• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইমরানের পিটিআই
নির্বাচনের এতদিন পরও পাকিস্তানে কোনো দল সরকার গঠন করতে পারেনি। এরই মধ্যে নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।   শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে এই সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দিয়েছে পিটিআই। পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই। কিন্তু কারচুপি ও কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে পিটিশনে। সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন জমা দেওয়ার তথ্যটি শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন পিটিআইয়ের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত। তিনি আরও জানিয়েছেন, পিটিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা করেন আলী খান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা। বুধবার  সেই আবেদনের ওপর শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত। তবে সেদিন আবেদনকারী আদালতে উপস্থিত না থাকায় সেই পিটিশন বাতিল করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আলী খানকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন সর্বোচ্চ আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। ১১ ফেব্রুয়ারি সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি, তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টি আসনে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)— ৯২টি আসন। পিটিআইয়ের পর এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)— ৭৫টি আসন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)— ৫৪টি আসন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)— ১৭টি আসন, জামায়াতে উলামায়ে ইসলাম- ফজলুর (জেইউআইএফ)—৪টি আসন এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৯টি আসন। অর্থাৎ কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আসন পায়নি। এই অবস্থায় জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় পিএমএলএন এবং পিপিপির মধ্যে। ১২ দিন ধরে আলোচনার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় পিএমএলএন এবং পিপিপি; সিদ্ধান্ত হয়— পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন, আর রাষ্ট্রপতি হবেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৬

নওয়াজ-বিলাওয়ালের সঙ্গে জোট করবে না পিটিআই : ইমরান খান
পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) নওয়াজ শরীফ এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে সরকার গঠনে জোট করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) লাহোরের আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ইমরান খান বলেন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সঙ্গেও জোট গঠন করা হবে না। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জোট না করতে চাওয়া দলগুলো অর্থপাচারকারী। যাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা হয়েছে তারা সবাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় অর্থপাচারকারী। তবে গত ৮ ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে; তা পাকিস্তানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে। তিনি আরও বলেন, যখন জানতে পেরেছি যে, নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল করেছেন; তখনই বুঝতে পেরেছি, তারা দুজনই নির্বাচনে হেরে গেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, আগে আমরা নির্বাচনের কারচুপির বিরুদ্ধে আদালতে যাব। আমরা নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবো। তিনি বলেন, পিটিআই সরকার গঠনের সুযোগ পেলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রার্থী ঠিক না করলেও খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নাম ঠিক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নজিরবিহীন বিলম্বের পর রোববার ২৬৪টি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। ৭৫ আসনে জিতে এরপরের অবস্থানে আছেন নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল)। আর ৫৪ আসনে জয়লাভ করে তৃতীয় অবস্থানে বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া এমকিউএম ১৭টি ও অন্যান্য দল ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছে। ফলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি কোনো দলই। তাই জোট গঠনে তোড়জোর চালাচ্ছে দলগুলো। বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের পিএমএল ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখন অনেকটাই পাকা। তবে, বড় এ দুই দলের মোট আসনও পূরণ করতে পারছে না সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন পূরণের শর্ত। এ জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশেষ করে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শিবিরে হানা দিচ্ছেন নওয়াজ। সূত্র : জিও টিভি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৩

২২০ আসনের ফল, এগিয়ে ইমরানের পিটিআই সমর্থিতরা
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২২০টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, ২২০ আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯০টি আসনে জয় পেয়েছেন। যার অধিকাংশই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী।  এ ছাড়া নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬২ আসন, বিলাওয়ালের পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫০টি আসনে জয় পেয়েছে। পাশাপাশি মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১১টি এবং ইসতিকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি), জমিয়ত ওলেমা-ই-ইসলাম পাকিস্তান (জেইউআই-পি) ও পিএমএল দুটি করে আসনে ফল পেয়েছে। একটি আসনে জিতেছে পাখতুনখাওয়া ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি পাকিস্তান (পিএনএপিএফ)। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কারাগারে বন্দি থাকায় এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ ছাড়া তার দল পিটিআইকে এবার নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে ইমরানের দলের লোকেরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬টিতে ভোট হয়েছে। বাকি আসনগুলো নারী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংরক্ষিত। দেশটিতে কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায়— তাহলে সংরক্ষিতসহ মোট ১৭২টি আসন পেতে হবে। সে হিসেবে যদি পিটিআই এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের নির্বাচন হওয়া আসনগুলো থেকে অন্তত ১৫০টিতে জয়ী হতে হবে। সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত দেশটিতে জোট সরকার গঠন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:২৬

ভোটের ফলে এগিয়ে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিতরা
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৬৬টি আসনের মধ্যে ১৭১টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭১টি আসনের মধ্যে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৭৪টি আসনে জয় পেয়েছেন। এ ছাড়া নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন ৫০টি আসন ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি ৪০টি আসন পেয়েছে। এমকিউএম-পি পাঁচটি এবং জেইউআই-এফ পেয়েছে একটি আসন। আর অন্যান্য দল থেকে পেয়েছে মাত্র একটি আসন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কারাগারে বন্দি থাকায় এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ ছাড়া তার দল পিটিআইকে এবার নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে ইমরানের দলের লোকেরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬টিতে ভোট হয়েছে। বাকি আসনগুলো নারী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংরক্ষিত। দেশটিতে কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায়— তাহলে সংরক্ষিতসহ মোট ১৭২টি আসন পেতে হবে। সে হিসেবে যদি পিটিআই এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের নির্বাচন হওয়া আসনগুলো থেকে অন্তত ১৫০টিতে জয়ী হতে হবে। সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত দেশটিতে জোট সরকার গঠন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩০

পাকিস্তানে ১২৫ আসনে এগিয়ে ইমরানের পিটিআই সমর্থিতরা
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ছয়টি, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) চারটি ও নওয়াজ শরীফের মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) তিনটিতে জয় পেয়েছে। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, প্রাথমিক গণনায় ১২৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই সমর্থিতরা। অন্যদিকে ৪৪ আসনে এগিয়ে রয়েছেন নওয়াজের শরিফের দলের প্রার্থীরা। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।  প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে তোষাখানা ও সাইফার মামলায় অর্থদণ্ডসহ কারাগারে প্রেরণ করা হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। একইসঙ্গে ১০ বছরের জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকে তাকে নিষিদ্ধ করেন আদালত। এছাড়া, নির্বাচনে প্রতীক হারায় তার দল পিটিআই। এরপরও নির্বাচন বর্জন না করে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছে ইমরান শিবিরের নেতারা।  এদিকে বিলম্বে ফল ঘোষণা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, ‘ইন্টারনেট ইস্যুতে’ ফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া বিস্তারিতভাবে আর কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি। এর আগে ভোট গ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মুঠোফোন সেবা। দেশটির অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা কিংবা গতি কম থাকার খবরও জানা গিয়েছিল। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। তবে আজ পাকিস্তানে মুঠোফোন সেবা চালু রয়েছে। কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে। গত নির্বাচনে জয়ী দল পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে পিএমএল-এনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানে ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া ভোট চলে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র দখলের পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা হয়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ জনসহ নিহত হন ১২ জন।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪

ভোটার টানতে ‘টিকটক জলসা’ করবে ইমরানের পিটিআই
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বিরাজ করছে দেশটিতে। হামলা-সংঘর্ষের পাশাপাশি চলছে ধরপাকড়। এদিকে নির্বাচনের মাঠে বিরাজমান থাকতে গিয়ে প্রধান নেতা ও প্রতীক হারানোসহ বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ।  ইমরান কারাগারে থাকায় তাকে ছাড়াই ভোটের মাঠে নামছে দলটি। সভা-সমাবেশ করতে না পারায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তাই এখন সম্বল মনে করছে ইমরানসহ দলের অন্য নেতারা। এরই অংশ হিসেবে এবার ‘টিকটক জলসা’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এর আগে নির্বাচনি প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও (এআই) সহায়তা নিয়েছিল তারা। খবর ডনের।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে এ তথ্য দিয়েছে পিটিআই। শনিবার  (৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় টিকটক জলসার আয়োজন করবে দলটি।  গতানুগতিক প্রচারণা চালাতে না পেরে পিটিআই এখন অভিনব কৌশলের ওপর নির্ভর করছে। পিটিআইয়ের সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল পরিচালনাকারী মার্কিন-ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক জিবরান ইলিয়াস বলেছেন, ‘ইমরান খানকে ছাড়া আমাদের কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ পূর্ণ নয়, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত উদ্ভাবনই এখন প্রয়োজনীয়।’ ইমরানের সমর্থকরা বলছেন, ২৪০ মিলিয়নের পারমাণবিক সশস্ত্র দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পিটিআই একটি রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থার সঙ্গে লড়াই করছেন, যা দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে আধিপত্য করে আসছে। জারকা সোহারওয়ার্দী তৈমুর নামে একজন পিটিআই সিনেটর বলেন, আমাদের প্রচারণা এখন শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে। তবে, আশ্চর্যের বিষয় হল যে সেখানে আমাদের অনেক মানুষ অনুসরণ করছে। এখানেই আমরা অনেকটা এগিয়ে আছি।’
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়