• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি চেন্নাইয়ের
চলতি আইপিএলের ১৮তম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বর্তমান চেন্নাই সুপার কিংস। প্রতিপক্ষের মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চেন্নাই। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র এবং রুতুরাজ গাইকোয়াড়। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুইজনের কেউই। ৯ বলে ১২ রান করে রাচিন আউট হলেও ২১ বলে ২৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন চেন্নাই দলপতি। চতুর্থ উইকেটে রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শিভাম ডুবে। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে চেন্নাই। পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে আউট হন ডুবে। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর ৩০ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাহানে। ২০তম ওভারে তৃতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ড্যারিল মিচেল। শেষ পর্যন্ত জাদেজার ২৩ বলের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় চেন্নাই। সানরাজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে প্যাট কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমার, সাহবাজ আহমেদ, উনাদকাট ও নাতারাজান একটি উইকেট শিকার করেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

জ্যোতির ফিফটিতে বাংলাদেশের ১২৬ রানের পুঁজি
হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে টাইগ্রেসরা। অধিনায়ক নিগার সুলতানার জ্যোতির ফিফটিতে অজি মেয়েদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (৩১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ৬৩ বলে দলীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬২ রান করেছেন জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে বাজে শুরু পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিলারা। এরপর ব্যাট করতে নেমে ফেরেন সুবহানা মোস্তারিও। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খোলা হয়নি টপ-অর্ডার এই ব্যাটারের। দলীয় ২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে মুর্শিদা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন জ্যোতি। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন টাইগ্রেস দলপতি। ৫৭ বলে দেখা পেয়েছেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকেছেন জ্যোতি। এ ছাড়া ২৭ বলে ২০ রান করেন মুর্শিদা। শেষ দিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ২১ বলে ২৭ রান করেন ফাহিমা খাতুন। এতে অজিদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের পুঁজি পেয়েছে টাইগ্রেসরা।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:১২

লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি
পেসারদের কল্যাণে শুরুতেই শক্ত ভিত পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর স্পিনারদের ভেলকিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। টপ-অর্ডারের পর মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতায় অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল সফরকারীরা। তবে সেখানে থেকে দলকে টেনে তুলেছেন লিয়ানাগে। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে লঙ্কানরা। সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিয়ানাগের অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে লঙ্কানরা। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয়বার ওয়ানডে সিরিজ জয়ের জন্য ২৩৬ রানের লক্ষ্য পেয়েছে টাইগাররা। ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ভয়ংকর পাথুম নিসাঙ্কাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তাসকিন আহমেদ। টাইগার স্পিডস্টারের ফুললেংথের ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করেন নিশাঙ্কা। এতে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি। চতুর্থ ওভারে অভিষাকা ফার্নান্দোকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন। শুরুর দিকে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাউইকরামা। তবে কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। ১৪ রানে সাদিরা ও ২৯ রানে কুশল ফিরলে ৭৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন চারিথ আসালঙ্কা ও জানিত লিয়ানাগে। তবে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে থাকা আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ফিজ। এতেই ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইন-আপ। তবে সাতে ব্যাট হাতে নেমে টেস্টের নাইটওয়াচম্যানদের কথা আরও একবার স্মরণ করান দুনিথ ওয়েল্লালাগে। মেহেদীর টস-আপ ডেলিভারিতে কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে স্লগ-সুইপ করতে চেয়েছিলেন ভাল্লালাগে। তবে তা ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। মিড-উইকেটের সহজ ক্যাচ নেন সৌম্য। এতে ১৮ বলে মাত্র ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন এই অলরাউন্ডার। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে স্পিন ঘূর্ণিতে ফেরান মিরাজই। তবে লিয়ানাগের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে পুঁজি দুইশ ছাড়ায় ১৫৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার। অষ্টম উইকেটে তিকশানার সঙ্গে লিয়ানাগের ৫০ রানের জুটিতে ৪৬তম ওভারে এসে ২০০ ছুঁয়ে ফেলে সফরকারীরা। ১৫ রানে থিকশানা বিদায় নিলেও ঠিকই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন লিয়ানাগে। তার অপরাজিত ১০১ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান জড়ো করে সফরকারীরা।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:২০

শামীমের ব্যাটে ভর করে রংপুরের লড়াকু পুঁজি
চলতি বিপিএলে রংপুরকে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল বরিশাল। দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে আবারও মুখোমখি হয়েছে দুই দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বরিশালকে ১৫০ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছে রংপুর। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। এদিন শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দলটি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৫ বলে ২ রান করে আউট হন শেখ মাহেদী। একই ওভারে শেষ বলে সাকিবকে আউট করে উল্লাসে ভাসে বরিশাল।  ৪ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই তারকা ক্রিকেটার। এদিনও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি রনি তালুকদার। ১২ বলে ৮ রান করে মায়ার্সকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর নিকোলাম পুরানকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জেমি নিশাম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি পুরান। ১২ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। ২২ বলে ২৮ রান করে আউট হন নিশাম। এতে মাত্র ৪৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে রংপুর। তবে মোহাম্মদ নবিকে সঙ্গে নিয়ে রান তোলার চেষ্টা করেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেনি কেউই। ১৫ বলে ১২ রান করে নবি আউট হলে, ১৪ বলে ১৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন সোহান। শেষ দিকে রংপুর শিবিরে হাল ধরেন শামীম পাটোয়ারী। তাকে সঙ্গ দেন আবু হায়দার রনি। ১৯তম ওভারে ২৬ রান তুলে ২০ বলে ফিফটি তুলে নেন শামীম। শেষ পর্যন্ত শামীমের ৪৯ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ১৪৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রংপুর। ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন জেমস ফুলার। দুই উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। এ ছাড়াও কাইল মায়ার্স ও মেহেদী মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২০

সিলেটের বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পেল খুলনা
চলমান বিপিএলে দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেছিল খুলনা টাইগার্স। প্রথম চার ম্যাচ জিতে আশা জাগিয়েছিল প্লে-অফ খেলার। তবে পরের সাত ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বিজয়ের দল। এতে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেছে তারা। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেটকে ১২৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে খুলনা। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় সিলেট। ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করে খুলনা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এনামুল হক বিজয়। ৯ বলে ১০ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি হাবিবুর রহমানও। ১৪ বলে ৩ রান করে আউট হন তিনি। হাবিবুরের পর ১২ বলে ১১ রান করে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন আফিফ হোসেন। ৩১ বলে নিজের ফিফটি পূরণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৫ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৬ বলে ৮ রান করে জেসন হোল্ডার আউট হলে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। এরপর খুলনা শিবিরে হাল ধরেন ওয়েন পারনেল। ১৪ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে বেনি হা্ওয়েলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন নাহিদুজ্জামান। ৮ বলে ১১ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত আরিফ আহমেদের ৪ রান এবং রুবেলের ১০ বলে ৬ রানে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন বেনি হা্ওয়েল। শাফিকুল ইসলাম ও তানজিম সাকিব দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া সামিত প্যাটেল এক উইকেট শিকার করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪

নিশামের ব্যাটে ভর করে রংপুরের লড়াকু পুঁজি
চলমান বিপিএলের লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে কুমিল্লার মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লাকে ১৫১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে রংপুর। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রংপুর। ৬ বলে ৪ রান করে আউট হন ব্যান্ডন কিং। ৮ বলে ১৪ রান করে তাকে সঙ্গে দেন আরেক ওপেনার রনি তালুকদার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি শেখ মাহেদী ও নুরুল হাসান সোহান। মাহেদী ৬ বলে ৮ রান করে আউট হলে, ২ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রংপুর অধিনায়ক। কিন্তু পিচের এক প্রান্ত আগলে রেখে রংপুর শিবিরে হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। ১৯ বলে ২৪ রান করে আউট হন তিনি। মুশফিক হাসানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। টম মুরাস ১১ বলে ৮ রান এবং শামীম পাটোয়ারি ৪ বলে ২ রান করে আউট হলেও রংপুর শিবিরে হাল ধরেন জেমি নিশাম। এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন এই কিউই অলরাউন্ডার। শেষ দিকে আবু হায়দার রনি (৭) এবং হাসান মাহমুদ ১ রানে আউট হন। তবে লড়াই করতে থাকে নিশাম। ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই তারকা ক্রিকেটার। ২০তম ওভারে পঞ্চম বলে ইমরান তাহির (৫) রানে আউট হলে ১৫০ রানে অলআউট হয় রংপুর। কিন্তু অপর প্রান্তে ৪২ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে মুশফিক হাসান ও আন্দ্রে রাসেল তিনটি করে উইকেট শিকার করেন । এ ছাড়াও ম্যাথিউ ফোর্ড দুটি এবং তানভীর ইসলাম নেন এক উইকেট।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২০

ডু অর ডাই ম্যাচে চট্টগ্রামের বড় পুঁজি
শুরুর দিকে কিছুটা খাপছাড়া খেললেও সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন গোড়াপত্তনে নামা তানজিদ হাসান তামিম। এরপর এই ওপেনারের দারুণ সেঞ্চুরিতে প্লে-অফে উঠার কঠিন সমীকরণে বড় পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯২ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বন্দরনগরীর দলটির। এদিন মোটেই জ্বলে উঠতে পারেননি বিধ্বংসী ওপেনার খ্যাতি পাওয়া মোহাম্মদ ওয়াসিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন আমিরাতের এই ওপেনার। নাসুমের টসড-আপ ডেলিভারিতে ডিপ-স্কয়ার তালুবন্দি হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদের সঙ্গে দলের হাল ধরেন সৈকত আলী। এই জুটিতে পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তুলে চট্টগ্রাম।  এরপরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৈকত। ব্যক্তিগত ১৮ রানে জেসন হোল্ডারের বলে জয়ের মুঠোবন্দী হন তিনে নামা এই ব্যাটার। এরপর ব্রুসকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তানজিদ। সাবধানী ব্যাটিং ৩২ বলে ফিফটি পূরণ করেন এই ওপেনার। অর্ধশতকের পর কিছুটা আগ্রাসী হয়ে উঠেন তানজিদ। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দেখাও পেয়েছেন তিনি। ৫৮ বলে দ্রুতই ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। যা চলতি আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে, তাওহীদ হৃদয় এবং উইল জ্যাকস সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন। সেঞ্চুরির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেন তামিম। তবে ওয়েন পারলেনের গতিতে পরাস্ত হয়েছেন শেষ পর্যন্ত। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১১৬ রানে দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন এই ওপেনার। তার মারকুটে ইনিংসের সুবাদে ১৯২ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। খুলনার হয়ে পারনেল, নাসুম, হোল্ডার এবং মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৮

তানজিদের ফিফটিতে চট্টগ্রামের লড়াকু পুঁজি
ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সেখান থেকে বন্দরনগরীর দলটিকে পথ দেখিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম এবং টম ব্রুস জুটি। তানজিদের ফিফটিতে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১৫৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে চট্টগ্রাম। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন চট্টগ্রামের ওপেনার সৈকত।  এরপর চট্টগ্রামের ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং তিনে নামা জশ ব্রাউন। তবে বেশিক্ষণ ব্রাউনও টিকতে পারেননি। ১৩ বলে ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর তানজিদের সঙ্গে জুটি গড়েন টম ব্রুস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলীয় রানের চাকা এগিয়ে নিতে থাকেন এই জুটি। ফলে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। এরপর ক্রমেই রানের গতি বাড়িয়েছেন ব্রুস এবং তানজিদ। ফিফটির কাছাকাছি চলেও গিয়েছিলেন দুজনে। তবে কেবল তানজিদই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। অন্যপ্রান্তে ৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন ব্রুস।    ৯৫ রানের জুটি গড়ে ব্রুস ফিরলে বাকি লড়াইটা একাই করেছেন তানজিদ। শেষ দিকে ৪ বলে ৯ রানের ছোট্ট এক ক্যামিও উপহার দেন শুভাগত হোম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম।  ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও শন উইলিয়ামস।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৩

মুশফিকের ব্যাটে ভর করে বরিশালের বড় পুঁজি
বিপিএলের ৩৫তম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করার লড়াইয়ে সিলেটকে ১৮৪ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বরিশাল। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে ইনিংস গোড়াপত্তনে নামেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও দলীয় ২৩ রানের মাথায় ফেরেন পাকস্তানি ওপেনার। ১১ বলে ১৭ রানে তানজিমের শিকার হয়ে বিদায় নেন শেহজাদ। এর কিছু সময় পর তামিমও সাজঘরে ফেরেন। তানজিমের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে ৩ বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ১৯ রানের ইনিংস সাজান টাইগার এই ওপেনার। এরপর সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন কাইল মেয়ার্স। তবে হ্যারি টেক্টরের বলে মাত্র ৮ রানেই ইতি ঘটে সৌম্যর ইনিংসের। দারুণ ক্যাচ লুফে নিয়ে সৌম্যকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তানজিম। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম ও কাইল মেয়ার্সের ব্যাটে বাড়তে থাকে বরিশালের রানের চাকা। দুজনে মিলে গড়েন ৮৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।  এরপর সমান তিনটি করে চার-ছক্কায় ৩১ বলে ৪৮ রান করে বিদায় নেন মেয়ার্স। অন্যপ্রান্তে ঠিকই ফিফটির দেখা পান মুশি। তবে ব্যক্তিগত ৫০ পেরিয়ে তিনিও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। সাজঘরে ফেরার আগে তিনটি করে চার-ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস সাজান উইকেটকিপার এই ব্যাটার। শেষদিকে মিরাজের ১৫ ও রিয়াদের অপরাজিত ১২ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৮৩ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

সাকিব ও মাহেদীর ব্যাটিং নৈপুণ্যে রংপুরের বড় পুঁজি
চলমান বিপিএলে নয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে দশ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করতে বরিশাল ও খুলনার সঙ্গে লড়াই করছে চট্টগ্রাম। নিজেদের দশম ও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে তারা। এই চট্টগ্রামকে ১৮৮ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে রংপুর। শুক্রবার (১৬ জানুয়ারি) টস জিতে  ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধীর গতিতে এগোতে থাকে রংপুর। তবুও ইনিংস বড় করতে পারেনি দুই ওপেনারের কেউই। ১৯ বলে ২৫ রান করে রনি তালুকদার আউট হলে ১১ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রেজা হেনড্রিক্স। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ব্যান্ডন কিংও। ৯ বলে মাত্র ২ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। কিন্তু রংপুর শিবিরে হাল ধরেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৯ বলে ৫ রান করে সোহান আউট হলে সাকিবকে সঙ্গ দেন শেখ মাহেদী। ১৫তম ওভারে জিয়াউর রহমানের বলে পর পর তিন ছক্কা মারেন মাহেদী। অপর প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। ১৫ বলে ৩৪ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন মাহেদী। বিলাল খানকে ছক্কা হাঁকাদে গিয়ে নিজের স্ট্যাম্প বিলিয়ে দেন এই ডান হাতি অলরাউন্ডার। এরপর সাকিবকে সঙ্গ দেন জেমি নিশাম। তবে ৩ বলে ৫ রান করে কট আউট হন এই কিউই অলরাউন্ডার। ৩৯ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন সাকিব। শেষ পর্যন্ত হাসান মাহমুদের ২ বলে ৮ রান এবং শামীম পাটোয়ারী ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রানের বড় পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন রোমারিও শেফার্ড। সালাউদ্দিন সাকিল ও শহিদুল ইসলাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও এক উইকেট নেন বিলাল খান।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়