• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
আট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পিএস নিয়োগ
নতুন মন্ত্রিসভার আট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর আগের পিএসদেরকেই আবারও একই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে প্রথম অফিস করেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এদিনই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে এই পিএস নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পিএস মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পিএস আলমগীর হোসেনকে একই পদে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী থেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পিএস (আইসিটি বিভাগে থাকাকালীন) মুশফিকুর রহমানকে পুনরায় তার পিএস পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।   অন্যদিকে, ৩ মন্ত্রী ও ২ প্রতিমন্ত্রী নতুন পিএস পেয়েছেন। এরমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়াকে পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুস সালামের পিএস, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর পিএস এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. শাহগীর আলমকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর পিএস নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমানকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পিএস এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব মো. মোস্তাফিজার রহমানকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম সিমিন হোসেনের (রিমি) পিএস পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা যতদিন এ পদ অলংকৃত করবেন অথবা তাদের জন্য পদায়ন করা একান্ত সচিবদেরকে এ পদে বহাল রাখার অভিপ্রায় পোষণ করবেন, ততদিন এ নিয়োগ আদেশ কার্যকর থাকবে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৪

এবারও পছন্দের পিএস পাচ্ছেন না মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
গতবারের মতো এবার নিজেদের পছন্দের একান্ত সচিব (পিএস) পাচ্ছেন না নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। তবে তারা পছন্দের ব্যক্তিকে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) নিয়োগ দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালের আগে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পছন্দের ব্যক্তিকে পিএস হিসেবে পেতেন। কিন্তু ২০১৪-১৮ মেয়াদে অনেক পিএস-এপিএসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরামর্শে ব্যাচভিত্তিক বিসিএস কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে পিএস নিয়োগ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবারও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। তবে এপিএস হিসেবে নিজেদের পছন্দে যে কাউকে নিয়োগ দিতে পারবেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। তবে এপিএস যিনি হচ্ছেন, তার প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার পদে আবেদন করার ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পছন্দের ব্যক্তিকে পিএস নিয়োগ দিলে অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ পাওয়া যায়। এজন্য গতবারের মতো এবারও এমন সুযোগ দেওয়া হবে না। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয় বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এবার প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। এরমধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। এখন মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য পিএস এবং এপিএস নিয়োগ দেবে সরকার। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফলে ২২২টি আসনে জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর স্বতন্ত্র ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসনে বিজয়ী হয়।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়