• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পিস্তল ও চাকু নিয়েই ক্লাসে যেতেন শিক্ষক রায়হান
ইন্টারনেটে বিদেশি পিস্তলের ছবি দেখে পছন্দ হলেই ডাউনলোড করে রাখতেন শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের কাছ থেকে দুটি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ গুলি, বিদেশি ও অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু জব্দ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি পুলিশ।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুলহাজ উদ্দীন।  এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জব্দ হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি সেভেন পয়েন্ট ফাইভ সিক্স বোরের বিদেশি পিস্তল, ৮১ রাউন্ড তাজা গুলি, ৪টি ম্যাগাজিন, দুটি বিদেশি ছুরি, ১০টি অত্যাধুনিক বার্মিজ চাকু ও দুটি ব্রাশ নাকেল। এ ছাড়া তার কাছ থেকে আইডি কার্ড ও ব্যবহৃত নিজ নামীয় ডিজিটাল সিল, গুলির খোসা, মোবাইল ফোন ও লেদারের ব্যাগও জব্দ করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাগ্রতা প্রকাশ করেন সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরী। তিনিও ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে হেফাজতে নেওয়ার সময় ওই শ্রেণিকক্ষ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি গুলির খোসা জব্দ করা হয়। এরপর অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জানান, তার একটি লেদারের ব্যাগের মধ্যে আরও পিস্তল ও গুলি রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বাকি অস্ত্র জব্দ করা হয়।  সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ওসি জুলহাজ উদ্দীন বলেন, তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও ডিবির এক উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দুটিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষক ইন্টারনেটে বিদেশি পিস্তলের ছবি দেখে পছন্দ হলেই ডাউনলোড করে রাখতেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর তার মোবাইল ফোন ঘেটে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলের অনেক ছবি পাওয়া গেছে। তিনি বলেছেন, অস্ত্রের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।  এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরি বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। এমন ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। আমি ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গেই জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ সরেজমিনে মেডিকেল ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে আমি যতটা ভেবেছিলাম ছেলেটা ততটা আহত হয়নি। সেই তুলনায় এখন সে অনেকটা ভালো আছে। তবে সে ভীষণ ভয় পেয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।  ড. জান্নাত আরা হেনরি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক দূরদূরান্ত থেকে পড়তে আসে। ওরা তো আমাদেরই সন্তান। তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই অন্যায়কে আমরা কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেব না। আমি বলেছি অপরাধী যেন আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে।  প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত করতে কলেজে এসেছেন তারা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

ছাত্রকে গুলি : টেবিলে পিস্তল রেখে ক্লাস নিতেন সেই শিক্ষক
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই শিক্ষকের পিস্তলটি অবৈধ ছিল, তিনি একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, তিনি টেবিলে পিস্তল রেখে ক্লাস নিতেন। সোমবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। এদিন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অবৈধভাবে অস্ত্র রাখায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হবে। মামলায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা উল্লেখ করেন, আমার ছেলে আরাফাত আমিন তমাল (২২), শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জে ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছে। অন্য ৩য় বর্ষের আইটেম পরীক্ষা শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের একাডেমী ভবনের ৪র্থ তলায় ডা. সামাউন নূরের কক্ষে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এ সময় আমার ছেলের বন্ধু আক্তারুজ্জামান বিকেল ৪টার দিকে ফোন করে বলে, আপনি দ্রুত সিরাজগঞ্জ চলে আসেন। আমার ছেলে আরাফাত আমিন তমাল হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি তাৎক্ষণিক বগুড়া থেকে রওনা হয়ে সিরাজগঞ্জ এসে আমার ছেলেকে সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে সংকটাপন্ন অবস্থায় দেখি। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আমার ছেলে আরাফাত আমিন তমালের ক্লাসমেটসহ তার অনেক সহপাঠী জানান, আসামি কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের লেকচারার। তিনি সর্বদা শিক্ষকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন। তিনি সবসময় ব্যাগে অস্ত্র ও ছোরা নিয়ে ক্লাসে এসে অস্ত্র টেবিলের ওপর রেখে ক্লাসে লেকচার দিতেন। ছাত্রছাত্রীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্লাসে না আসতে বললে তিনি তাদের ভয়ভীতি ও গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আজ পরীক্ষা চলাকালে বিকেল ৩টার দিকে আসামি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের অহেতুক বকাবকি করেন। বকাবকির একপর্যায়ে তার ব্যাগ থেকে একটি পিস্তল বের করে আমার ছেলেকে হত্যার করার উদ্দেশ্যে গুলি করলে গুলিটি আমার ছেলের ডান পায়ের উরুর উপরের অংশ লেগে গুরুতর জখম করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সহপাঠীরা আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে চাইলে আসামি অস্ত্র উঁচু করে সবাইকে ভয় দেখিয়ে বলে, তোরা যদি ওকে চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নিয়ে যাস তাহলে তোদের সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলব। তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা চলাকালে আমার ছেলের বন্ধুরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে সিরাজগঞ্জ থানা পুলিশ, ডিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে অস্ত্রসহ থানায় নিয়ে যায়। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার ও কলেজ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার সত্ত্বেও ফরেনসিক বিভাগে ক্লাস নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ক্লাস চলাকালীন ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।’ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন আহমেদ শুভ বলেন, ‘আমাদের ভয় দেখানোর জন্য তিনি পিস্তল নিয়ে ক্লাসে আসতেন। কলেজে যখন থেকে ভর্তি হয়েছি তখন থেকে দেখতাম তিনি ক্লাসরুমে পিস্তল নিয়ে ঢুকতেন এবং টেবিলের ওপর পিস্তল ও গুলি রেখে দিতেন। শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের তিনি কুপ্রস্তাব দিতেন। ছাত্রীদের মোবাইলে মেসেজ দিতেন তার কাছে আসার জন্য।’  তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রওনক জাহান রিজা বলেন, ‘কোনো কারণ নেই। তিনি যখন ক্লাস নিতে আসেন প্রথমেই ব্যাগ থেকে পিস্তল ও ধারালো ছুরি বের করে টেবিলের ওপর রাখতেন। তারপর পিস্তলে গুলি লোড করে আমাদের দিকে তাক করে রাখেন। এমনটাই তিনি সব সময় করে থাকেন। অনেক আগে থেকেই তমালকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন শিক্ষক রায়হান। এ ছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের ফোনে রাতে ভিডিও কল, কুরুচিপূর্ণ মেসেজ দিতেন তিনি। এ নিয়ে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি। উল্টো তার ক্ষোভ বেড়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর।’ এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। সোমবার বিকেলে ক্লাস চলাকালীন দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ওই শিক্ষক অষ্টম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। পরে তমালের চিৎকারে সবাই এগিয়ে আসলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ছাত্র তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত ডা. রায়হান শরীফ কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। আহত তমাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ওই মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বগুড়া পৌর শহরের নাটাই পাড়া ধানসিঁড়ি মহল্লার আবদুল্লা আলামিনের ছেলে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩

মাথায় পিস্তল ধরলেও রাকিবকে নিয়ে খারাপ কিছু বলব না : মাহি (ভিডিও)
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী ও একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল তার দিন। কিন্তু সেই সংসারেও বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাহি। এরপর থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন মাহি-রাকিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরকে নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য। তবে রাকিব বিস্ফোরক মন্তব্য করলেও স্বামীকে নিয়ে খারাপ কিছু বলতে পারবেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন মাহি।    মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তা নিয়ে হাজির হয়ে নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে নানান কথা বলেন মাহি। এ সময় চিত্রনায়িকা জানান, তার পেটের মধ্যে বোমা মারলেও, মাথায় পিস্তল ধরলেও রাকিবের ব্যাপারে খারাপ কিছু বলতে পারব না। পাশাপাশি সিনেমা থেকে দূরে সরে আসার কারণও প্রকাশ করেছেন তিনি।  মাহি বলেন, রাকিব আমার সাবেক স্বামী ছিলেন, আমার ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। আমি তাকে অনেক ভালোবেসেছি। যার কারণে আমি সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। কেন গিয়েছি— কারণ তিনি সেটা পছন্দ করতেন না। সে আমাকে কখনও বলেনি যে তুমি সিনেমা করতে পারবে না। কিন্তু আমার মনে হয়েছে যে ওর সিনেমা পছন্দ না। আমি এজন্য সিনেমা থেকে সরে গিয়েছিলাম।  রাকিবকে এখনও সম্মান করেন জানিয়ে তিনি বলেন, রাকিব ফেসবুকে কি লিখল, কি লিখল না সেটা আমার কিছু যায় আসে না। আমি ‘ডন্ট কেয়ার’। আমি তাকে সম্মান করি এবং এটা মৃত্যু পর্যন্ত থাকবে। ওর কি কোনো নেগেটিভ সাইট নাই? দুইটা মানুষ প্রেম করার সময় বোঝা যায় না কার কি প্রবলেম। বিয়ে হলেই দুজনের সমস্যাগুলো বোঝা যায়। ভিডিওবার্তায় সাংবাদিক ও ভক্তদের উদ্দেশে চিত্রনায়িকা বলেন, আমার কোনো গান ভালো লাগলে সেটা ফেসবুকে লিখি। কোনো সিনেমা দেখলে ডায়ালগ ভালো লাগলে সেটা ফেসবুকে লিখি। সেজন্য আমার মন খারাপ এমন নয়। তবে হ্যাঁ, দীর্ঘদিনের এক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে এসেছি সেজন্য মন খারাপ। তবে এটা নিয়ে যেভাবে নিউজ হচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরতেছি। না, আমার কাউকে লাগবে না। আমার ফারিশ আছে। আমি তাকে নিয়েই ভালো আছি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রাকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৫

পিস্তল হাতে ভিডিও ভাইরাল, যুবক গ্রেপ্তার
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পিস্তল হাতে এক যুবকের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ শরীফ হোসেন (৩৫) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সিঙ্গুলা গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। ভাইরাল হওয়া ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, খালি গায়ে শরীফ নামের ওই যুবক একটি ঘরে পিস্তল নাড়াচাড়া করছেন।  আর এক মিনিট চার সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, শপিং ব্যাগে একজন আরেকজনকে দুটি অস্ত্র বুঝিয়ে দিচ্ছেন এবং বলছেন, পাইছোনি বুইঝা। এ বিষয়ে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গৌরীপুর থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, সোমবার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৪৯ সেকেন্ড ও এক মিনিট চার সেকেন্ডের ফুটেজে দেখা যায়, ২ যুবকের হাতে অস্ত্র। পরে তাদের আটক করতে মাঠে নামে পুলিশ। ওইদিন রাতেই নিজ বাড়ি থেকে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভিডিও এর অপর যুবক উপজেলার সিঙ্গুলা গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মুন্না (১৮)। মোবারক এক বছর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মুন্না মারা গেছেন। তবে প্রদর্শিত অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তদন্ত চলছে। এদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র উদ্ধারেও অভিযান চলছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৭

মুজিবনগরে পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ৫ 
মেহেরপুরের মুজিবনগরে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (২৪ ফেব্রয়ারি) বিকেলে উপজেলার শিবপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অনলাইন জুয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অস্ত্র নিয়ে তারা অবস্থান করছিলেন বলে ধারণা পুলিশের। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের শাহজুল শেখের ছেলে শেখ বিজয় (২১), কোমরপুর গ্রামের বিল্লাল শেখের ছেলে প্রিন্স শেখ (৩৪) ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন রেজা (২৪), যশোরের কোতোয়ালি থানার আবদুল খালেকের ছেলে রাজন হাসান (২৯) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে আলামিন (৩১)। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল দত্ত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে অনলাইন জুয়াড়ি বিজয় শেখের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বিজয় শেখসহ তার সঙ্গীয় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার বিজয় শেখের নামে অনলাইন জুয়ার মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান বলেন, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য সেখানে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তারা অনলাইন জুয়া ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জড়িত কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪২

শ্রীপুরে পিস্তল ও ইয়াবাসহ যুবক গ্রেপ্তার 
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিদেশী পিস্তল ও ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম শ্রীপুর পৌরসভার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার মৃত শরাফত আলীর ছেলে। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এনায়েত কবির বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় বরমী ইউনিয়নের বরামা-সিংহশ্রী সড়কের খলিফা বাড়ি মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশী পিস্তল এবং এক’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৬

বিয়ার, পিস্তল ও গুলিসহ মাদক কারবারি আটক
নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ সময় ১৪৪টি রয়‍্যাল ডাচ বিয়ার ক‍্যান, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।   মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে জেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদ হাসান ওরফে সজিব (২৯) চাটখিলের নোয়াখলা ইউনিয়নের কড়িহাটি গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির মোহাম্মদ উল্ল‍্যার ছেলে ও মো. ইউসুফ (৩৫) সোনাইমুড়ীর দেওটি ইউনিয়নের ঘাসের খিল গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির ছিদ্দিক উল্ল‍্যার ছেলে।   জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামি একই বাড়ির বাসিন্দা। কিন্তু তাদের দুজনের থানা ভিন্ন। দীর্ঘদিন থেকে তারা একসঙ্গে মাদক কারবার চালিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুই মাদক কারবারির বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে মাদক কারবারি সজিবের বাড়ি থেকে ১৪৪ রয়‍্যাল ডাচ বিয়ার ক‍্যান জব্দ করা হয়। পরে মাদক কারবারি ইউসুফের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫

ঝিনাইদহে ৪ বিদেশি পিস্তল ও ৮ গুলি উদ্ধার
ঝিনাইদহে মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মকরধ্বজপুর গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে ৪ অস্ত্র ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি।  বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন কয়েকজন চোরাকারবারি প্লাস্টিকের বস্তায় করে ভারত হতে বিশেষ কিছু নিয়ে আসছে। এমন খবরে একটি বিশেষ টহল দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সীমান্ত পিলার ৫৩/১ এস হতে ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মকরধ্বজপুর গ্রামের কলা বাগানের মধ্যে দুইটি পৃথক স্থানে এ্যাম্বুশ নিয়ে অবস্থান করে। এ সময় চোরকারবারিরা বিজিবি’র অবস্থান টের পেয়ে তাদের হাতে থাকা বস্তা ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।  পরে বিজিবির টহল দল ঘটনাস্থল তল্লাশি করে প্লাস্টিকের বস্তাটি মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তাটি খুলে কম্বলের ভাঁজের মধ্যে অভিনব কায়দায় ৮ রাউন্ড অ্যামোনিশন একটি অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলসহ ৪টি পিস্তল উদ্ধার করে।   আইনি প্রক্রিয়া শেষে মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫২

ভোটকেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষ, পিস্তল উঁচিয়ে গুলি
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনের খুলশী এলাকায় পাহাড়তলী কলেজের ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজনকে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন—শান্ত বড়ুয়া (৩০) ও মো. জামাল (৩২)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম ও নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মী শামীম প্রকাশ্যে হাতে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোড়েন। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর কর্মী বলে জানা গেছ। গোলাগুলি-সংঘর্ষের পর কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করায় ভোটার উপস্থিতি কমে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেয়ামত উল্লাহ জানান, কেন্দ্রের বাইরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাদের গোলাগুলিতে দুজন আহত হয়েছেন। পুলিশ মোতায়েন করা আছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল (১৩, ১৪ ও ২৪, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড) বলেন, আমি কন্ট্রোল রুমে আছি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা থেকে শুনেছি, ঘটনাটি ৬৭ নম্বর কেন্দ্রের বাইরে ঘটেছে। ভেতরে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়