• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
থানায় ঢুকে পুলিশকে মারপিট, আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা 
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদস্যদের মারপিট করে মাদকসহ একাধিক মামলার আসামিকে ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে শাজাহানপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান, আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সাদ্দাম রবীন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, মিরাজুল রহমান, আমিনুল ইসলাম ও মিঠুন মিঞা।  এ সময় ৩৬টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, জমি দখল, সরকারি কাজে বাধা, মাদক আইনে অন্তত ৮-১০টি মামলা রয়েছে। এর আগে সরকারি টেন্ডার চুরির ঘটনায় মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বরখাস্ত হয়েছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।   ওসি শহিদুল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৯টায় আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মদ্যপ অবস্থায় মাদক, ২টি বার্মিজ চাকুসহ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিঠুনের নামে হত্যা, মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় প্রবেশ করে আসামি মিঠুন মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমাকে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও নুরুজ্জামানের লোকজন অন্য পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে পালিয়ে যায়। মারপিটে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  ওসি বলেন, আহতদের মধ্যে এসআই আনিছুর রহমান, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, রুহুল আমিন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পরে নুরুজ্জামানসহ আরও লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমণ করতে মাঝিড়ায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবির সদস্যরা নুরুজ্জামানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেন। ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় থানায় প্রবেশের পর পুলিশকে আহত করে আসামি ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আরও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭

পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে চলছে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা (ভিডিও)
রাজধানীতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চলছে ধূসর বা রূপালী রঙের এসব অটোরিকশা। শুধু তাই নয়, নিয়ম ভেঙে আশপাশের জেলার অটোও ঢুকছে অবাধে। ১৫ হাজার বৈধর সঙ্গে নগরে এখন অবৈধ সিএনজি ২২ হাজারের বেশি। পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলছে অবৈধ এই কারবার। রাজধানীতে ধূসর সিএনজি অটো আছে প্রায় চার হাজার। যার বেশির ভাগের মালিক ট্রাফিক বা পুলিশ সদস্য। ফলে ব্যক্তিগত যান অবলীলায় হয়ে যাচ্ছে ভাড়ায়চালিত। রাজধানীর কাওরান বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে দেখা গেল বেশির ভাগ অটোরিকশাই ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রেশন করা। শুধু তাই না, রাজধানীতে অন্য জেলার অটোও চলছে অবাধে। অথচ মহানগরে বাইরের যান চলার কথা নয়।  রাজধানীতে অবৈধ সিএনজিচালিত অটো রয়েছে ২০ হাজারের বেশি। যেখানে বৈধর সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার। এরমধ্যে অনেকগুলোর আবার বৈধ কাগজ নেই। বলতে গেলে অবৈধদের ভিড়ে বৈধরাই এখন কোণঠাঁসা।  চালক ও মালিকদের অভিযোগ, অবৈধ অটোর বড় অংশের মালিক ট্রাফিক পুলিশ। তাই তারা থাকেন নির্ঝঞ্ঝাট।  ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি হাজী বরকতুল্লাহ বুলু বলেন, প্রাইভেট সিএনজির ৮৫ শতাংশই ট্রাফিক পুলিশের মালিকানায়। এই গাড়িগুলো দাপটের সঙ্গে চলে। অথচ, বৈধ গাড়িগুলো মোড়ে মোড়ে চেক করে।   রাজধানীতে হাজার হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা থাকলেও তা জানা নেই ট্রাফিক বিভাগের কর্তাদের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, সাদা প্রাইভেট সিএনজিগুলো কমার্শিয়ালি চলার কোনো অনুমতি নেই। কেউ ধরা পড়লে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।  বিশেষজ্ঞরা বলছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্যদের যোগসাজোস ছাড়া এটি সম্ভব নয়। তাই সরকারে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় অটোরিকশার ভিন্ন রং থাকলেও ব্যতিক্রম কেবল রাজধানী ও আশপাশের জেলাগুলো। এখানে সব সবুজ মিলেমিশে একাকার।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৩

দুই পুলিশকে কুপিয়ে জখম, ৩ ডাকাত গ্রেপ্তার 
গাজীপুরের শ্রীপুরে টহলরত দুই পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে র‌্যাব-১র ও র‌্যাব-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে তাদেরকে  গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১ এর মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তাররা হলেন- পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এলাকার খলিল সরদারের ছেলে ডাকাত দলের প্রধান ইসমাইল সরদার লিটন (৩৮), সহযোগী একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে হানিফ মাস্টার (৪০) ও নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার মুসলিম মিয়ার ছেলে কামরুল মিয়া (২০)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। র‌্যাব কর্মকর্তা কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তার ডাকাত রুবেলের দেওয়া তথ্যে র‌্যাব কেরানীগঞ্জ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে দলের প্রধান ইসমাইল ও সহযোগী হানিফকে গ্রেপ্তার করে। তারা স্বীকার করে ৬/৭ জন ডাকাত ৩ মার্চ (রোববার) দুপুরে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে পিকআপযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশে আসে। তারা শ্রীপুরের মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কে ডাকাতির উদ্দেশে সন্ধ্যা থেকে সুবিধাজনক স্থান চিহ্নিত করতে থাকে। একইদিন মধ্যরাতে সিংগারদিঘীর (হাসিখালী ব্রিজ) এলাকায় ওই সড়কের গাছ ফেলে পথচারীদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গণ ডাকাতি করতে থাকে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ডাকাত দলের সদস্যরা টের পেয়ে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। ডাকাতের হামলায় দুই কনস্টেবল রুহুল আমিন ও সেলিম মিয়া গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যান। এ সময় ডাকাত সদস্য রুবেল গাড়ির সঙ্গে পায়ে আঘাত পেয়ে আহত হলে তাকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা জানান, তারা সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্র। এই দলে ৮/১০ জন সদস্য রয়েছে। ইসমাইলের নেতৃত্বে তারা রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি ও দোকান ডাকাতির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ ডাকাত দল দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বিভিন্ন বালুর বলগেটে ডাকাতি করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। গ্রেপ্তাররা বিভিন্ন সময় কারাগারে থাকা অবস্থায় আন্তঃজেলা ডাকাতদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ডাকাতির বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল শিখে নিতেন। পরে জামিনে বেরিয়ে কারাগারে থাকা ডাকাতদের কৌশল ব্যবহার করে ডাকাতি করতেন। র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ইসমাইল ১০/১২ বছর ধরে একটি কেমিক্যাল কোম্পানির মালামাল রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটে সরবরাহ করতেন। ২০১৮ সালে কেরানীগঞ্জ এলাকার এক ডাকাতের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে এই অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই মার্কেটে কেমিক্যাল সরবরাহের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতি করতেন। ডাকাতিতে সুবিধার জন্য ছদ্মবেশে ইজিবাইক চালানো শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকার দোহার, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় ডাকাতির চারটি মামলা রয়েছে ওইসব মামলায় এক বছরের বেশি কারাভোগ করেছেন বলে স্বীকার করেন। তার নেতৃত্বে ২০২৩ সালে ফরিদপুরে বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। ডাকাতির মামলায় সাত মাস কারাভোগের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কাজ করতে থাকেন। গ্রেপ্তার হানিফ ইসমাইলের সহযোগী। তিনি ২০১১ সালে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত হন। ডাকাতির বিভিন্ন স্থান নির্ধারণ, কৌশল ও পরিকল্পনা করতেন। পরিকল্পনায় অত্যন্ত বিচক্ষণ থাকায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের কাছে তার মাস্টার উপাধি ছিল এবং সবাই তাকে মাস্টার বলে জানতেন। ২০১৩ সালে হত্যা মামলায় দুই বছরের বেশি কারাভোগ করেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে এবং সব মামলায় কারাভোগ করেছেন। গ্রেপ্তার কামরুল ইসমাইলের সঙ্গে ৩/৪ বছর আগে পূর্বে রাজধানীর জিনজিরা এলাকায় ভাড়া থাকার সময় পরিচয় হয়। পরে ডাকাতি কার্যক্রম আড়াল করতে তিনি দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গাজীপুর এলাকায় ডাকাতির জন্য সুবিধাজনক বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে সর্দার ইসমাইল ও হানিফ মাস্টারকে আগাম তথ্য দিতেন। তিনি গাজীপুরে ডাকাতির আগে পরিকল্পনার জন্য বিভিন্ন সময় ইসমাইল ও হানিফের কাছে আসতেন। পরিকল্পনা শেষে গাজীপুরে ফিরে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করতেন। শ্রীপুর থানার ওসি শাহ জামান জানান, শুক্রবার বিকালে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাদেরকে থানায় সোপর্দ করেনি র‌্যাব। থানায় সোপর্দের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯

রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ২ পুলিশকে জখম
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় টহলরত দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  রোববার (৩ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘি গ্রামের হাসিখালি ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শ্রীপুর থানা পুলিশের কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল  মো. রুহুল আমিন (২৫) ও মো. সেলিম (৩৫)। আহত ডাকাত দলের সদস্য রুবেল মিয়া (২৭) শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।  শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত কবির বলেন, রোববার রাতে শ্রীপুর থানা পুলিশের এএসআই আলিমের নেতৃত্বে চার জন পুলিশ সদস্য নিয়ে মাওনা ইউনিয়নে টহল ডিউটি চলছিল। রাত আনুমানিক পৌনে ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সিংগারদিঘী গ্রামের হাসিখালি ব্রিজে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতি করছে একদল ডাকাত। এ সময় এএসআই আলিমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। এতে পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন ও সেলিম গুরুতর আহত হন। এরপর পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ধাওয়া দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ির নিচে চাপা পড়ে। এ সময় রুবেল নামে ডাকাত দলের এক সদস্য গুরুতর জখম হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আহত পুলিশ সদস্য এবং আটক ডাকাত দলের সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারাহ বিনতে ফারুক বলেন, আহত দুই পুলিশ সদস্য ও অপর এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রীপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ডিউটি চলাকালে পুলিশের ওপর ডাকাতদলের হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে আহত অবস্থায় দুজন পুলিশ সদস্য এবং দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আহত এক ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১

নতুন নতুন অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সমাজে নতুন নতুন অপরাধ দেখা দিচ্ছে উল্লেখ করে যথাযথভাবে সেসব অপরাধ দমনে পুলিশকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষ যত বাড়ছে, অপরাধও তত ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে। নতুন নতুন অপরাধ দেখা দিচ্ছে। সেগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী যেন প্রস্তুত থাকে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট নজর দিচ্ছি। কারণ, অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে মোকাবিলা করার পদ্ধতিটা যদি না চলে তাহলে কিন্তু যথাযথভাবে সেটা (মোকাবিলা) করা যায় না। তিনি বলেন, যেকোনও কর্মস্থলে নারী-পুরুষ-শিশু যারাই থাকুক, তাদের আপনজন বিবেচনা করে তাদের প্রতি আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সেবা করবেন, এটাই সবাই চায়। পুলিশকে জনগণের বন্ধু মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন মানুষের বন্ধু হিসেবে কাজ করছে। আজকাল মানুষ আর আগের মতো ভয় না, এখন তারা আস্থা ফিরে পেয়েছে। পুলিশকে নিজের বন্ধু এবং আস্থার জায়গা হিসেবে এখন বিবেচনা করে সাধারণ মানুষ। মানুষের এই বিশ্বাস এবং আস্থাটা ধরে রাখতে হবে। পুলিশের ওপর নাশকতার প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, এই যে আগুন দেওয়া, পুলিশকে মারা, পুলিশকে আগুনের মধ্যে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার মামলাগুলো যথাযথভাবে চলে না, দীর্ঘসূত্রিতায় আটকে যায়। আমি মনে করি, যারা এ ধরনের অপরাধ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা এবং সাজাটা যদি দ্রুত হয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের নাশকতা সৃষ্টির সাহস পাবে না। তিনি আরও বলেন, আগামীতে কেউ যেন আর এভাবে পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে না পারে, সেটা ওই রাজনীতির নামে হোক, সন্ত্রাসের নামেই হোক। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না আর আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে পারবে না। মানুষের জানমালের ক্ষতি করতে পারবে না, জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশকে অবিচল থাকতে হবে। যখনই যেভাবে দরকার, সেভাবে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে কেউ আর ওই তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নিজের একটা স্থান করে নিতে পেরেছে। এখন সবাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে। শেখ হাসিনা বলেন, এটাকে ধরে রেখে আমাদের সামনে এগোতে হবে। সেজন্য আমাদের যেকোনও কাজ বা প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। যেকোনও অপরাধ মোকাবিলা এবং সাজা নিশ্চিতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা সবার কর্তব্য। কাজেই সেভাবে আপনারা সবাই কাজ করে যাবেন। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা, জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন- এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা দিই এবং প্রতি মেয়াদে নির্বাচনের ইশতেহার বাস্তবায়নে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিই। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত সরকারে আছি। একটা স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ আমরা এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর যে হামলা এবং গণহত্যা চলছে বাংলাদেশ তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করেছি। এভাবে ফিলিস্তিনি শিশু নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার এবং গণহত্যা, শুধু তাই না তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, হাসপাতাল সবকিছুর ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি যেখানে ত্রাণ বিতরণ করা হয় সেখানেও আক্রমণ করছে ইসরায়েলি সেনারা। এর থেকে জঘন্য ও মানবতাবিরোধী কাজ আর হতে পারে না। এর প্রভাবটা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়ছে। আমাদের ওপরেও সেই ধাক্কাটা আসছে। যদিও আমরা এটা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১১

থানার কাছেই পুলিশকে যুবকের ছুরিকাঘাত
রাজশাহীতে প্রকাশ্য দিবালোকে এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেছেন সেলিম ইসলাম (৩০) নামের এক যুবক। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দূর্গাপুর থানার মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। আহত ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম ফিরোজ আহম্মেদ (৩৭)। জানা গেছে, এদিন দুপুর দুইটার দিকে দূর্গাপুর বাজারে সোনালী ব্যাংকের সামনে দিয়ে কনস্টেবলের ফিরোজ যাচ্ছিলেন। এসময় সেলিম তার সমানে এসে দাঁড়ায়ে একে অপরের সঙ্গে কথোপকথনের এক পর্যায়ে সেলিম তার পকেট থেকে ছুরি বের করে ওই কনস্টেবলের পেটের ভেতরে আঘাত করে। এরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে হোজা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে সেলিম (৩০)। আহত পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে আটক সেলিমের ভাই মজনু জানিয়েছেন, সেলিম রেজা মানসিক রোগী। তাকে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। এক সময় সেখানে পুলিশের হাতে আটক হয়, জেলও খাটে। এরপর তাকে সেই দেশের পুলিশ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। গত দুই বছর আগে সে দেশে আসে। এরপর থেকে সে মানসিক রোগী হয়ে যায়।  দুর্গাপুর থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আমাদের এক পুলিশের সদস্য আহত হয়েছেন। আমি থানার বাইরে আছি, ফিরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১০

২০ বছর আগে মানুষ পুলিশকে ভয় পেত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিশ বছর আগে যদি পুলিশের কথা চিন্তা করি, সেই সময় মানুষ পুলিশকে ভয় পেত। কিন্তু এখন মানুষ পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখছে। কোনো প্রয়োজন হলে মানুষ পুলিশের কাছে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‌পুলিশ জনগণের পুলিশ হবে। আজকে কিন্তু আমাদের পুলিশ জনগণের হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময়ে মায়ের মরদেহ সন্তান ফেলে রেখে গেছে। পরে পুলিশই তাদের শেষ কার্যটি করেছে। কাজেই পুলিশ এমনই একটি আস্থার জায়গায় এসেছে যে, বিপদে-আপদে সবসময় তারা মানুষের পাশে আছে। তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫০টি থানা ও ৩৪ হাজার জনবল নিয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের মোট জনবল দুই লাখ ১০ হাজারের বেশি। প্রতিটি পুলিশ সদস্য ৮২৫ জন মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। প্রখর রোদ কিংবা ভারী বৃষ্টির সময়েও দায়িত্ব পালন করে সড়কে যান চলাচল সচল রাখেন ট্র্যাফিক সার্জেন্টরা। কাজের ফাঁকে তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তেমন উপযুক্ত স্থান নেই বললেই চলে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাফিক সার্জেন্টদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করার জন্য ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ট্র্যাফিক সার্জেন্টরা ভয়ানক অসুবিধায় থাকে। তাদের জন্য যদি বিশ্রামের সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে ডিএমপি আরও এগিয়ে যাবে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়