• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘দেশের পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার’
দেশের পাহাড়ি এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ব্যাংক ডাকাতি, থানায় হামলা, অস্ত্র লুটপাট ও অপহরণের ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। রংপুরে সাত দিনের সফরের ১ম দিনে রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। জিএম কাদের বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে এর আগেও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। সে হিসেবে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি থাকলেও তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। সুশাসনের অভাব এবং সরকারের জবাবদিহিতা না থাকার কারণেই পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়ত হচ্ছে।  জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের কোনো দুর্ঘটনা এখন আর কোনো দুর্ঘটনা না এটা এখন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদাসিনতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকার কারণে বারবার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা, থানায় হামলাসহ সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে।  সে সমস্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসক মোবাশ্বর হাসানসহ জেলা ও মহানগরের স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৩

পাহাড়ি সাত উপজেলায় নিজেদের শাসন চায় কেএনএফ!
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় ত্রাসের আরেক নাম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত বৃহস্পতিবার থানচি বাজারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ-বিজিবির ওপর হামলা করে বসে তারা। একইদিন গভীর রাতে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয় বান্দরবানের আলীকদমে; পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে।  এরই মধ্যে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস হয়ে ওঠা গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে প্রতিরক্ষা বাহিনী; শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুমা সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধারণা হচ্ছে যে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা। তাদের দমনে যা যা করা দরকার তার সবই করবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এবার কেএনএফই নিজেদের সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণ স্পষ্ট করেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অর্থ নয়, বরং পার্বত্য অঞ্চল দখলই মূল উদ্দেশ্য তাদের। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে পাহাড়ের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সংগঠনটি। রাত ১২টার কাছাকাছি সময়ে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সামনে এসেছে এমনই দাবি সংবলিত একটি পোস্ট। দেশের বিজ্ঞ মহল, বিশ্লেষক ও সাংবাদিকগণের জ্ঞাতার্থে এবং টকশোর আলোচনায় বিশেষ সুবিধার্থে পোস্টটি করা হয়েছে দাবি করে তাতে বলা হয়, আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়টি উপজেলা নিয়ে নিজেদের পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এলেও এখন সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ, যার নাম হবে ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ (কেটিসি)।  ছয় দফা দাবি সংবলিত পোস্টটিতে বলা হয়, দাবিকৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেখানকার ভূমি ও পর্যটন বিষয়ক সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ডের সর্বময় ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কেটিসিকে দিতে হবে সরকারের। এছাড়া দাবি অনুযায়ী, কেটিসি’র অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রদানসহ সব ক্ষমতা কেএনএফেরই থাকবে।  কেএনএফের অতীতের সব হামলা ও অন্যান্য আইন লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডকে আন্দোলন দাবি করে আরেকটি দফায় এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।  পরবর্তী দফায় দাবি করা হয়েছে, যেন বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল তথা ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় পালিয়ে যাওয়া খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের সুযোগ ও সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর পোস্টের সবশেষ দফায় নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গঠনের সুযোগ দাবি করা হয়েছে কেএনএফের পক্ষ থেকে, যার নাম হবে কুকি-চিন আর্মড ব্যাটেলিয়ন (কেএবি)।  ফেসবুক পোস্টটি থেকে জানা যায়, বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির। ঈদের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি আরেক দফায় উভয়পক্ষের সংলাপে বসার কথা থাকলেও হঠাৎ গত মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তিন ব্যাংকে লুটপাট চালানোর পর অপহরণ করে নিয়ে যায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজারকে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের মধ্যস্থতায় রুমা বাজারে নেজাম উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও ওইদিনই রাতে দুই দফায় থানচি ও আলীকদমে সংগঠনটির পৃথক দুটি গ্রুপ চড়াও হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের ওপর। এ পর্যন্ত কেএনএফের আকস্মিক এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনে তাদের অর্থাভাবের বিষয়টিকেই মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হলেও নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ইঙ্গিত দিলো পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি।   
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭

খাগড়াছড়িতে দুই পাহাড়ি সশস্ত্র গ্রুপের গোলাগুলি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে দুটি পাহাড়ি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও ইউপিডিএফের (প্রসীত) গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির দেওয়ান পাড়া এলাকার শান্তিগ্রাম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। তবে হতাহতের ঘটনা জানা যায়নি। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরটিভিকে জানান, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পেলে আপনাদের অবগত করব। আরও পড়ুন : দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৫ মার্চ   এদিকে, প্রতিপক্ষের গুলিতে সম্প্রতি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার ইউপিডিএফ নেতা নিহত হয়। এর প্রতিবাদে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে ইউপিডিএফ এক মাসের জন্য পানছড়ি বাজার বয়কটের ডাক দেয়।  এরপর গত ১২ জানুয়ারি বয়কটের মেয়াদ আরও একমাস বাড়ায় সংগঠনটি। এ সময়ের মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বাজার বয়কটের মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও জানায় ইউপিডিএফ।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়