• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তুচ্ছ ঘটনায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত শতাধিক 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একাধিক টিম তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাত্ক্ষণিক আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৪ জন পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলো পাইকপাড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৬০), মৃত হাসান আলীর ছেলে খুরশেদ আলম ওরপে আলফু ( ৬২), হাজীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে মো. আব্দুল বাছির (৫৫), মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আনাস মিয়া (৩৮), খাটিংগা গ্রামের মোঃ আব্দুল হেমিকের ছেলে আব্দুর নুর (৫৫)।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। কয়েক মাস যাবত জমি বিক্রি ও দলিল করাকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। তার মধ্যে বুধবার দুপুরে দুই শিশুর মধ্যে ঝগড়া লাগার জেরে উভয় পক্ষ দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। বিজয়নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাসান জামিল জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪৩

মেঘনায় ট্রলারডুবি / পুলিশসহ নিখোঁজ ৬, নিহত ১
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে পর্যটকবাহী একটি ট্রলার ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন এক যুবক। এ ঘটনায় পুলিশসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীর রেলওয়ের ২ সেতুর সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। এছাড়া আহত যুবককে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক। নিখোঁজের মধ্য যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল (৩০) এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তান, আনিকা বেগম (২০)।  আনিকার বাড়ি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার দড়িগাঁও গ্রামে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে একটি ট্রলারে করে ১৫-২০ জন নারী পুরুষ ভ্রমণের জন্য মেঘনা নদীতে ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী বাল্কহেড ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে নদীতে ডুবে যায়। এ সময় রুবা নামে এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগ্নেসহ কয়েকজন সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠলেও বাকিরা পানিতে ডুবে যান। তারা নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজু মিয়া। তিনি জানান, ঘটনায় তার থানার কনস্টেবল সোহেলসহ ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।  তবে অন্ধকার থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:১০

মনপুরায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১২
ভোলার মনপুরায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ২ ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটার আঘাতে পুলিশ ও ইউপি সদস্যপ্রার্থীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। ইউপি সদস্য প্রার্থী খোরশেদ আলম মেম্বার ও বাদল হাওলাদারের সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় মনপুরা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টায় উপজেলার রামনেওয়াজ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  পরে মনপুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটার হামলায় ১ পুলিশ সদস্য, মেম্বারপ্রার্থী ও ৬ জন সমর্থক আহত হন। পরবর্তীতে বুধবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় আবারো দু’পক্ষের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। এতে আরও ৪ জন আহত হন।  আহতরা হলেন পুলিশ সদস্য এএসআই ফিরোজ, ইউপি সদস্য প্রার্থী খোরশেদ আলম মেম্বার (৬৫), প্রার্থীদের সমর্থক আব্দুর রহিম (৩৬), মো. সোহাগ (২২), মো. ফারুক (২৮), মো. জাফর (৪০), মঞ্জু (৩৫), শিপন (৪২), রাকিব (২৭), বাবুল (৪৫), নাইম (৩০), বাদশা (৩৫)। সংঘর্ষের ঘটনায় বর্তমানে নির্বাচনী এলাকা ১নং মনপুরা ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।  আহতদেরকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি, ১নং মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ২ সদস্যপ্রার্থীর মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে আমাদের ১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। উক্ত ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩১

ইটভাটায় অভিযানের সময় গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ৬ 
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযানের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের গাড়ি ভাঙচুর করেছে ইটভাটার শ্রমিকরা।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পূর্ব সাইতাঁড়া গ্রামের এমএইচ ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইটভাটায় অভিযানের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম শরীফুল হক বলেন, পূর্ব সাইতাঁড়া গ্রামে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানের সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৬

লাশবাহী প্রাইভেটকার খাদে, পুলিশসহ আহত ৭
ঝালকাঠিতে সড়কে থেমে থাকা কাভার্ডভ্যান অতিক্রমকালে সবজির ভ্যানের সঙ্গে লাশবাহী প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।  শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  দুর্ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরিশাল থেকে ভাড়ায় চালিত একটি প্রাইভেটকারে করে এক মৃত নবজাতক শিশুকে নিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া যাচ্ছিলেন স্বজনরা। ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি এলাকায় আসলে সড়কে থেমে থাকা একটি কাভার্ডভ্যান অতিক্রমকালে বিপরীত দিক থেকে আসা সবজি বহনকারী একটি ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ভ্যানগাড়িটি ছিটকে যায় এবং প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে একটি বাড়ির সীমানা প্রাচীরে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় সড়কে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং দুটি গাড়ির চালক ও যাত্রীসহ আহত হন ৭ জন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। কাভার্ডভ্যানসহ তার চালককে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৬

পুলিশসহ ২৬ হতাহতের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১২
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পান্না মোল্লা নামে একজন নিহত ও ৬ পুলিশসহ ২৫ জন আহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক মানুষকে আসামি করে দায়ের করা এ দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  এর আগে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লারকুল এলাকায় সংঘর্ষটি ঘটে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পরে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিহতের ছেলে মামুন মোল্লা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে মোল্লাহাট থানার উপ-পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে পুলিশ আহতের ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন একইদিন। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে হত্যা মামলায় মোল্লাকুল এলাকার শাহজাহান খাকি, লতিফা বেগমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর পুলিশ আহতের মামলায় বিবাদমান দুই গ্রুপের নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম সোমবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হত্যা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার মোল্লারকুল এলাকায় লায়েক কাজী ও শাহজাহান খাকির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পান্না মোল্লা নামে একজন নিহত এবং ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতরা মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে এই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। এর আগেও ২০২১ সালে একই এলাকায় এ দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের প্রাণহানি ঘটেছিল।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০২

বাগেরহাটে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, ছয় পুলিশসহ আহত ২০ 
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাজী গ্রুপ ও খাকী গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পান্না মোল্লা (৪০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে পুলিশের ৩ এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত পান্না মোল্লা মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামের তৈয়াব মোল্লার ছেলে।   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম। তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাজী গ্রুপ ও খাকী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দেশীয় ইট, গুলতি, কাচের বল, চাকতি, বর্শাসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে কাজী গ্রুপের পান্না মোল্লা গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে মোল্লাহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। এতে এসআই মামুন, এসআই মাজহার, এসআই বিধান, পুলিশ সদস্য গোপাল, সঞ্জয় ও হাফিজ আহত হন। তিনি আরও জানান, উভয়পক্ষের আরও ১৪ জন আহত হয়েছেন। পুলিশসহ আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়