ার সময় জেলা জজ আদালতের ফটকে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের বাদানুবাদ হলেও শেষ পর্যন্ত মিছিল করতে দেয়নি পুলিশ। পরে মিছিলটি ফের আদালত চত্বরের আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মহসিন মন্টু। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শহীদ হোসেন, কাজী বশির উদ্দিন ও আজাদ হোসাইনসহ অন্যান্যরা। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ‘ডামি নির্বাচন’ বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়