• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অষ্টগ্রামে ইমাম হাসান (রা.)-এর জন্মবার্ষিকী পালিত
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাবেলীতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হাসানের (রা.) ১৪৪২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ উপলক্ষে মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রে জানা গেছে, নবি তনয়া ফাতেমা (রা.) ও খলিফা হজরত আলীর (রা.) পুত্র হজরত ইমাম হাসান (রা.) ৩ হিজরিতে ১৫ রমজানে (৬২৪ খ্রিস্টাব্দ) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। আনন্দময় এই দিনটি ১৬৬ বছর ধরে অষ্টগ্রাম হাবেলীতে পালিত হচ্ছে। হজরত শাহজালালের (রহ.) সফরসঙ্গী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রহ.) ১৩তম বংশধর ও ভাটির পীর খ্যাত অষ্টগ্রাম হাবেলীর প্রখ্যাত সুফিসাধক সৈয়দ আবদুল করিম (আলাই মিয়া) এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু করেন। বংশ পরম্পরায় সৈয়দ আব্দুল হেকীম আল-হোসাইনী চিশতী (রহ.), পরে সৈয়দ কুতুব উদ্দিন আহমদ আল-হুসাইন চিশতি (রহ.), বর্তমানে পীরজাদা সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান ভ্রাতৃদ্বয়রা পালন করছেন। মিলাদ দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও পীরজাদা সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন,পীরজাদা সৈয়দ মেজবাহুল হুসাইন, আরবি প্রভাষক সৈয়দ আব্দুল গফুর, হাফেজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, আল হুসাইনী দরবার শরীফের ভক্তরা ও এলাকার অনেকে। সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, বংশ পরম্পরায় আমরা ১৬৬ বছর ধরে হযরত হাসান (রা.) জন্মদিন পালন করে আসছি। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৯

রিয়াদে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত
সৌদি আরবের রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। এ উপলক্ষে সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে তিনি দূতাবাসে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।  পরে, রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দই ছিল তার হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল অত্যন্ত কূটনৈতিক ও কৌশলী ভাষণ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে বাংলাদেশের সকল খাতের উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করেছিলেন মিশন উপপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ও ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট দেশে উন্নীত করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সবাইকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য প্রবাসীদের আহবান জানান।  দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের উপস্থাপনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে রিয়াদ প্রবাসী এম আর মাহবুব বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪০

কুড়িগ্রামে দৈনিক সময়ের আলোর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সময়ের আলো’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।  শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রামের প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামছুল হক মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে সময়ের আলোর পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।  এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, আরটিভি কুড়িগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি খন্দকার একরামুল হক সম্রাটের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এস এম আমিনুল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, জেলার ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস, জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খমির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক প্রতীমা রায় চৌধুরী, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহফুজ টিউটর প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক সময়ের আলোর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম বকসী ঠান্ডা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বেবু, হাসিবুর রহমান হাসিব, হুমায়ুন কবির সূর্য, ফজলে ইলাহী স্বপন, মিজানুর রহমান মিন্টু, শাহীন আহমেদ প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।   
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৭

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের শাহাদাৎবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালিত
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের ১৫তম শাহাদাৎবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানীস্থ সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদত বরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে অতিরিক্তি সচিব মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা।  এ সময় পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য, শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয় এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এদিন সকল সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সব স্তরের সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫১

কুয়েতে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
‘অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, ২১ আমার অহংকার’ এই প্রতিপাদ্যে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত।  জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন এবং দূতাবাসে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান।  দূতাবাসের মাল্টি পারপাস হলে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও একমিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ডিফেন্স এ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, আবুল হোসেন (মিনিস্ট্রি), কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) ইকবাল আক্তার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কুয়েতের কান্ট্রি ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক, সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি লুৎফর রহমান, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী সংবাদকর্মী, কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫১

ইতালিতে পালিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪’
ইতালির রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪’ পালন করেছে। দিবসের বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দূতাবাস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় দূতাবাসের আয়োজনে দূতাবাস প্রাংগণে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ভাষা সংগ্রামের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এ দিবস পৃথিবীর সব দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত আইজাক রবিন পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম-এর উদ্যোগে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের আয়োজন করা হয়। ভাষা শহীদদের সম্মানে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রয়াসে ইতালীয় সরকারের সহায়তায় রবিন পার্কে ২০১১ সালে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। প্রথমেই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ইতালিস্থ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরাও একে একে দলবদ্ধভাবে শৃংখলার সঙ্গে এ সময় ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলের সামনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে দিবসটি উপলক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১১

বাহরাইনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইনে যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকৃত বাহরাইনের ৩০ টি স্কুলের ৯০ টি চিত্রকর্ম দিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে অত্যন্ত সুন্দর এক চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস দিবসটি পালনে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে। এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের ফলে তারা বাঙ্গালির রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে এবং এ চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য সকলের কাছে আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কায়েস চিত্র প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন। এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস তার বক্তব্যের শুরুতে  ভাষা আন্দোলনে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিলো আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য আজ শুধু আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তা আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মাঝে একুশের সুদূরপ্রসারী চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুরোধ করেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি বাংলা ভাষা শেখার প্রতি উৎসাহিত করেন। এছাড়াও তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স ও দল-মতের বিবেদ ভূলে একযোগে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘র্স্মাট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাহরাইনস্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (BSMR)-বাংলাদেশ স্কুল’-এর ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে তারা কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপহার বিতরণ করেন। পরিশেষে, ভাষা শহিদদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা  অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৫

শাবিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।  দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ৮টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর আগে ভাষা শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলেই কালো ব্যাজ ধারণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল গনি, রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান এবং প্রক্টর অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, আবাসিক হল, বিভিন্ন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, শাবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, কর্মচারী সমিতি, শাবি শাখা ছাত্রলীগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৯

বশেমুরবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার শেকড়। কারণ ভাষার জন্য যে আন্দোলন তা কোনো একক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং অর্থনীতি, শিক্ষা, সমরবিদ্যাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে দেয়ার পর যখন ভাষার ওপর হাত দেয়া হয়, তখন আমাদের ছাত্রসমাজ তার প্রতিবাদ জানিয়েছে। রক্তের বিনিময়ে ভাষার মান রক্ষার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন যাতে শিক্ষার সকল স্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। কিন্তু নানা কারণে আমরা সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি। সেকারণে হীনমন্যতা দূরে রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠার আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, আজকাল ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করলেই এক ধরনের বাহাদুরী ভাব চলে আসে। অথচ বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা, সবচেয়ে দামি ভাষা। আমরা যদি হৃদয়ে লালন না করি, তাহলে তো শ্রদ্ধা আসবে না। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছেন। যে কারণে অনেকটা সহজে বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. মোবারক হোসেন ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং জাতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সঞ্চালনা করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক অহনা আরেফিন।  এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুল্লাহ আল আসাদ, প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া, বাংলা বিভাগের সভাপতি মো. আব্দুর রহমান, বিজয় দিবস হলের প্রভোস্ট ড. মো. রবিউল ইসলাম, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. আরিফুজ্জামান রাজীব প্রমুখ। এর আগে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবের নেতৃত্বে একুশের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এ সময় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ছাত্রলীগ ও কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুবের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সকাল ৮টা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষক ঐক্য নীল দলসহ বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, বিভিন্ন জেলা, বিভাগীয় এবং সামাজিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ছাত্র সংগঠনসমূহ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহান ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকৃত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিকেলে মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৬

কুয়াকাটা সৈকতে পরিবেশ দূষণ রোধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
‘প্লাস্টিক বর্জ ফেলবো না, পরিবেশ দূষণ করবো না’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের নাগরিকদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সমুদ্র সৈকতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বেসরকারি সংস্থা নজরুল স্মৃতি সংসদ (এমএসএস)। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শাহাবুদ্দিন পান্না, সমকালের সাংবাদিক জাকির হোসেন, আমতলী বকুল নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসি আক্তার, ওয়ার্ল্ড ভিশন আমতলী অফিসের ম্যানেজর সুরভী বিশ্বাস, তাজমেরী লিখন, মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে এনএনএস এর শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনকালে বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জানমাল রক্ষা ও ঝুকিঁ মোকাবিলায় আমরা কাজ করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্র উপকূলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে।  তারা আরও বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা আসছে। এখানে প্লাস্টিক বর্জের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক বর্জ না ফেলতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন বলে এনজিও সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান। 
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়