• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নামাজ পড়তে ডাকায় শিক্ষককে পিটুনি
বরগুনার আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার ২ শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজ পড়তে ডাকায় শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে (২৫) পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মাদরাসার সকল শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ঘুম থেকে উঠতে বলেন শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি। এতে ওই মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন (১৮) ও হাফেজ জিহাদ হোসেন (১৭) ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষককে গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় তার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেন তারা।  পরে শিক্ষক রাফিকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। তার অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ইরাম তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।  ওই ঘটনার পরপরই মাদরাসার সকল ছাত্র মাদরাসা থেকে পালিয়ে যান।  অভিযুক্ত হাফেজ ইমাম হোসেন উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামের মামুন মৃধার পুত্র। অপর অভিযুক্ত হাফেজ জিহাদ হোসেনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামে।  আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকাও ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবি করছি। মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে অভিযুক্ত ওই ২ শিক্ষার্থী গাছের গুঁড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়