• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জনতা বসে থাকবে না’
ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। রোববার (১৭ মার্চ) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। চরমোনাই পীর বলেন, কোরআন শিক্ষার আসর করলে যাদের গায়ে জ্বালা ধরে এরা মুসলমান নামের পশু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগ আছে, সেখানে আরবি চর্চা হলে সমস্যা কোথায়? তিনি বলেন, ঢাবিতে কোরআনের ক্লাস নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে, তাদের থামান। ইসলাম চর্চা নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে ঈমানদার জনতা নীরবে বসে থাকবে না। সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এই মাসে মানব জীবনের সফলতা ফিরে পেতে হলে তাকওয়াপূর্ণ ও তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হবে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এ পবিত্র মাস পাওয়ার পরও নিজের গুনাহরাশি মাফ করিয়ে আল্লাহর নিকটবর্তী বান্দা হতে পারেনি, রমজান তার জীবনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, রমজান এলেই একশ্রেণির মানুষ রমজানের প্রতি অসম্মান করতে উঠেপড়ে লেগে যায়। এরা মানুষকে মজুদদারি করে, ইফতারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মানুষকে কষ্ট দেয়।  রেজাউল করীম বলেন, যারা রোজাদার মানুষকে কষ্ট দেয় তারা আল্লাহর আজাব-গজবের অপেক্ষায় আছে। মনে রাখবেন এরা অচিরেই আল্লাহর গজবে পতিত হবে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৮

দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে : চরমোনাই পীর
দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশের সর্বত্র অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। কোথাও শান্তি নেই। সর্বত্র মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। মায়ের কোলের শিশুও আজ নিরাপদ নয়।’ তিনি বলেন, ‘দেশে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। ঘরে থাকলে খুন আর রাস্তায় বের হলে হয় গুম। ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদীরা নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় বিদেশি প্রভুদের কাছে আমাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে।’ তিনি  আরও বলেন, ‘আমরা একাত্তরকে ধারণ করি। অসহায়, মজলুম ও গণমানুষের জন্য সংগ্রাম করি এবং এদেশের মানুষের বিশ্বাস ও ইসলাম নিঃসৃত নীতিতে নারীর উন্নয়ন ও মুক্তির জন্য আন্দোলন করি। দেশের সব ধর্মের ও বিশ্বাসের মানুষের অধিকার এবং নিরাপত্তায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এবং কে এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

পীর বাবা ৩ লাখ টাকার গহনা নিয়ে গায়েব
মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ফেরার পথে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার সোনার অলংকারসহ নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন খুইয়েছেন এক গৃহবধূ। পীর পরিচয় দিয়ে ওই গৃহবধূকে কৌশলে ধর্মীয় কথাবার্তার আড়ালে এসব হাতিয়ে নেয় চারজনের এই প্রতারক চক্র। রোববার বিকেলে ফরিদপুর শহরের উত্তর কমলাপুরমুখি সড়কের মোড়ে ঘটে এ ঘটনা। এ বিষয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী।  ভুক্তভোগী শহরের উত্তর কমলাপুরের বাসিন্দা কামরুন নাহার কনা (৪২)।  ওই নারীর স্বামী মো. আজিজুর রহমান মিলন একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন।  এ ঘটনায় তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। ভুক্তভোগী নারী জানান, সংঘবদ্ধ চক্রটি নাটকীয়ভাবে একজনকে বড় ধরনের পীর সাজিয়ে কথাবার্তার ফাঁকে তাকে সম্মোহন করে ফেলে। তারপর তাদের কথামতো নিজেই তার হাত ও গলায় থাকা দুই ভরি ওজনের দুটি চুরি ও ১২ আনা ওজনের একটি গলার চেইন খুলে তুলে দেন পীরের হাতে। যার বাজার মূল্য প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকা। প্রতারকরা কামরুন নাহারের ভ্যানিটিব্যাগে থাকা দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে নেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাটি তদন্তে গিয়েছিলেন। পীর সেজে ওই গৃহবধূর মালামাল নিয়ে গেছে প্রতারকরা।  তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৪

সুনামগঞ্জ-৪ আসনে পিছিয়ে পীর ফজলুর রহমান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে নৌকার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক এবং পিছিয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী পীর ফজলুর রহমান। রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই গণনা শুরু হয়। এতে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের ১১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৬টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৬০ হাজার ৭৩৯ ভোট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাদিক। তার নিকটবর্তী পীর ফজলুর রহমান পেয়েছেন ২০ হাজার ২৫২ ভোট। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৯ জন। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং ১৫ ব্যক্তিকে জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য দণ্ড দেওয়া হয়েছে। কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮

দুর্নীতি-জুলুম-অন্যায়কে ঘৃণা করলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, যাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করেন, দুর্নীতি-জুলুম-অন্যায় ঘৃণা করেন তারা নির্বাচনে যাবেন না। একই সঙ্গে যারা আল্লাহকে ভয় করেন, যারা মজলুমের বদদোয়াকে ভয় করেন, তারা ভোট দেবেন না। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নোয়াখালী টাওয়ারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ জানুয়ারি প্রহসনমূলক একতরফা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নির্লজ্জ নির্বাচন কেউ কখনো দেখেছে বলে মনে হয় না। ক্ষমতাসীন সরকার ২০১৪ সালে করলো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন, ২০১৮ সালে করলো রাতের ভোট, আর ২০২৪ সালে এসে করছে ডামি নির্বাচন। তিনি বলেন, নিজ দলের একাধিক প্রার্থী বিভিন্ন নামে দাঁড় করানো, জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিরোধী নেতাদের নির্বাচনে দাঁড় করানো, কিংস পার্টি গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর অপচেষ্টা করার মতো সরকার যা করছে, ইতিহাসের নিকৃষ্টতম নির্বাচনের উদাহরণ হয়ে থাকবে এই নির্বাচন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কতবড় নোংরামি হয়েছে তার উদাহরণ কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার শর্তে কারাগারে থাকা সকল বিরোধী নেতাকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’ তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, কারাগারে থাকা না থাকা আদালতের ওপরে নির্ভরশীল, তাও এখন সরকার কুক্ষিগত করে নিয়েছে। তাই দেশবাসীর কাছে আহ্বান ভোটদানে বিরত থাকতে। চরমোনাই পীর আরও বলেন, সভ্য-স্বাধীন দেশের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সরকারকে বারবার সতর্ক করেছি। রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, জনমত গঠন ও জনমতের প্রকাশসহ সম্ভাব্য সব কিছুই করেছি। প্রত্যাশা ছিল, সরকারে থাকা ব্যক্তিদের বোধদয় ঘটবে, তারা দেশকে গৃহযুদ্ধ ও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমান সরকারের কার্যক্রম আরও বেপরোয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দে বিল্লাহ আল মাদানি, আশরাফ আলী আকন্দ, মহাসচিব ইউনুস আহমদসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়