• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজবাড়ীতে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে শ্বশুর ও পুত্রবধূ নিহত
রাজবাড়ীতে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে শ্বশুর ও পুত্রবধূ নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন কালুখালী উপজেলার লস্করদিয়া গ্রামের জাবেদ আলী (৬২) ও তার পুত্রবধূ খালেদা আক্তার (৩০)। এ ঘটনায় আটোচালকসহ আরও এক যাত্রী আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত খালেদা আক্তারের স্বামী শহিদ মিয়া সৌদি প্রবাসী। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। পাংশা হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. বাদশা মিয়া জানান, খালেদা তার শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে একটি অটোরিকশায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি বাগমারা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রাবেয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই খালেদা আক্তার মারা যান। এ ঘটনায় খালেদার শ্বশুর জাবেদ আলীসহ অটোরিকশার তিনজনকে আহতাবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। জাবেদ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।  বাদশা মিয়া আরও জানান, ঘটনার পরপরই চালক বাসটি নিয়ে পালিয়ে যায়। খালেদা আক্তারের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জাবেদ আলীর মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২০

শ্বশুরের মৃত্যু, সেই খবর শুনে মারা গেলেন পুত্রবধূ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট এলাকায় শারীরিক নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে সাহেব আলী (৭১) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুরের মৃত্যু শোক সইতে না পেরে পুত্রবধূ ছমিরন বেগম (৪৩) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, হার্ট অ্যাটাকে ছমিরন বেগম মারা গেছেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কালিঞ্জিরা (ওহিউড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।  এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কসর আলী ছেলে। ছমিরন বেগম সাহেব আলীর ছেলে ছানাউল মিয়ার স্ত্রী।  । নিহত সাহেব আলী ওই গ্রামের মৃত কসর আলীর ছেলে এবং ছমিরন বেগম ছানাউল মিয়ার স্ত্রী।  নিহত সাহেব আলী এবং ছমিরন বেগম শ্বশুর-পুত্রবধূর বাহিরে সম্পর্কে চাচা-ভাতিজিও ছিলেন। অর্থাৎ সাহেব আলী ভাইয়ের মেয়ের সঙ্গে নিজের ছেলের বিবাহ দিয়েছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন সাহেব আলী। এছাড়া বয়সের কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এই বৃদ্ধ। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়িতেই মারা যান সাহেব আলী। এর কিছু সময় পরে শ্বশুরের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পুত্রবধূ ছমিরন বেগম। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের প্রতিবেশী লিটন মিয়া জানান, নিহত ছমিরন বেগম ইতোপূর্বে একবার হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন। আজ বিকেলে কিছু সময়ের ব্যবধানে শ্বশুর এবং ছেলের বউ মারা যান। রোববার সকাল ১১টায় দুজনের দাফন হবার কথা রয়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থজ্বীময় সরকার জানান, সন্ধ্যার আগে পরিবারের লোকজন ছমিরন বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। তবে আমরা তাকে মৃত্যু অবস্থায় পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৩

শাশুড়িকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করল পুত্রবধূ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পারিবারিক কলহের জেরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্বশুরও।  অভিযুক্ত পুত্রবধূ আইরিন আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত তহুরা বেগম (৫০) ওই গ্রামের সোনামুদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, মাত্র আড়াই মাস আগে নিহত তহুরা বেগমের ছেলে রাসেল বিশ্বাসের সঙ্গে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের আইরিন আক্তারের বিয়ে হয়। নয় দিন আগে ছেলে বিদেশে গেছেন। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি বউয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। মঙ্গলবার রাতে শ্বশুর ঘুমিয়ে যাওয়ার পর শাশুড়ি ও ছেলের বউ ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হলে শাশুড়িকে টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন পুত্রবধূ আইরিন। এরপর চিৎকার দিলে মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে তার হাত, মুখ, মাথা ও গলায় জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর পুত্রবধূ শাশুড়ির মরদেহ ঘর থেকে টেনে বের করে বারান্দার টয়লেটে নিয়ে আসেন। সেখানে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে টেনে ঘরের বাইরে বের করা হয়। এ সময় শ্বশুরের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি ঘটনা টের পান। এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন পুত্রবধূ। মুখে জখম হওয়ার পর জোর করে ছুরি ছিনিয়ে নেন শ্বশুর সোনামুদ্দিন। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পুত্রবধূকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত আইরিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার করেছেন নিহতের স্বামী।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়