• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রাহুল ও পুরান ঝড়েও রক্ষা পেলো না লখনৌ, শুভসূচনা রাজস্থানের
চলমান আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে লখনৌকে ২০ রানে হারিয়ে আসরে শুভসূচনা করেছে রাজস্থান। রোববার (২৪ মার্চ) টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লখনৌকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দেয় রাজস্থান। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পারে রাহুল-পুরানরা। এতে ২০ রানের জয় পায় রাজস্থান। এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে রাজস্থান র‌য়্যালসের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও জশ বাটলার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনের কেউই। ৯ বলে ১১ রান করে বাটলার আউট হলে ১২ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গে দেন জয়সওয়াল। তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে এসে রান তুলতে থাকেন সঞ্জু স্যামসন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রিয়ান পরাগ। ২৯ বলে ৪৩ রান করে পরাগ আউট হলেও ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন স্যামসন। ৭ বলে ৫ রান করে আউট হন শিমরন হেটমাইয়ার। শেষ দিকে ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ধ্রুব জুড়েল। অপর প্রান্তে ৫২ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন রাজস্থান দলপতি। এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় পুঁজি পায় রাজস্থান র‌য়্যালস। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটার কুইনটন ডি কক। ৩ বলে শূন্য রান করে আউট হন দেবদুত পাডিক্কেল। এরপর ৫ বলে ১ রান করে আয়ুশ বাদোনি আউট হলে দলীয় ১১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লখনৌ। তবে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় কোটায় ব্যাট করতে নামেন দীপক হুদা। তাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। ১৩ বলে ২৬ রান করে দীপক আউট হলেও ৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেন রাহুল। ব্যাটিংয়ে এসে তাণ্ডব শুরু করেন ক্যারিবিয়ান তারকা নিকোলাস পুরানও। দুজনের ব্যাটে ভর করে জয়ে পথে হাঁটতে থাকে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। ৪৪ বলে ৫৮ রান করে রাহুল আউট হলে ছন্দ হারায় তারা। ৩ বলে ৪ রান করে মাকার্স স্টোইনিস আউট হলে একাই লড়াই করতে থাকে পুরান। শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও ২০ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তুলতে পারে রাহুল-পুরানরা। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট। এ ছাড়াও নানড্রে বুরগার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুবেন্দ্রা চাহাল ও সানদীপ শর্মা একটি করে উইকেট নেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ২০:১১

পুরান ঢাকার আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি ঘি পট্টির একটি প্রিন্টিং প্রেসে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-১ এর কমান্ডার ফয়সালুর রহমান বলেন, রিপোর্ট দেওয়ার পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য কমিটি করা হবে। এর আগে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। পরে সদরঘাট, সূত্রাপুর এবং সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ৬টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪১

পুরান ঢাকায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
রাজধানীর পুরান ঢাকার একটি প্রেসে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ৯টা ৩৮ মিনিটের দিকে পাটুয়াটুলি ঘি পট্টি এলাকায় আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটির মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলি ঘি পট্টির একটি প্রেসে রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সদরঘাট, সূত্রাপুর এবং সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৩

ছুটির দিনে পুরান ঢাকার ভবনে আগুন
শুক্রবার ছুটির দিনে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাটের চাদরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিপরীত পাশের একটি ভবনে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা। নির্মাণাধীন ভবনটির নিচের তলায় ছিল মার্কেট আর ওপরে আবাসিক রুমের জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছিল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন থেকেই সূত্রপাত এ ঘটনার। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পাশের বেস্ট বাই আউটলেটের এক কর্মী জানান, শুরুতে ভবনটির পাশ থেকে পাটের চাদর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর হঠাৎ করেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট উপস্থিত হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই ইউনিটটি কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান এ নিয়ে বলেন, কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদের চেষ্টায় অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন লাগার স্থান এখন ঝুঁকি মুক্ত।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩০

এবার পুরান ঢাকায় জুতার গোডাউনে আগুন
রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজার জিন্দাবাহার পার্কের পাশে একটি জুতার গোডাউনে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট। শনিবার (২ মার্চ) রাত ১০টা ২৪ মিনিটে আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ।  তিনি বলেন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার জিন্দাবাহার পার্কের পাশে একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় জুতার গোডাউনে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহত হন আরও অনেকে। এছাড়া শুক্রবার (১ মার্চ) দিনগত রাতে ওয়ারীতে পেশওয়ারাইন নামের একটি রেস্টুরেন্টে আগুন লাগে। রাত সোয়া ১০টায় আগুনের সংবাদ পেয়ে রেস্টুরেন্টটিতে যায় ফায়ার সার্ভিস। ১৬ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টে পৌঁছে আগুন নেভানো হয়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

পুরান ঢাকায় জুতার কারখানায় আগুন
রাজধানীর পুরান ঢাকায় একটি জুতা তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে মাহুতটুলি এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, পুরান ঢাকার মাহুতটুলি তারা মসজিদের পাশে একতলা ভবনের নিচতলায় থাকা একটি জুতার কারখানায় সকাল ৯টার কিছু সময় পর আগুন লাগে। পরে ৯টা ২০ মিনিটে খবর পেয়ে ৯টা ২৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ৯টা ৫২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৬

আজ সাকরাইন, পুরান ঢাকায় উৎসবের আমেজ
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি)। সাকরাইন উৎসব। পুরান ঢাকার আকাশে শোভা পাবে নানা রঙ আর বাহারি ঘুড়ি। ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের চিত্র এমনটাই থাকে পুরান ঢাকায়। একে ঘুড়ি উৎসব বা পৌষ সংক্রান্তিও বলে। ঐতিহ্যের আলোয় পৌষের শেষদিনকে রঙিন করতে মাতোয়ারা পুরান ঢাকাবাসী। তাই উৎসব ঘিরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার উৎসব। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধরা কিনছেন ঘুড়ি, নাটাই, সুতা। চলছে সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। পুরান ঢাকায় চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম। আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়ায়-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ   শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দোকানে দোকানে হরেকরকমের ঘুড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রঙ-বেরঙের ঘুড়ি আর নাটাই-সুতা সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। বাজারে বিভিন্ন নামের ঘুড়ি পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- চোখদার, চশমাদার, কাউটাদার, লাভবার্ড, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি, চক্ষুদার, ঈগল, সাদাঘুড়ি, চার বোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভঘুড়ি, তিন টেক্কা, মালাদার, দাবা ঘুড়ি, বাদুড়, চিল, অ্যাংগ্রি বার্ডস হরেক রঙের ঘুড়ি। এসব নাটাই মিলবে ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। সেসব সুতার মধ্যে রক সুতা, ডাবল ড্রাগন, কিংকোবরা, ক্লাক ডেবিল, ব্লাক গান, ডাবল গান, সম্রাট, ডাবল ব্লেট, মানজা, বর্ধমান, লালগান ও টাইগার অন্যতম। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি ও সাকরাইন উপলক্ষে শনিবার ঘুড়ি র‌্যালির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন। আরও পড়ুন : ঠাকুরগাঁওয়ের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে   সংগঠনের সহসভাপতি আব্দুল বারেক সোনা মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় হাজারিবাগ পার্কে ঘুড়ি র‌্যালি হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী। ঘুড়ি কিনে ফিরছেন বাসায় ঢাকা কলেজের ছাত্র শিহাব। তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব কবে শুরু হয়েছে তিনি নিজেই জানেন না। জন্মের পর থেকেই দেখছেন এ উৎসব। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে গেছে সাকরাইনের ঘুড়ির উৎসব। এক সময় তার বাবার হাত ধরে ঘুড়ি কিনতে এসেছিলেন। আজকে নিজেই এসেছেন। ভবিষ্যতে ছেলেকে নিয়ে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন আরিফুল।\ তিনি বলেন, আসলে এ উৎসব জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসব। এটা ঢাকার ঐতিহ্য যা শতকের পর শতক চলবে। ছেলেকে নিয়ে ঘুড়ি ও নাটাই কিনতে গেন্ডারিয়া থেকে শাঁখারীবাজার এসেছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি আরটিভিকে বলেন, ছেলেকে নিয়ে ঘুড়ি-নাটাই কিনতে এসেছি। ১৫০টা ঘুড়ি ও ১০টি নাটাই কিনে নিয়ে যাচ্ছি। সাকরাইনে বাসার ছাদে ছোট খাটো অনুষ্ঠান হবে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় পরিজনরা মিলে ঘুড়ি উড়াবো। এদিন আমাদের কাছে প্রাণের উৎসবে পরিণত হবে। সারাদিন ঘড়ি উড়িয়ে রাতে নানা রকমের পিঠা, পুলিসহ বিভিন্ন ধরনের খাওয়া দাওয়া হবে। আরও পড়ুন : আরটিভিতে আজ যা দেখবেন   নারিন্দার বাসিন্দা শরিফ খান বলেন, যখন গ্রামে ছিলাম তখন শখে ঘুড়ি উড়িয়েছি। এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঘুড়ি উড়ানো হয়নি। ঢাকাতে আসার পর এখন প্রতিবছর আয়োজন করে একদিন ঘুড়ি উড়িয়ে থাকি। সারাদিন আনন্দ-উল্লাস করি। তাই ঘুড়ি ও নাটাই কিনেছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি ও নাটাই বিক্রি হয়, কিছু বাঁশের আবার কিছু আছে স্টিলের। ছোট নাটাই ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, মাঝারি ধরনের ২শ’ থেকে আড়াইশো এবং বড় নাটাই ৩শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবিষয়ে পুরান ঢাকার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় এ ঐতিহ্য পুরান ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি, সাকরাইন উৎসব আমাদের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এদিন পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর ছাদ যেন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। যেকেউ ঘুড়ি নিয়ে এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন। এ উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত, সার্বজনীন। জানা গেছে, উৎপত্তিগত জায়গায় সংস্কৃত শব্দ সংক্রান্তি ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন শব্দের রূপ নিয়েছে। ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, মিলব্যারাক, নারিন্দা, নবাবপুর, ওয়ারি, গেণ্ডারিয়া, পোস্তগোলা, হাজারীবাগ, লালবাগ ও এর আশপাশ এলাকাগুলোয় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ছোট-বড় সবাই মেতে ওঠে এ উৎসবে। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বিভিন্ন আয়োজনে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন। এসব বাহারি ঘুড়ির মালিককে নিয়ে আয়োজন করা হয় ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা। বাসার ছাদে এসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগীদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ নির্ধারণ করা হয়। ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতায় মূলত যে যত বেশি উড়ন্ত ঘুড়ির সুতা দিয়ে অন্য ঘুড়ি কাটতে পারবে এবং শেষ পর্যন্ত যার ঘুড়ি উড়বে সে হবে চ্যাম্পিয়ন। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও হয় জাঁকালো। এদিন পিঠা, পায়েসসহ নানা রকমের খাবারের আয়োজন থাকে এ অনুষ্ঠানে। উৎসব উদযাপনের রাতে কিশোর-যুবকরা মুখে কেরোসিন নিয়ে আগুনের লেলিহান রাশি তৈরি করে, যা সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস আবহ নিয়ে আসে। জানা যায়, রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন শুরু হবে। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলবে পিঠাপুলির উৎসব।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬

কাল সাকরাইন, পুরান ঢাকার অলিগলিতে ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম
আগামীকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) সাকরাইন উৎসব। পুরান ঢাকার আকাশ থাকবে ঘুড়িওয়ালাদের দখলে। নীল আকাশে শোভা পাবে নানা রঙ আর বাহারি ঘুড়ি। ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের চিত্র এমনটাই থাকে পুরান ঢাকায়। একে ঘুড়ি উৎসব বা পৌষ সংক্রান্তিও বলে।  ঐতিহ্যের আলোয় পৌষের শেষদিনকে রঙিন করতে মাতোয়ারা পুরান ঢাকাবাসী। তাই উৎসব ঘিরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার উৎসব। শিশু, তরুণ, বৃদ্ধরা কিনছেন ঘুড়ি, নাটাই, সুতা। চলছে সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। পুরান ঢাকায় চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দোকানে দোকানে হরেকরকমের ঘুড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রঙ-বেরঙের ঘুড়ি আর নাটাই-সুতা সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। বাজারে বিভিন্ন নামের ঘুড়ি পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- চোখদার, চশমাদার, কাউটাদার, লাভবার্ড, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি, চক্ষুদার, ঈগল, সাদাঘুড়ি, চার বোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভঘুড়ি, তিন টেক্কা, মালাদার, দাবা ঘুড়ি, বাদুড়, চিল, অ্যাংগ্রি বার্ডস হরেক রঙের ঘুড়ি। এসব নাটাই মিলবে ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। সেসব সুতার মধ্যে রক সুতা, ডাবল ড্রাগন, কিংকোবরা, ক্লাক ডেবিল, ব্লাক গান, ডাবল গান, সম্রাট, ডাবল ব্লেট, মানজা, বর্ধমান, লালগান ও টাইগার অন্যতম। এদিকে পৌষ সংক্রান্তি ও সাকরাইন উপলক্ষে শনিবার ঘুড়ি র‌্যালির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন। সংগঠনের সহসভাপতি আব্দুল বারেক সোনা মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় হাজারিবাগ পার্কে ঘুড়ি র‌্যালি হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী। ঢাকা কলেজের এতকজ ছাত্র ঘুড়ি কিনে ফিরছেন বাসায়। তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় ঘুড়ি উড়ানোর উৎসব কবে শুরু হয়েছে তিনি নিজেই জানেন না। জন্মের পর থেকেই দেখছেন এ উৎসব। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ছড়িয়ে গেছে সাকরাইনের ঘুড়ির উৎসব। তিনি এক সময় তার বাবার হাত ধরে ঘুড়ি কিনতে এসেছিলেন। আজকে নিজেই এসেছেন ভবিষ্যতে ছেলেকে নিয়ে আসবে বলে আশা ব্যাক্ত করে আরিফুল বলেন, আসলে এ উৎসব জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসব। এটা ঢাকার ঐতিহ্য যা শতকের পর শতক চলবে।   ছেলেকে নিয়ে ঘুড়ি ও নাটাই কিনতে গেন্ডারিয়া থেকে শাঁখারীবাজার এসেছেন একজন বাবা। তিনি বলেন, ছেলেকে নিয়ে ঘুড়ি-নাটাই  কিনতে এসেছি। ১৫০টা ঘুড়ি ও ১০টি নাটাই কিনে নিয়ে যাচ্ছি। আগামীকাল সাকরাইন বাসার ছাদে ছোট খাটো অনুষ্ঠান হবে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় পরিজনরা মিলে ঘুড়ি উড়াবো। এদিন আমাদের কাছে প্রাণের উৎসবে পরিণত হবে। সারাদিন ঘড়ি উড়িয়ে রাতে নানা রকমের পিঠা, পুলিসহ বিভিন্ন ধরনের খাওয়া দাওয়া হবে। নারিন্দার একজন বাসিন্দা বলেন, যখন গ্রামে ছিলাম তখন শখে ঘুড়ি উড়িয়েছি। এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঘুড়ি উড়ানো হয়নি। ঢাকাতে আসার পর এখন প্রতিবছর আয়োজন করে একদিন ঘুড়ি উড়িয়ে থাকি। সারাদিন আনন্দ-উল্লাস করি। তাই ঘুড়ি ও নাটাই কিনেছি। এখানে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি ও নাটাই বিক্রি হয়, কিছু বাঁশের আবার কিছু আছে স্টিলের। ছোট নাটাই ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, মাঝারি ধরনের ২শ’ থেকে আড়াইশো এবং বড় নাটাই ৩শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবিষয়ে পুরান ঢাকার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আরিফ হোসেন ছোটন বলেন, সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। কালের পরিক্রমায় এ ঐতিহ্য পুরান ঢাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের বাস্তবতায় আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি, সাকরাইন উৎসব আমাদের ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এদিন পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর ছাদ যেন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। যেকেউ ঘুড়ি নিয়ে এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন। এ উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত, সার্বজনীন। জানা গেছে, উৎপত্তিগত জায়গায় সংস্কৃত শব্দ সংক্রান্তি ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন শব্দের রূপ নিয়েছে। ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, মিলব্যারাক, নারিন্দা, নবাবপুর, ওয়ারি, গেণ্ডারিয়া, পোস্তগোলা, হাজারীবাগ, লালবাগ ও এর আশপাশ এলাকাগুলোয় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ছোট-বড় সবাই মেতে ওঠে এ উৎসবে। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বিভিন্ন আয়োজনে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন। এসব বাহারি ঘুড়ির মালিককে নিয়ে আয়োজন করা হয় ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা। বাসার ছাদে এসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগীদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ নির্ধারণ করা হয়। ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতায় মূলত যে যত বেশি উড়ন্ত ঘুড়ির সুতা দিয়ে অন্য ঘুড়ি কাটতে পারবে এবং শেষ পর্যন্ত যার ঘুড়ি উড়বে সে হবে চ্যাম্পিয়ন। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও হয় জাঁকালো। এদিন পিঠা, পায়েসসহ নানা রকমের খাবারের আয়োজন থাকে এ অনুষ্ঠানে। উৎসব উদযাপনের রাতে কিশোর-যুবকরা মুখে কেরোসিন নিয়ে আগুনের লেলিহান রাশি তৈরি করে, যা সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস আবহ নিয়ে আসে। জানা যায়, আগামীকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন শুরু হবে। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলবে পিঠাপুলির উৎসব।       
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০

বছরের শুরুতে পুরান ঢাকায় আগুন
বছরের শুরতে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারে দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাজিরা বাজারের বিউটি লাচ্ছির পাশের দোকানে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার। তিনি জানান, আগুনের ৩ মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। রাত পৌনে একটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি জানার চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়