• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা, ব্যাংক কর্মকর্তা আটক
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত নুর মোহাম্মদের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দার চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তিনি বাথানিয়া গ্রামে এক বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। টাকা চুরির অভিযোগে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় রোববার (১৪ এপ্রিল) নিহত নুর মোহাম্মদের মা ছাগলনাইয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ছাগলনাইয়া উপজেলার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।   নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, অভাবের কারণে চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনেরর বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দিয়ে যান তিনি। মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল তার দুই হাজার টাকা। চার বছরে তাকে কখনো ছুটি দিত না ওই পরিবার। সেই ক্ষোভ থেকে গত ২৭ রমজানে ওই বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটা খাম নিয়ে নোয়াখালীর বাড়ি আসে নুর মোহাম্মদ।   বিবি খতিজা আরও জানান, বাড়ি যাওয়ার পর থেকে মোবাইলে হুমকি দিতে থাকেন মঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। তাদের হুমকিতে ঈদের পরদিন তিনি ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে হাজির হন এবং ওই টাকা ফেরত দেন।   তিনি বলেন, বাড়িতে আসার পর মঈন উদ্দিনের চার ভাই তার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে মারধর করা হয়। পরদিনও মারধর করা হয়। শনিবার ১৩ এপ্রিল বিকেলে মারা যায় নুর মোহাম্মদ।   তিনি আরও বলেন, আমি তাদের কাছে ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তাদের মন গলেনি। নির্যাতন করে, সারারাত ধরে পিটাতে পিটাতে আমার ছেলেকে মেরে ফেললো। এ হত্যার বিচার চাই।   ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম।   তিনি জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। মরদেহের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।   তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বিবি খতিজা ছয়জনকে আসামি করে রোববার ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। মারধরের কথা স্বীকার করেছে সে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৭

পাবনায় এক ট্রাক ড্রাইভারকে পিটিয়ে হত্যা
পাবনার আতাইকুলা থানার জোয়ারদহ গ্রামে আব্দুর রউফ (৫০) নামের ট্রাক ড্রাইভারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোররাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।   নিহত রউফ আতাইকুলা থানার মধুপুর গ্রামের মৃত মোসলেম প্রামাণিকের ছেলে। নিহতের ছোট ভাই আইয়ুব আলী জানান, বুধবার সন্ধ্যা থেকে তার ভাইকে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১০টার দিকে তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। আজ সকালে মানুষের কাছ থেকে ভাইয়ের মরদেহের বিষয়ে খবর পান তিনি। জোয়ারদহ গ্রামের একটি লিচু বাগানে তার ভাইয়ের মরদেহ পড়ে আছে, এমন খবর শুনে দ্রুত সেখানে আসেন তিনি।  আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে স্থানীয়দের ধারণা পরকিয়ার জেরে রউফকে হত্যা করা হতে পারে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭

মহাদেবপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নওগাঁর মহাদেবপুর অটোরিকশা চুরির অভিযোগে আরমান সাকিদার (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদরের পাইকারি কাঁচাবাজারে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আরমান সাকিদার পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়খলি খাঁপাড়ার আমজাদ সাকিদারের ছেলে। জানা যায়, দুপুরে পাইকারি কাঁচাবাজার থেকে একটি অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে। পরে হাত বেঁধে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে হাটের ইজারাদারের লোকজন হাত বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তাদের অফিস কক্ষে আটকিয়ে রাখে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।  খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

তিতুমীর কলেজে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিতুমীর কলেজে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজে একটি ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়া শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে হামলার শিকার হন ওই সাংবাদিক। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত জখম হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করেছেন। এ বিষয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগ নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। তিনি আর‌ও বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।   এই বিষয়য়ে বক্তব্য জানতে তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।  এদিকে হামলার বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের নজরে আনলে তারা বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ, কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধূমপান নিয়ে প্রতিবাদ করায় এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।  শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফতুল্লার কুতুবপুর ক্যানেলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সালমান (১৭) খুলনার শাহারাবাদ থানার জিনারতলা এলাকার ভ্যানচালক মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে। তারা সপরিবারে ফতুল্লার কুতুবপুর চিতাশাল কুসুমবাগ এলাকার ২ নম্বর গলির শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নিহতের মা খুকু বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ক্যানেলপাড় এলাকায় সাদ্দাম মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে সালমান দাঁড়িয়ে ছিল সালমান। তখন জাহিদ নামের এক ছেলে সিগারেট ধরায়। সালমান প্রতিবাদ করে তাকে দূরে গিয়ে ধূমপান করতে বলেন। এ জন্য দলবল নিয়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে সালমানকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন জাহিদ। এরপর সালমান সেখান থেকে আহত অবস্থায় কোনো মতে বাসায় চলে আসে। রাত ৪টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। তিনি আরও বলেন, সকাল পর্যন্ত মরদেহ নিয়ে বাসায় অপেক্ষা করছিলাম। তখন বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় জামান মেম্বার বাসায় এসে বলেন তোমাদের ছেলে নেশা করে মারা গেছে। এ বিষয় নিয়ে থানা পুলিশ করলে মরদেহ পুলিশ নিয়ে যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য কাটাছেঁড়া করবে। ছেলে মারা গেছে সে আর ফিরে আসবে না মরদেহ দাফন করে ফেল। যাদের সঙ্গে মারামারি হয়েছে তাদের ডেকে মীমাংসা করে দিব। তখন আমার স্বামী কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা তুলে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন। এ সময় পুলিশ মরদেহ নিয়ে যায়। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৭

মুক্তাগাছায় জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে হত‍্যা 
জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মাহমুদা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দৃষ্টিমূলক বিচার দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত মাহমুদা বেগম ওই এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুর রউফের স্ত্রী।    খবরের সত‍্যতা নিশ্চিত করে নিহতের স্বামী আব্দুর রউফ বলেন, আমার চাচা আব্দুর রাজ্জাকে সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় আজ সকালে স্থানীয় গন‍্যমান‍্যরা সালিসি বৈঠক করেন। কিন্তু সালিসে বিষয়টি সামাধান না হওয়ায় সবাই বাড়ি চলে যান। এরপর দুপুরে আমরা জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে চলে যাই। এ সময় চাচা আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলে মাসুদ (৪৫) আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আমার স্ত্রী মারা যান। এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে। 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩

হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মসমর্পণ
বরিশালের বানারীপাড়ায় বীথি সমদ্দার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। হত্যাকাণ্ডের পর ৯৯৯-এ কল করে ঘাতক স্বামী আাত্মসমর্পণ করতে চাইলে পুলিশ তাকে আটক করে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বানারীপাড়া উপজেলার তেতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  বীথি সমদ্দার নামের ওই গৃহবধূকে মুর্মূষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।  বিকেল পৌনে ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীথি সমদ্দারের মৃত্যু হয়।  স্থানীয়রা জানান, ৫ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের বাসুদেব সমদ্দারের মেয়ে বীথি সমদ্দারের সঙ্গে বানারীপাড়ার উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সুধীর রায়ের ছেলে সুমন রায়ের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সুপ্তী রায় নামের ৩ বছর বয়সি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দাম্পত্য জীবনে বীথি ও সুমন একে অপরকে সন্দেহ করতেন। সন্দেহ ও পারিবারিক কলহের জেরে আজ বেলা ১১টার সময় উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুমন রায় হাতুড়ি দিয়ে বীথির মাথায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে সুমনকে আটক করেন। এ সময় সুমন গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে স্ত্রীকে হাতুড়িপেটা করে হত্যার কথা জানান এবং পুলিশের কাছে আাত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ এসে তাকে আটক করে।  এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সুমন রায়। এ ব্যপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বীথির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪

বাড়ির উঠানে ফেলে শাশুড়ি-পুত্রবধূকে পিটিয়ে জখম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর বাড়িতে ঢুকে উঠানে ফেলে শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় দুই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা হলেন, ওই এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী শিবলি বেগম (৪৫) এবং আকাশ মিয়ার স্ত্রী শারমিন (২২)। এই ঘটনায় রাবেয়া নামের আরও এক কিশোরীকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নাসির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি চট্রগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতাম। গত দুইমাস আগে বিজয়নগরে পরিবার নিয়ে নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু করি। বাড়িতে আমার স্ত্রী, স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ে এবং গত ৬ মাস আগে বিয়ে করিয়ে আনা পুত্রবধূ বসবাস করেন। আমার বাড়ির সামনে একটি নালায় স্থানীয় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিল। শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া মানিক এবং সবুজ দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে।  এ সময় বাড়িতে তারা ঢুকে আমার স্ত্রী, আমার ছেলের নববধূ ও আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে ফেলে চলে চলে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেই। আমার স্ত্রী রক্তবমি করছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশাদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৬

আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, ২ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দু ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান ঘোষপাড়ার হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। এ ছাড়া তিনি জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য ও কুড়িগ্রাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।  প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহরের খলিলগঞ্জ এলাকার অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে একটি জিপগাড়ি দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা সিয়াম ও রিয়াদ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপের পাশে পড়ে গিয়ে আহত হয়। এরপর জিপে থাকা কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহানসহ কয়েকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহানকে মারপিট শুরু করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম বলেন, সদর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দুর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমি সব অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোহান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে হত্যার প্রতিবাদে মোটর মালিক সমিতি, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা শহরের শাপলা চত্বরে, কাঁঠালবাড়ী ও পাঁচগাছি এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রেজভী কবির বিন্দুকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তসহ একজনকে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানায় আছেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মূল অভিযুক্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পলিটেনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতিকে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।    
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৪

আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, ছাত্রলীগ নেতা আটক
কুড়িগ্রামে শরিফুল ইসলাম সোহান (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দুকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শরিফুল ইসলাম সোহান ঘোষপাড়ার হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। এ ছাড়া তিনি জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য ও কুড়িগ্রাম পৌরসভা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ।  প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহরের খলিলগঞ্জ এলাকার অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে একটি জিপগাড়ি দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা সিয়াম ও রিয়াদ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপের পাশে পড়ে গিয়ে আহত হয়। এরপর জিপে থাকা কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সোহানসহ কয়েকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহানকে মারপিট শুরু করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলাম বলেন, সদর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিন্দুর নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমি সব অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোহান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে হত্যার প্রতিবাদে মোটর মালিক সমিতি, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা শহরের শাপলা চত্বরে, কাঁঠালবাড়ী ও পাঁচগাছি এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রেজভী কবির বিন্দুকে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহতের স্বজনরা থানায় আছেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মূল অভিযুক্ত রিজভী কবির বিন্দুকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়