• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রাম্পের সঙ্গে নিজের পার্থক্য তুলে ধরলেন বাইডেন
সংসদে বাৎসরিক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথম কার্যকালে নিজের সাফল্য তুলে ধরে বিরোধী পক্ষ ও তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করলেন৷ ভোটারদের মন জয় করতে কিছু ঘোষণাও করলেন তিনি৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই বছরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে৷ অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মতো ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যথেষ্ট সাফল্যের দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও জনমত সমীক্ষায় তিনি ভালো ফল করতে পারছেন না৷ বয়সের কারণে তিনি আরো চার বছর ক্ষমতায় থাকার উপযুক্ত কিনা, সেই বিতর্ক তার পুনর্নির্বাচনের উপর কালো ছায়া ফেলছে৷ অন্যদিকে মামলা-মোকদ্দমা ও বিতর্কের ধাক্কা সামলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের মনোনয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন৷ এমনই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্টের স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন বাইডেন৷ ভোটারদের মন জয় করতে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা করলেন তিনি৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য লড়াই করছেন, তার আরো প্রমাণ হিসেবে বাইডেন ধনী ও বড় কোম্পানির উপর করের হার বাড়ানোর ঘোষণা করলেন৷ সেই সঙ্গে আমেরিকার স্বল্প আয়ের মানুষের করের বোঝা কমাতে চলেছেন তিনি৷ তবে সংসদে বর্তমানে অচলাবস্থার কারণে সেই সব প্রস্তাব আদৌ অনুমোদন পাবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷ ইতিবাচক পদক্ষেপের পাশাপাশি বাইডেন তার ভাষণে আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের জোরালো সমালোচনা করেন৷ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট লিংকন ও গৃহযুদ্ধের সময়ের পর আমেরিকায় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র এমন হুমকির মুখে পড়েনি৷ সরাসরি ট্রাম্পের নাম মুখে না এনেও মোট ১৩ বার তিনি আমার পূর্বসূরি হিসেবে তার উল্লেখ করে রাশিয়ার কাছে নতি স্বীকার করার অভিযোগও করেন৷ সামরিক জোট ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বাইডেন৷ ট্রাম্পের জোরালো প্রভাবের কারণে রিপাবলিকান দলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেন বাইডেন৷ বিশেষ করে মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমাতে তার প্রশাসনের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে তারা দেশের ক্ষতি করে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ সেই বিল পাশ হলে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরো জোরালো করা সম্ভব বলে বাইডেন দাবি করেন৷ সংঘাতের বদলে সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্তের সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ডেমোক্র্যাট দলের সব সমর্থকদের মন জয় করতেও বাইডেন তার ভাষণে কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেন৷ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অবিচল সমর্থনের কারণে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা দূর করতে বাইডেন গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর তৈরি করে সেখানে আরো ত্রাণ সাহায্য বণ্টনের অঙ্গীকার করেন৷ তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে সেই নির্দেশ দিলেও গাজায় মার্কিন সৈন্য প্রবেশ করবে না বলে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন৷ তিনি গাজায় অবিলম্বে অস্ত্র বিরতির ডাক দেন৷
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫

২৫০ আসনের ফল : পার্থক্য বাড়িয়ে চলেছেন ইমরানের সমর্থিতরা
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৫০টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ২৫০ আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছেন। যার অধিকাংশই ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ ছাড়া নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পয়স্বিনী-এন) ৭১টি আসন, বিলাওয়ালের পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৩টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ২৭টি আসনে জিতেছেন অন্য প্রার্থিরা।ভোট স্থগিত হয়েছে ১টি আসনের। এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কারাগারে বন্দি থাকায় এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ ছাড়া তার দল পিটিআইকে এবার নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে ইমরানের দলের লোকেরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬টিতে ভোট হয়েছে। বাকি আসনগুলো নারী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য সংরক্ষিত। দেশটিতে কোনো দল যদি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায়— তাহলে সংরক্ষিতসহ মোট ১৭২টি আসন পেতে হবে। সে হিসেবে যদি পিটিআই এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের নির্বাচন হওয়া আসনগুলো থেকে অন্তত ১৫০টিতে জয়ী হতে হবে। সবশেষ ফলাফল অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত দেশটিতে জোট সরকার গঠন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৯

বয়সের পার্থক্য ২৪ বছর, যেভাবে দীপঙ্করের প্রেমে পড়েন দোলন
টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি দীপঙ্কর দে ও দোলন রয়। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর আজ তারা সুখী বিবাহিত দম্পতি। যদিও তাদের প্রেম, বিয়ে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। কারণ, দীপঙ্করের সঙ্গে দোলনের বয়সের পার্থক্য প্রায় ২৪ বছর। বয়সের ব্যবধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই একসঙ্গে পথ চলেছেন এই জুটি। সম্প্রতি দিদি নম্বর ওয়ানের সেটে হাজির হয়ে দীপঙ্করের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খোলেন দোলন রয়। জানান, নব্বইয়ের দশকে কীভাবে একে অন্যের প্রেমে পড়েছিলেন। নিজেদের প্রেম কাহিনি নিয়ে দোলন বলেন, ১৯৯৭ সালে আমাদের প্রেমের শুরু। দেশের বাইরে বিদেশে নাটক করতে গিয়ে প্রথমে বন্ধুত্ব। সেখান থেকে ধীরে ধীরে একে অন্যের প্রেমে পড়ে যাই। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর ২০০৪ সাল থেকে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন এই জুটি। মানুষের কটু কথা কানে না নিয়ে একছাদের নিচে বাস করতে শুরু করেন দুজনে। এরপর ২০২০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এই জুটি। প্রায় ২৭ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন টলিউডের এই তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী। বয়স নিয়ে যতোই সমালোচনা হয়েছে, প্রতিবারই নাকি বিষয়গুলো ঠান্ডা মাথায় সামলে নিয়েছেন দীপঙ্কর। স্বামী সম্পর্কে দোলন জানান, সে খুবই ঠান্ডা মেজাজের একজন মানুষ। ভীষণ খাদ্যরসিক। স্পাইসি খাবার খেতে ভালোবাসেন। তবে তার স্বাস্থ্যর দিকে খেয়াল রেখেই রান্না করতে হয় আমাকে।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়